বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান পরস্পর সম্পর্কযুক্ত
রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতীকী ছবি
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিসংখ্যান (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৪) অনুযায়ী, দেশে বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৬০ হাজার। তবে প্রকৃত বেকারের সংখ্যা অনেক বেশি, এমনকি এক কোটি বা তার চেয়েও বেশি বলে ওয়াকিবহাল ব্যক্তিদের অভিমত। শতভাগ বেকারত্ব ছাড়াও ‘ছদ্ম-বেকারত্ব’ অনেক বেশি হওয়ার কথা-সেটা বিবেচনায় রেখে হিসাব করলে বেকারের আসল সংখ্যা দুই কোটি হতে পারে। আর সবারই জানা, পতিত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার সরকার বেকারদের সংখ্যা কম দেখানো, বেশি হারে বার্ষিক মাথাপিছু আয় দেখানোর অসদুদ্দেশ্যে, রাষ্ট্রের নাগরিকদের আসল সংখ্যা অনেক কম দেখিয়ে জনসংখ্যা জরিপ প্রকাশ করেছে। রাষ্ট্রের প্রকৃত জনসংখ্যা এখন আঠারো কোটির উপরে হওয়ার কথা, কিন্তু ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় পরিসংখ্যান স্টাডির মাধ্যমে তা দেখিয়েছে অনেক কম-সতেরো কোটির সামান্য বেশি। এ ব্যাপারে বিবিএস স্টাডির সব পরিসংখ্যান বিষয়ে সন্দেহ কাজ করে সবার মধ্যে।
আঠারো কোটি জনসংখ্যার এদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ যে খুবই খারাপ, সে কথা বলেছেন দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা অসংখ্যবার। এখানে শিল্প বিনিয়োগের কাজে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার সামনে পড়ে স্বদেশি ও বিদেশি অনেক অর্থশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী শিল্প বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হয়ে পিছিয়ে গেছেন। বস্তুত, শিল্প বিনিয়োগকারীদের অবিরাম ‘ট্রমার’ (এক ধরনের অনিশ্চয়তার আতঙ্ক) মধ্যে রাখা হয়। এই কয়েক সপ্তাহ হলো, দেশের একজন পরিশ্রমী ও মেধাবী শিল্পোদ্যোক্তা সুপরিচিত ‘কেয়া’ গ্রুপের কর্ণধার আবদুল খালেক পাঠান তার টেক্সটাইল-সংশ্লিষ্ট চারটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। একদিনে সেগুলোর পাঁচ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়ে গেছেন। এর পাশাপাশি আরেকটি খবর-সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশের প্রায় ১০০টি তৈরি পোশাক রপ্তানি শিল্পকারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন সেসবের মালিকরা। এবং কেয়া গ্রুপের চার প্রতিষ্ঠান বন্ধের পেছনে তাদের প্রডাক্টের প্রধান ক্রেতা তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর দুরবস্থাই দায়ী বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিযোগ। তাছাড়া পর্যাপ্ত কাঁচামাল সংগ্রহে জটিলতা ও ব্যাংকঋণ সংক্রান্ত সমস্যাও রয়েছে। এর বাইরেও অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রতিদিন বন্ধ হচ্ছে কিংবা আংশিক বন্ধ হচ্ছে।
দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হচ্ছে যে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এক্ষেত্রে ইতিবাচক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ ছিল, কিন্তু তার দিক থেকে কোনো তৎপরতার নমুনাই নেই। আসল কথা হচ্ছে, এমন ব্যক্তিকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যার শিল্পকারখানা সম্পর্কে কোনো সাধারণ ধারণাও নেই, আর এনজিও চালিয়ে জীবনধারণ করা এসব ব্যক্তি শিল্পকারখানা নিয়ে আগ্রহী হবেন, এমন কালচারে অভ্যস্ত হবেন, তা একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। ফলে মন্ত্রী পর্যায়ের ব্যক্তি, সিনিয়র আমলারা শিল্প বিনিয়োগে আগ্রহ সৃষ্টি বা পুরোনো শিল্পকারখানা রক্ষায় ও সম্প্রসারণে কর্মতৎপর হবেন, রাষ্ট্রবাসী শ্রমজীবী-কর্মজীবীদের কর্মসংস্থানে রাষ্ট্রীয় ভূমিকা পালন করবেন, এমন কোনো পরিস্থিতি বিরাজমান নেই।
প্রশ্ন জাগে, এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধের আগে কেন শিল্প উপদেষ্টা শিল্পোদ্যোক্তাদের সঙ্গে বসে তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের প্রচেষ্টা চালালেন না? কেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টাদ্বয় শিল্প বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন না? কেন কৃষি ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এসব সংকটগ্রস্ত খামার-শিল্পের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন না? এসব ব্যক্তিদের রাষ্ট্র কেন বসিয়েছে-মন্ত্রণালয়গুলোর নেতা বানিয়ে? শুধু মন্ত্রিত্ব উপভোগের সুবিধা ভোগ আর আত্মম্ভরিতা প্রদর্শনের জন্য? এসব শিল্পের সমস্যা যত জটিলই হোক না কেন, সমাধানের উদ্যোগ কেন নেওয়া হবে না?
পতিত ফ্যাসিবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি উৎপাদনমূলক শিল্পকারখানা এবং কৃষি ও প্রাণিসম্পদ খামার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির বিশাল মাপের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা এবং খাদ্যপণ্য উৎপাদনে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জনের পথে আগাতে উৎসাহী ছিলেন না কখনোই। এ খাতগুলোতে যা কিছু অর্জন, সেসব সম্ভব হয়েছে আমাদের প্রচণ্ড পরিশ্রমী ও আত্মত্যাগী কৃষক ও খামারি ভাইদের নিজস্ব উদ্যোগে। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য ছিল সড়ক আর সেতু এবং বড় বড় ভবন নির্মাণ ও একই ধরনের অনুৎপাদনশীল বা (ধীরগতির উৎপাদন কার্যক্রমের সহায়তামূলক) মেগা প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অর্থ লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি। এক টাকার উপকরণ পাঁচ বা দশ টাকায় কিনে সড়ক ও সেতু নির্মাণে বা অন্য কোনো কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে ব্যবহার-যাতে মোটা অঙ্কের কমিশনের (সোজা-কথায় ‘ঘুস’) টাকায় আওয়ামী লীগের ডাকাত-দস্যু মন্ত্রী ও বড় নেতাদের পকেট ভরে। রাষ্ট্রের এবং নাগরিকদের সরাসরি উন্নয়ন কাজে বিতাড়িত আওয়ামী-সরকারের নেতাদের আগ্রহই ছিল না। কারণ, জনগণের জন্য সরাসরি উপকারে লাগে এমন প্রকল্পে তাদের ‘কমিশন বা বখরা’ কমে যায় আর কী! এসব দিয়েই তারা ষোলো বছরে কমপক্ষে চল্লিশ লাখ কোটি টাকা রাষ্ট্র-লুট করেছে, এর মধ্যে ৩৩ লাখ কোটি টাকা (বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তরিত করে) বিদেশে পাচার করেছে। (অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক শ্বেতপত্র কমিটি অর্থ পাচারের এ তথ্য প্রকাশ করেছে)।
অপ্রয়োজনীয় বা স্বল্পমাত্রার দরকারি প্রকল্পে ফ্যাসিস্ট সরকারটি সমানে অর্থ অপচয় আর লোপাট করে গেছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, জাপান থেকে বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করে রাজনীতিক, মন্ত্রী আর আমলা-পাতিআমলাদের ভোগ-বিলাসের সুযোগ সম্প্রসারণ করেছে তারা অপরিসীম মাত্রায়। অথচ সুযোগ ছিল জাপানি (একই সঙ্গে অন্যসব উন্নত দেশের) বড় কোম্পানিগুলোকে দিয়ে গণপরিবহণের বাস ও ছোট গাড়ি নির্মাণের ফ্যাক্টরি বাংলাদেশের মাটিতে সম্প্রসারণ করার। তাতে বাংলাদেশের বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ত, গণপরিবহণে আর নিম্ন-মধ্যবিত্তের জন্য সাশ্রয়ী দামে নিজস্ব যানবাহনের ব্যবস্থার পাশাপাশি এসব কারখানায় তৈরি বাস ও অন্যান্য গাড়ি রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হতো, আর শিল্পায়নে বাংলাদেশের কৃতিত্বপূর্ণ অবস্থান প্রচারিত হতে পারত, তাতে বিদেশি অন্যসব শিল্পোদ্যোক্তাও বিনিয়োগে উৎসাহী হতেন। জাপান প্রতিবছর অস্ট্রেলিয়া থেকে লাখ লাখ কোটি টাকার গরুর মাংস আমদানি করে থাকে-অবশ্যই সাধারণ মানের গো-মাংস নয়, উন্নতমানের (স্বাস্থ্যসম্মত) গো-মাংস। জাপানি শিল্পোদ্যোক্তাদের এ খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ আছে। এদেশে গরুর খামার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নতমানের (স্বাস্থ্যসম্মত) গো-মাংস উৎপাদন করে তারা জাপানে রপ্তানি করতে পারত। একইভাবে উন্নতমানের ছাগল ও ভেড়া খামার করে জাপান ও অন্য অনেক রাষ্ট্রে সেসব মাংস রপ্তানি করা সম্ভব। তাছাড়া বাংলাদেশে গরুর মাংসের পাশাপাশি, ছাগল, ভেড়া ও হাঁস, মুরগির মাংসের ও ডিমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, যা উপযুক্ত খামারে বিনিয়োগের অভাবে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
টেক্সটাইল শিল্পকারখানা প্রসঙ্গে আসা যাক। এ শিল্পে সুতা তৈরি, বস্ত্র তৈরিতে কিছু বিনিয়োগ হয়েছে-অবশ্যই তা দুই লাখ কোটি টাকা বা কমবেশি কাছাকাছি অঙ্কের হবে। তৈরি পোশাক রফতানি শিল্পে এর ব্যাপক চাহিদা আছে। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে, সুতা তৈরি ও বস্ত্র তৈরিতে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো শিল্পকারখানা এগুলোর বেশিরভাগই নয়। ফলে ভারতীয়, চীনা ও কোরিয়ার বস্ত্র প্রোডাক্টের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজার ধরতে পারছে না এদেশের বস্ত্র শিল্পোদ্যোক্তারা। দুর্ভাগ্যজনক সত্য হচ্ছে, আমাদের দেশের শিল্পোদ্যোক্তাদের নব্বই ভাগের মাঝেই উঁচুমানের, বিশ্বমানের প্রডাক্ট তৈরির কালচারটাই গড়ে ওঠেনি। এসব বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের উপলব্ধি করানোর জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই উপদেষ্টা (পরবর্তীকালে অন্য যারা মন্ত্রী হবেন) ও আমলাদের প্রবলভাবে উদ্যোগী হতে হবে। তার পেছনে মূল প্রেরণা থাকতে হবে-শিল্পকারখানা ও কৃষিপণ্য এবং প্রাণিসম্পদ খামার গড়ার দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, দেশবাসীকে ভালো শিল্পপণ্য এবং তাদেরকে ক্ষুধামুক্ত রাখার লক্ষ্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার প্রদানের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
আরও অনেকগুলো পন্থা আছে : ক. অনেকের হাতে পুঁজি আছে, দেশে শিল্পকারখানা বা কৃষি বা প্রাণিসম্পদ খামার গড়তে চান, কিন্তু তাদের স্বাস্থ্য পারমিট করছে না, তাদেরকে অবশ্যই বিকল্প উদ্যোক্তা সঙ্গে নিতে হবে, সেই লোকটি যার আর্থিক পুঁজি নেই, কিন্তু প্রবল ইচ্ছাশক্তি, কর্মদক্ষতা, শিল্পকারখানা, খামার সম্পর্কে গভীর জ্ঞান আছে, প্রচণ্ড ঝুঁকি নেওয়ার সাহস রয়েছে, আছে প্রবল দেশপ্রেম, মানবপ্রেম। তবে এ লোকগুলোর সঙ্গে পুঁজিওয়ালা লোকজনের সংযোগ ঘটাতে উদ্যোগী হবে কে? অবশ্যই সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তাদের সঙ্গে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খ. জনপ্রতি দুই লাখ, পাঁচ লাখ, দশ লাখ বা বিশ লাখ টাকা ব্যয় করে (আদম ব্যাপারীকে দিয়ে বা মানবপাচারকারীকে দিয়ে) অনেকে ধনী দেশগুলোতে যেতে চায় নিজ কর্মসংস্থানের জন্য। তারা আদম ব্যাপারী ধরেন, মানব পাচারকারী দালাল ধরেন, টাকা দেন পরিবারের সব সঞ্চয় শেষ করে বা জমি-জমা বিক্রি করে, কিন্তু অনেকেই প্রতারিত হন, কেউ কেউ এভাবে বিদেশে যেতে সক্ষম হন, কিন্তু উপযুক্ত কর্মসংস্থান হয় না, যে অর্থ ব্যয় করে বিদেশে গেছেন, তা তুলতে তুলতেই দশককাল পেরিয়ে যায়। এসব মানুষের দশজনকে একসঙ্গে খামার বিনিয়োগে জড়ো করতে পারলেও কিন্তু মাঝারি গোছের বা ক্ষুদ্রকায় একেকটা ছাগল খামার, মুরগি খামার, হাঁসের খামার বা ভেড়ার খামার গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা যায় এবং প্রতিটি প্রকল্পে আরও কিছু লোকের কর্মসংস্থান হতে পারে। এসবের পেছনে সংগঠিত শক্তি দরকার। তথাকথিত এসএমই ফাউন্ডেশন এসব মাঝারি ও ক্ষুদ্রশিল্প ক্ষেত্রে কিছু কাজ করেছে, তবে তা মূল লক্ষ্যমাত্রার কুড়ি শতাংশ বা আরও কম। এমনকি এনজিওগুলোও এসব উদ্যোগ নিতে পারত।
আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পুরো দূর করার পাশাপাশি শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় সব অনুমতিপত্রসহ সব ধরনের দলিলপত্র ও রাষ্ট্রীয় অনুমোদনপত্রগুলো পাওয়ার জন্য ‘ওয়ান-স্টপ-সার্ভিস’ সবচেয়ে জরুরি। কোনো সন্ত্রাসী দস্যুগোষ্ঠী যেন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে চাঁদাবাজির সামান্যতম সুযোগও না পায়; তাদের কাছে কোনো সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তা যেন এক টাকাও ঘুস না চাইতে পারে। বিদেশি অর্থবান বিনিয়োগকারীর জন্য প্রয়োজনে দ্রুততম সময়ে (সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে) বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্ব সুবিধা প্রদান, নিরাপদ আবাসন সুবিধার ব্যবস্থা করা, এদেশের ভেতরে সর্বত্র চলাফেরার জন্য সার্বক্ষণিক পুলিশি নিরাপত্তা ইত্যাদির ব্যবস্থা করা অপরিহার্য। সেই সঙ্গে চাহিদামাফিক বিদ্যুৎ, প্রাকৃতিক গ্যাস, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা এবং কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ও বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (অযাচিত হস্তক্ষেপ ব্যতিরেকে) সহায়তাদান, তাদের অফিস ও সমগ্র কারখানা এলাকায় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বিধান অতি জরুরি। এক কথায়, দেশি-বিদেশি সব বিনিয়োগকারীকে সব ধরনের আইনসংগত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে তাদের চাওয়ার আগেই। তারপরে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে অবিরাম যোগাযোগ রেখে যত প্রকার আইনসম্মত সুবিধাদান সম্ভব, দিয়ে যেতে হবে।
রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী : বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক