Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

শতফুল ফুটতে দাও

শহিদ আসাদকে যে কারণে স্মরণে রাখতে হবে

Icon

ড. মাহবুব উল্লাহ্

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শহিদ আসাদকে যে কারণে স্মরণে রাখতে হবে

আজ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি। ২০ জানুয়ারি সোমবার পালিত হবে শহিদ আসাদ দিবস। আমাদের প্রজন্মের কাছে শহিদ আসাদ একটি অত্যন্ত পরিচিত নাম। কিন্তু বর্তমানের কিশোর ও তরুণরা শহিদ আসাদকে কতটুকু জানে, তা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন আছে। বিগত সাড়ে তিন দশকে যে প্রজন্ম সামনে এসেছে, তাদের অনেকেই এক ধরনের বিরাজনীতিকরণের মধ্য দিয়ে গেছে। আমাদের মতো প্রবীণরা মনে করতাম এরা সমাজ, রাজনীতি ও দেশ নিয়ে কিছু ভাবতে চায় না। অনেক তরুণকে বলতে শুনেছি, ‘I hate politics.’ আমরা যারা ভাষা আন্দোলন দেখেছি, ’৬২-তে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন ও শিক্ষা আন্দোলন দেখেছি, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান দেখেছি এবং ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গেছি, তাদের কাছে আমাদের উত্তরসূরি বর্তমানকালের যুবক, তরুণ ও কিশোরদের মধ্যে দেশ ভাবনার অভাব দেখে দুঃখ পেতাম। আমাদের সেই দুঃখের অবসান ঘটিয়েছে ২০২৪-এর জুলাই-আগস্টের মহাঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার অকাতরে আত্মাহুতি দানে। শত-সহস্র শিশু, কিশোর, তরুণ ও যুবক এ অভ্যুত্থানে অকাতরে রক্ত ঢেলে দিয়েছে। এ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বের হয়ে এসেছে এক তরুণ নেতৃত্ব, যারা বাগ্মিতা ও চিন্তায় অনেক অগ্রসর। তারা আমাদের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে।

তাই বিশ্বাস করি, তাদের কাছে যদি শহিদ আসাদের কাহিনি তুলে ধরি, তাহলে তারা সাগ্রহে এ কাহিনি শুনতে চাইবে। অতীতের বীর দেশপ্রেমিকদের সম্পর্কে আলোচনা করার এটাই শ্রেষ্ঠ সময়। ইতিহাসে কখনো কখনো এমন সময় আসে, যখন অতীত দিনের মানুষগুলোর আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাথা আমাদের নবমন্ত্রে উদ্বেলিত করে তোলে। আমরা তখন শুনতে চাই তিতুমিরের কথা, সন্ন্যাসী বিদ্রোহের কথা, পাগল বিদ্রোহের কথা, নীল বিদ্রোহের কথা, ফরায়েজি আন্দোলনের কথা, সৈয়দ আহমদ বেরলভির কথা, সিপাহি মঙ্গল পান্ডের কথা, মওলানা আহমদ উল্লাহর কথা, বাহাদুর শাহ জাফরের কথা, ঝাঁসির রাণী লক্ষ্মী বাঈয়ের কথা, মওলানা হজরত মহানীর কথা। আমরা তখন শুনতে চাই মওলানা ওবায়দুল্লাহ সিন্ধির কথা, সূর্যসেন ও প্রীতিলতার কথা এবং তারও পরে জিন্নাহ, গান্ধী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী, হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী ও শেখ মুজিবুর রহমানের কথা, শহিদ জিয়াউর রহমানের কথা। আশা করি আমাদের জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্ম কৌতূহলী হয়ে উঠবে। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে উল্লেখিত মহৎ মানুষদের অবদান-সংগ্রাম ও ত্যাগের ইতিহাস তাদের চিন্তা ও মননকে ঋদ্ধ করে তুলবে। যতদূর জেনেছি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতৃত্ব পাঠচক্র করে আমাদের জাতীয় ইতিহাস অধ্যয়নের বিরল প্রয়াস পেয়েছে। তা না হলে তারা যোগেন মণ্ডলের মতো একজন বিস্মৃতপ্রায় অথচ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির অবদানের কথা কী করে বলতে পারলেন! আমি এ কথাগুলো বলছি এ কারণে যে, আমাদের জাতীয় ইতিহাসে ঔপনিবেশিককালে অনেক বিশাল সংগ্রাম হয়েছিল এবং অনেক মহৎ পুরুষ ও নারী ইতিহাসের রঙ্গমঞ্চে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এদের কথা জানলে দেশপ্রেম পূর্ণতা পায়।

১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রাণপুরুষ ছিলেন শহিদ আসাদুজ্জামান। তিনি ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপের একজন সক্রিয় নেতৃস্থানীয় কর্মী। নানা দিক বিচারে আমাদের জাতীয় ইতিহাসে ষাটের দশক এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় যোগ করেছে। এ সময় দেশপ্রেম ও বিপ্লবের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়েছিল অনেক তরুণ-তরুণী। শুধু আমাদের দেশেই নয়, আফ্রো-এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশে দেশে চলছিল জাতীয় মুক্তি ও সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লব। ইউরোপেও ফুঁসে উঠেছিল তরুণের বিদ্রোহ। এ রকম একটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে বিপ্লবী হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক। ফরাসি দার্শনিক জ্যাঁ পল সার্ত্র বলেছিলেন, ২১ বছর বয়সে যদি কেউ সাম্যবাদী না হয়, তাহলে সে একজন ‘এতেচে’, অর্থাৎ কুকুর ছানা। বাংলাদেশের তরুণ ছাত্রদের ২০২৪-এর আন্দোলনও ছিল বৈষম্যবিরোধী। ১৯৬৯-এ আসাদুজ্জামান বিপ্লবের মন্ত্রে উজ্জীবিত ছিলেন। তিনি মার্কসবাদ, লেনিনবাদ ও মাও সেতুংয়ের চিন্তাধারায় বিশ্বাস করতেন। বিশ্বাস করতেন বলেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত করে শ্রেণি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি তার নিজ গ্রামের এলাকা নরসিংদীতে কৃষক সমিতি গড়ে তোলার কাজে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। মওলানা ভাসানী ১৯৬৮-এর ২৯ ডিসেম্বর গ্রামবাংলায় হাট-হরতাল ডেকেছিলেন। মওলানা ভাসানীর উদ্দেশ্য ছিল ৭ ডিসেম্বর ১৯৬৮ ঢাকায় যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, তা গ্রামবাংলায় কৃষকের পর্ণকুটিরে ছড়িয়ে দেবেন। মওলানা ভাসানীর ডাকে আসাদুজ্জামান হাতিরদিয়া বাজারে হাট-হরতাল সফল করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। হাতিরদিয়া বাজারে কৃষক সমিতির কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হন। আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আসাদুজ্জামান গ্রেফতার এড়াতে ঢাকায় চলে আসেন।

১৯৬৯-এর ৪ জানুয়ারি তিনটি ছাত্রসংগঠন, যথাক্রমে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন মেনন, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ যৌথভাবে ১১ দফা আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়ন করে এবং সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে ১১ দফা আন্দোলনের দলিল জনগণের কাছে তুলে ধরে। ঢাকা শহরে ১৯৬৯ সালের ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার দুটি জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। একটি দক্ষিণপন্থি রাজনৈতিক দলের প্রাধান্যে ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটির আহ্বানে গণ-জমায়েত, অপরটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের বটতলায় ছাত্র জমায়েত। এসব জমায়েত যাতে মিছিলে রূপ নিতে না পারে, সে জন্য পূর্বাহ্নেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। আন্দোলনের সূচনায় ছাত্ররা এনএসএফের গুন্ডাদের হামলার ভয় করেছিল। ভয় থাকলেও, মুসলিম লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জন্য এ আশঙ্কা ছিল সীমিত। হাজারখানেক ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতিতে সভার কাজ শুরু হয়। সভা শুরু হওয়ার পর ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ব্যাপারে মতদ্বৈধতা দেখা দেয়। এ সময় ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপের নেতৃস্থানীয় কর্মী মরহুম সফিকুল ইসলাম প্রথম স্লোগান দেন ১৪৪ ধারার বিরুদ্ধে। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ছাত্ররা সক্রিয় হয়ে ওঠে। নির্দেশ অমান্য করে একদল ছাত্র ছুটে বেরিয়ে যায় রাস্তার দিকে। শুরু হয় পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও রায়ট কার থেকে রঙিন পানি ছিটানো। এদিন ২৫ জন আহত ছাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ১৭-১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এনএসএফের একদল ছাত্রের ভূমিকা সাধারণ ছত্রদের উৎসাহ জোগায়। এনএসএফের একটি অংশ মুসলিম লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আন্দোলনকে সমর্থন দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ২০ জানুয়ারি সোমবার ১৯৬৯ সকালে অনুষ্ঠিত ছাত্রসভায় এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। হাজার হাজর জঙ্গি ছাত্র লাটিসোটা নিয়ে সভায় উপস্থিত হয়। বক্তৃতার পালা শেষ হলে ফুলার রোড ধরে মিছিল বেরিয়ে পড়ে। শুরুতে মিছিলে কোনো পুলিশি হামলা হয়নি। শহিদ মিনারের সামনে দিয়ে গিয়ে মিছিল যখন চানখারপুল এলাকায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন রশিদ বিল্ডিং অতিক্রম করছিল, তখন পুলিশ বাধা দিলে মিছিল দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়। প্রথম অংশ পুরোনো ঢাকার রাস্তা অতিক্রম করে পৌঁছে যায় বাহাদুর শাহ পার্কে। এখানে ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপের সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার ঘোষণা করেন, আন্দোলনের কর্মসূচি পরবর্তী পর্যায়ে ঘোষণা করা হবে। অথচ এরা তখনো জানতেন না মিছিলের শেষাংশের ভাগ্যে কী ঘটেছে। রশিদ বিল্ডিংয়ের কাছে হামলা চালানোর পর কোনো সতর্কবাণী না দিয়ে পুলিশ গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলে মেনন গ্রুপের অন্যতম নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের এমএ শেষ বর্ষের ছাত্র আসাদুজ্জামান গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। গুলিতে আরও আহত হয়েছিলেন, পাকিস্তান অবজারভারের স্টাফ ফটোগ্রাফার মরহুম মোজাম্মেল হক, সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আবু, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আব্দুল মুজিদ। ছাত্ররা ধরাধরি করে আসাদকে ঢাকা মেডিকের কলেজের জরুরি বিভাগে নেওয়ার আগেই তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কথা আছে, পুলিশের ডিএসপি বাহাউদ্দিন আসাদকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে রিভলবার দিয়ে গুলি করেন। পরবর্তীকালে হত্যাকাণ্ডের জন্য এ পুলিশ অফিসারকে দায়ী করে ছাত্রসংগঠনের মধ্য থেকে বিচারের দাবি ওঠে। রাষ্ট্রযন্ত্র সেই বিচারের দাবিতে কর্ণপাত করেনি। কেন করবে? তার দায়িত্ব তো বিদ্যমান সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার স্থিতাবস্থা রক্ষা করা। বাহাউদ্দিন সে দায়িত্বই পালন করেছে। তাকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি। সমাজ যদি না বদলায় তাহলে এ ধরনের অপরাধের বিচার হয় না। গত বছর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে যারা খুন-খারাবিতে মেতে উঠেছিল, তাদের বিচারের আয়োজন করা হলেও শেষ পর্যন্ত কী হয় তা নিয়ে সংশয় আছে।

আসাদের মৃত্যুতে মুহূর্তের মধ্যে গোটা আন্দোলনের চেহারা পালটে যায়। ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরের পরপর এক ঐতিহাসিক শোক মিছিল বের হয়। ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ সারা দেশে তিন দিনব্যাপী শোক ঘোষণা করে। কর্মসূচিতে ছিল ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার হরতাল, ২২ জানুয়ারি বুধবার শোক মিছিল এবং ২৩ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মশাল মিছিল। ২০ জানুয়ারি সোমবার কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই যে শোক মিছিল হয়েছিল, তাতে মেয়েরা নেতৃত্ব দেয়। সংবাদপত্র মন্তব্য করে, ‘গৃহসমূহের ছাদ ও জানালা হইতে মিছিলকারীদের ওপর পুষ্পবৃষ্টি নিক্ষেপ করা হয়।’ ওই দিনও পুলিশ ও ইপিআর কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ এবং বেয়নেট ও ব্যাটন চার্জ করে।

ন্যূনতম প্রস্তুতি ছাড়াই ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঢাকায় হরতাল পালিত হয়। শুরু হয় রাজপথে মানুষের ঢল। ২০ জানুয়ারি সোমবার রাতে আসাদের লাশ নিয়ে এক নাটকীয় ঘটনা ঘটে। ছাত্রনেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আসাদের লাশ তার গ্রামের বাড়ি হাতিরদিয়ায় পাঠানো হবে। অপরদিকে সরকারি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছিল লাশ নিতে না দেওয়া। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি প্রয়াত আশিকুল আলমের উদ্যোগে আসাদের লাশ ২১ জানুয়ারি ১৯৬৯ ভোর চারটায় ট্রাকে করে হাতিরদিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। ২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় শহিদ আসাদুজ্জামানের গায়েবানা জানাজা। শহিদ আসাদুজ্জামানের শাহাদত নিশ্চিত করে দেয় ২৪ জানুয়ারি ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান। এদিন থেকে সমগ্র পূর্ব বাংলায় আইয়ুবের শাসনযন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে।

শহিদ আসাদ ছিলেন একজন ব্যতিক্রমধর্মী শহিদ। তিনি সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্বাসে বিশ্বাস করতেন। সেই বিশ্বাস বাস্তবায়ন করতে গিয়েই তিনি পুলিশের গুলিতে আত্মাহুতি দিলেন। এমন মহান মৃত্যু ইতিহাসে খুব বেশি নেই। ১৯৬৯-এর মিছিলে মিছিলে স্লোগান উঠেছিল, ‘আসাদের মন্ত্র, জনগণতন্ত্র’। আসাদের মন্ত্র ও স্বপ্ন জনগণতন্ত্র আজ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠিত হয়নি। কীভাবে হবে? যারা জনগণতন্ত্র করবেন, তারা শতধাবিভক্ত হয়ে ভুল রাজনীতির পাকে নিমজ্জিত হয়ে গেছেন। বৈরী আন্তর্জাতিক পরিবেশে জনগণতন্ত্রের মন্ত্র বাস্তবায়ন দুরূহ হয়ে গেছে। তবুও ঐক্য গড়তে হবে। জনগণতন্ত্রের সংগ্রামকে জয়যুক্ত করতে হবে।

ড. মাহবুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম