সামাজিক ভারসাম্যের প্রয়োজনীয়তা
মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম
প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
স্বাধীনতা, শৃঙ্খলা ও সীমা লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলো ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকটাই আপেক্ষিক। তবে এ বিষয়গুলো নির্ধারণ করার ব্যাপ্তিটা অনেক বিস্তৃত ও বৈচিত্র্যময়। সমাজ, সংস্কৃতি ও ভৌগোলিক সীমারেখার পরিপ্রেক্ষিতে এর ভিন্নতা রয়েছে। পৃথিবীর এক স্থানে যেটি স্বাধীনতা, অন্য স্থানে তা বিশৃঙ্খলা বা সীমা লঙ্ঘন হিসাবেও বিবেচিত হতে পারে। একটি সমাজব্যবস্থায় নিজের জীবনাচরণ, ভাবনা ও কর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার ব্যবস্থা বা সক্ষমতাকে ব্যক্তি স্বাধীনতা বলা যেতে পারে। এটি মানুষের মৌলিক অধিকার, যার মাধ্যমে সে স্বাধীনভাবে তার মত প্রকাশ করে থাকে। যেহেতু এটি মৌলিক অধিকার, সেহেতু এর সঠিক চর্চার জন্য একজন যোগ্য ও উপযুক্ত মানুষ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন সুস্থ ও সুশিক্ষিত মানুষই স্বাধীনতার যথাযথ প্রয়োগ ও এর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে পারে।
স্বাধীনতা শুধু একটি অধিকার নয়, এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতা। তাই স্বাধীনতা চর্চার পাশাপাশি দায়বদ্ধতা ও অন্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের গুরুত্বও অপরিসীম। নিজের স্বাধীনতা চর্চার ফলে যদি অন্যের অসুবিধা বা বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়, তাহলে সেখানে শৃঙ্খলাভঙ্গের পরিবেশ তৈরি হয়। স্বাধীনতা যেমন সবার কাঙ্ক্ষিত, তেমনি বিশৃঙ্খলাও সবার অপছন্দ। অনেক সময় স্বাধীনতাচর্চা করতে গিয়ে সীমালঙ্ঘনের বিষয়টি চলে আসে, তখনই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। কবি রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় তার ‘স্বাধীনতা’ কবিতায় বলেছেন- ‘স্বাধীনতা-হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়? দাসত্ব-শৃঙ্খল বল কে পরিবে পায় হে, কে পরিবে পায়?’
পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুযায়ী, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে প্রায়ই সীমা লঙ্ঘনের মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ব্যক্তি স্বাধীনতা চর্চার ক্ষেত্রে ‘সীমালঙ্ঘন’ মূলত স্বেচ্ছাচারিতা ও উচ্ছৃঙ্খলতার দিকে নির্দেশ করে। স্বাধীনতাচর্চার সময় যদি ব্যক্তি তার দায়িত্ববোধ বিস্মৃত হয় এবং নিজের কাজের মাধ্যমে অন্যের অধিকার, শান্তি বা শৃঙ্খলা ব্যাহত করে, তখন তা সীমালঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি সমাজে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে এবং সামগ্রিক শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। যেমন, ব্যক্তির স্বাধীন মত প্রকাশকে অবশ্যই স্বাগত, তবে সেই মত যদি কাউকে হেয় বা ক্ষতি করার জন্য ব্যবহৃত হয়, তবে সেটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই স্বাধীনতাচর্চার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা এবং অন্যের প্রতি সম্মান বজায় রাখা অপরিহার্য।
পরাধীনতা কারও কাম্য নয়। পরাধীনতার গ্লানি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রথমে একটি সমাজকে স্বাধীনতার মর্ম বোঝার ও স্বাধীনতা উপভোগ করার যোগ্য করে গড়ে তোলা অপরিহার্য। একজনের স্বাধীনতাচর্চা কখনোই যেন অন্যের কষ্টের কারণ না হয়, সেই বিবেকবোধটা থাকতে হবে। এর জন্য দরকার ব্যক্তিগত ও সামাজিক নৈতিকতাজ্ঞান, যা স্বাধীনতা চর্চায় ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে। সচেতন নাগরিক ছাড়া স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করা সম্ভব নয়; আর স্বাধীনতা উপভোগ করার জন্য পুরো সমাজব্যবস্থাকেই অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। মানুষের মধ্যে অধিকার সচেতনতা জাগিয়ে তোলার বিকল্প নেই। একজনের অধিকার ক্ষুণ্নের কারণে অন্যের অধিকার খর্ব করাটাও একজন স্বাধীনচেতা ও নৈতিকতাবোধসম্পন্ন মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। এজন্য প্রয়োজন নিজেকে কোনো একটা সীমার মধ্যে আবদ্ধ করা; পরিস্থিতি যেমনই হোক, সীমালঙ্ঘন করা থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে। যেহেতু স্বাধীনতা ও শৃঙ্খলা উভয়ই একটি সমাজের জন্য অপরিহার্য, তাই স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতা নীতিবহির্ভূত কাজ; যা ইচ্ছা তা করা কোনো সমাজের জন্য কাম্য হতে পারে না। সুতরাং স্বাধীনতা ভোগের জন্য সভ্য ও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
সুশিক্ষিত মানুষই সুবিবেচক হতে পারে। কেবল প্রাতিষ্ঠানিকভাবে উচ্চশিক্ষা অর্জন করলেই সুবিবেচক হওয়া যায় না। বিবেককে শানিত করার শিক্ষা ভিন্ন, বর্তমান সমাজে যার অভাব পরিলক্ষিত। তথাকথিত শিক্ষিত মানুষের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়া একটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক ও অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। যদি তাই হয়, তাহলে বুঝতে হবে, সামগ্রিক শিক্ষাকাঠামোর মধ্যেই গলদ রয়েছে। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে প্রয়োজন পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রকৃত শিক্ষার সমন্বয়। নীতি-নৈতিকতাসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থাকে শিক্ষার মূল হিসাবে বিবেচনা করতে হবে। নীতি-নৈতিকতা যেন উচ্চাকাঙ্ক্ষার কাছে পরাজিত না হয়, সেজন্য এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন জরুরি, যা সুনাগরিক ও সুশিক্ষিত মানুষ গড়তে সহায়তা করবে। একজন সুশিক্ষিত ব্যক্তি ও সচেতন নাগরিকের পক্ষে যেমন কখনো দুর্নীতিতে জড়ানো সম্ভব নয়, তেমনি তার পক্ষে বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোও সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে এটি ক্রমবর্ধমান এক সমস্যা। আমাদের দেশের এতিমখানায় খোঁজ নিলে দেখা যায় গরিব ও অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিত পরিবারের সন্তানের সংখ্যা বেশি। অন্যদিকে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা পিতা-মাতাদের মধ্যে রয়েছে তথাকথিত শিক্ষিত, প্রতিষ্ঠিত, সচ্ছল ও ধনাঢ্য সন্তানের পিতা-মাতা। এ সমাজচিত্র আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতা ও মূল্যবোধসংক্রান্ত জ্ঞানহীনতার একটি বড় ইঙ্গিত বহন করে। পবিত্র কুরআনে এ ব্যাপারে বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেমন, আল্লাহতায়ালা বলেন-‘তোমার প্রতিপালক হুকুম জারি করেছেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কারও ইবাদত কোরো না’, আর পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো। তাদের একজন বা তাদের উভয়ে যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে বিরক্তি বা অবজ্ঞাসূচক কথা বোলো না, আর তাদের ভৎর্সনা কোরো না। তাদের সঙ্গে সম্মানজনক কথা বলো। তাদের জন্য সদয়ভাবে নম্রতার বাহু প্রসারিত করে দাও আর বলো, ‘হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া করো, যেমনভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন পালন করেছেন’ (আল কুরআন-১৭: ২৩-২৪)।
দৃশ্যত, আমাদের সমাজে এ নৈতিক শিক্ষার অভাব রয়েছে। অন্যদিকে, প্রতিনিয়ত সীমালঙ্ঘনের মতো গুরুতর অপরাধ আমরা দেখতে পাচ্ছি। যেমন, একটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়ির খোঁজ না পেয়ে অন্য কোনো গাড়ি ভাঙচুর করা, চালকদের প্রহার করা, সাধারণ যাত্রীদের হয়রানি করা, জোরপূর্বক রাস্তা বন্ধ রাখা ইত্যাদি। এটি কি একজন সচেতন নাগরিকের স্বাধীনতা চর্চার মধ্যে পড়ে? এটি স্পষ্টতই সীমালঙ্ঘন। এটি দেশের আইন অবজ্ঞা করার শামিল। উপরন্তু দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ির চালক বা যাত্রীরা সাধারণ মানুষ কর্তৃক হেনস্তা হওয়ার আতঙ্কে তাৎক্ষণিক ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করা বা সহমর্মিতা দেখানোর পরিবর্তে নিজেদের আত্মারক্ষার জন্য তাড়াতাড়ি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এটি কোনো সভ্য রাষ্ট্রের সচেতন নাগরিকের কর্তব্য হতে পারে না।
সাম্প্রতিককালে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন পেশার লোকজন তাদের নানাবিধ দাবিদাওয়া নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে, আন্দোলন করছে। এটি ঠিক, জনগণ ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগতভাবে স্বাধীনতা প্রয়োগ করে নিজেদের অধিকারপ্রাপ্তির বিষয়াদি নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে; কিন্তু একজন সচেতন নাগরিক স্বাধীনতার মর্ম বুঝলে এসব আন্দোলন এমনভাবে করত, যেন সাধারণ মানুষ তাদের আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট কোনো সমস্যা বা হয়রানির শিকার না হয়। দেশের আইন ভঙ্গ করার মধ্যে কোনো কৃতিত্ব থাকতে পারে না। কোনো অন্যায় বা অপরাধ করে যদি অন্যায়কারীর মধ্যে কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা না হয়, তাহলে তার মধ্যে মূল্যবোধ ও মনুষ্যত্বের বড় অভাব রয়েছে। সেই মনুষ্যত্ব ও মানবিক গুণাবলি প্রথমে জাগ্রত করতে হবে। এ বিষয়টিও শিক্ষা, সমাজ ও সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
ছোটবেলায় একটি গল্পে পড়েছিলাম-এক ব্যক্তি তার দুই ছেলের জন্য বাজার থেকে দুটি আম এনে এক ছেলের কাছে দিয়ে বলল, একটি সে রাখবে এবং অন্য আমটি তার ভাইকে দেবে। ঘটনাটি সহজ হলেও বিপত্তি ঘটে অন্য জায়গায়। দুটি আমের মধ্যে একটি ছিল আংশিক পচা। এখন যে ছেলেকে তাদের পিতা আম বণ্টনের দায়িত্ব দিয়েছে, সে বুঝতে পারছে না কোনটা সে নেবে, কোনটা তার ভাইকে দেবে। যখন সে চিন্তা করে পচা আমটি তার ভাইকে দেবে এবং সে ভালোটি নেবে, তখনই তার মনের মধ্যে অজানা এক বাধা আসতে থাকে। সে তার ভাইকে পচা আমটি দিলে ভাইকে ঠকানো হবে। আবার নিজের জন্য পচা আমটি নিতেও মন সায় দিচ্ছে না। এ দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে থেকে একসময় সিদ্ধান্ত নিল, ভালো আমটিই তার ভাইকে দেবে। এতে তার মনের মধ্যে কোনো কষ্ট থাকবে না এবং ভাইকে ঠকানোর জন্য থাকবে না কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। সে পূর্ণ স্বাধীন মন নিয়ে কাজ করতে পারবে। নিজের মনের এ স্বাধীনতা অর্জন করতে না পারলে প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা উপভোগ করা যায় না। হাদিসে উল্লেখ আছে-‘তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটাই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে’ (মুসলিম ১/১৭ হা: ৪৫, আহমাদ ১২৮০১, ১৩৮৭৫)।
এজন্য স্বাধীনতাপ্রাপ্তি এবং তা ধরে রাখা বা উপভোগ করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। অর্জিত স্বাধীনতার সুষ্ঠু প্রয়োগের সঙ্গে মানবিক ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।
যে নিজেকে যত বেশি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, তার কাছে স্বাধীনতার স্বাদ তত বেশি হবে। তাহলে স্বাধীনতার সঠিক প্রয়োগ মানুষ কখন করতে পারবে? আর কখন মানুষ আইনকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে? মেনে চলবে শৃঙ্খলা, করবে না সীমা লঙ্ঘন? যখন প্রত্যেক মানুষের দুঃখ-কষ্ট, প্রয়োজনীয় দাবিগুলো গুরুত্বসহকারে প্রশাসন শুনবে এবং বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হলেও সমাধান করার চেষ্টা করবে, যখন ভিন্নমতের গুরুত্ব অনুধাবন করার সংস্কৃতি গড়ে উঠবে, তখনই হয়তো মানুষ আইন নিজ হাতে তুলে নেবে না; সৃষ্টি করবে না কোনো বিশৃঙ্খলা। সবাইকে ধৈর্যধারণ করতে হবে। ধৈর্যধারণের কোনো বিকল্প নেই; এর মধ্যেই সফলতা নিহিত থাকে। পবিত্র কুরআনে ধৈর্য ধারণের ব্যাপারে একাধিক উপদেশ দেওয়া হয়েছে। যেমন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন’ (আল কুরআন-০২: ১৫৩)। নিয়মতান্ত্রিকভাবে ধৈর্য ধারণ করতে পারলে ভালো ফলাফল আসবেই। সব পক্ষকেই পরস্পরের প্রতি আস্থার জায়গা সৃষ্টি করতে হবে। পারস্পরিক সমঝোতা-সংস্কৃতির বিকল্প নেই। নিজের মত বা স্বার্থের অনুকূলে না হলেও অন্যের চিন্তাভাবনা, মতামতের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে যে সমাধান হয়, তা হয় স্বল্প সময়ের জন্য, আর বোঝাপড়ার মাধ্যমে তা হয় দীর্ঘস্থায়ী। ব্যক্তিস্বাধীনতা, শৃঙ্খলা এবং সীমা লঙ্ঘনের সঠিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হলে প্রয়োজন সুশিক্ষা, নৈতিকমূল্যবোধ এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। স্বাধীনতার সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীলতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ধর্মীয় জ্ঞান ও মানবিক গুণাবলির চর্চা অপরিহার্য, যা সমাজে শৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে সহায়ক হবে। আমাদের সমাজে শৃঙ্খলাময়, বাসযোগ্য ও সহনশীল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ব্যক্তিস্বাধীনতা, শৃঙ্খলা ও সীমা লঙ্ঘনের মতো বিষয়গুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। সামাজিক ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। একটি সভ্য, নিরাপদ ও বাসযোগ্য সমাজ গঠনের জন্য নীতি-নৈতিকতার শিক্ষণ ও এর চর্চা অপরিহার্য।
মেজর জেনারেল মো. মাহবুব-উল আলম : বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা; বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উপাচার্য