Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

মিয়ানমার প্রসঙ্গ : বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

Icon

ব্রি. জে. হাসান মো. শামসুদ্দীন (অব.)

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মিয়ানমার প্রসঙ্গ : বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

আরাকান আর্মি সম্প্রতি রাখাইনে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। সামনের দিনগুলোতে কী হবে, সেটি না ভেবে বলা যায়, এটি রাখাইনের জনগণের জন্য বহু বছর ধরে প্রতীক্ষিত একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। ২৭১ কিলোমিটার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের মধ্যে মিয়ানমার অংশের পুরো এলাকা এখন আরাকান আর্মির দখলে। মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ তাদের সীমান্ত পোস্টগুলো ফেলে পালিয়ে গেছে এবং সেসব পোস্ট এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। সীমান্তের দুপাশে আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে সীমান্তরক্ষীদের থাকার কথা এবং তারা সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও এ সংক্রান্ত কার্যক্রমে অভিজ্ঞ। সীমান্ত দিয়ে মাদক, অস্ত্র, চোরাকারবার ও মানব পাচার বন্ধে সীমান্তরক্ষীরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং তারা আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। আরাকান আর্মির সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এ অরক্ষিত সীমান্ত বাংলাদেশের নিরাপত্তায় চাপ ফেলছে। বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবি সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্তসংক্রান্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আরাকান আর্মিকে অবহিত করতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিজিবি ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের সরবরাহ পথগুলো অবরোধ করে রাখার কারণে মিয়ানমারের বাকি অংশ থেকে রাখাইন রাজ্য সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। এর ফলে রাখাইনের জনগণ সরবরাহসংক্রান্ত সমস্যায় রয়েছে। বর্তমানে ভারত থেকে চীন রাজ্যের পালেতোয়া হয়ে রাখাইনে ওষুধ ও জ্বালানি আসছে। পালেতোয়া আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকায় কিছুদিন আগে চীন ন্যাশনাল আর্মি এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। সে সময় ভারতে তাদের সমর্থকগোষ্ঠী ‘সেন্ট্রাল ইয়াং লাই অ্যাসোসিয়েশন’ চীন হয়ে রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্য ও প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেয়; পরে উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর আবারও তা চালু করা হয়। রাখাইন রাজ্যের জনগণের কাছে ওষুধ এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এ পথেই আসে। বাংলাদেশ থেকেও কিছু কিছু সামগ্রী এখন রাখাইনে যাচ্ছে। বর্তমানে রাখাইনের সঙ্গে প্রচলিত নিয়মে বাণিজ্য পরিচালনা সম্ভব না হলেও, বিকল্প উপায় বের করে বাণিজ্য চালিয়ে যেতে হবে। দুদেশের ব্যবসায়ীদের এজন্য উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মিয়ানমারের সঙ্গে এ ধরনের পরিস্থিতিতে চীন, ভারত, থাইল্যান্ড তাদের বাণিজ্য চলমান রাখে ও সেখান থেকে লাভবান হয়। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরাও এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যিক সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে। মনে রাখতে হবে, যে কোনো সংকটে নানা ধরনের সুযোগও তৈরি হয়, সেগুলোকে দ্রুত কাজে লাগিয়ে সমস্যাকে সম্ভাবনায় পরিণত করতে হবে।

চলমান পরিস্থিতিতে রাখাইনের যে কোনো সমস্যা মোকাবিলায় কূটনৈতিকভাবে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি আরাকান আর্মির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতে হবে। স্বাভাবিক নিয়মে এটি সম্ভব না হলে ‘ট্র্যাক-১.৫’ ও ‘ট্র্যাক ২’ ডিপ্লোমেসির মাধ্যমে এ কাজ চালিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জ, তবে চীন, থাইল্যান্ড ও ভারত মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়, বাংলাদেশ এ দেশগুলোর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজস্ব সমস্যা সমাধান করতে পারে। অনেক সুযোগ থাকার পরও বাংলাদেশ মিয়ানমারের রাজনৈতিক দল, জনগণ ও সুশীল সমাজের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন ও উন্নয়ন চলমান রাখতে পারেনি। এখন সময় এসেছে, এ সম্পর্কোন্নয়নে এগিয়ে আসার। দুদেশের জনগণের সঙ্গে সামনের দিনগুলোতে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা একটি চ্যালেঞ্জ; আমাদের এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ অঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সামনের দিনগুলোতে আরাকানে তাদের উপস্থিতি ও অবস্থানকে মিয়ানমারে যে সরকারই আসুক, তাদের তা মেনে নিতেই হবে। ইউনাইটেড লীগ অব আরাকানকে বাদ দিয়ে সেখানে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হবে না। মিয়ানমারে দুই প্রতিবেশী চীন ও ভারত এ বাস্তবতা বুঝতে পেরেছে এবং তারা আরাকান আর্মির সঙ্গে রাখাইনে তাদের অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ নিশ্চিত করার জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হলে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মিলে রোহিঙ্গাদেরও রাখাইন ও মিয়ানমারের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে ও সম্পর্কোন্নয়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এর আগে এনইউজি রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরেছিল। এর ধারাবাহিকতা ও পরবর্তীকালে এর কার্যক্রম এবং এনইউজির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের যোগাযোগের বিশদ কোনো তথ্য নেই। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসাবে মেনে না নেওয়ায় মিয়ানমার সরকারের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে মা বা থা ভিক্ষুরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে যে ঘৃণা ছড়িয়ে ছিল, তার বিপরীতে রোহিঙ্গা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সরব হতে দেখা যায়নি।

মংডু দখলের সময় আরাকান আর্মি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরিন তুনসহ মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের কিছু রোহিঙ্গাকেও গ্রেফতার করে। রাখাইন রাজ্যের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থুরিন উত্তর রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সরকারের পক্ষে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্বে ছিল। এ সেনা কর্মকর্তা উত্তর রাখাইনের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলে রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতিকে জটিল করে এ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর পরিকল্পনা করে। এর অংশ হিসাবে মংডুতে রোহিঙ্গাদের প্ররোচনা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহ করে, ভয় দেখিয়ে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এবং পরবর্তীকালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অংশ নিতে বাধ্য করে। গ্রেফতার হওয়ার পর মিথ্যা সংবাদ ছড়িয়ে জাতিগত বিদ্বেষ উসকে দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। কিছু রোহিঙ্গা সামরিক জান্তার হয়ে আরাকান আর্মির বিপক্ষে যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছে, আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গাদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। সামনের দিনগুলোতে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসংক্রান্ত আলোচনার সময় ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সংকট সমাধানে এসব তথ্য যৌক্তিকতাসহ সবপক্ষের কাছে তুলে ধরতে হবে।

রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে বিচারকার্য এগিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক আদালতের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে পরিদর্শনে এসে সরেজমিন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। রোহিঙ্গারা যে নির্যাতিত, তা প্রমাণিত এবং গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। রাখাইনে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো হচ্ছে এবং তা বেশ পরিকল্পিতভাবে আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও অন্যান্য জায়গায় প্রচার করা হচ্ছে। এর বিপরীতে বাস্তব প্রেক্ষাপট সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা বা বিদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা নেতারা তথ্য ও উপাত্তগুলো জোরালোভাবে তুলে ধরতে পারছে না। আন্তর্জাতিক মহলে আরাকান আর্মির বক্তব্যগুলো সরব এবং বহির্বিশ্বে সবাই তাই বিশ্বাস করছে। রোহিঙ্গাদের স্বার্থ নিশ্চিত করার কাজে এ দুর্বলতা রয়েছে এবং এ দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতেই হবে।

অনেকের মতে, রাখাইনকে রোহিঙ্গাশূন্য করতে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী একত্রে কাজ করছে। আরাকান আর্মি এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় বলে জানা গেছে। তবে রাখাইন তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর তারা রাখাইন ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সম্প্রীতি বাড়ানোর জন্য কোনো উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা যায়নি এবং এ ব্যাপারে তাদের মনোভাব এখনো জানায়নি। তবে রোহিঙ্গারা তাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে মিলে যুদ্ধ করছে বলে বেশ জোরালোভাবে তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করেছে। এ সমস্যার সমাধানে এখন আরাকান আর্মিকে উদ্যোগ নিতে হবে এবং তাদের সদিচ্ছা থাকলে রাখাইনে রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব। চলমান পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আরাকান আর্মির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চালাতে পারে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবেও এসব আলোচনার সুযোগ রয়েছে।

রাখাইনে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার এ সন্ধিক্ষণে সামরিক পদক্ষেপের বদলে রাজনৈতিক উপায়ে রাখাইন রাজ্যের চলমান সংঘাত নিরসনে আরাকান আর্মি প্রস্তুত বলে জানায়। রাখাইনে প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ধ্বংসাত্মক অভিযান বন্ধ হবে কিনা, তা নির্ভর করছে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। আরাকান আর্মি জানায়, তারা রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিক সমাধানে আগ্রহী এবং এ নীতি মেনে তারা আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে রাখাইনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না জটিল হবে, তা নির্ভর করছে মিয়ানমার সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানান। বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবির জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। কিছু অসাধু দালালের সহায়তায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে এসেছে এবং তাদের নিবন্ধন এখনো হয়নি। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সামনের দিনগুলোতে কার্যকর উদ্যোগ নেবে বলে আশা করা যায়।

মিয়ানমারে চলমান সংকট নিয়ে ডিসেম্বরে ব্যাংককে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, লাওস, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড-এ ছয় দেশ বৈঠক করেছে। এ বৈঠকে মিয়ানমারের স্থিতিশীলতা, ভবিষ্যৎ রাজনীতি বা সীমান্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ ছাড়া কোনো দেশই রোহিঙ্গা নিয়ে কোনো আলোচনা করেনি; যা বাংলাদেশকে বিস্মিত করেছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারের সংকটের স্থায়ী সমাধান আসবে না বলে জানায় বাংলাদেশ। এখানে উল্লেখ্য, মিয়ানমারবিষয়ক আলোচনায় প্রতিবেশী ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসাবে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করছে এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের মতো সমস্যা তুলে ধরতে পারছে; যা এ সমস্যা সমাধানে একটি বিশেষ অগ্রগতি। বাংলাদেশের সমস্যা বাংলাদেশকেই উপস্থাপন করতে হবে, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। এ সংকট সমাধানে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাবিষয়ক একজন উপদেষ্টা নিয়োগ করেছে, যা প্রশংসনীয়। বাস্তবতার নিরিখে এ সংকট সমাধানে নিয়োগপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও তার সহযোগীরা মিলে সামনের দিনগুলোতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা রাখবেন, এটাই আশা করা যায়।

ব্রি. জে. হাসান মো. শামসুদ্দীন (অব.) : মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম