Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

বিদ্যমান রাষ্ট্রসেবা দিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ কতটা সম্ভব?

Icon

আবু তাহের খান

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিদ্যমান রাষ্ট্রসেবা দিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ কতটা সম্ভব?

গত অক্টোবরে প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘বিজনেস রেডি’ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখন চতুর্থ সারিতে। ১০টি সূচকের সমন্বয়ে নম্বরের ভিত্তিতে গঠিত এ অবস্থান-প্রতিবেদনে সরকারি সেবা প্রদানসংক্রান্ত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে মাত্র ২৯ দশমিক ৫২, যা বাংলাদেশের প্রচলিত নম্বর বণ্টন প্রক্রিয়ায় ফেল নম্বর।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সম্পদের ব্যাপক ঘাটতি ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও অন্য অনেক জরুরি প্রয়োজনকে উপেক্ষা করে জাতীয় বাজেটে জনপ্রশাসন খাতের বরাদ্দ যেখানে অনেকটাই গুণিতক হারে বাড়ছে, সেখানে আন্তর্জাতিক ব্যবসা পরিচালনায় সেবা সহায়তা জোগানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনপ্রশাসন এতটা পিছিয়ে কেন?

উল্লেখ্য, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটে জনপ্রশাসন খাতের জন্য প্রদত্ত বরাদ্দের পরিমাণ মোট বরাদ্দের প্রায় ৪৩ শতাংশ এবং এ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির হার বিগত ১৫ বছর ধরে এতটাই বেড়েছে, এটিকে শুধু অস্বাভাবিক বললে এর অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যের খুব সামান্যই প্রকাশ পায়। বস্তুত দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে নিশ্চিত করার জন্যই তাদের (জনপ্রশাসনের) পেছনে লাগামহীন গতিতে এ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

উদ্দেশ্য যাই থাকুক, জনগণের কষ্টার্জিত করের পয়সা থেকে এ ধরনের উচ্চ বরাদ্দ যখন দেওয়া হচ্ছে, তখন এর বিনিময়ে জনগণকে ন্যূনতম যৌক্তিক মান ও পরিসরের সেবাটুকুও তো দেওয়া উচিত। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ন্যূনতম যৌক্তিক মান ও পরিমাণ রক্ষা করা তো দূরের কথা, এ কাজে ন্যূনতম পাশ নম্বরটুকুও কেন জুটছে না, তা একটি গুরুতর প্রশ্ন বৈকি! বিষয়টি শুধু হতাশাব্যঞ্জকই নয়, একই সঙ্গে জনগণের কাছে জবাবদিহি করার ব্যাপারে এক ধরনের দায়বোধবিহীন ঔদ্ধত্যও বটে।নইলে বাজেটে ৪৩ শতাংশ বরাদ্দ নিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চতুর্থ স্তরের সেবা প্রদান কোন যুক্তিতে মেনে নেওয়া যায়?

বলা হয়, কাক নাকি কাকের মাংস খায় না। কিন্তু আমলাতন্ত্রের সদস্যদের কেউ কেউ যে এখন নিজ গোত্রের সদস্যদের পোস্টিং দেওয়ার মতো সেবা দিতে গিয়ে নিজেরাই মোটা অঙ্কের অর্থ নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তাতে তো উল্লিখিত বাগ্ধারা মিথ্যা বলেই প্রমাণিত হচ্ছে। নিজ গোত্রের সদস্যদের সেবা দিতে গিয়ে যারা এমন বেহাল কাণ্ড ঘটাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনাসংক্রান্ত সেবা দিতে গিয়ে তারা চতুর্থ স্তরে নামবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এতে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, বৈদেশিক বিনিয়োগ ইত্যাদির মতো বিষয়গুলোতে বাংলাদেশ যে ক্রমশই পিছিয়ে পড়ছে, সেটি কি তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র কোনো প্রতিক্রিয়া বা অনুশোচনা তৈরি করতে পারছে?

বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য কিছুদিন পরপরই বিভিন্ন স্তর ও পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদল দুষ্প্রাপ্য বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করে এ দেশ-ওদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন চটকদার নাম ব্যবহার করে বিদেশে ব্যয়বহুল বিনিয়োগ মেলার আয়োজন করছে। এছাড়া মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে বিদেশি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিচ্ছে এবং এ ধরনের আরও নানা আয়োজন করছে, যেগুলোর সঙ্গে বিরাট পরিসরের অর্থব্যয় জড়িত। আর এসবের ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগের নিবন্ধন হয়তো কিছুটা বাড়ছে; কিন্তু নিবন্ধন তো আর প্রকৃত বিনিয়োগ নয়। তা সত্ত্বেও চাটুকারিতায় অভ্যস্ত আমলাতন্ত্রের চতুর সদস্যরা সেটাকেই বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসাবে দেখিয়ে বরাবর বাহবা নেওয়ার চেষ্টা করেন।

অতীতে রাজনীতিকরা বুঝে বা না বুঝে তাতেই খুশিতে বিগলিত হয়ে জনসমক্ষে উন্নয়নের বয়ান প্রচার করেছেন। এসবকে ঘিরে রাষ্ট্রীয় সেবার মান বিশ্বব্যাংকের ‘বিজনেস রেডি’ প্রতিবেদনের বিশ্লেষণমতে এখনো চতুর্থ স্তরে রয়ে গেছে এবং শিগ্গিরই এ ক্ষেত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হবে বলেও আশা করা যায় না। অথচ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে অহর্নিশ প্রচার করা হচ্ছে, বাংলাদেশ হচ্ছে বৈদেশিক বিনিয়োগের স্বর্গভূমি। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি কী?

বৈদেশিক বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করার জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের চেয়েও বেশি জরুরি হচ্ছে ঘোষিত সুযোগ-সুবিধাদিই যথাসময়ে ও বিনা হয়রানিতে পাওয়া যাচ্ছে কি না, সেটি নিশ্চিত করা। কিন্তু বাংলাদেশের আমলাতন্ত্রের সদস্যরা বিনিয়োগসংশ্লিষ্ট সেবা-সুবিধদানের বিষয়টিকে এমনই জটিল করে রেখেছেন, বিদেশি কেউ এ দেশে এসে সেসবকে অতিক্রম করে স্বচ্ছন্দে বিনিয়োগ করবেন এমনটি প্রায় ভাবাই যায় না। বিনিয়োগ নিবন্ধন থেকে শুরু করে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করা, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে জয়েন্ট স্টক কোম্পানির কাছ থেকে নিবন্ধন গ্রহণ, জমি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদির বরাদ্দ ও বাস্তব সরবরাহ পাওয়া; যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল আমদানি ও পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বন্দর ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের হয়রানি মোকাবিলা করা, মুনাফা প্রত্যাবাসনসংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা পূরণ ইত্যাদি সম্পন্ন করা বেশ জটিল। বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য যেসব দেশে এসব সমস্যা যত কম, বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের ভিড়ও সেখানে তত বেশি। বাংলাদেশের অর্থ পাচারকারীরা যে ব্যাপক হারে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে (ইউএই) তাদের পাচারকৃত অর্থ বিনিয়োগের আকর্ষণীয় ক্ষেত্র হিসাবে বেছে নিচ্ছে, এরও প্রধান কারণ সেখানে উল্লিখিত জটিলতা কম।

রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও প্রায় একই পরিস্থিতি বিরাজমান। বাংলাদেশের বেশির ভাগ রপ্তানিকারকই নিজ দেশের আমলাতন্ত্রের সেবা জটিলতার কারণে বিদেশি ক্রেতার ক্রয়াদেশে উল্লিখিত শর্তাদি যথাযথভাবে পূরণ করে সময়মতো মালামাল সরবরাহ করতে পারেন না। ফলে মূল্য ও মান বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি যথেষ্ট লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও বহু বিদেশি ক্রেতা এ দেশ থেকে পণ্য আমদানির ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। অন্যদিকে সেই একই কারণে বাংলাদেশও তার ব্যাপক রপ্তানি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও রপ্তানির এ পরিমাণকে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে পারছে না। ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য আজ বহুদিন ধরেই একটি নির্দিষ্ট ধারার প্রবৃদ্ধি বলয়ের মধ্যে আটকে আছে-কিছুতেই সেখান থেকে বেরোতে পারছে না। এটি যে শুধু তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রেই ঘটছে তা নয়-অন্যান্য পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটছে। অথচ আমলাতন্ত্রের জটিলতায় ও হয়রানিপূর্ণ চরিত্র পরিহার করতে পারলে শিগ্গিরই বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা সম্ভব বলে মনে করি। রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আমরা পশ্চিমের দেশগুলোতে নিরন্তর জিএসপি সুবিধা খুঁজছি, ডব্লিউটিও’র আওতায় বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা (ক্যাটাগরি) অনুসন্ধান করছি এবং অনুরূপ সুবিধা লাভের জন্য নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সেসবের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের পক্ষে যতটুকু লাভবান হওয়া সম্ভব, তার চেয়ে অনেক বেশি লাভের অঙ্ক বাংলাদেশের খাতায় যুক্ত হতে পারে শুধু অভ্যন্তরীণ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করার মাধ্যমে অর্থাৎ সরকারি সেবার মান বৃদ্ধি করে।

বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অত্যধিক হারে বেড়ে যাওয়ার পেছনে সিন্ডিকেটের কারসাজি থাকার বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরেই কথা হচ্ছে। বিগত সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা এসব সিন্ডিকেটের বাস্তব উপস্থিতি ও দাপট এখন এতটাই প্রচণ্ড, কখনো কখনো এদের কেউ কেউ বেপরোয়া আচরণ করতেও দ্বিধাবোধ করছে না। বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি আবার এটাও সত্য, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে পণ্য আমদানিসংশ্লিষ্ট সরকারি সেবা কার্যক্রমের মানও (জটিলতা, হয়রানি, সময়ক্ষেপণ ইত্যাদি) বহুলাংশে দায়ী। সরকারি সেবার মান যদি উন্নত হতো, তাহলে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য স্বয়ংক্রিয়ভাবেই অনেকখানি কমে আসত। ফলে বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ যেমন জরুরি, তেমনই সমান জরুরি সরকারি সেবার মান বৃদ্ধি করাও। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মতোই সরকারি দপ্তরভিত্তিক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের কাজটিও সমান জরুরি এবং এ গুরুত্বপূর্ণ কাজটি কেবল অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষেই সম্ভব। বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বলে, রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় এলে সেই চক্র আবারও সক্রিয় ওঠার আশঙ্কাই প্রবল।

সবমিলিয়ে বিষয়টি দাঁড়াচ্ছে, বাংলাদেশে বিরাজমান সরকারি সেবার নিুমানের কারণে দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথা বৈদেশিক বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি, আন্তঃরাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার সুবিধা ইত্যাদি যেমন প্রচণ্ডভাবে ব্যাহত হচ্ছে, তেমনই জটিলতা, হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার মুখে পড়ছে রাষ্ট্রীয় সেবাপ্রাপ্তির বিষয়টিও। কিন্তু কথা হচ্ছে, দেশের অধিকাংশ মানুষকে ঠকিয়ে ও শোষণ করে বিশাল সুযোগ-সুবিধাভোগকারী বাংলাদেশের আমলাতন্ত্রের সদস্যরা কি এতসব সুবিধার বিনিময়ে হলেও জনগণের তথা সেবাগ্রহীতাদের স্বার্থগুলোকে আরেকটু সহানুভূতির সঙ্গে দেখতে পারেন না? যদিও এগুলো মোটেও সহানুভূতির সঙ্গে দেখার কোনো বিষয় নয়। বরং জনগণ যাতে তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী এসব সেবা সহজ ও সাবলীলভাবে এবং জটিলতাহীন ও হয়রানিমুক্ত পরিবেশে পেতে পারে, সেটি নিশ্চিত করার জন্যই রাষ্ট্র কর্তৃক বেতনভুক কর্মচারী হিসাবে তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, জনগণের অর্থে নিয়োজিত এ কর্মচারীরা জনগণের সেবক হতে পেরেছেন কি?

এমনি পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কিংবা অন্য যে কোনো কাজের জন্যই হোক, সরকারি সেবাদান ব্যবস্থাকে যত দ্রুত সম্ভব জনস্বার্থের অনুগামী করে ঢেলে সাজানো প্রয়োজন। আর তেমনটি করা হলেই কেবল ‘বিজনেস রেডি’র মতো প্রতিবেদনের মূল্যায়নে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ সারি থেকে উন্নীত হয়ে সহসাই প্রথম না হোক, অন্তত দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারিতে ওঠে আসতে পারবে বলে আশা করা যায়। কিন্তু সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী এটাও ধারণা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে, রাজনৈতিক সরকারের আমলে কাজটি করা কঠিন হবে কিংবা তা আদৌ নাও হতে পারে। অতএব প্রস্তাব করব, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আর্থিক খাতের আওতায় যেসব সংস্কারধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বা করতে যাচ্ছে, এর মধ্যে সরকারি সেবার মানোন্নয়নের বিষয়টিও যেন গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত থাকে। আর সেসব সংস্কার কর্মসূচির এ কাজটি যদি কিয়দংশেও করা সম্ভব হয়, তাহলে তা শিল্প খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা আনয়ন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং অন্যান্য আর্থিক ও সামাজিক খাতে গতিশীলতা বৃদ্ধিতে ব্যাপকভাবে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।

আবু তাহের খান : সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক)

atkhan56@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম