Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

শিক্ষা সমাজ দেশ

আসুন কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ি

Icon

ড. হাসনান আহমেদ

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আসুন কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ি

আমি রাজনীতিক নই, রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্রও নই; রাজনীতিকদের ভাবনা-চিন্তা ও কার্যকলাপ দেখার জন্যই সম্ভবত এদেশে জন্মেছিলাম, তা করে যাচ্ছি। মনে প্রশ্ন জাগে, রাজনীতির উদ্দেশ্য কী? আমার ধারণা জনসেবা, জনকল্যাণ ও কল্যাণ রাষ্ট্র গড়াই রাজনীতির উদ্দেশ্য। আমরা কি জনকল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতি করছি? খোলা চোখেই দেখতে পারি। জনকল্যাণ কথাটা বক্তব্যের আগে একবার, পরে একবার ধুয়োজারির মতো বলি। বাস্তবে আমরা জনকল্যাণ থেকে অনেক দূরে; নিজ কল্যাণ ও দল-কল্যাণ করি। নিজের বিবেককে জিজ্ঞেস করে দেখি, যত সরকার এ পর্যন্ত দেশ চালিয়েছে, কোন কোন সরকার জনকল্যাণের উদ্দেশ্য নিয়ে জনগোষ্ঠীকে সুশিক্ষিত ও দেশ গড়ার জন্য রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে? সর্বোচ্চ দু-একটা পাওয়া যেতে পারে। আবার রাজনীতিকদের উদ্দেশ্যের কথা বললে আগেই প্রশ্ন আসবে-জাহেরি উদ্দেশ্য, না বাতেনি উদ্দেশ্য? এদেশের এটাই তো সমস্যা। চুন খেয়ে যাদের গাল পুড়েছে, দই দেখলেও তারা নাকি ভয় পায়। অধিকাংশ রাজনীতিকের মুখে এক, অন্তরে আরেক। গদি আঁকড়ে ধরার ও জনগণের সম্পদ নিজের করে নেওয়ার জন্য কত যে সীমাহীন চেষ্টা, ক্ষমতায় না যাওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই বোঝা যায় না। আমি কিন্তু পরচর্চা করছি না, বাস্তবতা তুলে ধরছি। কারও কারও মতে, চব্বিশের আগস্টে আমরা ছাত্র-জনতা ও বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের সহস্রাধিক জীবনের বিনিময়ে বুক থেকে জগদ্দল পাথর নামিয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমার ভয় হয়, আমরা যেহেতু আত্মবিস্মৃত রাজনীতির দিশারি, অল্পদিনেই তা ভুলে না যায়! এখনকার করণীয় বিষয় নিয়েই এ লেখা।

আমরা সুশিক্ষিত মানুষ ও কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার মজবুত ভিত যদি এবারও বিনির্মাণ করতে না পারি, নিঃসন্দেহে আবারও জনদুর্ভোগ ও দেশলুট অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে থাকবে। কারণ সাধারণ মানুষ দুর্বিষহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য অনেক জীবনের বিনিময়ে আবার আশায় বুক বেঁধেছে। পার্থক্য হলো, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর যতসংখ্যক দুর্নীতিবাজ রাজনৈতিক নেতাকর্মী এদেশে জন্মেছিল, তার চেয়ে দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মী চৌষট্টি গুণ বেড়েছে; অধিকাংশ দলের বিপুলসংখ্যক লোক জনআপদে পরিণত হয়েছে। এছাড়া দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও সুবিধাবাদী ব্যবসায়ী বেড়েছে ব্যাপকহারে। যাদের অন্তরে কোনো দেশপ্রেম নেই, সততা ও মনুষ্যত্ব নেই, তারা দেশ ও জনসেবা করবে কীভাবে? মূলত শূন্যে ভর করে দালানকোঠা তৈরি করা যায় না; অথচ আমরা বারবার তা করার চেষ্টা করি। আমরা মানবসম্পদ শব্দটা বলি, কিন্তু বুঝে বলি না। শুনি, ন্যাড়া নাকি একবারই বেলতলায় যায়; আমরা বারবার বেলতলায় যাই। এবারও কি তাই হবে? রাজনীতিকদের মাথায় দেশের গন্তব্য নিয়ে যে উদ্দেশ্য, সেটাকে একটু উঁচুতে নিয়ে ‘রি-সেট’ করা যায় না? তাদের উদ্দেশ্য ও দূরদর্শিতার ব্যাপ্তি প্রকাশ্যে জানাতে হবে। এদেশের দুর্নীতিবাজ-লুটেরাদের মূলোচ্ছেদ করা কি এতই কঠিন? শুধু দলগুলোর সদিচ্ছা প্রয়োজন।

দল-মত নির্বিশেষে (পরাজিত শক্তি বাদে) দেশের নব্বই শতাংশ নেতাকর্মী মতলব ও দুর্নীতিবাজ বলে আমার অনুমান। আলাদা মতলব নিয়ে তারা রাজনীতিতে ঢোকে এবং মতলব হাসিলের জন্য তারা রাজনীতি করে। কুড়ি গণ্ডা দলের মধ্যেই তো তারা আছে। মুখে যত কথাই বলুন, তারা এ ধরনের অশিক্ষিত-দুর্নীতিবাজ লোক নিয়ে ভবিষ্যতে রাজনীতি করে কীভাবে জনকল্যাণ করবেন ও কল্যাণ রাষ্ট্র গড়বেন? আমার মাথায় আসে না। আসলে আমড়া গাছ থেকে কি সুমিষ্ট ফল পাওয়া যায়? তবুও আমরা সাধারণ মানুষকে প্রবোধ দেওয়ার জন্য তা-ই দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি। উচিত কথা যে-ই বলবে, সে-ই খারাপ। এদেশ থেকে আত্মজিজ্ঞাসা উঠে গেছে। আমি নিশ্চিত, রাজনীতি যতদিন সুশিক্ষিত মানুষের বিচরণক্ষেত্র না হবে, সাধারণ মানুষ ও দেশ ততদিন সেবাবঞ্চিত হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষিত সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের প্রত্যাশা অরণ্যে রোদন হতে বাধ্য। সেজন্যই সংস্কার শুধু খাতা-কলমে ও বইতে থাকলে চলবে না, দেশ পরিচালকদের মগজের সংস্কার করতে হবে।

রাজনীতিতে শুধু দশ-বিশজন নেতা সৎ ও যোগ্য হলেই চলবে না, তাদের মতলব ও দুর্নীতিবাজ লাখো নেতাকর্মী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যবসায়ীদের খোলনলচে বদল করার মতো সৎসাহস ও মানসিকতা থাকতে হবে। বর্তমান সংস্কারের মৌসুমে আগে ‘মহান’ ও ‘চিরমহান’ রাজনীতিকদের অন্যায় কাজের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে। কথাটা তো বারবার লিখছি ও বিভিন্ন ফোরামে বলছি, পজিটিভ সাড়া পাচ্ছি কই? হাজার হাজার প্রাণের ও সহস্রাধিক জীবন্মৃত ছাত্র-জনতার ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়কে কোনোভাবেই ঠুঁটো জগন্নাথ ও ‘ভুলে যাওয়া বিপ্লব’ বানাতে দেওয়া যাবে না। যে কোনো মূল্যে জনসাধারণের ও দেশের মুক্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে। ‘কুঁতে মরবে হাঁস আর ডিম খাবে দারোগা বাবু’, তা কী করে হয়? রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করছে জানি; কিন্তু এবার প্রত্যেক দলের দুর্নীতিবাজ, লাঠিয়ালবাজ, ভাঁওতাবাজ নেতাকর্মীরা দল থেকে বহিষ্কৃত হোক, তা দেখতে চাই। রাজনীতিতে টাকার খেলা ও চড়া দামে বিভিন্ন পদ বিক্রি বন্ধ করতে হবে। এর ফলে সুশিক্ষিত লোক রাজনীতিতে আসবেন। দেশ গড়ার জন্য প্রকৃত সহযোগিতা করবেন। রাজনীতি করবেন, আবার রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য ও নীতি জলাঞ্জলি দেবেন, তা কীভাবে হয়?

আমি বিভিন্ন সংস্কার কমিটিকে অনুরোধ করব আধা-খেঁচড়া সংস্কার না করতে। প্রয়োজনে সংস্কার গণভোটের মাধ্যমে অনুমোদন করিয়ে নিন। সংস্কার যেহেতু একটা চলমান প্রক্রিয়া, একবারে সব শেষ করা যাবে না। অন্তত সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠী ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের মজবুত একটা ভিত তৈরি হোক। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চালু করা মানেই সুশিক্ষিত সমাজ ও কল্যাণ রাষ্ট্র গড়া নয়-উন্নয়নের পূর্বশর্ত মাত্র। এর আগেও অন্তত তিনবার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হয়েছিল, আমরা কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তে পরিণামে ব্যর্থ হইনি কি? বারবার ‘সুপ্রিম কাউন্সিল’ গঠনের কথা বিভিন্ন পত্রিকায় লিখছি ও বিভিন্ন ফোরামে বলছি, কোনো রাজনৈতিক দল তো সমর্থন করছে না? রাজনৈতিক কার্যকলাপ, সরকারের বিভিন্ন বিভাগ, সরকার ও রাষ্ট্রের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনার জন্য এবং রাষ্ট্রের পুরো ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এটা জরুরি। সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এটা গঠন করতেই হবে। সমাজের পরতে পরতে সীমাহীন ঘুস-দুর্নীতি, মিথ্যাচার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে গেছে। সরকার ও সমাজের প্রতিটি কাজে আধুনিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সমাজের প্রত্যেক মানুষকে সুশিক্ষিত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির সঙ্গে তাল রেখে উভয়ের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করতে হবে। সামাজিক শিক্ষা ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার উন্নয়ন একই সুতার বন্ধনে বেঁধে ফেলতে হবে। এরও পথ ও পদ্ধতি আছে। এ বিশ্বে যত সমস্যা আছে, তার সমাধানও আছে। আমরা গুরুত্ব দেই না বা সমাধানের চেষ্টা করি না। একজোট হয়ে কাজ করি না, শুধু নিজেদের মধ্যে পচা কাদা ছোড়াছুড়ি করে ক্লান্ত হয়ে পড়ি, উদ্দেশ্যচ্যুত হই এবং প্রতিপক্ষকে আবার উপযুক্ত সুযোগ তৈরি করে দিই। সবই আমাদের অনুবিদ্ধ স্বভাব। বহিঃশক্তির আগ্রাসন ঠেকাতে সব দল ঐক্যবদ্ধ হতে চায়; দুর্নীতিবাজ ও জনসম্পদ লুটেরাদের দল থেকে বহিষ্কার করার ঘোষণা দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হই না কেন? সুশিক্ষিত-সৎ লোকদের রাজনীতিতে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই না কেন? যারা আন্দোলনে জেল-জুলুম ভোগ করেছে, দলে তাদের অগ্রাধিকার থাকাটা বাঞ্ছনীয়। তবে তাদের দুর্নীতি ও অন্যায় কাজ থেকে তো নিষ্ক্রিয় করা যায়। তা তো আমরা করি না।

সুশিক্ষিত বলতে আমি জীবনমুখী শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা ও মানবতাবোধ সঞ্চারক শিক্ষার সম্মিলন বোঝাতে চাচ্ছি। মানবতাবোধ সঞ্চারক শিক্ষা বলতে দেশীয় মূল্যবোধ, সততা, ন্যায়নিষ্ঠা, জাগ্রত বিবেকবোধ, দেশপ্রেম ইত্যাদি মনুষ্যত্বসংবলিত শিক্ষাকে বোঝাচ্ছি। কল্যাণকামী রাষ্ট্র গড়তে আসুন আমরা প্রত্যেক মানুষের মধ্যে সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন মাত্রায় এসব শিক্ষার সন্নিবেশ ঘটাই। প্রথমেই সুশিক্ষিত মানুষ ও সমাজ গড়ি। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত, নীতিবান ও দূরদর্শী রাষ্ট্রচালকদের গড়ি। মনমানসিকতার উন্নতি করি। প্রথমেই সবাই মিলে কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার একটা টার্গেট নির্ধারণ করি। লক্ষ্যে পৌঁছতে দীর্ঘমেয়াদি টার্গেটকে সাব-টার্গেটে ভাগ করি। প্রতিটি পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা মজবুত করি। একটা কাজও কঠিন কিছু নয়। তার আগে দেশকে লুটেরা বাহিনীমুক্ত করা অপরিহার্য। এ কাজগুলো না করে যে যতই ফাঁকা বুলি আওড়াক না কেন, এদেশের শিক্ষিত ও সচেতন সমাজ দেশগড়ার আপ্তবাক্য আদৌ বিশ্বাস করবে না; কাজের কাজও হবে না।

অন্তর্বর্তী সরকারকে বলি, দেশের পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে; এখনো যে কোনো সেক্টরে দুর্নীতি হচ্ছে না-এটি হলফ করে বলা যাবে না; খতিয়ে দেখুন। একমাত্র কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং নতুন করে মানুষ গড়া ছাড়া নিস্তার পাওয়া দুঃসাধ্য। কোনো রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় এসে তাদের চাটার দল ও তোষামোদকারীদের স্বার্থে দুর্নীতিমুক্ত দেশের ডাক দেবে না। সেটা মাথায় রেখে বর্তমান সরকারকে এখনই কাজ করতে হবে। বাজারে দ্রব্যমূলে আগুন কেন? বাণিজ্য উপদেষ্টা প্রকাশ্যে যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিন।

শ্রদ্ধেয় প্রফেসর ড. ইউনূসকে বলব, ‘এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার’। এবারই দেশের উন্নয়ন ও টিকে থাকা, নইলে বিলীন হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা। উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যে কোনো দুর্নীতিবাজ, মতলববাজ আছে কিনা, চিরুনি দিয়ে বেছে পরিশুদ্ধ করুন। অকর্মা লোকও থাকতে পারেন, বিদায় করুন। প্রয়োজনে কিছু নতুন নিয়োগ দিন। সংস্কার প্রক্রিয়া পুরোদমে চলুক। সঙ্গে প্রতি সপ্তাহে অবশিষ্ট উপদেষ্টাদের মনমতো করে নিজে কল্যাণ রাষ্ট্রের প্রশিক্ষণ দিতে থাকুন। পতিত সরকারের প্রত্যেক দুর্নীতিবাজ, অপরাধী ব্যক্তি ও তাদের সহযোগীদের আগে উপযুক্ত বিচার করতে হবে; তারপর তাদের রাজনীতি করার অধিকার আছে কী নেই, বিবেচনা করা যাবে। আমি অনেক বড় বড় অপরাধীর নামে ঠুনকো কেস দিয়ে রাখার কথা শুনছি। প্রতিটি কেস একাধিক আইনজীবী দিয়ে এখনই পরীক্ষা করানো ও করণীয় ঠিক করা হোক। অপরাধীদের গ্রেফতার অনেকটা মন্থর হয়ে এসেছে। সরকারি অফিস থেকে দুর্নীতিবাজদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করুন। মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পচে গেলে আমরা অসহায় হয়ে পড়ি। পুরো সমুদ্রভরা পানি, কিন্তু এক ফোঁটাও খাবার যোগ্য নয়। পরীক্ষিত অপরাধী, লুটেরা, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারকারী, হত্যা-গুমের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি যেন টাকা খরচ করে গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে সাধুবেশে এদেশে রাজনীতি করতে না পারে; এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজকে সতর্ক থাকতে বলব। সময় থাকতে সাধু সাবধান!

ড. হাসনান আহমেদ : সাহিত্যিক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ; প্রেসিডেন্ট, জাতীয় শিক্ষা-সেবা পরিষদ

pathorekhahasnan.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম