Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে চাই যুগোপযোগী ব্যবস্থা

Icon

আবদুল মোনেম

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে চাই যুগোপযোগী ব্যবস্থা

জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সুবাদে মাঝখানে কয়েকটি নির্বাচন মোটামুটি ত্রুটিমুক্ত হলেও ওই ব্যবস্থা বিলুপ্তির মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও খারাপ অবস্থায় রূপান্তর করা হয়েছে। আমাদের সংবিধানে নির্বাহী বিভাগকে আইন বিভাগ, বিচার বিভাগসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ওপর কর্তৃত্ব করার যে সীমাহীন ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, তাতে এরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলন ও সীমাহীন আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছে। তবে আবারও আরেকটি ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটতে না দেওয়ার বিষয়ে এখনো খুব বেশি অগ্রগতি লক্ষ করা যায়নি। ফ্যাসিবাদের উৎসস্থল সংবিধান পুনর্লিখন বা সংস্কার না করা গেলে এবং নির্বাচন ব্যবস্থাসহ প্রস্তাবিত অন্যসব সংস্কার যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে না পারলে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন সম্ভব হবে না এবং একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ উন্মুক্ত হবে না। তবে আশার কথা হচ্ছে, সংবিধানসহ বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে যেরূপ জনমত সৃষ্টি হয়েছে এবং যেরূপ কর্মপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এটাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখা যেতে পারে।

৫৩ বছরে দেশে যে রাজনৈতিক ও নির্বাচনি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে, তাতে প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়, যত যোগ্য বা ত্যাগী নেতাই হোক, কেউ যদি আর্থিকভাবে অসচ্ছল হন, তার পক্ষে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া কিংবা নির্বাচনি দৌড়ে টিকে থাকা একেবারেই অসম্ভব। দলীয় কিংবা নির্দলীয় যেভাবেই নির্বাচনে অবতীর্ণ হোন না কেন, জনগণের মধ্যে কোনোরূপ প্রভাব সৃষ্টি করারও কোনো সুযোগ অসচ্ছল প্রার্থীদের নেই। অন্যদিকে বিত্তবান প্রার্থীরা, হোক তারা সাদা-কালো, বৈধ-অবৈধ যে কোনো টাকার মালিক, নির্বাচনটাকে একটা বিনিয়োগ ক্ষেত্র হিসাবে বিবেচনা করেই তারা এখানে টাকা বিনিয়োগ করে এবং যে যত বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে পারে, তার বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি থাকে। ফলে জনকল্যাণকে পাশ কাটিয়ে বহুগুণ মুনাফা অর্জনেই থাকে তাদের মূল দৃষ্টি। আবার নির্বাচনি মাঠে প্রার্থীদের ব্যয়িত অর্থও অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপকর্ম, অপরাধকর্ম ইত্যাদিতেই ব্যবহৃত হয়; যেমন-দলীয় নেতাদের ম্যানেজ করে মনোনয়ন আদায়, দলীয় লাঠিয়াল বাহিনী গঠন ও লালন, ভোটকেন্দ্র দখল, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ, নিরীহ ভোটারদের ভোট ক্রয় ইত্যাদি।

২০০৮ সালের নির্বাচনের আগপর্যন্ত ভোটারের নাম, পিতার নাম, বয়স যুক্ত করে ভোটার তালিকা করা হতো। এতে সহজেই একজনের ভোট আরেকজনে দিতে পারত, নিজ প্রার্থীর পক্ষে কেউ কেউ একাধিক বা বহুসংখ্যক ভোটও দিতে পারত। এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্ক অনেকে অনুপস্থিত কোনো ভোটারের নাম, পিতার নাম, বয়স ও ভোটার নম্বর ব্যবহার করে ভোট দিতে পারত। প্রার্থীদের কোনো এজেন্ট আপত্তি না জানালে ভোটদানে এসব ভুয়া ভোটারের কোনো সমস্যা হতো না। তথ্যের কিছুটা হেরফের ঘটিয়ে কেউ কেউ একাধিক স্থানে ভোটার হয়ে যেতে পারত। এরূপ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে তৎকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে প্রথমে ভোটার পরিচয়পত্র কার্ডের ধারণা গ্রহণ করে। এ ধারণা থেকেই শেষ পর্যন্ত গৃহীত হয় জাতীয় পরিচয়পত্র, সংক্ষেপে এনআইডির ধারণা। এ এনআইডি প্রত্যাহারের সুযোগ না থাকায় বিগত সরকার আশ্রয় নেয় ব্যয়বহুল ইভিএমের, যদিও শেষ পর্যন্ত গত নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে গণতন্ত্রকে আর তামাশার বস্তুতে পরিণত করতে না চাইলে, গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা ও আস্থা অটুট রাখতে চাইলে, কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে নিষ্কণ্টক করতে চাইলে, নির্বাচন ও গণতন্ত্রের নামে একদলীয় বা একব্যক্তির শাসন প্রতিরোধ করতে চাইলে, সর্বোপরি জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে অর্থশক্তি, পেশিশক্তি, প্রশাসনিক শক্তি, জাল-জালিয়াতি ইত্যাদির প্রভাবাধীন নির্বাচন ব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠানো ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। আর এ লক্ষ্য অর্জনে আমার প্রস্তাব নিুরূপ-

১. নির্বাচন কমিশনকে সরকারের নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত রাখতে সংবিধানে ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) যথাযথ ধারা সংযোজন বা বিয়োজন করা (নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন) হোক।

২. রাষ্ট্র ও সংবিধানের প্রতি আনুগত্যশীলতা নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মতো নারী সদস্যের বাধ্যবাধকতা বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় অফিস, গঠনতন্ত্র ও একশ ভোটার সদস্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের ব্যবস্থা চালু করা হোক।

৩. নির্দলীয় প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এক শতাংশ ভোটারের আগাম স্বাক্ষরের প্রথা বিলুপ্ত করা হোক।

৪. নির্বাচনে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ফেরতযোগ্য জামানত প্রথা বিলুপ্ত করে (ক) জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার টাকা অফেরতযোগ্য প্রার্থিতা ফি; (খ) ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা, চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা অফেরতযোগ্য প্রার্থিতা ফি; (গ) পৌরসভা সদস্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দশ হাজার টাকা, মেয়র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিশ হাজার টাকা অফেরতযোগ্য প্রার্থিতা ফি; (ঘ) উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিশ হাজার টাকা, চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার টাকা অফেরতযোগ্য প্রার্থিতা ফি; (ঙ) মহানগর কাউন্সিলর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিশ হাজার টাকা, মেয়র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার টাকা অফেরতযোগ্য প্রার্থিতা ফি ধার্য করা হোক।

৫. নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রার্থী কর্তৃক কিংবা তার পক্ষের কোনো ব্যক্তি কর্তৃক নির্বাচনি ব্যয় ও প্রচারণা নিষিদ্ধ এবং এরূপ বিধি লঙ্ঘনকারী প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হোক। নির্বাচন কমিশনের ব্যয় ও তত্ত্বাবধানে নির্বাচনি প্রচারণার ব্যবস্থা করা হোক; যেমন-(ক) নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর নির্বাচনি মেনিফেস্টোগুলো একত্র করে পুস্তকাকারে প্রকাশ করা এবং প্রত্যেক ভোটারের কাছে (প্রত্যেক পরিবারে একটা করে পুস্তক) পৌঁছে দেওয়া। (খ) আসনভিত্তিক প্রার্থীদের মেনিফেস্টোগুলো একত্র করে আরেকটি পুস্তক তৈরি করা এবং ভোটারদের কাছে একইভাবে পৌঁছে দেওয়া। (গ) একই আসনের সব প্রার্থীর নাম, ছবি ও মার্কা বড় সাইজের একই পোস্টারে যুক্ত করে পোস্টারিং করা। (ঘ) জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে আসনের সব প্রার্থীর উপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে ও আয়োজনে গ্রামের প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে এবং পৌরসভা বা মহানগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে জনসভার আয়োজন করা। ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা, মহানগরীর নির্বাচনের ক্ষেত্রে এসব আয়োজন গ্রাম, পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ড ইত্যাদি ক্ষুদ্র পরিসরেও হতে পারে।

৬. ন্যাশনাল আইডি কার্ড থেকে ভোটারসংশ্লিষ্ট তথ্য ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভোটার নম্বরযুক্ত করে ভোটার কার্ড প্রস্তুত করে ভোটারদের হাতে পৌঁছে দেওয়া এবং এ ভোটার কার্ড জমা-গ্রহণ সাপেক্ষে ব্যালট পেপার প্রদান ও ভোট গ্রহণ নিশ্চিত করা হোক।

উপরে উল্লেখিত ১ থেকে ৪ নম্বর পর্যন্ত শুধু বিধিবিধানসংক্রান্ত বিষয় হওয়ায় এতে তেমন কোনো ব্যয় নেই। ৫ নম্বর বিধান অনুসারে একটি জাতীয় নির্বাচনের জন্য দুই ধরনের পুস্তক প্রস্তুতকরণ ও বিতরণ, পোস্টারিং, মাইকিং, জনসভার আয়োজন ইত্যাদিতে সর্বোচ্চ পাঁচশ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। উল্লেখ্য, প্রার্থীদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রচারণা ও অর্থব্যয় বন্ধ রাখতে হলে তাদের সরকারি কোনো অতিথিশালা কিংবা হোটেলে সরকারি অতিথি হিসাবে রাখতে হবে। এতে আবার বর্তমান সংবিধান মোতাবেক মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে। জাতীয় স্বার্থে প্রার্থিতার শর্ত হিসাবে প্রার্থীরা কয়েকদিনের এ কষ্ট মেনে নেবেন। প্রার্থীদের আতিথেয়তা, সরকারি গাড়িতে জনসভা স্থল ও অতিথিশালায় আসা-যাওয়া ইত্যাদি বাবদ আরও প্রায় একশ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। ৬ নম্বর বিধান অনুসারে একেকটি ভোটার কার্ড প্রস্তুত করতে সর্বোচ্চ ১২ টাকা হিসাবে প্রায় ১২ কোটি ভোটারের জন্য সর্বোচ্চ দেড়শ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। এগুলো বিতরণে আরও ৫০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। সব মিলে সর্বোচ্চ ৮০০-৯০০ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।

উল্লেখিত প্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের প্রার্থিতা ফি বাবদ যৎসামান্য ব্যয় ছাড়া অন্য কোনো ব্যয় না থাকায় সৎ ও যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত হওয়ার পথ দিন দিন প্রসারিত হবে, অসৎ ও অযোগ্যরা প্রতিযোগিতায় আসার সাহস হারিয়ে ফেলবে, নির্বাচনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার অপচয় বন্ধ হবে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে যুদ্ধংদেহী মনোভাব আস্তে আস্তে কেটে যাবে। ভোটার কার্ড জমা-গ্রহণ সাপেক্ষে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার ফলে যে কোনো বুথে বা কেন্দ্রে যতসংখ্যক কার্ড জমা হবে, ব্যালট বাক্সে ততসংখ্যক ব্যালট পেপারও জমা পড়বে। ফলে জালভোট বন্ধ হয়ে যাবে। এতে আপাতত পোলিং এজেন্টদের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নিলেও প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের সততা ও দৃঢ়তা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে। সিসি ক্যামেরার মতো ব্যয়বহুল প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা হারিয়ে যাবে।

অন্যদিকে সম্প্রতি সংবিধান সংস্কার কমিশনে যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তাতে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের আহ্বান জানানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনকেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিতে গেলে নিঃসন্দেহে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ অন্তত আরও দুই-তিন মাস বাড়াতে হবে। সমস্যা এখানেই শেষ নয়। উপনির্বাচনগুলোও প্রশ্নবিদ্ধ হতেই থাকবে। অথচ দেশে নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত একটা নির্বাচন কমিশন ক্রিয়াশীল থাকলে এবং উপরে উল্লেখিত নির্বাচন পদ্ধতি অনুসৃত হলে আগামী দুয়েক টার্মের মধ্যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তাও ফুরিয়ে যাবে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, বিশ্বময় পরিচিত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে আমরা এরূপ পদ্ধতির চর্চা দেখতে পাচ্ছি না কেন। কিছু দেশে এরূপ ব্যবস্থার চর্চা নেই। এর প্রথম কারণ, তাদের দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা আমাদের মতো কখনোই প্রশ্নবিদ্ধ হয়নি; দ্বিতীয়ত, তাদের খরচের জন্য অর্থেরও কোনো ঘাটতি নেই। তদুপরি ইউরোপের ক্ষুদ্র জনসংখ্যার কিছু দেশে এর চেয়ে ভালো পদ্ধতি চালু আছে। তাছাড়া বিশ্বের কোনো দেশে চালু না থাকা সত্ত্বেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে আমরা ঠিকই চালু করতে পেরেছিলাম; এমনকি বহু চড়াই-উতরাইয়ের পর আবারও চালু করার চেষ্টা চালাচ্ছি। কাজেই বাংলাদেশে এরূপ ব্যবস্থা চালু করতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

আবদুল মোনেম : প্রাবন্ধিক; সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম