‘ফিরে দেখা বিচার বিভাগ পৃথককরণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রত্যাহার
ড. মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বিগত ১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ড. মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম কর্তৃক লিখিত ‘ফিরে দেখা বিচার বিভাগ পৃথক্করণ’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল। প্রবন্ধটিতে মাজদার হোসেন মামলার (হাইকোর্ট বিভাগের মামলা নং ২৪২৪/৯৫ এবং আপিল বিভাগের মামলা নং ৭৯/৯৯) পর্যালোচনা করা হয়েছিল।
প্রবন্ধটিতে বিচার বিভাগ পৃথক্করণের দিবসে বিগত ১৭ বছরে জনগণের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির একটি চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রবন্ধটির শেষের দিক থেকে ৩য় প্যারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিচার বিভাগ পৃথক্করণ জনগণের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন, এটি সর্বজনস্বীকৃত। পৃথক্করণের মাধ্যমে যাতে নির্বিঘ্নে মামলা দায়ের ও সুষ্ঠু তদন্ত, দ্রুত বিচার, স্বল্প খরচে বিচার ও ন্যায়বিচার পেতে পারেন, এটিই ছিল জনগণের প্রত্যাশা।’
পৃথক্করণকে অর্থবহ করার জন্য বিচার বিভাগে বিরাজমান সমস্যা ও অব্যবস্থা দূরীকরণের জন্য আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কিছু সুপারিশ পেশ করা হয়েছে, যা বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকাসহ সুশীল সমাজের আলোচনায় এবং গবেষণায় বারবার এসেছে। প্রবন্ধের সর্বশেষ প্যারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সুপ্রিমকোর্টের অধীনে পৃথক সচিবালয় স্থাপন করা দরকার।’
সুতরাং বিচার বিভাগ পৃথক্করণের বিপক্ষে নয় বরং পৃথক্করণকে অর্থবহ করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই প্রবন্ধটির মূল উপজীব্য হিসাবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় পর্যালোচনা করার ক্ষেত্রে আলোচ্য প্রবন্ধে নিতান্তই অনিচ্ছাকৃতভাবে এবং অসাবধানতাবশত বেশকিছু বিষয় যুক্ত হয়েছে, যা আদালতের মর্যাদার জন্য হানিকর। বিচার বিভাগ পৃথক্করণসহ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যেসব মাননীয় বিচারপতি, বিজ্ঞ আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্ট যারা অবদান রেখেছেন তারা নিঃসন্দেহে পুরো জাতির কাছে শ্রদ্ধার পাত্র। আমিও তাদের সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা করি। আলোচ্য প্রবন্ধটিতে আদালতের মর্যাদার হানি হওয়ায় প্রবন্ধটি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করলাম। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করব।
ড. মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম