Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

ডায়াবেটিস রোগীর মুখের স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেশি

Icon

ড. অরূপরতন চৌধুরী

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ডায়াবেটিস রোগীর মুখের স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেশি

অনেক ক্ষেত্রে একজন ডেন্টিস্টই প্রথম একজন ডায়াবেটিস রোগীকে শনাক্ত করতে পারেন এবং তাকে একজন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে রেফার করতে পারেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল ‘ওপেন ডায়াবেটিস রিসার্চ অ্যান্ড কেয়ারে’ প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রতি পাঁচজন মাড়ির রোগ আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে একজনের টাইপ-২ ডায়াবেটিস থাকতে পারে এবং তারা এ বিষয়ে অবগত নন।

ডায়াবেটিস এবং মুখের স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে যোগসূত্র হলো রক্তে উচ্চমাত্রার শর্করা। যদি রক্তে শর্করা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ না হয়, তাহলে মুখের স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো তীব্রতর হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এর কারণ হলো, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস শ্বেত রক্ত কণিকাকে দুর্বল করে দেয়, যা মুখের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে পারে না।

গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ডায়াবেটিসের কারণে প্রধান অঙ্গ জটিলতার ঝুঁকি কমানো যায়-যেমন চোখ, হার্ট, স্নায়ুর ক্ষতি ইত্যাদি। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে মুখের স্বাস্থ্য সমস্যার জটিলতা থেকে রক্ষা মেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে প্রধান কিছু জটিলতা প্রতিরোধ করা যায়, যেমন-চোখে ছানি পড়া, হৃদরোগের সমস্যা, বিভিন্ন স্নায়ুরোগ সমস্যা, কিডনি সমস্যা ও মাড়ির রোগ বা Periodontal disease (ডায়াবেটিসের ষষ্ট জটিলতা) ইত্যাদি।

ডায়াবেটিস রোগীদের মুখের যেসব সমস্যা উচ্চঝুঁকির

শুষ্ক মুখ : অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস মুখের ভেতরের লালা (থুথু) প্রবাহ হ্রাস করতে পারে, ফলে মুখ শুকিয়ে গিয়ে শুষ্ক মুখে আরও ঘা, আলসার, সংক্রমণ এবং দাঁতের ক্ষয় বৃদ্ধি করতে পারে।

মাড়ির প্রদাহ (জিনজিভাইটিস) ও পিরিয়ডোনটাইটিস : শ্বেত রক্তকণিকা দুর্বল করার পাশাপাশি ডায়াবেটিসের আরেকটি জটিলতা হলো এটি রক্তনালিগুলোকে চিকন করে তোলে। এটি মুখসহ শরীরের টিস্যু থেকে পুষ্টির প্রবাহ এবং বর্জ্য পদার্থের প্রবাহকে ধীর করে দেয়। ফলে শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। যেহেতু পেরিওডন্টাল ডিজিজ ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ, তাই অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা আরও ঘন ঘন ও গুরুতর মাড়ির রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ওরাল সার্জারি বা অন্যান্য দাঁতের সার্জারির পর দ্রুত নিরাময় হন না, কারণ অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসার জায়গায় রক্তপ্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত বা কম হতে পারে।

থ্রাশ : যেসব ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রায়ই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করেন, তাদের বিশেষ করে মুখ ও জিহ্বার ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের লালায় উচ্চ গ্লুকোজের কারণে ছত্রাক বৃদ্ধি পায়। ডেনচার পরা (বিশেষত যখন ক্রমাগত পরা হয়) বা নকল দাঁত ব্যবহারকারীদের ছত্রাক সংক্রমণ বেশি হতে পারে।

মুখগহ্বর এবং/অথবা জিহ্বায় ক্ষত বা ঘা : এ অবস্থাটি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও থ্রাশের উপস্থিতির কারণে হয়।

তামাক/ধূমপান/জর্দা/ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশি ক্ষতিকর

তামাক ও ধূমপানের সঙ্গে ডায়াবেটিসের সম্পর্ক ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের থ্রাশ ও পেরিওডন্টাল রোগ বা মাড়ির রোগ হওয়ার আশঙ্কা ২০ গুণ বেশি। ধূমপান মাড়িতে রক্ত প্রবাহকে ব্যাহত করে, যা মুখের ভেতরে টিস্যু ক্ষত নিরাময়কে প্রভাবিত করতে পারে। তাছাড়া জর্দা, গুল ও সাদাপাতা ব্যবহার করলে মুখের ঘা ও সংক্রমণ বাড়ে। ধূমপান ও তামাক সেবন ডায়াবেটিসের ভয়াবহতা, মুখের বিভিন্ন রোগ এবং জটিলতা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা তরুণ বয়সে ধূমপান শুরু করে, তারা পরবর্তীকালে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে। ডায়াবেটিস আছে এমন কেউ যদি ধূমপান, তামাক সেবন করে, তবে তাদেরও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ফলে তাদের মুখ ও ফুসফুসের ক্যানসার, হৃদরোগ, স্ট্রোক ও পায়ের পচনশীল রোগ ‘গ্যাংগ্রিন’ হওয়ার আশঙ্কা পাঁচগুণ বেশি।

ডেন্টিস্ট বা পিরিয়ডন্টিস্টের সঙ্গে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং চিকিৎসা সম্পর্কে পরীক্ষা করানোর আগে ও পরে একজন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। প্রয়োজনে ডেন্টিস্টকে বিশেষজ্ঞ ডায়াবেটিস চিকিৎসকের নাম ও ফোন নম্বর জানানো উচিত, যাতে কোনো প্রশ্ন বা উদ্বেগ দেখা দিলে ডেন্টাল সার্জন সেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। সেই সঙ্গে রোগী যেসব ওষুধ গ্রহণ করছেন, তার সব নাম ও ডোজের একটি তালিকা ডেন্টিস্টকে জানানো উচিত। যদি একটি বড় সংক্রমণের চিকিৎসা করা হয়, সেক্ষেত্রে ইনসুলিনের ডোজ (যারা ইনসুলিন গ্রহণ করেন) সামঞ্জস্য করার প্রয়োজন হতে পারে। রক্তে শর্করা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রিত না হলে কোনো জরুরি ডেন্টাল পদ্ধতি স্থগিত করতে হতে পারে। তবে তীব্র সংক্রমণ (যে সংক্রমণগুলো দ্রুত বিস্তার লাভ করে), যেমন ফোড়া, সেগুলোর অবিলম্বে চিকিৎসা করা প্রয়োজন।

মনে রাখতে হবে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ডেন্টাল চিকিৎসায় বেশি সময় লাগতে পারে। তাই ডেন্টাল সার্জনের চিকিৎসা-পরবর্তী নির্দেশাবলি খুব সচেতনভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন। কোনো কৃত্রিম দাঁতের বা ধারালো দাঁতের কারণে ঘর্ষণ লেগে জিহ্বা বা মুখ কেটে গেলে অবিলম্বে ডেন্টিস্টকে দেখিয়ে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন। কারণ সেই ঘা বা ক্ষত পরে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা দ্রুত দাঁত হারান

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দাঁত নষ্ট হওয়ার পেছনে বা একটি দাঁত হারানোর অনেক কারণ রয়েছে। প্রথমত, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস জিনজিভাইটিস ও পেরিডেন্টাল রোগ বৃদ্ধির প্রধান কারণ। যদি সংক্রমণ অব্যাহত থাকে, তাহলে এটি দাঁতের পার্শ্ববর্তী অন্তর্নিহিত হাড়ে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ পরিস্থিতির জটিলতা হলো, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংক্রমণ দ্রুত কমানো যায় না। ফলে তারা অকালে দাঁত হারান।

ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য সুসংবাদ হলো, ভালো ওরাল হাইজিন অভ্যাস বা মুখের যত্নের অনুশীলন করার মাধ্যমে, যেমন প্রতিদিন অন্তত দুবার (অথবা প্রতি খাবারের পর) ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা, প্রতিদিন ফ্লস করা এবং রক্তে শর্করার মাত্রা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, যাতে সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকাংশে কমে আসে এবং তাতে পেরিডেন্টাল রোগ এবং দাঁতের অন্যান্য ক্ষতির ঝুঁকি কম হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের যখন ওরাল সার্জারির প্রয়োজন, তখন ইনফেকশনসহ অস্ত্রোপচার করা হলে তারা পরবর্তী সমস্যার ঝুঁকিতে থাকে, কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে অনেক সময়ই শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তাই অস্ত্রোপচার-পরবর্তী চিকিৎসা যত্ন এবং রক্তে শর্করাকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিকের কাছাকাছি রাখা জরুরি।

প্রতিরোধ

যেহেতু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মুখের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেশি, তাই মুখের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা এবং মুখের স্বাস্থ্যের যে কোনো পরিবর্তনের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া এবং এ ধরনের পরিবর্তন ঘটলে অবিলম্বে ডেন্টাল সার্জনকে দিয়ে পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। মুখের স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ বা কমানোর পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে-রক্তের সুগার যতটা সম্ভব স্বাভাবিকের কাছাকাছি রাখা। প্রতিটি ডেন্টাল ভিজিটে ডেন্টিস্টকে ডায়াবেটিসের অবস্থা জানানো।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যবিধি টিপস

বছরে অন্তত দুবার দাঁতের স্কেলিং, সেই সঙ্গে ডেন্টিস্টের কাছে মুখ ও দাঁত পরীক্ষা করা প্রয়োজন। কত ঘন ঘন চেকআপের প্রয়োজন হবে, তা ঠিক করতে ডেন্টাল সার্জনের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। দিনে অন্তত একবার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করা প্রয়োজন (বিশেষত রাতে খাবারের পর)। তাতে দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে প্লাক জমা হওয়া প্রতিরোধ করা যায়।

প্রতিবার খাবার পর দাঁত ব্রাশ করা উচিত। একটি নরম ব্রিসল টুথব্রাশ ব্যবহার করা প্রয়োজন। যারা ডেনচার (নকল দাঁত) পরেন, তাদের সেগুলো সরিয়ে দাঁত পরিষ্কার করা এবং প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে সেটা খুলে একটি কাপে পানিতে ভিজিয়ে রাখা উচিত। ধূমপায়ীদের উচিত ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার উপায় সম্পর্কে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা। প্রয়োজনে ধূমপান বা তামাক, জর্দা, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদি ছাড়তে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

স্বাস্থ্যকর হাসি বজায় রাখার তিনটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করুন, সকালে নাশতার পর এবং রাতে আহারের পর ঘুমাতে যাওয়ার আগে। আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে দিনে দুবার দুই মিনিটের জন্য ব্রাশ করার পরামর্শ দিয়েছে। আপনার টুথব্রাশটি মাড়ির সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি কোণে রাখুন এবং দাঁতগুলোর বাইরে, ভেতরে এবং চিবানো পৃষ্ঠতল বরাবর ব্রাশটি আলতো করে সামনে পেছনে ব্রাশ করুন এবং সেই সঙ্গে দাঁতের প্রতিটি পৃষ্ঠ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। নরম ব্রিসলযুক্ত টুথব্রাশ ব্যবহার করতে ভুলবেন না। গবেষণায় দেখা যায়, শক্ত ব্রিসলগুলো দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে।

দিনে একবার ফ্লস করা প্রয়োজন। যদি তা না করা হয়, তবে দাঁতের মধ্যবর্তী স্থানগুলোতে ও মাড়ির রেখা বরাবর ফাঁকে ফাঁকে খাদ্য কণা তৈরি হয়। এ ফ্লস ব্যবহার দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগের জন্য একটি উত্তম প্রতিরোধ ব্যবস্থা। ফ্লস করতে মাঝের আঙ্গুলের চারপাশে একটি ১৮ ইঞ্চি পরিমাণ ফ্লস বা সুতা বের করুন, কাজ করার জন্য এক বা দুই ইঞ্চি রেখে দিন। থাম্ব ও তর্জনীর মধ্যে ফ্লসটি ধরে রাখুন, প্রতিটি দাঁতের চারপাশে বাঁকা করুন এবং আলতো করে এটি দাঁতের উপরে ও নিচে এবং মাড়ির ভেতরে প্রবেশ করান। ফ্লস ছাড়াও বাজারে যেগুলো আছে, যেমন ইন্টারডেন্টাল ডিভাইস, ব্যবহার করা যায়। ডেন্টাল ফ্লস এমন জায়গায় পৌঁছানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা নিয়মিত টুথব্রাশ পারে না।

চিকিৎসক মাড়ির স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে প্রতি ৬ মাসে একবার দাঁত পরিষ্কারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মুখ ধুয়ে ফেলা বা কুলি করার জন্য একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মাউথ ওয়াশ ব্যবহারের উপকারিতা অনেক। বর্তমান স্বাস্থ্য বা ওষুধের যে কোনো পরিবর্তন সম্পর্কে ডেন্টিস্টকে জানাতে ভুলবেন না, কারণ উভয়ই আপনার মুখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে-যেমন শুষ্ক মুখের লক্ষণ বা ঘন ঘন মুখে সংক্রমণ বা ইনফেকশন অথবা মুখের ঘা।

ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের ডায়াবেটিস সম্পর্কে অভিজ্ঞ একজন ডেন্টিস্টের সন্ধান করা প্রয়োজন। আপনার ডেন্টিস্টকে জানতে হবে আপনি আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত শৃঙ্খলা মেনে চলছেন কিনা। কারণ এটি আপনার দাঁতের চিকিৎসায় নানাভাবে প্রভাবিত করতে পারে। ডেন্টিস্টের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্টের আগে প্রতিদিনের স্বাভাবিক খাবার খেতে ভুলবেন না এবং চিকিৎসার আগে নির্দিষ্ট সময়সূচিতে স্বাভাবিক ওষুধ গ্রহণ করবেন। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে যদি নিয়ম-শৃঙ্খলা অর্থাৎ নিয়মিত খাবার, পরিমিত ওষুধ ও শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করেন এবং মুখ ও দাঁতের যত্ন নেন, তাহলে তারা অকালে একটি দাঁতও হারাবেন না। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের জটিলতা প্রতিরোধ করতে পারবেন।

অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী : অনারারি সিনিয়র কনসালটেন্ট, ডেন্টাল সার্জারি বিভাগ, বারডেম জেনারেল হাসপাতাল; কো-অর্ডিনেটর, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ডেন্টাল ইউনিট

prof.arupratanchoudhury@yahoo.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম