নীতি দুর্নীতি অর্থনীতি
প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সন্তোষজনক নয়
ড. আর এম দেবনাথ
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
অর্থনীতির ওপর এ সপ্তাহে অনেক খবর আছে। না, মূল্যস্ফীতি নয়; মূল্যস্ফীতির বাইরের খবর অনেক। এই যেমন একটি খবর হচ্ছে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সম্পর্কে। আমরা বছর শুরু করেছিলাম একটা পূর্বাভাস দিয়ে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যেখানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হয়েছিল মাত্র ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ। অর্থবছরের চার মাস গত প্রায়। অথচ এখন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে খারাপ কথা। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, বিশ্বব্যাংক প্রবৃদ্ধির হার অনেক কমিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ হার হতে পারে ৪ শতাংশ। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের খবর হচ্ছে, আমাদের প্রবৃদ্ধি হতে পারে মাত্র ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। যেখানে গত ১৫ বছর আমরা গড়ে সাড়ে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি, সেখানে সাড়ে ৪ শতাংশ অনেক কম নয় কি? তবে কথা আছে। আমরা বছরই শুরু করেছি অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে। বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন ইতোমধ্যে ঘটে গেছে। নতুন সরকার এখন ক্ষমতায়, যার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এছাড়া এর আগের বছরগুলো ভালো যায়নি। বস্তুত ২০১৯ সাল থেকেই চলছে অস্থিরতা। প্রথমে করোনা মহামারি, তারপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ দুই ঘটনা শুধু আমাদের নয়, সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে ধস নামিয়েছে। সর্বত্র ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এখন ‘গ্রোথ’ নয়, কথা হচ্ছে ‘চালু’ থাকার। যা আছে তা-ই কোনোমতে টিকিয়ে রাখার। কঠিন সংগ্রাম, বিশেষ করে আমাদের জন্য। তবু ভালো, যদি সাড়ে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। সম্মানজনক না হলেও একদম অসন্তোষজনক নয়।
গ্রোথ বা প্রবৃদ্ধি-এসব খবরের পাশাপাশি রয়েছে ফসল নষ্টের খবর। রয়েছে বন্যার খবর। কুমিল্লা, নোয়াখালী অঞ্চলে আচমকা বন্যার পর এখন চলছে বন্যার প্রভাব বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে। বন্যার প্রভাবে শাকসবজির দাম বেড়েছে। এখন সমস্যা বীজের। রবিশস্যের বীজের অভাব। বীজের দাম ভীষণ ঊর্ধ্বমুখী। অথচ এটি কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ। ঐতিহাসিকভাবেই এ সময়টা ভালো নয়। এ সময় অভাব-অনটন হয়। এবারও হচ্ছে। দুশ্চিন্তা আছে। কারণ আমরা শুধু চাল-গম আমদানি করি না; আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আদা, ডিম থেকে শুরু করে ভোগ্যপণ্যের প্রায় সব কয়টিই আমদানি করি। এ কারণেই প্রবৃদ্ধির হার, শস্য উৎপাদনের হার এবং রবিশস্যের বীজের অভাব আমাদের দুশ্চিন্তার কারণ।
হাতে এরপর আছে আরও তিনটি বড় খবর। বাংলাদেশ ব্যাংক আবার ‘নীতি সুদহার’ বাড়াচ্ছে। এ হার দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে করা হচ্ছে ১০ শতাংশ। বলা বাহুল্য, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে এ পর্যন্ত দফায় দফায় ‘রেপো রেট’ বাড়ানো হয়েছে। ‘রেপো রেট’ বা ‘ব্যাংক রেট’ হচ্ছে এমন একটি ‘রেট’, যে ‘রেটে’ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিপদগ্রস্ত ব্যাংককে জামানতের বিপরীতে আপৎকালীন ঋণ দেয়। এটা বাড়ালে বাজারে এর ফল হয় নেতিবাচক। এটি করা হয় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য। কীভাবে? কারণ ‘ব্যাংক রেট’ বৃদ্ধি পেলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের ওপর সুদের হার বাড়ে। এতে ঋণের চাহিদা কমে। ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে। ব্যবসায়ীদের সুদব্যয় বাড়ে। তারা আপত্তি জানায়। উৎপাদনও বিঘ্নিত হয়। আবার ঋণের ওপর সুদের হার অতিরিক্ত বেশি হলে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়ে। কারণ, এতে ঋণের কিস্তির পরিমাণ বাড়ে, যা ব্যবসায়ীরা দিতে অনেক সময় ব্যর্থ হয়। এমনটাই এখন হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তার ‘ভোঁতা’ অস্ত্র ‘রেপো রেট’ ব্যবহার করছে অনেক দিন থেকে। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রতিফলন নেই। সাধারণভাবে আমাদের পণ্যের দাম বাড়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়লে, ডলারের দাম বাড়লে। এখন ডলারের দাম স্থিতিশীল। তবুও অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে। নতুন সরকার নাজেহাল। তারাও আগের মতোই দোষারোপ করছেন ‘সিন্ডিকেট’কে। বাজারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। জরিমানা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। কীভাবে হাত বদলে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, তার খবর প্রতিদিন ছাপা হচ্ছে। সাধারণের মধ্যে দৃঢ়মূল ধারণা-ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে ‘দেশপ্রেমিক’ ব্যবসায়ীরা মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী। ব্যবসায়ীরা বরাবরের মতো এখনো বলছেন সরবরাহ সংকটের কথা। যেমন-ডিম। ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ঘাটতি মেটাতে ডিম আসছে ভারত থেকে, যদিও একশ্রেণির লোক ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে রেখেছে। যেইমাত্র ডিম আমদানির খবর হয়েছে, তখনই ডিমের দর কমেছে। এর অর্থ কী? তাহলে কি গরু ‘আমদানি’র মতো অন্যান্য পণ্য আনলে সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে? বলা বাহুল্য, ভারত থেকে গরু ‘আমদানি’ হয় না, ভারতীয়রাও গরু রপ্তানি করে না। কিন্তু ‘দেশপ্রেমিক’ ব্যবসায়ীরা সীমান্ত অঞ্চলে চাহিদা-সরবরাহের ‘ইমব্যালেন্সকে’ ‘ব্যালেন্স’ করে। আমরা বলি ‘চোরাচালান’। কিন্তু বাস্তবে শুধুই অর্থনীতি-সংগঠিত ব্যবসা-বাণিজ্য। সে যাই হোক, ‘ব্যাংক হার’ বৃদ্ধি কোনো ফল দিচ্ছে না। সরকার শুল্ক হ্রাস করছে, আমদানির অনুমতি দিচ্ছে। দেখা যাক ফলাফল কী হয়।
এরপরের খবরটিও খারাপ। খবরটি রাজস্ব আদায়ের। ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছর চলছে। শেষ হয়েছে এই অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বর। এ সময়টি ভালো যায়নি। বিরাট রাজনৈতিক পরিবর্তনে সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেছে। অর্থনীতির গতি শ্লথ। ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির। কেনা-বেচায় মন্দা। মানুষের রোজগার কমেছে। বহু লোকের চাকরি গেছে। নতুন চাকরি নেই। এ অবস্থায় ফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। সরকারের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হচ্ছে না। হওয়ার কোনো কারণও নেই। হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে যেখানে রাজস্ব আদায়ের কথা ৯৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সেখানে আদায় হয়েছে মাত্র ৭০ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা। ঘাটতি রয়েছে ২৫ হাজার ৫৯৭ কোটি টাকা। এর অর্থ হলো, এর ফলাফল খারাপ। সরকারের খরচ কমেনি, যদিও নতুন সরকার অনেক খরচ কমিয়েছে। কিন্তু কিছু খরচ আছে যা করতেই হয়। এতে কোনো রেয়াত নেই। রাজস্ব আদায় কম হলে ব্যয় নির্বাহ করা সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে। এমনিতেই সরকারের অনেক টাকা দেনা রয়েছে। এই দেনার মধ্যে বিদেশি ও দেশি ঋণও আছে। এটা একটা মাথাব্যথার বড় কারণ। কোথাকার খরচ কোথায় করা যায়? আবার রয়েছে উন্নয়ন ব্যয়। উন্নয়ন বাজেট ইতোমধ্যে কাটছাঁট করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হচ্ছে না। অথচ নভেম্বরের ৩০ তারিখে শেষ হবে ২০২৩-২৪ আয়বর্ষের (ইনকাম ইয়ার) রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়। ঘরে ঘরে চলছে রিটার্ন জমা দেওয়ার কাজ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সজাগ। এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোর অবস্থানে আছে। তারা সরকারকে মনে হয় আর কোনো ঋণ দিতে রাজি নয়। এমনকি তারা বিপদগ্রস্ত ইসলামি ব্যাংকগুলোকে পর্যন্ত ঋণ দিয়ে উদ্ধার করছে না। ফলে ওদের লাখ লাখ আমানতকারী ক্যাশের অভাবে ভুগছেন। ইসলামি ব্যাংকগুলোর গ্রাহক গ্রামাঞ্চলে বেশি। ধর্মপ্রাণ লোকেরা ওইসব ব্যাংকেই টাকা রাখেন। ছোট ছোট গ্রামীণ ব্যবসায়ীরাও ইসলামি ব্যাংকে টাকা রাখেন। বর্তমান অবস্থায় তারা বেশ বিপদে আছেন। প্রয়োজনমতো তারা টাকা তুলতে পারছেন না। ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির আওতায় কলমানি মার্কেট থেকে ঋণ নিচ্ছে। এ এক বড় হ্যাপা। খুব দক্ষ ও উপকারী ব্যবস্থা নয়। এটা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে। বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে, টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দিলে বাজারে ‘ক্যাশ’ বাড়ে। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। অতএব ঋণ দেওয়া বন্ধ। অথচ কেউ পরীক্ষা করে দেখল না সত্যি সত্যি এটা ঘটে কিনা। ঋণ দিলে ক্যাশ বাড়ে। কিন্তু মানুষের হাতে নগদ টাকা ইদানীংকালে খুব বেড়েছে। পরিসংখ্যান কী বলে? এটা পরীক্ষা করে দেখা দরকার।
মোদ্দা কথা, রাজস্ব সংকট চলছে। এর কি কোনো সমাধান আছে? এ মুহূর্তে অর্থনীতির যে অবস্থা, তাতে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির বড় কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রবৃদ্ধির হার যদি কমে, তাহলে রাজস্ব বৃদ্ধির হার বাড়বে কীভাবে? রাজস্ব বৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধির সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। তাহলে কি সরকার বিদেশি ঋণের দিকে নজর দেবে? সংবাদপত্রের খবর পাঠ করে মনে হয়, সরকার সেটাই ভাবছে। সরকার বিদেশ থেকে ‘বাজেট সাপোর্ট’ হিসাবে ৩-৪ বিলিয়ন (এক বিলিয়ন সমান শত কোটি টাকা) ডলার পাওয়ার চেষ্টা করছে। এমনিতে দেশে সমালোচনা আছে যে, আমাদের বৈদেশিক ঋণ বেশি। এর সুদ দিতে দিতেই এখন অনেক টাকা চলে যাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, ঋণের মূল ও সুদের অনেক টাকা পরিশোধ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় যদি আবার ঋণের ওপরই ভরসা করতে হয়, তাহলে তো তা সুখবর হলো না। হতে পারত বৈদেশিক বিনিয়োগ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বৈদেশিক বিনিয়োগ সেভাবে আসছে না। তবে কি অদূর ভবিষ্যতে পাচারকৃত টাকা ফেরত আসা শুরু হতে পারে? বলা মুশকিল। কত টাকা পাচার হয়েছে, সরকারিভাবে তা জানানো হয়নি। বিদেশি উৎস থেকে নানা খবর বাজারে চালু আছে। এসব খবর সত্যি হলে তো আগামী কয়েকটি বাজেটের টাকা পাচারকৃত অর্থ থেকেই আসতে পারে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কত টাকা, কোন দেশ থেকে উদ্ধার করে আনা যায়?
সবশেষে যে খবরটি দেব তা হতাশাজনক। খবরটির শিরোনাম হচ্ছে-‘খরচ কুলাতে না পেরে ডিম-দুধ বাদ’। অর্থাৎ মুল্যস্ফীতির জাঁতাকলে পড়ে মানুষ খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছে। এ ছাড়া উপায় কী? প্রথমে সঞ্চয় ভাঙা, তারপর ঋণ, তারপর মূল্যবান জিনিসপত্র বিক্রি। কিন্তু তারপর? তারপর খাওয়া খরচ কমানো। এই কাজটিই হচ্ছে। খবরটিতে বলা হচ্ছে ডিম-দুধের কথা। মাছ-মাংসের খবর কী? আজকের বাজারে শাকসবজির খবর কী? মানুষ এখন বাজারে যেতে রীতিমতো ভয় পায়। কী কিনবে সে? কোনোটাতেই হাত দেওয়া যায় না। আমরা ছোটবেলায় দেখেছি পুঁটি মাছ ছিল গরিবের মাছ। আর আজ? একটু বড় পুঁটি ১০০০ টাকা কেজি। ৬০০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই। মাংসের প্রশ্ন বাদ, বিশেষ করে খাসির মাংস। গরুর মাংসও কি মানুষের মুখে ওঠে? মুশকিল হচ্ছে এক জায়গায়। শুধু ভাতে তো মানুষের হয় না। ভাতের সঙ্গে লাগে পুষ্টি। এমনিতেই আমরা পুষ্টির অভাবে ভুগছি। ছেলেমেয়েদের ‘গ্রোথ’ কম। তাদের ওজন কম। তারা লম্বায় কম। খর্বাকৃতি একটা জাতি তৈরি হচ্ছে। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে এ সমস্যা প্রকট।
এবার একটি সম্পূর্ণ বিপরীত খবর। অভাব-অনটন ইত্যাদির মধ্যে, মূল্যস্ফীতির খবরের মধ্যে বড় খবর হচ্ছে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর। এই রাজনৈতিক নেতা ও সাবেক মন্ত্রীর বিশ্বজুড়ে ৬০০ বাড়ি। যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর সর্বত্র তার বাড়ি। কত টাকার সম্পদ কে জানে! ভাবা যায়, কিছুসংখ্যক বাঙালি কত সম্পত্তির মালিক হয়েছে!
ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়