Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

পরিবেশবান্ধব পর্যটনে গুরুত্ব বাড়াতে হবে

Icon

ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পরিবেশবান্ধব পর্যটনে গুরুত্ব বাড়াতে হবে

উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে টমাস কুক প্যাকেজ ট্যুরের মাধ্যমে পর্যটনশিল্পের যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে মেক্সিকান পরিবেশবিদ হেক্টর সেবালোস লাসকিউরেইন ১৯৮০ সালের দিকে পরিবেশ বিপর্যয় ও সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে ইকোট্যুরিজম (পরিবেশবান্ধব পর্যটন) প্রবর্তন করেন। তিনি ইকোট্যুরিজমে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ইকোট্যুরিজমে পরিবেশ সংরক্ষণ এবং স্থানীয় সংস্কৃতিকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। গতকাল ছিল বিশ্ব পর্যটন দিবস। এবার এ দিবসে ‘ট্যুরিজম অ্যান্ড পিস’কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সবুজ বিনিয়োগের বিষয়টিকেও, যা হবে পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও শান্তিময়। মোটা দাগে বলা যেতে পারে, সমগ্র বিশ্ব পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ায় ইকোট্যুরিজমের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে বর্তমানে পরিবেশবান্ধব স্থানগুলো পরিদর্শনের আগ্রহ বাড়ছে। এ ধরনের পর্যটন মানুষের মধ্যে সংস্কৃতির দূরত্ব কমিয়ে একে অপরের মধ্যে শান্তি আনয়নেও সহায়তা করতে পারে।

বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এদেশে রয়েছে ৯০৭টি নদী, ৩৭৩টি হাওড়, পাহাড়ি অঞ্চল, ভাওয়ালের শালবন, সাফারি পার্ক, জলপ্রপাত, চা বাগান, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, ধর্মীয় উপাসনালয় ও বিশ্বের বৃহত্তম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিস্তীর্ণ পাহাড় ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনযাত্রাও পর্যটকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করে থাকে। তাছাড়া হিমছড়ি, জাতীয় পার্ক, লালবাগের কেল্লা, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, পতেঙ্গা ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সোয়াম্প ফরেস্ট, জাফলং, সাজেক ভ্যালি, নিঝুম দ্বীপ, মহাস্থান গড়, ষাটগম্বুজ মসজিদসহ আরও অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংবলিত স্থান রয়েছে। এসব দর্শনীয় স্থানের গুরুত্ব সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ইকোট্যুরিজমের মাধ্যমে তুলে ধরা যেতে পারে। এতে পর্যটকরা আনন্দের পাশাপাশি বহুবিধ জ্ঞান অর্জনেও সক্ষম হতে পারে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে থাকে। প্রকৃতিতে বিদ্যমান এ সৌন্দর্যকে ইকোট্যুরিজমে কাজে লাগানো যেতে পারে। ইকোট্যুরিজমে বাংলাদেশের তীর্থস্থান হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

পরিসংখানে দেখা যায়, বিশ্বের মোট পর্যটকের প্রায় ৫০ শতাংশ ইউরোপে ভ্রমণ করে থাকে। মাত্র ২৫ শতাংশ ভ্রমণ করে এশিয়ায়। ২০৫০ সাল নাগাদ এশিয়ায় পর্যটকদের আগমন প্রায় ৫০ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। এ লক্ষ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশে পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটনশিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অবদান রাখতে পারে। বর্তমানে দেশে জিডিপির মাত্র ৩ শতাংশ পর্যটন খাত থেকে আসে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডে জিডিপির ২০ শতাংশ আসে পর্যটনশিল্প থেকে। যদি দেশে পর্যটনশিল্পের প্রসার ঘটানো যায়, তাহলে ভবিষ্যতে জিডিপির ১০ শতাংশ এ খাত থেকে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

পর্যটনশিল্প কর্মসংস্থান বাড়াতে পারে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় ২৬ লাখ ৪০ হাজার মানুষ কর্মহীন। বাস্তবে বেকারের সংখ্যা অনেক বেশি। সুতরাং মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ানো অতীব জরুরি। জার্মানিতে পর্যটনশিল্পে প্রায় ২৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। পর্যটনে ইতালিতে ১৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ পর্যটনশিল্পে কাজ করছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এ শিল্পে কর্মসংস্থান জনসংখ্যার অনুপাতে খুবই কম। এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখানে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ ভ্রমণ ও পর্যটনশিল্পে কাজ করে। পর্যটন খাত সম্প্রসারিত হলে ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সংস্কৃতির ভিন্নতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, রংপুর ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের গান, পোশাক, খাবার, ভাষা ও কাজের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। বাংলাদেশসহ অনেক দেশে মসলাজাতীয় খাবারের প্রচলন বেশি। ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক দেশে মসলাজাতীয় খাবারের চাহিদা রয়েছে। যদি ওইসব দেশের পর্যটকরা দক্ষিণ এশিয়ায় ভ্রমণ করে, তাহলে অতি সহজেই মসলাজাতীয় খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে সক্ষম হবে। এতে বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে উৎপাদিত মসলার বাজার অন্যান্য দেশে সম্প্রসারিত হতে পারে।

মোটা দাগে বলা যেতে পারে, পর্যটনশিল্প জাতীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। পর্যটনের প্রসারে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটতে পারে। রেললাইন, রাস্তাঘাট, ইউটিলিটি, টেলিযোগাযোগ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সুবিধার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হতে পারে। স্থানীয় জনগণও এ উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে সক্ষম হবে।

পর্যটনের তিনটি মৌলিক রূপ রয়েছে : অভ্যন্তরীণ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক। প্রতিটি পর্যটনে থাকতে হবে আকর্ষণ, প্রবেশযোগ্যতা, বাসস্থান, সুযোগ-সুবিধা ও ক্রিয়াকলাপ। সেক্ষেত্রে ইকোট্যুরিজমের ওপর গুরুত্ব বাড়াতে হবে। প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান সম্পদকে পর্যটনে ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ পর্যটনশিল্প হতে হবে পরিবেশবান্ধব। ভবিষ্যতে পরিবেশের বিপর্যয় সংরক্ষণে জলবায়ু সহনশীল পর্যটনের বিকাশে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন।

প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান ইকোসিস্টেম সংরক্ষণে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন। ইকোসিস্টেমে জৈব ও অজৈব উপাদানের ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া বিদ্যমান রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে জৈব ও অজৈব উপাদানগুলোর পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার অবনতি ঘটছে। সেক্ষেত্রে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ বিবেচনায় পর্যটনে পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম। স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের প্রাকৃতিক পরিবেশই বেশি আকর্ষণ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের প্রতি সমগ্র পৃথিবীর পর্যটকদের আকর্ষণ রয়েছে। সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ম্যানগ্রোভ, সুন্দরী-গেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এসব উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈচিত্র্য পর্যটকদের দারুণভাবে আকর্ষণ করে থাকে।

জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বৈচিত্র্য সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ ধরনের পরিবেশবান্ধব পর্যটন স্থানে ভবিষ্যতে স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যটনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সুন্দরবনকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার লক্ষ্যে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা ‘ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়া’ হিসাবে ঘোষণা করা যেতে পারে। এতে সুন্দরবনের পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে বৈচিত্র্য বাড়বে। ফলে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল পরিবেশবান্ধব হওয়ায় তা বায়ুমণ্ডলের গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ কমিয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে। এর ফলে সুন্দরবনে সমগ্র বিশ্বের পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কক্সবাজার বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত। এ সমুদ্র সৈকতে বসে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মিলনমেলা। এ মিলনমেলাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। এক্ষেত্রে ইকোট্যুরিজমের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈচিত্র্য বাড়ানো যেতে পারে। তবে সমুদ্রের পানিকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিনিয়ত পানি পরীক্ষা করতে হবে। এতে জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাবে। অনেক সময় জোয়ার-ভাটায় সমুদ্র সৈকতের বালি ভেঙে স্থলভাগের আয়তন কমে যায়। এক্ষেত্রে সমুদ্রকে ভাঙন থেকে রক্ষা করায় ইকোট্যুরিজম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সমুদ্র সৈকত বরাবর নারিকেল ও অন্যান্য কাঠজাতীয় বৃক্ষ রোপণ করা যেতে পারে। প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান বৃক্ষ ছাড়াও কৃত্রিমভাবে আরও গাছ রোপণ করা উচিত। এতে পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে ইকোট্যুরিজমের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে।

কক্সবাজার, কুয়াকাটা ও পতেঙ্গার আবাসিক হোটেল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইকোট্যুরিজমকে গুরুত্ব দিয়ে গড়ে তোলা উচিত। নতুবা পরিবেশ বিপর্যয়ে সৃষ্ট দূষণের কারণে পর্যটকদের বিচরণ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় পাহাড় ধসে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এতে পর্যটকরা বর্ষা মৌসুমে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে পাহাড় ধস রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত। পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়েই ইকোট্যুরিজমের বিকাশ ঘটাতে হবে।

দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে রয়েছে অনেক হাওড়। এসব হাওড়ে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিদ্যমান। বিভিন্ন প্রজাতির জলজ ও স্থলজ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে এসব হাওড়ে। তাছাড়া অনেক হাওড়কে সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে এসব হাওড় অঞ্চলে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত ও বন্যার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। প্রতিবছর এ অঞ্চলের মানুষ ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সাধারণত উজানের দেশ ভারতের প্রবহমান পানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনে অনিয়মিত বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান হাওড়গুলো সংরক্ষণের মাধ্যমে ইকোট্যুরিজমের ওপর গুরুত্ব বাড়ানো যেতে পারে। এতে হাওড় অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের জীবনযাত্রার মান এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে।

পরিশেষে বলতে চাই, পর্যটনশিল্প হতে হবে পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও সমৃদ্ধ। বছরজুড়ে সমগ্র বিশ্বের মানুষ কর্মব্যস্ত জীবনযাপন করে থাকে। ক্লান্তি দূরীকরণে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অনেকের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে মানুষ স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করে থাকে। পর্যটকরা সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান পরিবেশবান্ধব জায়গা পরিদর্শনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে সমুদ্র সৈকত, ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, জাতীয় উদ্যান, হাওড় এলাকা ও ঐতিহ্যময় স্থানগুলোতে জলবায়ু সহনশীল পরিবেশ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এর ফলস্বরূপ দেশের পর্যটনশিল্প হবে পরিবেশবান্ধব। মোটা দাগে বলা যায়, ইকোট্যুরিজম ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরাতে সক্ষম হবে। পরিবেশবান্ধব পর্যটন দেশের পরিবেশ বিপর্যয় রোধেও ভূমিকা রাখবে।

ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম : অধ্যাপক, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর

mohammad.alam@wsu.edu

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম