Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আর কত প্রাণ দিতে হবে?

Icon

কমডোর জসীম উদ্দীন ভূইয়া (অব.)

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আর কত প্রাণ দিতে হবে?

গত ৫৩ বছরে স্বাধীন বাংলাদেশে অনেক বড় বড় প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ঘটনা আমরা দেখেছি।

ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, ষড়যন্ত্র যেখানে তার তীক্ষ্ণ দাঁত-নখ-থাবা উঁচিয়ে আগ্রাসী চেহারা নিয়ে এগিয়ে আসে, সেখানে ঐতিহাসিক কারণেই প্রতিরোধ শক্তিও তার পাশাপাশি মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়ায়, বরং না দাঁড়ানোটাই হলো ব্যতিক্রম আর ইতিহাস সাধারণভাবে ব্যতিক্রমকে মেনে নিতে পারে না, ভবিষ্যতেও পারবে না। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানও ইতিহাসেরই একটি অধ্যায়।

২০২৪-এর আন্দোলনে নিজ দেশেই নিজেদের মানুষের হাতে সম্ভাবনাময় শিশু, কিশোর, তরুণসহ সাধারণ মানুষ যেভাবে প্রাণ দিয়ে, নিজেদের অঙ্গহানি করে নতুন রাষ্ট্র গঠনের যে সুযোগ অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়ে গেল, তার যথাযথ মূল্যায়ন করা উচিত। দেশের সার্বিক দিক বিবেচনায় এ মুহূর্তে আমরা এক সংকটময় অবস্থায় আছি, যেখানে রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্বে যদি পুনরায় কোনো ভুল মানুষকে ভুল জায়গায় যুক্ত করা হয়, তাহলে এ দেশের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না বরং পুনরায় নতুন এক মহাসংকটের সৃষ্টি হবে, যার ভয়াবহতা পূর্ববর্তী সব অবস্থাকে ছাড়িয়ে যাবে, যেটি আমাদের সবার জানা; যা পরোক্ষভাবে প্রত্যেক শহিদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করার শামিল।

২. একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নে বা সংস্করণে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন, যদি তিনি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোতে অভিজ্ঞ, দক্ষ, সর্বোপরি নৈতিক জনবল নিয়োগ করতে পারেন। পূর্বের রাষ্ট্রব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রপ্রধানরা যেসব ভুল করেছেন, তার ভয়াবহতা আমরা সবাই দেখেছি।

যেখানে এখন আর পুনরায় ভুল করার সময় নয় বরং সব ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন করে একটি রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সময়। দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে এ মহাসংকট থেকে উত্তরণের জন্য যেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জানি, দুর্নীতির বিস্তার ও অদক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থার কারণে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং জনগণকে সেবা প্রদানে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।

৩. সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা দেখেছি, প্রশাসনের উপসচিব থেকে সচিব পর্যায়ে ৪৭৯ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। সচিবরা মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রশাসনিক প্রধান। তাদের ওপর সেই মন্ত্রণালয়ের সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ভর করে। মাত্র এক সপ্তাহে সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন, এমন নজিরও আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি। উদাহরণ হিসাবে প্রশাসনের ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা বাবুল মিয়ার ঘটনাটি উল্লেখ করা যায়।

তাকে ১৩ আগস্ট উপসচিব, ১৫ আগস্ট যুগ্ম সচিব ও ১৮ আগস্ট অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এ কর্মকর্তা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের ক্রেস্টে স্বর্ণ জালিয়াতির ঘটনায় শাস্তি পেয়েছিলেন। ‘তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন গোপনে চলছে’ শিরোনামে ২৪ তারিখে কালবেলাতে উঠে এসেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ এপিডি অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব ড. জিয়া উদ্দিন আহমেদের নাম, যার কক্ষ থেকে ৩ কোটি টাকার চেক উদ্ধার করে একটি গোয়েন্দা সংস্থা

। সঙ্গে চেকদাতার এনআইডির ফটোকপিসহ ডিসি নিয়োগসংশ্লিষ্ট কিছু কাগজপত্র এবং চিরকুটও উদ্ধার করা হয়। এত বড় একটা বিপ্লবের পর প্রশাসনে (সামরিক ও বেসামরিক) যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল, সেটি কি এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে?

৪. ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে ‘ওল্ড ওয়াইন ইন নিউ বটল।’ আমরা তো পুনরায় দেখতে পাচ্ছি স্বৈরাচার সরকারের প্রশাসন দিয়েই দেশ চালানো। আবার অপরদিকে ক্ষমতা লাভের পর আইন উপদেষ্টা প্রফেসর আসিফ নজরুল বলেছিলেন, কোনো ধরনের মব ভায়োলেন্স অথবা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তারা সহ্য করবেন না, এরকম ঘটনা ঘটলে তারা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেবেন। দ্য ডেইলি স্টারের মতে, গত ৩৮ দিনে ২১ জন মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, দুটি ঘটনায় মাত্র আটজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন।

পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। একইভাবে ক্ষমতার পালাবদলের কারণে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় প্রশাসনের অন্যান্য সেক্টরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে, ইতোমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি। তাই তারা তাদের দায়িত্বও যথাযথভাবে পালন করছেন না। আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি আইনশৃঙ্খলার নাজুক পরিস্থিতি। সেনাবাহিনীকে দুই মাসের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি এখন পর্যন্ত কোথায় দাঁড়িয়ে, তা ২৪ সেপ্টেম্বর লেফটেন্যান্ট তানজিমের দুর্বৃত্তদের হাতে নৃশংসভাবে হত্যা হওয়ার ঘটনা থেকেই পরিষ্কারভাবে উপলব্ধি করা যাচ্ছে।

৫. আর কতদিন আমাদের সাহসী ছেলেরা এ জাতির জন্য জীবন দিতে থাকবে? কী জবাব আছে? আমরা কি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো উত্তর পেতে পারি? বর্তমানে বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের এ মহাসংকটে সশস্ত্র বাহিনীকে আরাকান জঙ্গিদের মোকাবিলাসহ যে কোনো ধরনের সংকটের জন্যও সজাগ থাকতে হবে।

অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে লে. তানজিমের মর্মান্তিক মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত, এমন মৃত্যু সমগ্র সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষে মেনে নেওয়া, সহ্য করা কঠিন। তাই আমি মনে করি, জরুরি ভিত্তিতে ছাত্রদের মধ্য থেকে পুলিশ নিয়োগের দ্রুত ব্যবস্থা করা যেতে পারে এবং প্রশিক্ষকের ঘাটতি কমাতে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা প্রশিক্ষণ প্রদান করা যেতে পারে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী মেরিটাইম পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে পারে। আমার মনে হয়, পুলিশ হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছাত্ররা পুলিশের থেকে সামরিক ব্যক্তিদের দ্বারা প্রশিক্ষিত হতে বেশি পছন্দ করবে। যে কোনো মূল্যে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রয়োজন মেটাতে স্বল্প প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে পুলিশের শক্তি বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

৬. আমেরিকার যুদ্ধের সময় লে. জেনারেল জর্জ ওয়াশিংটন তার জয়ের চেয়ে অনেক বেশি যুদ্ধে হেরেছিলেন, তবুও তিনি সবসময়ে তার সৈন্যদের সংখ্যা দ্রুত সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেসামরিক লোকদের নিয়োগের মাধ্যমে পরিপূর্ণ রাখতে সচেষ্ট ছিলেন। লজিস্টিক সাপ্লাই ও ফান্ডের অভাবে তার ব্রিটিশদের মতো সাঁজোয়া যুদ্ধবহর ও সেনা ছিল না। ওয়াশিংটন বুঝতে পেরেছিলেন, শহরগুলোকে বাঁচানোর চেয়ে তার সেনাবাহিনীকে রক্ষা করা এবং বিপ্লবী চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দ্রুত নিয়োগের মাধ্যমে ব্রিটিশ ফিল্ড আর্মিদের মুখোমুখি হয়ে তিনি একটি যুদ্ধবাহিনী বজায় রেখেছিলেন। প্রায় আড়াই লাখ আমেরিকান সৈন্য নিয়মিত বা মিলিশিয়া হিসাবে বিপ্লবের কারণে যুদ্ধের সময় আট বছর ধরে কাজ করেছিল, কিন্তু কোনো সময়েই নব্বই হাজারের বেশি সৈন্য ছিল না।

তবে ১৭৭৮ সালের পর ওয়াশিংটনের সেনাবাহিনী একটি অধিকতর সুশৃঙ্খল ও কার্যকর বাহিনীতে রূপান্তরিত হয়েছিল, যার বেশিরভাগই সম্ভব হয় ব্যারন ভন স্টিউবেনের সামরিক প্রশিক্ষণের ফলে। এবং এ কারণে তারা স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রয়োজনীয় শক্তি ও মনোবল ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। আমরাও পুলিশে বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে এবং স্বল্পতার কারণে স্বল্পসময়ে পুলিশ প্রশিক্ষণে বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে এরকম নিয়োগের পদক্ষেপ নিতে পারি। আর কোনো লে. তানজিমকে যেন প্রাণ দিতে না হয় সেজন্য অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে এরকম কোনো ঘটনা ঘটানোর সাহস কোনো দুর্বৃত্ত না দেখাতে পারে।

সামরিক বাহিনীর একজন সাবেক কর্মকর্তা হিসাবে এবং সিভিল প্রশাসনে নিজের চাকরির অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থেকে মনে করছি, এ অবস্থায় বেসামরিক প্রশাসন এবং পুলিশিং কাজ সম্পাদন করা সামরিক কর্মীদের জন্য অনেক কঠিন হবে। এ মুহূর্তে যথেষ্ট সময় হাতে নেই আমাদের। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত অতি দ্রুত সময়ে প্রশাসনিক বিভাগ থেকে ফ্যাসিবাদী প্রশাসনকেও শুদ্ধ করা।

৭. অভিজ্ঞতার আলোকে সব থানার ওসিদের যাচাই-বাছাই করে তাৎক্ষণিক বদলির পাশাপাশি বেসামরিক প্রশাসনের বিভিন্ন ভূমিকায় দ্রুত সিদ্ধান্ত ও যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সামরিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা একটি বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ হবে বলে মনে করছি। যে কোনো কর্মসংস্থানে নেতৃত্ব হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা। Arconic-এর director of Continuous Improvement and Step Change ডেভ জনস্টন ভেটেরান্স নিয়োগ সম্পর্কে বলেছেন, ‘মিলিটারি তথা সশস্ত্র বাহিনী হলো একটি হ্যান্ডস-অন শেখার সংস্থা, যেখানে শেখা দক্ষতাগুলোকে কাজে লাগানো হয়। সুতরাং, আপনি যখন এরকম কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে নিয়োগ করেন, আপনি জানেন যে, আপনি অভিজ্ঞ কাউকে নিয়োগ করেছেন।’

বোয়িংয়ের এমপ্লয়ি লিসেনিং অ্যান্ড ট্যালেন্ট স্ট্র্যাটেজির সিনিয়র ম্যানেজার ক্রিটিন সাবো বলেছেন, ‘নেতৃত্ব এবং সততা, সামরিক প্রতিভার মধ্যে সাধারণ সমালোচনামূলক দক্ষতা, যা সশস্ত্র বাহিনীতে চাষ করা হয়। প্রমাণিত নেতৃত্ব, উদ্দেশ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতি, সৌহার্দ এবং নিঃস্বার্থতা, যা একজন ভেটেরান্স তার কর্মজীবনে প্রদর্শন করে তা অনেক মূল্যবান সম্পদ, যা যে কোনো নিয়োগকর্তাকে উপকৃত করে।’ যুক্তরাষ্ট্র ট্যালেন্ট ডেলিভারি প্রোগ্রামারের নির্বাহী পরিচালক জন ম্যাকগ্যারিটি বলেছেন, ‘সামরিক সদস্যরা দৈনন্দিন জীবনে নেতৃত্বের দক্ষতা ব্যবহার করে, তাদের নিজস্ব কর্মজীবন ছাড়াও তারা চাপযুক্ত জীবনের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।’ একজন সামরিক অভিজ্ঞ ব্যক্তি দক্ষতার সঙ্গে প্রথম দিনে অফিসে আসেন।

এ স্বল্পসময়ে সংকটময় মুহূর্তে আমাদের পক্ষে নতুন করে দক্ষ জনবল তৈরি করে বেসামরিক প্রশাসনে নিয়োগ দেওয়ার যথেষ্ট সময় নেই; কিন্তু আমাদের আছে যথেষ্ট পরিমাণে কঠোর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, সৎ, দক্ষ, অভিজ্ঞ, অভিযোজনযোগ্য, নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন অপেক্ষাকৃত কম বয়সি অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা। দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে আমরা এ মেধাগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে পারি।

প্রয়োজনে সরকার বিদেশ থেকেও স্বনামধন্য দক্ষ বাঙালিদের নিয়োগ করতে পারে। এ স্বল্প সময়ের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে দেশ এবং দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে দেশের উপকারে সামরিক সংস্থার বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদেরও অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত করা যেতে পারে, যাতে তারা ভবিষ্যৎ কর্ণধারদের যথোপযুক্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যোগ্য ব্যক্তিদের যোগ্য স্থানে নিযুক্ত করার মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের আশা ব্যক্ত করছি।

কমডোর জসীম উদ্দীন ভূইয়া (অব.) : সাবেক সহকারী নৌবাহিনী প্রধান; উপ-উপাচার্য, বিইউপি

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম