Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

শতফুল ফুটতে দাও

প্রধান উপদেষ্টার ব্যতিক্রমী ভাষণে উদ্দীপ্ত দেশবাসী

Icon

ড. মাহবুব উল্লাহ্

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রধান উপদেষ্টার ব্যতিক্রমী ভাষণে উদ্দীপ্ত দেশবাসী

ব্র্যাক সেন্টারে ২৩ আগস্ট পরলোকগত রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম সবুজের স্মরণসভায় অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। তিনি আমার পাশেই বসেছিলেন। আমি তাকে বললাম, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন পর্যন্ত জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেননি। প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের শপথ গ্রহণের পর দুই সপ্তাহ কেটে গেছে, এখন পর্যন্ত বহুল প্রত্যাশিত ভাষণটি না দেওয়ার ফলে মানুষজন অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। তারা জানতে উদ্গ্রীব মহান গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী করতে চায় বা কী করবে। এ সরকার গঠিত হওয়ার পর এক টিভি সাক্ষাৎকারে আমি বলেছিলাম, সরকারের উচিত হবে তার এজেন্ডা জনগণের কাছে স্পষ্ট করা। এর জন্য এক কিংবা দুই সপ্তাহ সময়ের প্রয়োজন হলে সরকার সেই সময় নিতে পারে। এ ব্যাপারে কেউ আপত্তি করবে না। তবে সরকারকে প্রথমেই বলে দিতে হবে, তারা তাদের এজেন্ডা সহসাই জনসমক্ষে তুলে ধরবে। ড. সালেহউদ্দিন আমাকে জানালেন, অচিরেই প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। একথা জানার পর কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হয়েছিলাম।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর ২৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে তার বহুল প্রতীক্ষিত ভাষণটি দিয়েছেন। ভাষণটি বেশ দীর্ঘ, কিন্তু অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। ড. ইউনূসের বাচনভঙ্গি ও লেখার স্টাইলের সঙ্গে আমার পরিচয় অনেক দিনের। আমার মনে হয়েছে, যে ভাষণটি তিনি দিয়েছেন তা কোনো স্পিচ রাইটারের লেখা নয়। এটা তার নিজেরই লেখা। দেশবাসীকে ‘আস্সালামু আলাইকুম’ বলে তিনি তার ভাষণটি শুরু করলেও ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বলে শুরু করেননি। আবার ‘জয় বাংলা’ কিংবা ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ বলে তার ভাষণ শেষ করেননি। এ ব্যাপারে তিনি অতীতের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানদের ঐতিহ্যই অনুসরণ করেছেন। বাংলাদেশে এসব বলা নিয়ে জাতি অনেকদিন থেকেই বিভক্ত। এ বিভক্তির পথ তিনি সযত্নে পরিহার করেছেন।

বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিভিন্ন শিরোনামে তার বক্তৃতাটি পত্রস্থ হয়েছে। দৈনিক বণিক বার্তা শিরোনাম দিয়েছে, ‘আমাদের লক্ষ্য উদার গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।’ এ মহৎ লক্ষ্য স্বল্প সময়ের মধ্যে অর্জন করা সম্ভব নয়। উদার গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়ে তুলতে হলে এগুলোর জন্য প্রয়োজন যথাযথ সামাজিক ভিত্তি। এ সামাজিক ভিত্তি স্বল্প সময়ের মধ্যে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন নিরন্তর ক্ষান্তিহীন প্রয়াস। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ব্যারিংটন মুর (জুনিয়র) বেশ ক’বছর আগে একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। গ্রন্থটির নাম, Social Origin of Dictatorship and Democracy. গ্রন্থটির নাম থেকেই বোঝা যায়, সমাজের ভিত থেকেই গণতন্ত্র কিংবা একনায়কত্বের উদ্ভব ঘটে। বাংলাদেশে গত প্রায় ১৬ বছরে শেখ হাসিনা যে নিষ্ঠুর একনায়কত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়েছিলেন, তার সামাজিক ভিত্তি এ দেশেই রয়েছে। অন্যদিকে তিনি পুলিশ, আমলাতন্ত্র, র‌্যাব, সামরিক বাহিনীর একাংশ এবং তার প্রশ্রয়ে ও সমর্থনে গড়ে ওঠা ৬-৭টি অলিগার্ক হাউজের যে বন্ধন জোট গড়ে তুলেছিলেন, সেই শক্তি তার একনায়কত্ববাদী শাসনকে দীর্ঘ সময়জুড়ে টিকে থাকতে প্রাণশক্তি জুগিয়েছে। এদেশের পুলিশ কেন ব্রিটেনের পুলিশের মতো হয় না। কিংবা আমলারা কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমলাদের মতো হয় না, তার নিশ্চয়ই একটা কারণ রয়েছে। এ কারণটি সমাজদেহের মধ্যেই খুঁজে দেখতে হবে। নিয়মকানুন পরিবর্তন করে এবং জবাবদিহির উপাদানযুক্ত করে আমলাতন্ত্র ও পুলিশের মতো সংস্থাগুলোকে কিছুটা হলেও গণমুখী করে তোলা সম্ভব। তবে এগুলোর পরিপূর্ণ গুণগত পরিবর্তন তখনই সম্ভব হবে, যখন সমাজদেহের মধ্যে অনীতি, অনাচার ও অন্যায়ের উপাদানগুলোকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা সম্ভব হবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন হবে একনিষ্ঠ প্রয়াস এবং পরিবর্তন সম্পূর্ণ করার মতো সময়। এ কাজটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সূচনা করে দিতে পারে এবং এর একটি রোডম্যাপও এঁকে দিতে পারে। কিন্তু পুরোপুরি তৈরি করে দিতে পারে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার বক্তব্য শুরু করেছেন। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়ে তিনি কিছু কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বন্যাদুর্গতদের জন্য তিনি বলেছেন, তাদের জীবন দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি একটি কথা বলেছেন, যার আন্তর্জাতিক তাৎপর্য রয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে সব ধরনের বন্যা প্রতিরোধে আমাদের অভ্যন্তরীণ ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে যাতে যৌথভাবে নেওয়া যায়, সে আলোচনা শুরু করেছি।’ তার উদ্যোগের প্রশংসা করতে হয় এবং তার সঙ্গে কিছু সাবধানবাণীও উচ্চারণ করতে হয়। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি ব্যবস্থাপনায় অতীতে আন্তরিকতা দেখায়নি এবং ভবিষ্যতেও যে দেখাবে না, সে ব্যাপারে দ্বিমতের খুব একটা সুযোগ নেই। তারপরও বিশ্বব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কথা তো বলতেই হবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস কথা দিয়েছেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে গণঅভ্যুত্থানে সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। সব আহত শিক্ষার্থী ও জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে। সে লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রতিনিধিত্বকারী দুজন উপদেষ্টার সহায়তায় একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। আমাদের ৭১-এর শহিদদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করার প্রয়াস কখনই নেওয়া হয়নি। এবার গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি সজীব থাকা অবস্থায় শহিদ ও আহতদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করার উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, সব আহত শিক্ষার্থী ও জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে। এ কার্যক্রমের জন্য এবং গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখতে সরকার অতি দ্রুত ‘জুলাই গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে এনেছে। এ প্রতিষ্ঠানের জন্য ড. ইউনূস সবার এবং বিদেশে অবস্থানরত ভাইবোনদের অনুদান পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের পদ গ্রহণ করেছেন। এমন একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের রাজনৈতিক তাৎপর্য হলো, আগামী বছরগুলোতে যখনই জুলাই-আগস্ট মাস আসবে, তখনই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যায়-অবিচার ও নির্মম অত্যাচারের স্মৃতিগুলো জেগে উঠবে। এমন পরিস্থিতি আওয়ামী লীগকে আত্মরক্ষামূলক অবস্থার দিকে ঠেলে দেবে। তবে ফাউন্ডেশন গঠনের উদ্যোগটি খুবই প্রশংসনীয়।

ড. ইউনূস তার ভাষণে বলেছেন, লাখ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে এবং লাখ লাখ মা-বোনের আত্মদানের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছিলাম, তা ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের হাতে ধ্বংস হয়ে গেছে। আপনারা দেখেছেন, আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তারা কীভাবে শেষ করেছে। দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে দুর্নীতি। এমন এক দেশে আমাদের দেশ রূপান্তরিত হয়েছে, যেখানে স্বৈরাচারের পিয়নও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার সম্পদ করার মতো অকল্পনীয় কাজ করে গেছে নির্বিবাদে। শিক্ষা খাতকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে, ব্যাংকিং ও শেয়ারবাজার খাতে লুটপাট, প্রকল্প ব্যয় বিশ্ব রেকর্ড, অবাধ সম্পদ পাচার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে নিজ দলের পুতুলে রূপান্তর, বাকস্বাধীনতা হরণ, মানবাধিকার হরণ, এ সবই হিমশৈলের অগ্রভাগ মাত্র। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে ফ্যাসিবাদী সরকার খর্ব করেছে জনগণের সাংবিধানিক ক্ষমতা ও অধিকার। দুঃশাসন, দুর্নীতি, অন্যায়-অবিচার-নিপীড়ন, বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে জনসুরক্ষা বিপন্ন করেছে। জনগণকে নির্যাতন, বঞ্চনা ও বৈষম্যের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নতুন প্রজন্মের মানুষসহ কোটি কোটি মানুষের ভোটাধিকারকে বছরের পর বছর হরণ করেছে। মানুষের এগিয়ে যাওয়ার পথে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে স্বৈরাচার তার নিজের, পরিবারের ও দলের কিছু মানুষের হাতে দেশের মালিকানা তুলে দিয়েছে। এভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস অত্যন্ত ঋজু, তীক্ষ্ণ ও সঠিকভাবে আমাদের State of Nation কী অবস্থায় আছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। দেশটা আসলে ধ্বংসের চূড়ান্ত প্রান্তে এসে পৌঁছেছে। ড্যারন এইসমোগলু ও জেমস এ. রবিনসন তাদের বহুল আলোচিত গ্রন্থ Why Nations Fail-এ লিখেছেন, একটি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেলে রাষ্ট্রটিই ধ্বংস হয়ে যায়। আবার অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানগত ঘাটতির ফলে দারিদ্র্য, অনুন্নয়ন ও নানা ধরনের সামাজিক অসংগতি বাসা বাঁধে। শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী, সর্বভূক ফ্যাসিস্ট সরকার গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে চূড়ান্তভাবে এমন একপর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল যে, রক্তাক্ত এবং ত্যাগের মন্ত্রে উদ্দীপ্ত বিশাল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একে যদি ঠেকিয়ে দেওয়া না হতো, তাহলে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি দেউলিয়া ও ব্যর্থ হয়ে পড়ত। ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার ভাষণে এ সংকটজনক প্রেক্ষাপটের আলোকে তিনি তাদের সরকারের সংস্কার প্রয়াসের কথা বলেছেন। এসব সংস্কারের সূচনা এখনই করতে হবে। এগুলোর মধ্যে বেশকিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো দীর্ঘমেয়াদি অব্যাহত সংস্কারের মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। দীর্ঘমেয়াদি ও মধ্যমেয়াদি সংস্কারগুলো নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকেই অব্যাহত রাখতে হবে। তারা যদি এগুলো না করে, তাহলে কারা করবে? বলতে হয়, নির্বাচিত সরকারগুলো সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা থেকে বিরত হলে তারা প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে অন্তত চারটি কথা আছে, যেগুলো অত্যন্ত মূল্যবান। প্রথমত, বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, যেন এদেশে জনগণই সত্যিকার অর্থে সব ক্ষমতার উৎস হয়। দ্বিতীয়ত, শুধু জিডিপি একটি দেশের উন্নয়নের মাপকাঠি হতে পারে না। তৃতীয়ত, যে অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তা যেমন একটি দুর্যোগপূর্ণ সময়, তেমনি এটি জাতির জীবনে মস্ত বড় সুযোগ। চতুর্থত, কখন নির্বাচন হবে, সেটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়।

তার অতি গুরুত্বপূর্ণ ৪ নম্বর কথাটি রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। নির্বাচনের যথার্থ সময়, দিন-কাল কীভাবে নির্ধারিত হবে, সে বিষয়টি Open ended থেকে গেছে। নির্বাচনের সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হলেও উপদেষ্টামণ্ডলীর জন্যও এটি একটি রাজনৈতিক বিষয়। এটি সবার জন্য রাজনৈতিক বিষয়। তবে এ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটি কী হতে পারে, তা এখন থেকে ভাবতে শুরু করা উচিত। তবে তার ভাষণে এ ব্যাপারে একটি ইঙ্গিত আছে, দেশবাসীকে অনুরোধ করব, একটা আলোচনা শুরু করতে আমরা সর্বনিম্ন কী কী কাজ সম্পূর্ণ করে যাব, কী কী কাজ মোটামুটি করে গেলে হবে। এ আলোচনার মাধ্যমে আমরা একটা দিকনির্দেশনা পেতে পারি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক আলোচনা থেকেই আসবে। আমি মনে করি, প্রধান উপদেষ্টা তার উপদেষ্টামণ্ডলীদের নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রতি ১৫ দিন অন্তর আলোচনায় বসতে পারেন। এ আলোচনায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি আলোচিত হতে পারে। এ পথেই সমাধান বেরিয়ে আসতে পারে।

ড. মাহবুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম