দেশপ্রেমের চশমা
অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুভ হোক
মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জাগ্রত শিক্ষার্থীসমাজ ও দেশপ্রেমিক জনতার অকুতোভয় আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ভয়াবহ, লজ্জাজনক ও নজিরবিহীন পতন হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলকে কেন্দ্র করে ভয়কে জয় করে শিক্ষার্থীসমাজ দেশপ্রেমিক জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন এগিয়ে নেয়।
পরবর্তীকালে নির্যাতন ও মৃত্যুকে পরোয়া না করে এ আন্দোলনকে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে রূপান্তরিত করে। পুলিশের গুলিকে তোয়াক্কা না করে আন্দোলন এগিয়ে নিতে প্রাণ বিসর্জনেও পরোয়া না করলে এক পর্যায়ে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী আন্দোলনকর্মীদের ওপর গুলি না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ফলে কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায়। উপায়ান্তর না পেয়ে এ ‘আয়রন লেডি’খ্যাত প্রধানমন্ত্রী গোপনে পদত্যাগ করে নিজ দলের পায়ে কুড়াল মেরে প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে যান। এ খবর প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রজনতা বিজয়োল্লাসে মেতে ওঠেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে দেশকে গণতান্ত্রিক লাইনে উঠাতে সে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিতে নোবেলজয়ী বাংলাদেশি, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাজি করাতে সমর্থ হন। প্রফেসর ইউনূস প্যারিস থেকে ৮ আগস্ট দেশে ফিরে ওইদিন রাতে হাসিনা সরকারের পছন্দকৃত রাষ্ট্রপতির কাছে বঙ্গভবনে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে অন্য উপদেষ্টাদের নিয়ে শপথ গ্রহণ করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণের ফলে দেশে চলমান শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান হয়। একদিকে ভেঙে পড়া অর্থনীতি, দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি, দুর্নীতিপ্রভাবিত ও দলীয়করণকৃত প্রশাসন, নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং দলীয় লেজুড়বৃত্তিনির্ভর রাজনীতির অশুভ প্রভাবে ধ্বংসের কার্নিশে উপনীত শিক্ষাব্যবস্থা নাগরিক সমাজকে হতাশায় নিমজ্জিত করে রেখেছিল। অন্যদিকে অপরিকল্পিত তথাকথিত উন্নয়নের নামে গণতন্ত্রকে হাসপাতালে এবং গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা হিসাবে বিবেচিত নির্বাচনকে গোরস্থানে পাঠিয়ে কর্তৃত্ববাদী হাসিনা সরকার নাগরিক সমাজের জীবন বিপন্ন করে তুলেছিল। এরপর আবার মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেটবাজি নিয়ন্ত্রণে সরকারের চরম ব্যর্থতায় নাগরিকজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল।
ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও অবৈধ আর্থিক লেনদেন যুবসমাজকে করেছিল চরম হতাশায় নিমজ্জিত। এমন দুঃসহ অবস্থায় বিলোপকৃত কোটাব্যবস্থা আবারও চালু করার উদ্যোগে শিক্ষার্থীসমাজ রোষে ফেটে পড়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ডাক দিয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামে। পোশাকধারী বাহিনীর গুলিতে শত শত শিক্ষার্থীর প্রাণ ঝরে পড়লে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা সরকারের পদত্যাগ তথা একদফার দাবিতে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সেনা মোতায়েন, কারফিউ উপেক্ষা করে সারা দেশে ছাত্রজনতার হাসিনাবিরোধী গণবিস্ফোরণ ছড়িয়ে পড়লে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে গোপনে প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে যান। ফলে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দুঃশাসনের অবসান হয়। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার হাল ধরলে মানুষ আবারও আশাবাদী হয়ে ওঠেন। তারা আবারও স্বপ্ন দেখতে চান। এ স্বপ্ন বিত্তশালী বা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন নয়। এ স্বপ্ন মামলা-হামলা থেকে বাঁচার স্বপ্ন। খুন-গুম, আয়নাঘর থেকে বাঁচার স্বপ্ন। নিরাপদে ঘুমানোর স্বপ্ন। দুবেলা ডাল-ভাত খাওয়ার স্বপ্ন। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করার স্বপ্ন। গণমাধ্যম ও বাকস্বাধীনতার স্বপ্ন। দেখার বিষয়, জনগণের এমন স্বপ্ন পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে নিরাপদ করে দেশকে কতটা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারে। টাকা পাচারকারী ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার অবৈধ অর্থ-সম্পদের মালিকদের আদৌ শাস্তি দিতে পারে কিনা।
নবগঠিত ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যারা যোগ দিয়েছেন, তাদের সবাই যোগ্য। এদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন নেই। এরা সবাই মিলে চেষ্টা করে যদি গ্রহণযোগ্য সময়ের মধ্যে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন, তাহলে ক্রমান্বয়ে মানুষ আবারও সম্মানজনকভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখা শুরু করবে। তবে এ সরকারকে প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ফেলতে হবে। বিচক্ষণতার সঙ্গে প্রশাসনিক রদবদল এবং নতুন নিয়োগ দিতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না, উৎখাত হয়ে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুচরদের সবাই দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে যায়নি। তাদের অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার, প্রশাসনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে এদের অবস্থান রয়েছে। এরা এ সরকারে শরিক হয়ে অথবা ভিন্ন কৌশলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করতে পারে।
বিদায়ি সরকার আমলে রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্ব পালন করা, গত বছর জুলাই থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী, অথবা বিতর্কিত নবম সংসদ নির্বাচনের সময়কার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ইভিএমের সূচনাকারী অধিকতর বিতর্কিত ড. হুদা নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তিত্বদের এ সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা কতটা মানানসই হয়েছে, তা নিয়ে ভাবার আছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালনের জন্য সামরিক ব্যক্তিত্ব পছন্দ করা অযৌক্তিক নয়। তবে হুদা কমিশনে দায়িত্ব পালনকারী কাউকে পছন্দ করার কারণ বোধগম্য নয়। দেশে তো আরও অসংখ্য কর্তব্যরত বা অবসরপ্রাপ্ত দেশপ্রেমিক সামরিক অফিসার রয়েছেন। যাদের নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই, এমন সম্মানিত ও যোগ্য ব্যক্তিত্বদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যুক্ত করা সমীচীন।
এ কথা সত্য, আলোচ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারটি ছাত্রজনতা, দেশবাসী ও সব রাজনৈতিক দল (বিদায়ি আওয়ামী লীগ বাদে) সমর্থিত একটি সর্বসম্মত, সময়ের চাহিদা পূরণকারী হিসাবে গঠিত হওয়ার পর আদালত কর্তৃক বৈধতাপ্রাপ্ত সরকার। এমন একটি পরিবর্তন জনমনে যেহেতু কাঙ্ক্ষিত ছিল, সে কারণে এ সর্বসম্মত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবার সমর্থন দিয়ে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা গণতান্ত্রিক ট্র্যাকে উঠাতে আন্তরিকভাবে সহায়তা করা উচিত। এ জন্যই সব রাজনৈতিক দল এ সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে এবং গ্রহণযোগ্য সময়ের মধ্যে পরিবেশ সৃষ্টি করে সংসদ নির্বাচন আয়োজনের তাগিদ দিয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও উচিত জনগণের আস্থাভাজন হওয়ার মতো কাজ করা। আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার পর প্রথমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের হত্যাকারী চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের কথা ভাবা উচিত। আহত ও নিহতদের তালিকা তৈরি করে তাদের সুচিকিৎসা ও দেখভালের ব্যবস্থা করা উচিত। পরবর্তীকালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত হবে সন্ত্রাস দমনে, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে, দ্রব্যমূল্যের সিন্ডিকেটবাজি রোধে, উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে একাডেমিক পরিবেশ নির্মাণে, নাগরিক সমাজের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে এবং সর্বোপরি নাগরিকদের রাষ্ট্রের মালিকানা তথা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করা। সে সঙ্গে গত সরকারের ১৫ বছরে যারা দুর্নীতি করে দেশ-বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছে, সেসব দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ, আমলা বা যেই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। তবে অযথা যেন কাউকে হয়রানি না করা হয়, সে দিকেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।
স্মর্তব্য, ২০০৭-এর ওয়ান-ইলেভেনের ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন সরকারের প্রায় দুই বছরের শাসনামলে অঘোষিত বিরাজনীতিকরণ ও ‘মাইনাস টু’ ফর্মুলা কার্যকর করার নামে ৪-৫টি সন্দেহভাজন দুর্নীতিবাজের তালিকা করে ওই তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের পাইকারি হারে গ্রেফতার করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ওইসব তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে রাজনীতিক ছিলেন প্রায় ৯৫ শতাংশ। তবে দুঃখের বিষয়, ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন সরকার তাদের একজনকেও শাস্তি দিয়ে যেতে পারেনি। ওই সরকারের পক্ষে ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করে ৩-৪ মাসের মধ্যে ছবিসংবলিত ভোটার তালিকা তৈরি করে স্বল্প সময়ে নির্বাচন দেওয়া সম্ভব হলেও তা না করে ভোটের সঙ্গে সম্পর্কহীন জাতীয় পরিচয়পত্র বানানোর ওসিলা ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় তাদের অবস্থান দীর্ঘায়িত করেছিল। ভিন্ন রাজনৈতিক খায়েশ থাকার কারণে জেনারেল মইন ওই সময় রাজধানীর পাঁচতারা হোটেলে সেমিনার আয়োজন করে গণতন্ত্রের সবক দিয়েছিলেন।
সংস্কারমূলক কাজ শুরু করার আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এসব বিষয় স্মরণে রাখতে হবে। যে কাজ তারা করতে পারবেন না, তেমন দীর্ঘমেয়াদি কাজের উদ্যোগ না নিয়ে তা গণনির্বাচিত সরকারের জন্য নির্দেশনা দিয়ে রেখে দেওয়াই ভালো হবে। ফখরুদ্দীন সরকার পুলিশকে জনবান্ধব করার লক্ষ্যে ‘পুলিশ সংস্কার অধ্যাদেশ’ তৈরি করলেও তা পাশ করে যেতে পারেনি। রাজনৈতিক নেতারা এ অধ্যাদেশ পাশ করবেন ওয়াদা করলেও পুলিশকে রাজনৈতিক বিরোধিতা দমনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করার জন্য ১৫ বছরেও সে অধ্যাদেশটি পাশ করেনি। এ কারণে এখনো বাংলাদেশ পুলিশ ব্রিটিশ আমলের আইন দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশকে জনবান্ধব করতে চাইলে ওই অধ্যাদেশটি যাচাই-বাছাই করে পাশ করার কথা ভাবতে পারে।
অনেক ছাত্রছাত্রী ও বন্ধুবান্ধব আমাকে নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর মূল্যায়নধর্মী প্রবন্ধ লিখতে বলায় আমি বিস্মিত হয়েছি। কারণ, আমি মনে করি, অকুতোভয় ছাত্র-জনতার জীবনদানের পর সুযোগ আসায় এ অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়েছে। এর সরকারপ্রধান হয়েছেন স্বদেশে মামলায় জর্জরিত, বিদেশে নন্দিত ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন একটি সরকারকে এর কাজ শুরু করার জন্য একটু সময় ও সহযোগিতা দেওয়া দরকার। এদেরকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত। গ্রহণযোগ্য সময়ের মধ্যে সংস্কারমূলক কাজ সম্পন্ন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সুশাসন ও গণতন্ত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে নাগরিক সমাজ ছাত্র-জনতার গণবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা এ সর্বসম্মত সরকারকে মাথায় করে রাখবে।
তবে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন সরকারের মতো ‘মুখে শেখ ফরিদ বগলে ইট’ নীতি বাস্তবায়নের মনোবাসনা থাকলে এ সরকারের মূল্যায়ন হবে ভিন্নভাবে। দেশপ্রেমিক নাগরিকদের উচিত হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখা, এ সরকার ভালো কাজ করলে তার প্রশংসা করা। আর অযৌক্তিক, অগণতান্ত্রিক বা অন্যায্য কাজ করলে অবশ্যই তার সমালোচনা করা। কয়েক মাসের মধ্যেই এ সরকারের পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য ক্রমান্বয়ে স্পষ্ট হবে। তখন এ সরকারের মূল্যায়ন করা যাবে। যাদের আত্মত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ এসেছে, সেসব শহিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শেষ করছি।
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
akhtermy@gmail.com