অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নতুন সরকারের দায়িত্ব অনেক
ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা ঘটে গেল। গত ১ জুলাই শিক্ষার্থীরা যখন কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু করে, তখন তা ছিল শান্তিপূর্ণ ও অহিংস। কিন্তু পরবর্তীকালে পরিস্থিতি অহিংস থাকেনি।
বিশেষ করে মধ্য জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি সহিংস রূপ ধারণ করে। একপর্যায়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, মেট্রোরেল, সড়ক ভবনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এটা স্পষ্ট, শিক্ষার্থীরা এসব হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল না।
তারা বলেছে, তারা কোনো রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা চালায়নি। যা হোক, আন্দোলন সহিংস রূপ ধারণ করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা তা কঠোর হাতে দমনের চেষ্টা করে। এতে অনেক তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যায়। কারও কারও মতে, মৃতের সংখ্যা তিন শতাধিক। তাদের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি। বেশকিছু শিশু-কিশোর নিহত হয়েছে।
আন্দোলনকালে এত বিপুলসংখ্যক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আর মৃতের কোনো আর্থিক মূল্যায়ন করা যায় না। যার সন্তান বা ভাই হারিয়েছে, একমাত্র তিনিই বোঝেন এ ক্ষতি কতটা ভয়াবহ ও অপূরণীয়। এদেশের ইতিহাসে আর কোনো আন্দোলনে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেনি। সেনাপ্রধান জাতির উদ্দেশে দেওয়া তার ভাষণে বলেছেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে।
সবাই চায় আন্দোলনের সময় যেসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। কোন পরিস্থিতিতে কেন হত্যার মতো ঘটনাগুলো ঘটেছে, তা অনুসন্ধান করে বের করা প্রয়োজন। এবারের শিক্ষার্থী আন্দোলন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের দিক থেকেও ছিল ব্যতিক্রম। সরকারি চাকরিতে কোটা সুবিধা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত তা একদফা দাবিতে পরিণত হয়। সেই দাবি ছিল প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সব মন্ত্রীর পদত্যাগ। শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন।
সম্প্রতি আমরা যে শিক্ষার্থী আন্দোলন প্রত্যক্ষ করলাম, তা নানা কারণেই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ আন্দোলন বেশ দীর্ঘস্থায়ী ছিল। ১ জুলাই আন্দোলন শুরু হয় এবং ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়। এরপর আন্দোলনকারীরা তাদের পছন্দমতো সরকার গঠনের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে ব্যাপক প্রাণহানি ছাড়াও দেশের অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, তা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। কারও কারও মতে, আন্দোলনের সময় দেশে উৎপাদন এবং অন্যান্য খাতে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তার পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এটা পূর্ণাঙ্গ হিসাব নয়।
সরকারিভাবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি। তবে ক্ষতির পরিমাণ যে ব্যাপক এতে কোনো সন্দেহ নেই। আন্দোলনের কারণে দেশের উৎপাদনব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়া ছাড়াও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এগুলো মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করতে বেশ কিছুটা সময় ও অর্থের প্রয়োজন হবে।
আন্দোলন চলাকালে পরিবহণ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকার কারণে পণ্য রপ্তানি কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে। রপ্তানিকারকরা বিদেশি বায়ারদের অর্ডার সঠিক সময়ে প্রেরণ করতে পারেননি। এ অবস্থায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্ডার বাতিল হয়ে যেতে পারে। আমদানি পণ্য খালাসকরণ এবং গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এতে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার কারণে স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পায়।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অর্থনীতিতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি একটি জটিল সমস্যায় পরিণত হয়েছে। গত প্রায় দুই বছর ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রবণতা মোকাবিলা করে চলেছে দেশ। বিদ্যমান মূল্যস্ফীতির গড় হার সাড়ে ৯ শতাংশ। কোনোভাবেই মূল্যস্ফীতিকে কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা যায়নি। চলতি অর্থবছরের জন্য বাস্তবায়নাধীন বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য যে মুদ্রানীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, সেখানেও মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রভাবে মূল্যস্ফীতি কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে। ফলে মূল্যস্ফীতি হ্রাসের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তা আবারও বিঘ্নিত হবে। জুলাই মাসের মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান পাওয়া গেলে বোঝা যাবে, তা কোন্ দিকে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংক খাদ্য মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় বাংলাদেশকে লাল তালিকাভুক্ত করেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, গত ১২ মাসের মধ্যে ৭ মাসই খাদ্য মূল্যস্ফীতি ডাবল ডিজিটের উপরে ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, যা এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। অর্থবছরের কোনো সময়েই মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের নিচে নামেনি। করোনা-উত্তর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। সে সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসি রেট বৃদ্ধিসহ নানা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তার অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে সমর্থ হয়।
বর্তমানে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ৩ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। এমনকি শ্রীলংকার মতো সমস্যাগ্রস্ত দেশও তাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে ২০২২ সালে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতির হার ৪৯ দশমিক ৭২ শতাংশ থেকে ২ দশমিক ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
শিক্ষার্থী আন্দোলনের প্রভাবে দেশে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, তাতে আগামীতে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এ মুহূর্তে সর্বাধিক বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে মূল্যস্ফীতি কীভাবে দ্রুত কমিয়ে আনা যায়, তার ব্যবস্থা করা। মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সাধারণ মানুষ বড়ই বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। আন্দোলনের কারণে পণ্য রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থায় পণ্য রপ্তানি কার্যক্রমে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা দূরীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে।
রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিরা যাতে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স দেশে প্রেরণ করে, সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রেরণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করছেন। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থনীতির একটি বড় সমস্যা হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের স্ফীতি ক্রমেই হ্রাস পাওয়া। গত এক বছরে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার কমেছে।
আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি মোতাবেক জুলাই শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৮ কোটি মার্কিন ডলার। এক বছর আগে এটি ছিল ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে হলে রপ্তানি আয় এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই।
সম্প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে নির্ধারণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে যেখানে প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ছিল ১১০ টাকা এখন তা ১১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধির ফলে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়েছে। আগামীতে ধীরে ধীরে ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করতে হবে।
আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবকাঠামোয় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো দ্রুত পুনঃনির্মাণ/সংস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে দ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমাদের দেশের বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ মোটেও উন্নত নয়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কোনো দেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সেই দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নেন, তারপরই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগে প্রকাশিত সর্বশেষ ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ সূচকে ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৬তম।
এমন বিনিয়োগ পরিবেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সাধারণত বিনিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করেন না। সম্প্রতি শিক্ষার্থী আন্দোলনের সময় যে সহিংসতা হয়েছে, তা আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে ভুল বার্তা দেবে। আগামীতে যে কোনো মূল্যে বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত ও আকর্ষণীয় করতে হবে। অন্যথায় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বিদেশি বিনিয়োগ আহরণ করা সম্ভব হবে না। চলতি অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৭ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।
দেশের ব্যাংক খাত নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে। নতুন সরকারের একটি বড় দায়িত্ব হবে ব্যাংক খাতের সমস্যা সমাধানে বাস্তবসম্মত উদ্যোগ গ্রহণ করা। এ খাত সংস্কারের জন্য প্রয়োজনে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠন করা যেতে পারে। বর্তমানে খেলাপি ঋণের হার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। খেলাপি ঋণের আধিক্যের কারণে অধিকাংশ ব্যাংকই বিনিয়োগযোগ্য তারল্য সংকটে পতিত হয়েছে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য যে কোনো মূল্যে খেলাপি ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যাংক খাত থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণের প্রবণতা রোধে পুঁজিবাজারকে আরও গতিশীল করতে হবে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে হবে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভ্যন্তরীণ সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির আরেকটি সমস্যা হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রাজস্ব আদায় না হওয়া। কোনো বছরই নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। রাজস্ব আদায় না হওয়ার কারণে সরকারকে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য স্থানীয় ও বিদেশি সূত্র থেকে ঋণ গ্রহণ করতে হচ্ছে। অতিমাত্রায় ঋণ গ্রহণ কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।
নতুন সরকারকে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে যেসব সমস্যা আছে, তা চিহ্নিত করে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। (অনুলিখন : এম এ খালেক)
ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম : অর্থনীতিবিদ ও বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা