Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

স্বদেশ ভাবনা

দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়িত হবে কি?

Icon

আবদুল লতিফ মন্ডল

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়িত হবে কি?

ফাইল ছবি

২০২১-২০৪১ মেয়াদকালীন বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় যে দুটি প্রধান ‘স্বপ্ন’ প্রাধান্য পেয়েছে, সেগুলোর একটি হলো-২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ, যেখানে বর্তমান মূল্যে মাথাপিছু আয় হবে সাড়ে ১২ হাজার মার্কিন ডলারেরও বেশি এবং যা হবে ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে পুরোপুরি সংগতিপূর্ণ। অন্যটি হলো-বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা, যেখানে দারিদ্র্য হবে সুদূর অতীতের ঘটনা। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০৪১ বাস্তবায়নে প্রথম হাতিয়ার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (জুলাই ২০২০-জুন ২০২৫)। প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে, তা বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা মেয়াদে দারিদ্র্যহার ১৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯-এর অভিঘাতে শিল্প ও সেবা খাতে উৎপাদনে নিুমুখী হারসহ কর্মসংস্থান ও মজুরি হ্রাস, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার প্রভাব, মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার মানে ধস, দেশে ডলারের অভাব, প্রায় দুবছর ধরে ৯ শতাংশের বেশি মূল্যস্ফীতির হার ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি যখন অনেকটা বিপর্যস্ত, তখন দারিদ্র্যহার হ্রাসে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কতটুকু, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, প্রেক্ষিত পরিকল্পনার একটি লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু জাতীয় আয় সাড়ে ১২ হাজার মার্কিন ডলারের বেশিতে উন্নীত করা। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের শেষ অর্থবছর চলছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ অনুযায়ী, ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২৫৯১, ২৭৯৩, ২৭৪৯ ও ২৭৮৪ মার্কিন ডলার। এতে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধি নেতিবাচক। আর সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয় পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় বেড়েছে মাত্র ৩৫ ডলার, যা শতাংশের আকারে দাঁড়ায় ১ দশমিক ২ শতাংশ। এ হারে বৃদ্ধি পেলে ২০৪১ সালে মাথাপিছু জাতীয় আয় সাড়ে ১২ হাজার মার্কিন ডলারে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর যে বিষয়টি লক্ষণীয় তা হলো, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপির আকার মার্কিন ডলারে দেখানো হয়নি, যদিও তা ইতঃপূর্বে স্থানীয় মুদ্রা টাকা এবং মার্কিন ডলারে দেখানোর নজির রয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪-এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চলতি বাজারমূল্যে জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৫০,৪৮,০২৭ কোটি টাকা, যা পূর্ববর্তী ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৪৪,৯০,৮৪১ কোটি টাকা থেকে ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। মার্কিন ডলারে জিডিপির আকার উল্লেখ করা হয়নি। অথচ ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় জিডিপির আকার স্থানীয় মুদ্রা টাকায় এবং মার্কিন ডলারে দেখানো হয়েছে। এ সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপির আকার ৪৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মানে ৩৬ শতাংশ অবনমন ধরে হিসাব করলে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মার্কিন ডলারে আমাদের জিডিপির আকার বেড়েছে, না কমেছে তা সহজে অনুমেয়। মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রা টাকার মানের ক্রমাগত অবমূল্যায়নের কারণে মার্কিন ডলারের মানদণ্ডে জিডিপির আকার না বাড়লে মাথাপিছু জিডিপি ও জাতীয় আয় বাড়বে কী করে?

সর্বশেষ জনশুমারি ২০২২ অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি। সরকারি হিসাবে প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লাখ জনসংখ্যা বৃদ্ধি বিবেচনায় নিলে বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১৭ কোটি ৩০ লাখে। এদিকে ২০২২ সালের হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার সার্ভে (হায়েস) ২০২২ অনুযায়ী, দেশে দারিদ্র্যের হার দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে। এর আগে অর্থমন্ত্রীর ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের একটানা এক যুগের বেশি শাসনামলের অর্জন নিয়ে একটি তালিকা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। দারিদ্র্যহার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসা নিয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান/সংস্থাগুলোর মধ্যে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংস্থা সিপিডি, পিপিআরসি, বিজিডির মতে, করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ শতাংশের উপরে। এক বছরের মধ্যে দারিদ্র্যের এ উচ্চহার অর্ধেকে নেমে আসা নিয়েই তাদের প্রশ্ন।

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার দারিদ্র্য নিরসন কৌশলের প্রধান প্রধান উপাদানের মধ্যে রয়েছে-এক. জিডিপিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হার অর্জন : অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় প্রক্ষেপিত গড় প্রবৃদ্ধি হার প্রতিবছর ৮ শতাংশ। এ প্রবৃদ্ধিহার অর্জনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। দুই. কোভিড-১৯-এর অভিঘাতে সৃষ্ট দারিদ্র্য থেকে ঘুরে দাঁড়ানোকে সর্বোচ্চ ও তাৎক্ষণিক অগ্রাধিকার প্রদান : এতে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো হলো কোভিড-১৯-এর কারণে বেকার হয়ে পড়াদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা; তাদের স্বল্প খরচের ঋণ সুবিধার মাধ্যমে কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা; সরকার ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের গতিশীল বাস্তবায়নে অনানুষ্ঠানিক খাতকে রক্ষা করা। তিন. প্রবৃদ্ধি ও কাঠামোগত পরিবর্তনের মাধ্যমে কর্মসৃজন : এ উপাদানে যেসব বিষয়ে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো হলো গ্রামাঞ্চলে অকৃষি খাতে কর্মসৃজনের মাধ্যমে দরিদ্র কৃষকের আয় বৃদ্ধি; ব্যাংক অর্থায়নে উত্তম অভিগম্যতা এবং প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, বাজারজাতকরণ এবং মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতকে শক্তিশালীকরণ। চার. দারিদ্র্যকেন্দ্রিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ শক্তিশালীকরণ : অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা মেয়াদে দারিদ্র্যকেন্দ্রিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ উন্নয়নের ওপর জোর এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে দরিদ্রদের অভিগম্যতার উন্নতিবিধানে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাঁচ. বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (বিডিপি) ২১০০-এর বাস্তবায়ন : একুশ শতকব্যাপী বাস্তবায়িতব্য বিডিপি-২১০০ একটি দীর্ঘমেয়াদি সমন্বিত ও সামষ্টিক পরিকল্পনা, যা জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে খাদ্য ও পানি নিরাপত্তা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা হলো বিডিপি-২১০০ বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ। ছয়. বৈদেশিক অভিবাসন থেকে কর্মসৃজন ও আয় উপার্জন ত্বরান্বিতকরণ : এ লক্ষ্য অর্জনে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-এক. বাংলাদেশ থেকে শ্রমশক্তি রপ্তানি করতে বর্তমান ও নতুন সম্ভাব্য শ্রম-ঘাটতি দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে সরকারি প্রচেষ্টাগুলোকে শক্তিশালী করা; দুই. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সম্ভাব্য অভিবাসীদের কর্মদক্ষক্ষতা বৃদ্ধি করা; তিন. অভিবাসনের খরচ কমানোর উপায় বের করা; চার. অভিবাসনের খরচ বহন করতে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে এককালীন ঋণের সুবিধা প্রদান করা; পাঁচ. ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে রেমিট্যান্সের বিনিময় হার হ্রাসকৃত বাজার হারের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক করা; ছয়. অভিবাসী কর্মীদের ভালো ব্যাংকিং সেবা প্রদান নিশ্চিত করা। সাত. সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন : দেশে দরিদ্র ও চরম দরিদ্ররা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে। তাই এক ধরনের স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচি পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে শুরুর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আট. জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের বাস্তবায়নকে শক্তিশালীকরণ : সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি দারিদ্র্য হ্রাসের একটি উপায় হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এ কর্মসূচিকে অধিকতর কার্যকর করতে জিডিপির অংশ বৃদ্ধি করা। নয়. উন্নয়নের আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসন : দেশে দারিদ্র্যের তীব্রতা যে জেলা ও উপজেলা ভিত্তিতে আলাদা, তা নিয়ে দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ নেই। কিছু কিছু দরিদ্র জেলা ও উপজেলা দীর্ঘমেয়াদে দারিদ্র্য ও বঞ্চনার শিকার। বিভিন্ন নীতি উন্নয়নমূলক কর্মসূচির মাধ্যমে উন্নয়নের আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায়ে জোর দেওয়া হয়েছে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়।

পাঁচ অর্থবছর মেয়াদি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার চার অর্থবছর শেষ হয়েছে। এ চার অর্থবছরে প্রক্ষেপিত গড় প্রবৃদ্ধি হার প্রতিবছর ৮ শতাংশ অর্জন সম্ভব হয়নি। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার শেষ অর্থবছরে (২০২৪-২৫) প্রস্তাবিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে বেকারত্বের হার হ্রাসের ওপর যে জোর দেওয়া হয়েছে, তার বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যে হারে কর্মসংস্থান বাড়ছে, তার চেয়ে বেশি হারে বাড়ছে সক্ষম শ্রমশক্তি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি না পাওয়ায় অনানুষ্ঠানিক খাতে বাড়ছে না কর্মসংস্থান। ব্যাংক ঋণে উচ্চ সুদহার এজন্য কিছুটা দায়ী।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি দারিদ্র্য হ্রাসের একটি উপায় হিসাবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হলেও দেশে এ কর্মসূচি দারিদ্র্য হ্রাসে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য বয়ে আনতে পারছে না। কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে-উপকারভোগীর তুলনায় অর্থ বরাদ্দের স্বল্পতা, উপকারভোগী নির্বাচনে অনিয়ম-দুর্নীতি এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব।

উন্নয়নে আঞ্চলিক ভারসাম্য আনার তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চল বা বিভাগ রংপুরে দারিদ্র্যের হার আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যান্য দরিদ্র অঞ্চল যেমন-রাজশাহী ও ময়মনসিংহের অবস্থারও কোনো উন্নতি নেই।

উপর্যুক্ত আলোচনার মাধ্যমে যা বলতে চাওয়া হয়েছে তা হলো, দারিদ্র্যহার হ্রাসে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের সম্ভাবনা নেই। আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দারিদ্র্যহার হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যুক্তিসংগত হবে।

আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক

latifm43@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম