প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর ও ভারসাম্যের কূটনীতি
ড. দেলোয়ার হোসেন
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছবি সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের দুই সপ্তাহের মধ্যেই চীন সফর করে এসেছেন। এ সফর বাংলাদেশের কূটনীতির ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ অঞ্চলের রাজনীতি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন সফর ব্যাপক তাৎপর্য বহন করে। এ দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে বিরাজ করছে ‘কৌশলগত অংশীদারত্বের’ সম্পর্ক, যা ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে সূচিত হয়েছিল।
এবারের সফরটি নিয়ে অনেক ধরনের বিশ্লেষণ হচ্ছে। বিশেষ করে এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ কী পেয়েছে, কী পায়নি-এসব প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ চলছে। তবে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কে যে কোনো সফরে দুই পক্ষেরই অর্জনের জায়গা থাকে। কিছু দৃশ্যমান অগ্রগতি থাকে; অন্যদিকে ভূরাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন লক্ষ করা যায়।
এ সফরেও আমরা লক্ষ করেছি চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। দুই দেশ অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে তাদের ‘কৌশলগত অংশীদারত্বের’ সম্পর্ককে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে। ‘বিস্তৃত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব’কে গুরুত্ব দিয়ে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় এ শীর্ষ বৈঠকে প্রত্যক্ষ করা যায়।
বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে এ সফরের বিশেষ অর্জন হিসাবে কয়েকটি বিষয় উঠে আসে। প্রথমত, বাংলাদেশ ও চীন ২১টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। দ্বিতীয়ত, সাতটি প্রকল্প ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করা হয়। তৃতীয়ত, বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ ঘোষণা স্বাক্ষর করে, যা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ২৭ দফা সংবলিত এ যৌথ ঘোষণাটি দু’দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ একটি রূপরেখা বলা যেতে পারে। চতুর্থত, চীন বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে এবং বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট এবং আর্থিক খাতে বিরাজমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য চীন অর্থনৈতিক সহায়তা করতে প্রস্তুত। এক্ষেত্রে চীন কয়েকভাবে সহায়তা করতে পারে। যেমন-অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ, স্বল্প সুদে ঋণ এবং বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ঋণ। ঘোষণা এসেছে, চীন বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দেবে। পঞ্চমত, চীনের বেসরকারি খাত থেকে বিনিয়োগের জন্য সফররত বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ১৬টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ বিষয়গুলোকে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে দৃশ্যমান অর্জন হিসাবে বিবেচনা করা যায়।
যৌথ ঘোষণাপত্র এবং সমঝোতা স্মারকগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ ও চীন অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক, কূটনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থগুলো বিবেচনা করেই সম্পর্কের গভীরতা ও পরিধি বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিয়েছে। এ সফরে বাংলাদেশ ও চীন দ্বিপাক্ষিক একটি ভবিষ্যৎমুখী ভাবনা উপস্থাপন করেছে, যার প্রতিফলন ঘটেছে যৌথ ঘোষণার মধ্যে।
এ যৌথ ঘোষণার ভেতরে সমঝোতা স্মারক কিংবা ঘোষণাপত্রের বিষয়গুলো যেমন আছে, পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও চীন আরও কোন কোন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে এবং তাদের সম্পর্ককে কিভাবে শক্তিশালী করবে সেই ইঙ্গিতও দৃশ্যমান। সার্বিকভাবে যৌথ ঘোষণার আলোকে এবং অন্যান্য অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি বিষয় সামনে অবতারণা করা যায়।
এ সফরের কূটনৈতিক অর্জনের জায়গা থেকে কয়েকটি বিষয় দৃশ্যমান। প্রথমত, বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতা চলমান রাখা এবং আরও নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, চীন বাংলাদেশকে ব্রিকস ও সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সদস্যপদ প্রাপ্তির ব্যাপারে সহায়তা করবে। তৃতীয়ত, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিষয়ে দু’দেশের অভিন্ন অবস্থান রয়েছে, যার প্রতিফলন এখানে দেখতে পাই।
বিশেষ করে দুই দেশ তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধার বিষয়টিতে বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে আসছে। দুই দেশ মৌলিক স্বার্থগুলোর ব্যাপারে পরস্পর সহযোগিতা করবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা, উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, এক্ষেত্রে ২০৪১-এর মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন সেটি পূরণ করা, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা এবং নিজস্ব উন্নয়ন মডেল অনুসরণ করাকে চীন দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় দেখা যায়, পরাশক্তি ও বিশ্ব শক্তিগুলো তাদের কূটনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপসহ এক ধরনের চাপ সৃষ্টির চেষ্টা ক্রমাগত বজায় রেখেছে। সেই জায়গা থেকে এ ঘোষণাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পাশাপাশি বাংলাদেশও তাইওয়ান ইস্যুতে ‘এক চীন নীতি’র প্রতি সমর্থন বজায় রাখবে।
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করলে নিঃসন্দেহে এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের কূটনীতির ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়টি সর্বাধিক তাৎপর্যপূর্ণ। এক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক কয়েকটি বিষয় আমাদের সামনে উঠে আসে। এর একটি হচ্ছে, এ সফরটি আঞ্চলিক রাজনীতিকে কিভাবে প্রভাবিত করবে, অর্থাৎ চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ঘনিষ্ঠতা তার প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ায় কিভাবে পরিলক্ষিত হবে।
এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ভারত এ সফরটিকে কিভাবে দেখছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এ সফরটিকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করছে। ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের যে সমীকরণ, সে জায়গা থেকে স্বাভাবিকভাবেই ভারত এ সফরের প্রতিটি ঘটনা পর্যবেক্ষণ করবে এবং এ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নিশ্চয়ই তাদের অবস্থান তারা মূল্যায়ন করবে। যে কোনো মূল্যায়নে বাংলাদেশের কূটনীতির ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
চীনের সঙ্গে যে কোনো দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের জায়গা থেকে ‘ঋণের ফাঁদে’র ঝুঁকির কথা বলা হয়। বাংলাদেশ বরাবরই দাবি করে আসছে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রকৃতি যে ধরনের, সেখানে ‘ঋণের ফাঁদে’র কোনো সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ঋণের সম্পর্ক রয়েছে।
সব দাতা দেশ বা সংস্থা থেকেই ঋণ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্ত থাকে। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ-দাতা কোনো দেশের ঋণ নিয়ে যেন কঠিন কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না হয়। তারপরও আমরা দেখতে পাই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে ঋণের নির্ভরশীলতার ব্যাপারে কথা বলা হয়ে থাকে।
গত দেড় দশকে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিঃসন্দেহে শক্তিশালী হয়েছে। তবে এটি যেন কোনো শক্তির জন্য যৌক্তিক কোনো উদ্বেগ তৈরি না করে, সে বিষয়টি নিশ্চয়ই বাংলাদেশের চিন্তার মধ্যে আছে। বাংলাদেশের কৌশলগত চিন্তার মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বিদ্যমান। বাংলাদেশ গত দেড় দশক ধরে বর্তমান ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতি অনুসরণ করে আসছে। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্রনীতির ভাবনার একটি মূল বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অন্য কোনো দেশের জন্য যেন হুমকি না হয়। এ কারণে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পরিবর্তনের যে কাজটি শুরু করেন, সেটি ছিল দেশটির নিরাপত্তার উদ্বেগগুলো দূর করা। বাংলাদেশ অত্যন্ত সাহস নিয়ে সেটি করেছে এবং এক্ষেত্রে এককভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
কাজেই স্বাভাবিকভাবেই চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে সে পর্যায়ে বিবেচনা করার সুযোগ নেই, যে পর্যায়ে গেলে অন্য কোনো দেশ উদ্বিগ্ন হতে পারে। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক নিয়ে অন্যান্য দেশের, বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বের যে উদ্বেগ আছে, তারা প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, সেক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিকে নিঃসন্দেহে কোনো প্রতিরক্ষা বা সামরিক জোট হিসাবে নয়, বরং অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহযোগিতার দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে।
চীনের সঙ্গে সহযোগিতার যে ক্ষেত্রগুলো উন্মোচিত হয়েছে, তা মূলত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশের যেহেতু একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, সেহেতু চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে স্বভাবতই বহির্বিশ্বের বিশেষ দৃষ্টি থাকে।
বাংলাদেশ বারবার প্রমাণ করেছে, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতির মূল বিষয় হচ্ছে-সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখা এবং শুধু বজায় রাখা নয়, পারস্পরিক সম্মান, শ্রদ্ধা, আস্থা ও উন্নয়নের পারস্পরিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া। বাংলাদেশ প্রমাণ করতে পেরেছে, সে বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে একটি ভারসাম্য তৈরি করতে পেরেছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। বাংলাদেশ কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে কখনোই আগ্রহ পোষণ করেনি। বাংলাদেশ তার চলমান কূটনীতির কাঠামোয় সেটি অনুসরণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরকালে সেদেশের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের কথা বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অংশগ্রহণ বৃদ্ধির কথা বলেছেন, বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতি ও ডিজিটাল অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের কথা বলেছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ একই ধরনের প্রত্যাশা ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গেও করে থাকে। বাংলাদেশের ভারসাম্য বজায় রাখার যে কূটনীতি, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখার যে কূটনীতি, সেই কূটনীতির আলোকেই এ সফরটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে এ সফর নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি কিংবা বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।
অনেকেই এ সফর থেকে আরও প্রাপ্তির কথা বলতে পারেন এবং তা খুবই স্বাভাবিক। যে কোনো সফরেই দু’পক্ষ থেকেই একটি প্রাপ্তির ধারণা থাকে; কিন্তু সেটি কখনোই কোনো নির্দিষ্ট আকারে প্রকাশ করার সুযোগ কম। কারণ কূটনৈতিক প্রাপ্তি অঙ্কের হিসাবে প্রকাশ করা যায় না। অর্থনৈতিক প্রাপ্তিও সবসময় অঙ্কের হিসাবে প্রকাশ করা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কূটনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির মূল চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন এই চীন সফরের মাধ্যমে। ভারতের ক্ষেত্রেও তিনি সেটি দেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো বৃহৎ শক্তির শীর্ষ বৈঠক নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি কিংবা কোনো বিভ্রান্তির সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে, বিশেষ করে গত এক মাসে প্রধানমন্ত্রীর ভারত ও চীন সফর এবং দুটি শীর্ষ বৈঠক সফলভাবে সম্পন্ন হওয়া দেশের কূটনীতির জন্য একটি বিশেষ অর্জন।
ড. দেলোয়ার হোসেন : অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়