সপ্তম আসমান থেকে মাটিতে নেমে আসুন
এ কে এম শাহনাওয়াজ
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশের সরকারি ও সরকারবিরোধী রাজনীতিকদের একটি সুবিধা আছে। তাদের অনেক বেফাঁস কথাবার্তা ও কাজকর্ম নিয়ে বেশিদিন সমালোচনা করার সুযোগ থাকে না। কারণ ঘটন-অঘটন এদেশে এত বেশি যে, একটি সংকটের রেশ না কাটতেই আরেকটি সংকট সামনে চলে আসে। তাই আগের ইস্যুটি মাটিচাপা পড়ে যায়। তবে কখনো কখনো ছাইচাপাও পড়ে। ফলে যে কোনো সময় আগুন উসকে উঠতে পারে।
বুয়েট সংকটটিও তেমন একটি। রমজানের মধ্যেই বেশ কদিন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, প্রশাসনের বক্তব্য, ছাত্রলীগের তৎপরতা, টিভি টকশোতে জ্ঞানী বিজ্ঞজনের কথা আর রাজনীতির ক্ষমতাবানদের বক্তব্য শুনে শুনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছিল। দেশের সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া-বিশেষ করে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক শিক্ষক-রাজনীতিমুক্ত শিক্ষক, কর্মচারী কারও বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে আসে না বলে এ ডামাডোলে তাদের মতামত জানা হলো না। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য প্রগতিশীল নেতা ফর্মুলায় আটকে থাকা গৎবাঁধা কথাই শোনালেন। ছাত্র রাজনীতি ক্যাম্পাসে না থাকলে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ মহাসংকটে পড়বে। ধর্মান্ধ-জঙ্গি দলগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। সংবিধানে সংগঠন করার অধিকার স্বীকৃত। তাই মহামান্য আদালতও বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বহাল রাখার পক্ষে ছাত্রলীগ নেতার রিট নিষ্পত্তি করেছেন। ফল হিসাবে দীর্ঘ বিরতির পর সদম্ভে বুয়েট ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ নেতাদের পদভারে মুখরিত।
সীমিত প্রয়াসে সাধারণের জয় সহজে হয় না। বুয়েটেও সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা আপাতত প্রতিহত হলো। আপাতত এজন্য বলছি ছাত্রলীগ নেতারা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের যেভাবে অভিভাবকসুলভ পরামর্শ দিচ্ছিলেন, তার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুটো দিকই আছে। ইতিবাচক হলে কোনো কথা নেই। নেতিবাচক হলে প্রবল শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। কারণ সব ক্যাম্পাসেই সবসময় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতারা শিক্ষার্থীদের সতীর্থ না হয়ে প্রভু হতে পছন্দ করে। বুয়েট ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশের আওতায় না থাকলেও পৃথিবীজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্টই হচ্ছে মুক্ত বিবেকের চর্চা কেন্দ্র। তাই এক ধরনের স্বায়ত্তশাসন চলমান থাকেই। ফলে এখান থেকে একটি স্বাধীন শক্তির উৎসারণ ঠেকানো মুশকিল।
সংবিধানে প্রকারান্তরে ছাত্র রাজনীতি করার অধিকার সংরক্ষিত আছে। এর পেছনে মহৎ উদ্দেশ্য ছিল। প্রায়োগিক ক্ষেত্রে এ অধিকারের অপব্যবহার হলে তা নিয়ে ব্যাখ্যার অবকাশ কি থাকবে না? এসব কথা কিন্তু ক্ষমতাবান কোনো পক্ষ থেকেই বলতে শুনলাম না। বিজ্ঞ নেতারা যেভাবে বক্তব্য রাখছিলেন, তাতে মনে হচ্ছে তাদের কাছে ক্যাম্পাসে শিক্ষা-গবেষণার পরিবেশ ভাবনা অপ্রধান বিষয়। প্রধান বিষয় হচ্ছে ছাত্র রাজনীতিকে তরতাজা করে তোলা। কিন্তু যে রাজনীতির বণিকরা ক্যাম্পাসে রাজনীতির পক্ষে সাফাই গাইছেন, সংবিধানের কথা বলছেন, তাদের কাছে প্রশ্ন, কোন ক্যাম্পাসে প্রকৃত অর্থে ছাত্র রাজনীতি রয়েছে? বিএনপি আমলে ছাত্রদলের দাপটে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসছাড়া হতো। অন্য দলগুলো থাকত কোণঠাসা। আওয়ামী লীগ আমলে ছাত্রদল ক্যাম্পাসছাড়া। অন্য দলগুলো এখনো কোণঠাসা। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে গেলে দেখা যাবে অনেক কক্ষ চিহ্নিত ‘পলিটিক্যাল রুম’ হিসাবে। সেখানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দাপটের সঙ্গে থাকেন। বাকি কক্ষ ‘সাধারণ’ শিক্ষার্থীদের কক্ষ। অর্থাৎ প্রচলিত ছাত্র রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাধারণ ও অসাধারণে ভাগ করে ফেলেছে। এ বাস্তবতায় বিএনপি আমলে ছাত্রদল আর আওয়ামী লীগ আমলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্র কল্যাণের দায়িত্ব নিয়ে কখনো সাধারণ ছাত্রদের পাশে বন্ধু হয়ে দাঁড়ায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তাদের ভূমিকা গৌণ। বরং শিক্ষার্থীদের ন্যায়ানুগ অধিকার রক্ষার দাবি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে, তখন প্রগতিশীল রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীরা এতে অংশ নিলেও যতই যৌক্তিক আন্দোলন হোক, আন্দোলনের বিপরীতে অবস্থান নেয় সরকারদলীয় ছাত্র নেতাকর্মীরা। তারা সরকারসমর্থিত উপাচার্যকে রক্ষা করতে আসুরিক দাপট নিয়ে দাঁড়ায়। ছাত্রের সাধারণ একাডেমিক সংশ্লিষ্টতা এদের মধ্যে তেমন দেখা যায় না। বিগত দুই দশকের ক্যাম্পাসগুলোর ছাত্র রাজনীতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কল্যাণে কী ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, তা নিয়ে কেউ গবেষণা করলে বড় ভয়ংকর ফল বেরিয়ে আসতে পারে।
বুয়েটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছিল। নিষিদ্ধ হয়েছিল সাধারণ ছাত্রদের প্রভু ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে নৃশংসভাবে আবরার খুন হওয়ার জেরে। একইভাবে এ দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে সরকারদলীয় ছাত্রদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অনেকটা নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব সত্য এড়িয়ে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা যখন বলেন আবরার হত্যার যথাযথ বিচার হয়েছে, তাহলে আবার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার স্লোগান কেন-তখন খুব হতাশ হতে হয়।
সংবিধান কাটাছেঁড়ার দরকার নেই। ক্যাম্পাসে ছাত্রদের রাজনীতি করার অধিকার বহাল থাকুক, সচেতন মানুষের তাতে আপত্তি থাকার কথা নয়; কিন্তু তা কি চলমান ধারায় বহাল থাকবে? প্রশ্ন তো এখানেই। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতি বন্ধের আওয়াজ তুলেছে, তা তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই তুলেছে। আমি নিশ্চিত ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগ ভয়ের রাজত্ব কায়েম না রাখলে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্ররা আজ একই দাবি তুলত। এর অর্থ এই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক চেতনা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা বর্তমান ধারার সরকারদলীয় ছাত্র রাজনীতির আসুরিক দাপট থেকে মুক্তি পেতে চায়। যে দাপট শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চাকে বারবার বাধাগ্রস্ত করছে। রাজনীতির চতুর নেতারা যুক্তি দিচ্ছেন ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে বুয়েটে ধর্মান্ধ গোপন দলগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। মানছি, সরব রাজনৈতিক পদচারণা থাকলে একটি প্রতিরোধের জায়গা তৈরি হতে পারে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, ধর্মান্ধ দলগুলোর ওপর চড়াও হতে ছাত্রলীগের পেশিশক্তিকে আহ্বান করতে হবে। ক্যাম্পাসে ধর্মান্ধ গোপন দলগুলোর উত্থান ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আর গোয়েন্দা তৎপরতা যথেষ্ট নয় কেন?
বুয়েট সূত্রে আওয়ামী লীগের নেতা, ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের অনেক বক্তব্য ইতোমধ্যে শুনেছে জাতি। তারা গৎবাঁধা কথাই বললেন, বঙ্গবন্ধুর গড়া ছাত্রলীগ, পঞ্চাশের দশক থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত নানা আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের গৌরবজনক ভূমিকার কথা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছেন তারা। এ ইতিহাস তো অম্লান। সে সময়ের ছাত্রলীগ আদর্শভিত্তিক রাজনীতি এগিয়ে নিয়েছিলেন। সে যুগে ছাত্রলীগ যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, ইতিহাস সে গৌরবের কথা স্বীকার করবে। কিন্তু প্রশ্ন থাকছে, তখনকার ছাত্রলীগ নেতারা কি ক্যাম্পাসে সতীর্থ শিক্ষার্থীদের প্রভু ছিলেন? ছাত্রনেতা হওয়ার সুবাদে বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হতেন? হল দখল, রুম দখলের জন্য সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতেন? নিয়োগ বাণিজ্য আর টেন্ডার বাণিজ্যে কি তাদের নাম উঠে আসত? হল দখল ও অবৈধ বাণিজ্য দখল নিয়ে নিজ দলের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটত? ক্যাম্পাস ও আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করত? সভাপতির দল আর সাধারণ সম্পাদকের দল বলে দুপক্ষ কি মুখোমুখি অবস্থান করে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত করত? লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে কি ছাত্রলীগের হল কমিটি-বিশ্ববিদ্যালয় কমিটিতে জায়গা নিতে হতো? ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসা, ছিনতাই ও ধর্ষণের মতো অপরাধে কি ছাত্রলীগের নাম উঠে আসত?
বুয়েটের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল। আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকে আন্দোলনকারীদের কঠিন সমালোচনা করতে ছাড়েননি। একবারও কি তারা বর্তমান ধারার ছাত্র রাজনীতির সমালোচনা করেছেন? বরং তারা পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তর দশকের ছাত্রলীগের সঙ্গে এখনকার ছাত্রলীগকে এক করে ফেলে সে সময়ের ত্যাগী নেতাদের অপমান করলেন।
আমাদের ভালো লাগত এবং আশার আলো দেখতাম, যদি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতারা জনগণের সামনে ঘোষণা দিতেন এখন থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ প্রভুর আচরণ না করে সব শিক্ষার্থীর বন্ধু হবে। হল দখল, টেন্ডার বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, কমিশনবাজি, নিয়োগ বাণিজ্যে ছাত্রলীগের নাম উঠে এলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভয় দিতেন, যাতে ছাত্রলীগের অবৈধ দাবি গ্রহণ না করা হয়। মহান নেতারা ঘোষণা করুন সাধারণ ছাত্ররা মিছিলে না এলে এবং প্রভু ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে কোনো ‘বেয়াদবি’ করলে হলের গেস্টরুমের নির্যাতন সেলে নিপীড়ন করা যাবে না। ছাত্রলীগের কর্মীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশে বিঘ্ন ঘটালে তদন্ত সাপেক্ষে সেসব কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে। নির্দেশ জারি করুন স্টাডি সার্কেলসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে ছাত্রলীগকে ভূমিকা রাখতে হবে। ছাত্রলীগ নেতারা রাজনৈতিক নেতা হওয়ার পাশাপাশি ছাত্রের বৈশিষ্ট্যও ধারণ করবে। ছাত্রলীগের হল ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠিত হবে নিয়মমাফিক। এর জন্য গোপন লেনদেনের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।
কিন্তু দুর্ভাগ্য, এসব গুরুতর বিষয় নিয়ে সামনে আসতে দেখলাম না কাউকে। নেতারা উন্মত্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শাসন করার বদলে জয়গান গাইতেই ব্যস্ত থাকেন। এসব দেখে ও শুনে মনে হয় আমাদের নেতারা সপ্তম আকাশের ওপরে থাকেন। ছাত্রলীগের এসব অপকাণ্ডের কোনো খবর রাখেন না। আমরা অনুরোধ করব আপনারা এবার অচলায়তন ভেঙে মাটিতে নেমে আসুন। দেখুন আসল বাস্তবতা। যে ছাত্র রাজনীতির জয়গান গাইছেন, অতীত গৌরবের কথা প্রচার করছেন, এর বর্তমান বাস্তবতা কী! আজ কেন সাধারণ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকদের বড় অংশ, আর অভিভাবকরা ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাইছেন। বুয়েটের আন্দোলনের সামনের সারির শিক্ষার্থীরা নাকি এখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি পাচ্ছেন। তাছাড়া আওয়ামী লীগ তো এখন আন্দোলনের মুখে জিততে বিরোধী পক্ষকে শিবির, হিজবুত তাহরির এসব নানা ট্যাগ দেওয়ার সংস্কৃতিও চালু করেছে। তাই আন্দোলনে যুক্ত হাজার হাজার বুয়েট শিক্ষার্থীকেও নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মী বানানো হয়েছে। অধুনা এ স্টাইলটি আওয়ামী লীগের কাছ থেকে বিএনপি নেতারাও শিখেছেন। দেখলাম তারা এখন আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারী দল বলছেন। আমরা মনে করি ‘আগামীর রাজনীতির ধারক-বাহক’ ছাত্রলীগের বর্তমান ধারার রাজনীতি পালটে না ফেলতে পারলে এক সময় জনরোষ ধেয়ে আসতে পারে। এ সত্যটি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা ভাবছেন কিনা আমরা জানি না।
শেষ পর্যন্ত বুয়েট ক্যাম্পাস রাজনীতিমুক্ত রাখার জন্য শেষ আশ্রয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়ে অনুরোধ রেখেছে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। জননেত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী ও বিচক্ষণ ব্যক্তি। বিশ্বাস করি তিনি অঙ্কের হিসাব ঠিক মেলাতে পারবেন।
ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
shahnawaz7b@gmail.com