বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা ও নৈতিকতার অবনমন
এ কে এম শাহনাওয়াজ
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতীকী ছবি
আমি দীর্ঘ প্রায় চার দশক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণায় যুক্ত রয়েছি। শিক্ষকতার জীবন শেষ করে এখন অবসরে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে। পুরো সময়টায়ই আমি পূর্ণকালীন শিক্ষক ছিলাম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাম্প্রতিককালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে নিবেদিত শিক্ষক, কোনো কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং সমাজের সচেতন মানুষ নানাভাবে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন। শিক্ষা ছাড়াও ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রী এমনকি শিক্ষকদের মধ্যে বিচিত্র ধরনের নৈতিক অবক্ষয়ের কথা শুনতে হচ্ছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আর সাধারণভাবে জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান সৃষ্টির তপোবন বলার আর অবকাশ নেই।
সমাজের মানুষ যারা ভেতরটা ভালোভাবে জানেন না তারা শিক্ষক হওয়ার কারণে বহুবার আমাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন; এখনো করেন। এ অসহায় মানুষদের একই প্রশ্ন-আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন হাল কী করে করলাম? কেন অন্ধকারমুক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?
অসহায়ভাবে তাদের দিকে তাকাই। কারও কারও কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে বলি, এ ধারার সংকটের স্রষ্টারা ক্ষমতার রাজনীতির দৌড়ে থাকেন। প্রশ্নগুলো দয়া করে তাদের করুন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সুস্থ-স্বাভাবিক রাখার রিমোট কন্ট্রোল আমাদের নয়, তাদের হাতে। বলতে গেলে আমরাও একরকম জিম্মি।
যখন দেশের অবকাঠামোগত ও অর্থনৈতিক উন্নতির কথা শুনে ও দেখে আনন্দ পাই, পরক্ষণেই আশঙ্কায় ধক করে ওঠে বুক। এ সরল কথাটি মাথায় চক্কর দেয় যে মেধাবী, দক্ষ ও সৎ মানবসম্পদ ছাড়া কোনো উন্নয়নই টেকসই হতে পারে না। তাহলে আমাদের শেষ গন্তব্য কোথায়?
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস রাজনীতি এখন কীট-দংশিত। ছাত্র ও শিক্ষক দুই বলয়ের রাজনীতিই অতীত ঔজ্জ্বল্য হারিয়েছে। আর এ নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রযোজক-পরিচালক উভয়েই ক্ষমতার রাজনীতিতে থাকা ক্ষমতাবানরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ধ্বংস হোক আর শিক্ষার মান অধোগতিতে যাক, তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। তাদের অধিকাংশের সন্তানদের বড় অংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে না, তাই দায়িত্ব নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক উন্নয়নের। কিন্তু খুব প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাঁচিয়ে রাখা। কারণ তারা জানেন বিশ্ববিদ্যালয় এমন এক জায়গা যেখানে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য পেশিশক্তির চাষ হয়। তাই সভ্য দেশগুলোর শিক্ষা দর্শনকে আমলে না এনে দেশের আনাচে-কানাচে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার সরকারি উদ্যোগ নেওয়ার পদক্ষেপ দেখতে পাই। এখন দেশে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে, সেগুলোর শিক্ষা ও গবেষণায় বিবর্ণ দশা বিরাজ করছে। যথার্থ গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও গবেষণা উপকরণের সিকিভাগও জোগান দিতে পারছে না রাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার সিদ্ধান্ত দেখে যৌক্তিক প্রশ্ন তো উত্থাপন করা হতেই পারে। প্রশ্ন হতে পারে, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হবে কারা? শিক্ষকতায় আসবেন কারা? অবকাঠামো, গবেষণাগার, শিক্ষা উপকরণ, মানসম্মত লাইব্রেরি-এগুলোর ব্যবস্থা করা কতটা সম্ভব। সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি হচ্ছে, এসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থান কোথায় হবে? পুরোনো বা প্রায় নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের উল্লেখযোগ্য অংশ বেকারত্বের বোঝা নিয়ে ঘুরছে পথে-ঘাটে।
আমার এক ছাত্র। এসএসসি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত যথেষ্ট ভালো ফলাফল করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার সব যোগ্যতাও ওর রয়েছে। কিন্তু বোকা ছেলেটি শুধু পড়াশোনাই করেছে-ছাত্ররাজনীতি করেনি। সরকারি দল করার লিস্টে ওর নাম নেই। শিক্ষক রাজনীতির ক্ষমতাবানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি। তাই পরিত্যাজ্য হয়েছে। ভাগ্য ভালো বৃত্তি পেয়ে তুরস্কে চলে যায় পিএইচডি করতে। চার বছর পর সাফল্যের সঙ্গে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে অতি সম্প্রতি দেশে ফিরেছে। আমার সঙ্গে দেখা করতে এলো দুদিন আগে। খুব অসহায় চেহারা। উত্তরবঙ্গের এক কৃষক পরিবারের ছেলে। দুবছর আগে ওর বড় ভাই হঠাৎ মারা গেছেন। এখন ভাইয়ের স্ত্রী ও সন্তান এবং মা-বাবার দায়িত্ব ওর ওপর। তাই বেকার ছাত্রটি দিশেহারা। বলল, স্যার একটি ছোটখাটো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও যদি খণ্ডকালীন শিক্ষক হতে পারতাম তবে কায়ক্লেশে হলেও সংসারকে টানা যেত। গবেষণায় আমি নিবেদিত থাকতে চেয়েছিলাম। সে ইচ্ছা হয়তো ছাড়তে হবে।
আমাদের এমন হতভাগ্য ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এখন নিতান্ত কম নয়। এ সংখ্যা কেবলই বড় হচ্ছে। তাই আশঙ্কার সঙ্গে ভাবতে হচ্ছে, দেশের উন্নয়নের বহিরাঙ্গ তো ঝলমলে কিন্তু ভেতরের রূপ যদি এমন ক্লিষ্ট হয় তবে কতক্ষণ এই সবুজ অঙ্গকে তাজা রাখা যাবে?
আমাদের মনে হয়, আনাচে-কানাচে বিশ্ববিদ্যালয় করার এ অদ্ভুত ইচ্ছার পেছনে হয়তো কারণ রয়েছে। সরকার রক্ষার পেশিশক্তি বানানোর কারখানা হতে পারে এগুলো। অবনত যেসব শিক্ষক দলের জন্য খাটাখাটনি করে তেমন পুরস্কার পাননি তাদেরও উপাচার্য, উপ-উপচার্য বানিয়ে প্রতিদান দেওয়া যাবে। পাশাপাশি এই একান্ত অনুগতদের দ্বারা পেশিশক্তি বানানোর কারখানাকেও করা যাবে বেগবান!
উন্নত বিশ্বের অধিকাংশ দেশে সাধারণ নাগরিকের সবাই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়তে আসে না। ইন্টারমিডিয়েট সমপর্যায়ের পাঠ শেষ করে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় ঠিক হয়ে যায় মেধা অনুযায়ী কে কোন ট্রেড কোর্স বা ডিপ্লোমা সম্পাদন করবে। ভবিষ্যতে যারা নানা গবেষণায় যুক্ত থাকবে তারাই চিন্তা করে উচ্চতর জ্ঞান অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে। উন্নত দেশ হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী তারা। তাই নিজ দেশের মেধাবীদের পাশাপাশি নানা দেশের মেধাবীদের জায়গা করে দেয়; বা বলা যায় আত্তীকরণ করে নেয়। এ কারণে নিজেদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক উন্নয়নে এসব মেধা কাজে লাগায়।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কনসেপ্ট আলাদা; বা বলা যায় সনাতন। স্নাতকোত্তর সার্টিফিকেট না থাকলে পড়াশোনাই বৃথা। এখন তো শুনি সাধারণ চাকরি পেতে কোথাও এমএ, এমএসএস বা এমএসসি সার্টিফিকেটের দরকার পড়ে। তাই বাস্তবতার কারণেই ঝাঁকে ঝাঁকে সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ভিড় জমায়। সমাজের গড়নও এমন যে, এমএ বা এ ধরনের সনদ না থাকলে বিয়ের বাজারেও মূল্য থাকছে না। এসব বাস্তবতায় শিক্ষা ও গবেষণার তীর্থকেন্দ্র হয়ে উঠতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমান পদ্ধতির শিক্ষাধারায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এর পেছনের ছাত্ররাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতির কুপ্রভাব ভয়ংকর ভূমিকা রাখছে। শুধু শিক্ষার অবনমন নয় এখন শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনেকের বিরুদ্ধে অনৈতিক আচরণের অভিযোগও উঠছে। এর মধ্যে চারিত্রিক ও আর্থিক অনৈতিক আচরণের অভিযোগ বেশি। এছাড়া কোনো কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রায়ই ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে শিক্ষার্থীদের ফলাফলে সমস্যা তৈরির অভিযোগ উঠছে। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার সুযোগে অনেক নীতিহীন শিক্ষক ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছেন। নিরপেক্ষ তদন্ত করলে দেখা যাবে অনৈতিক ছাত্র-শিক্ষকের বড় অংশের শক্তি রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা। এদের শাসন করবে কে?
স্বাধীনতার পর দুই দশক পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরিবেশের এতটা অবনতি হয়নি। শাসকগোষ্ঠী রাজনৈতিক ঘাঁটি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করার চিন্তা করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক ও মূল পরিচালক হচ্ছেন উপাচার্য মহোদয়। রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়, আগে ভিসি নিয়োগে বিবেচিত হতেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় পণ্ডিত অধ্যাপকরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নে সহকর্মীদের সহায়তা নিয়ে নিজ দূরদর্শী চিন্তার বাস্তবায়ন করতেন। তাই সে যুগে ভিসি মহোদয়দের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ উত্থাপিত হতো না। তেমন একটা শোনা যেত না আর্থিক দুর্নীতির কথাও।
এসব নীতিকথা এখন যেন গল্পের বিষয় হয়ে গেছে। বর্তমানে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য-এ ধরনের পদে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়োগ দেওয়া হয় রাজনৈতিক আনুগত্য বিচারে। উপাচার্যদের এখন আর পাণ্ডিত্যে সুপরিচিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্যরা অনেকেই মনে করেন তিনি পদ পেয়েছেন দলীয় ছাত্র ও শিক্ষক নেতাদের দৌড়ঝাঁপের কারণে। তাই অচিরেই তিনি এসব ছাত্র-শিক্ষকের বলয়ে বন্দি হয়ে যান। আর এসবের কুপ্রভাব তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। দুদিন পরপর একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন দানা বাঁধে; শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হয়। বেকায়দা দেখলে সরকার ভিসি পরিবর্তনে বাধ্য হয়। গণতন্ত্রের অপব্যবহার গণতন্ত্রহীনতার চেয়ে খারাপ। বঙ্গবন্ধু দূরদর্শী চিন্তা থেকে ১৯৭৩-এর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এ অধ্যাদেশের অধীনে চলছে সেখানেও অশান্তি কম নয়। অধ্যাদেশের গণতান্ত্রিক ধারার অপব্যবহার হচ্ছে সেখানে। নির্বাচন হয় ঠিকই কিন্তু ক্ষমতাসীন দল অধিকাংশ ক্ষেত্রে নানা পরিকল্পনায় সিনেটর নির্বাচনে নিজেদের পক্ষের বেশির ভাগ সিনেটর নির্বাচন করে। তাছাড়া সরকারি ও অন্যান্য কোটায় সিনেট সদস্য যুক্ত হন। এমন অবস্থায় সিনেটররা যখন ভিসি প্যানেল নির্বাচন করেন তখন সাধারণত সরকারপন্থিরাই নির্বাচিত হন।
একবার পেশাজীবী ইতিহাস সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক সেই সময়ের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। কথা প্রসঙ্গে একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে কথা উঠল। তিনি সরলভাবে বললেন, কী করা যাবে, আমরা কোনো কোনো সর্বজনমান্য পণ্ডিত অধ্যাপকদের ভিসির দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা রাজি হননি।
আত্মমর্যাদাসম্পন্ন একজন অধ্যাপক কেন রাজি হবেন? তিনি কি ছাত্রনেতাদের অনাচার চোখ বন্ধ করে হজম করবেন? ছাত্রনেতাদের হুকুম মানতে বাধ্য থাকবেন? টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করতে সরকারের সহযোগিতা পাবেন? নিজ দলের শিক্ষকদের অন্যায় আবদার মানতে বাধ্য হবেন? নিরপেক্ষভাবে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারবেন? ন্যায়ানুগভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সরকার উপাচার্যের পাশে থাকবে, এমন নিশ্চয়তা কোনো সরকারই এখন আর দিতে পারবে না। তাহলে কীসের আকর্ষণে একজন পণ্ডিত অধ্যাপক উপাচার্য হতে যাবেন?
প্রকৃতপক্ষে, বিশেষ করে ১৯৯০-এর পর থেকে রাজনৈতিক সরকারগুলো রাজনীতিকরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে। ক্যাম্পাস রাজনীতি চর্চা বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে যদি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বমহিমায় উজ্জ্বল দেখতে চাই, দেখতে চাই জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান সৃষ্টির প্রতিষ্ঠান হিসাবে, তাহলে বর্তমান ধারার শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতি বহাল রেখে তা সম্ভব নয়। মানতে হবে, উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি ছাড়া মোটা দাগে শিক্ষার এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর নৈতিক মান উন্নত করা কঠিন।
ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
shahnawaz7b@gmail.com