বাইফোকাল লেন্স
ডান্ডাবেড়ি কি সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে?
একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার আটক ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাজমুল মৃধাকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে তার মৃত পিতার জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাজির করানোর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। ১৫ জানুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ, ডান্ডাবেড়ি পরানোর ধারাবাহিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে আমরা হয়তো অসভ্য (Uncivilized) হিসাবে পরিচিত হব।’ আইনজীবী কায়সার কামাল সম্প্রতি ঢাকার জাতীয় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত ‘বাবার জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পায়ে ছাত্রদল নেতা’ শিরোনাম ও ছবিসংবলিত প্রতিবেদন নজরে আনলে হাইকোর্ট বেঞ্চ উপরিউক্ত মন্তব্য করেন। পুলিশ ছাত্রদল নেতা মো. নাজমুল মৃধাকে ২০ ডিসেম্বর এক বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার করে। আটক থাকাকালীন নাজমুলের বাবা মারা গেলে পুলিশ জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য ১৩ জানুয়ারি প্যারোলে মুক্তিপ্রাপ্ত নাজমুলকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাজির করে।
গ্রেফতার বিএনপি নেতাদের ডান্ডাবেড়ি পায়ে পিতা-মাতার মৃত্যুর পর জানাজা পড়ার এমন নিষ্ঠুর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। বেশ কয়েক বছর ধরেই বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে এ অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। এমনকি হৃদরোগে আক্রান্ত যুবদল নেতাকেও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপি মহাসমাবেশের পর যে অসংখ্য নেতাকর্মীকে গণহারে গ্রেফতার করা হয়েছে, এর মধ্যে যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও স্থানীয় কলেজশিক্ষক আমিনুর রহমান অন্যতম। কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। কারাগার থেকে শুরু করে ঢাকায় চিকিৎসাধীন পুরো সময় তার পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হয়। এমনকি খাওয়ার সময়ও হাতকড়া খুলে দেয়নি পুলিশ। এ অবস্থায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে তিনি ১৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। একই ঘটনা ঘটেছে মুগদা থানা শ্রমিক দল নেতা মো ফজলুর রহমান কাজলের সঙ্গে। ৩০ অক্টোবর তাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায়েই হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থাতেই তার চিকিৎসা চলেছে। কাজলের ছেলে সজল অভিযোগ করেন, চিকিৎসাকালীন বারংবার অনুরোধ করলেও তার বাবার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয়নি। কাজলের দুর্ভাগ্য সরকারের পরানো ডান্ডাবেড়ি নিয়েই তিনি মারা যান। মানুষ কত নিষ্ঠুর ও অসভ্য (আদালতের ভাষায়) হলে একজন অভিযুক্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পরও হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়া হয় না। সজলের অভিযোগ, শেষ পর্যন্ত কাজলের মৃতদেহ হিমঘরে নেওয়ার পর হাতুড়ি দিয়ে পায়ের ডান্ডাবেড়ি ভাঙা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচারের যে খড়্গ নেমে এসেছিল, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় কাজলের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার মধ্য দিয়ে তা পরিষ্কার হয়। জানা যায়, আটক অবস্থায় ৫ মাসে ৯ জন বিএনপি নেতাকর্মী মারা গেছেন। এর মধ্যে গত দুই মাসেই মারা গেছেন সাতজন। মারা যাওয়া এসব নেতা গ্রেফতারের আগে সুস্থ ছিলেন বলে তাদের পরিবারের দাবি। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে হিন্দি সিনেমার স্টাইলে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে না পেয়ে তাদের পিতা-পুত্র কিংবা পরিবারের অন্য সদস্যদের অন্যায়ভাবে ধরে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। মহাসমাবেশে সংঘর্ষের পর কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আশফাককে গ্রেফতার করতে গিয়ে তাকে না পেয়ে পুলিশ তার ছোট দুই ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গাড়ি ভাঙচুরের মামলা দেয়। অথচ আমিনুল ইসলামের দাবি, তার ছোট দুই ছেলের বিরুদ্ধে আগে কোনো মামলা ছিল না। তারা কখনোই রাজনীতিতে জড়িত ছিল না। তিনি আরও দাবি করেন, বাড়িতে তাকে না পেয়ে বাথরুম থেকে পানি এনে বাসার বিছানায় ঢেলে দেওয়া হয়েছে। যদিও পুলিশ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের বক্তব্য, তদন্ত করে আইন মেনেই সবকিছু করা হয়েছে। গত ৩১ অক্টোবর মিরপুরে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমানকে গ্রেফতার করতে গিয়ে না পেয়ে তার ভাই শহিদুল্লা মুসল্লিকে আটক করে নিয়ে যায়। একই ঘটনা ঘটে গুলশানে, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে। ইশরাক হোসেনকে না পেয়ে তার ছোট ভাই ও গাড়ির চালককে নিয়ে যায় পুলিশ। অবশ্য পুলিশের দাবি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামালার রায়ে সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রেও অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের আগে পাঁচ মাসে অন্তত ১১২টি মামলায় ১ হাজার ৭৩৫ জনের সাজা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের বেশির ভাগ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী। এর মধ্যে একদিনে ১২১ জনকে সাজা দেওয়ার ঘটনাও আছে। যাদের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহনে আগুন দেওয়া, ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি জীবিত না মৃত, সে বিষয়ও বিবেচনা করা হয়নি বলে খবর হয়েছে। চার বছর আগে মৃত্যু হয়েছে এমন ব্যক্তিকেও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। এছাড়া গুমের শিকার ব্যক্তিদেরও দণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে নিখোঁজ, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সুমন ও তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জাকির। জাকির ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। অথচ সে বছরের মে মাসে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় আদালত তাকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। কথিত আছে, নির্বাচনের আগেভাগে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের জেলে পাঠানোর জন্য রাতদিন বিরতিহীনভাবে এসব বিচারকার্য সম্পন্ন করা হয়েছে।
আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনগ্রন্থ হলো সংবিধান। সেই সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট ভাষায় বলা আছে, বিচার বা দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না অথবা কারও সঙ্গে কোনোরূপ নির্দয় আচরণ করা যাবে না। সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। আইনসম্মত নিরপেক্ষ আদালত কর্তৃক প্রকাশ্য বিচার ব্যতীত কাউকে কোনো ধরনের শাস্তি দেওয়া যাবে না। বিচারে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপরাধী বলা যাবে না।
কিন্তু আমাদের দেশে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপরাধী হিসাবে উপস্থাপন করা এক প্রকার সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ ব্যক্তি থেকে শুরু করে, ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন স্তরের রাজনৈতিক নেতা, আইনপ্রণেতা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এমনকি আইন প্রয়োগকারী সদস্যদের, বিচারের আগেই প্রকাশ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অপরাধী বলতে শোনা যায়। বিরোধীদলের নেতাকর্মী হলে তো কথাই নেই। অনেকের মুখের ভাষায় তখন ভদ্রতার লেশটুকুও থাকে না। বিগত কয়েকটি ঘটনায় দেখা গেছে, পুলিশ কেবল বিএনপি নেতাকর্মীদেরই ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে জনসম্মুখে হেয় করেছে। অন্যান্য আটক অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে এমন আচরণ করতে দেখা যায়নি। সাধারণত, একসঙ্গে ৩টি মামলায় অভিযুক্ত হলে তাকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে কেবল কোর্টে নেওয়া হয়। কিন্তু এ অবস্থায় আদালত কক্ষে হাজির করানো যাবে না বলে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত আছে। তবে এখানেও বৈষম্য আছে। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান কিংবা সাবেক নেতা, যাদের দলের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে, এমন ব্যক্তির তিন মামলা কেন, তারও অধিক মামলা থাকলেও অধিকাংশ সময়ে দেখা গেছে, তাদের সঙ্গে কুটুম্বের মতো আচরণ করা হয়। কুখ্যাত ক্যাসিনো সম্রাট, সাবেক যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের মামলা এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আলোড়ন সৃষ্টিকারী ক্যাসিনো মামলা, মাদক, অর্থ পাচার ও অস্ত্র আইনের মামলায় অভিযুক্ত সম্রাট প্রশাসনের তরফ থেকে, আটকের বেশির ভাগ সময় জামাই আদরেই কাটিয়েছেন। চিকিৎসার নামে দেশবিদেশে সব সুবিধাই ভোগ করেছেন। শুধু তাই নয়, তাকে স্থায়ী জামিন দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ডান্ডাবেড়ি পরানোর ক্ষেত্রে আইনে কী বলা আছে? জেলের ভেতর কেউ অপরাধ করলে তা নিষ্পত্তির নিয়ম জেল কোড ১৯ অধ্যায়ে উল্লেখ আছে। এ অধ্যায়ের ৭০৮ নম্বর বিধানে বলা হয়েছে, জেলের মধ্যে কেউ অপরাধ করলে জেল সুপারিনটেনডেন্ট ১১ ধরনের লঘু ও সমানসংখ্যক গুরুদণ্ড দিতে পারেন। গুরুদণ্ডের মধ্যে রয়েছে, কাউকে ৭ দিনের জন্য অন্যান্য বন্দি থেকে আলাদা করে পৃথক কোনো সেলে আটক রাখা, ৩০ দিনের জন্য ডান্ডাবেড়ি পরানো ইত্যাদি। তবে একই বিধানে আরও উল্লেখ আছে, বিচারধীন অভিযুক্ত বা রাজবন্দিদের এ ধরনের গুরুদণ্ড দেওয়া যায় না। কারণ এ বিধানটি কেবল আদালতে সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অতএব, বাংলাদেশের সংবিধান যেখানে মানুষের বিরুদ্ধে নির্মম ও নিষ্ঠুর ব্যবহারের বিপক্ষে, সেখানে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের মৃত মা-বাবার জানাজা কিংবা মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকা অভিযুক্তদের হাসপাতালে চিকিৎসাকালে হাতকড়া এবং ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রেখে যে আচরণ করা হয়, তা পৃথিবীর কোনো সভ্য সমাজে আছে? পৃথিবীর আর কোনো দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য তাদের দেশের নাগরিকদের সঙ্গে এমন অসভ্য আচরণ করে থাকেন? আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কি একবারও ভেবে দেখেন না, এসব করলে যারা খুশি হন, তাদের খুশি করতে গিয়ে, আদালতের ভাষায় আমরা আর কত অসভ্য হব!
পৃথিবীর এমন কোনো সভ্যতা খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে আইনের বিকাশ হয়নি। সভ্যতা বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে আইনেরও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। আধুনিক সমাজব্যবস্থার সঙ্গে সংগতি রেখে শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রেও আইন আধুনিক করা হয়েছে। পরিবর্তিত সমাজব্যবস্থার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে আইনের কার্যকারিতা কমে যায়। এজন্য প্রয়োজনে সে আইনকে সময়োপযোগী করে তোলা হয়। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, আমাদের দেশে ক্ষমতায় যারা থাকেন, তাদের স্বার্থহানি হতে পারে, এমন আইনের কোনো পরিবর্তন সহজেই হয় না। এমনকি উচ্চ আদালতের প্রচেষ্টা থাকলেও। প্রায় এক বছর আগে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে নীতিমালা করতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন। একই সঙ্গে ‘ডান্ডাবেড়ি পরানো’ কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। সুপ্রিমকোর্টের দুই আইনজীবীর করা একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের আইজি, আইজি প্রিজনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল। এক বছর পার হয়ে গেলেও এ ব্যাপারে এ লেখা যখন লিখছি, তখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতির খবর আমরা পাইনি। অথচ বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করেছি, ওই রুল জারির পরও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আরও বেশ কয়েকটি অমানবিক ঘটনার জন্ম দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনার পরও নীতিমালা করতে রুলে উল্লিখিত কমিটি গঠনের কোনো তথ্য নেই। আমরা আশা করি, এ বিষয়ে সরকার যথাশিগ্গির সিদ্ধান্ত নিয়ে, এমন অমানবিক অত্যাচার থেকে এ দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করবে।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা
গত সপ্তাহে অসাবধানতাবশত একেএম শামসুদ্দিনের কলামটির উপরে তার নাম ও লোগো ছাপা হয়নি। এজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
-বিভাগীয় সম্পাদক