Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

বাইফোকাল লেন্স

তুরস্ক কি ন্যাটো ত্যাগ করতে যাচ্ছে?

Icon

একেএম শামসুদ্দিন

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

তুরস্ক কি ন্যাটো ত্যাগ করতে যাচ্ছে?

বেশ কয়েক বছর ধরে ন্যাটোর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। বিশেষ করে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বেশকিছু ইস্যু নিয়ে ন্যাটোর সঙ্গে তুরস্কের টানাপোড়েন চলছে। ফলস্বরূপ, তুরস্ক ন্যাটো জোট ত্যাগ করতে পারে এমন কথাও শোনা গেছে। সম্প্রতি গাজায় ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যা নিয়ে একচোখা নীতি গ্রহণের জন্য ন্যাটো ও তুরস্কের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসে টান পড়েছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, ন্যাটোতে তুরস্কের থাকা উচিত কিনা এ প্রশ্নও উঠেছে। সম্প্রতি তুরস্কের রাজনৈতিক নেতাদের দেওয়া বক্তব্য তারই ইঙ্গিত দেয়। এ নিয়ে তুরস্কে ইতোমধ্যে ব্যাপক জনমতও তৈরি হয়েছে। প্রায় সত্তর বছর ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর যে অন্যায় আচরণ করে আসছে, যুক্তরাষ্ট্র তাকে একতরফাভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সামরিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা ছাড়াও ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অনেকদিন ধরেই ইসরাইলের প্রতি জনমত গঠনে যুক্তরাষ্ট্র মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। বিভিন্ন ইস্যুতে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরাইলিদের সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো জোটের দেশগুলোকে বাধ্যও করছে। শুধু তাই নয়, তারা তাদের সাম্রাজ্যবাদী সিদ্ধান্ত বিশ্বের অন্য দেশগুলোর ওপর চাপিয়েও দিচ্ছে।

ন্যাটো একটি সামরিক সহযোগিতার জোট। ইসরাইল ন্যাটো জোটভুক্ত দেশও নয়। অপরদিকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলছে, তা একটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু। অথচ ন্যাটোর নেতৃত্বের আসনে বসে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এ রাজনৈতিক ইস্যুতে ইসরাইলের পক্ষাবলম্বন করার জন্য ন্যাটো সদস্য দেশগুলোকে প্রভাবিত করছে। আগ্রাসন ও সম্প্রসারণবাদী ইসরাইলকে ন্যাটো দেশগুলো এমন অন্ধভাবে সমর্থন করায় এরদোগান ন্যাটোর তীব্র সমালোচনা করেছেন। পশ্চিমা শক্তির এ ক্রমাগত সুবিধাবাদী আচরণ তাকে খেপিয়ে তুলেছে। তাদের এ ধারাবাহিক অন্যায় আচরণের অংশীদার হতে চান না বলেই এরদোগান সম্ভবত ন্যাটো ত্যাগ করার কথা ভাবছেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইউরোপের দেশগুলো একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়িয়ে নিজেদের এত ক্ষতি করেছে যে, এককভাবে কোনো রাষ্ট্রের যুদ্ধ করার মতো শক্তি ও অবস্থা কোনোটাই ছিল না। ঠিক সে সময় ইউরোপে জয়ী সোভিয়েত ইউনিয়ন আগ্রাসী শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়। ইউরোপের অন্যান্য দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নকে তাদের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করে। এ হুমকি থেকে ইউরোপীয় দেশগুলো নিজেদের রক্ষার জন্য সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালে যাত্রা শুরু হয় ন্যাটোর। প্রাথমিক পর্যায়ে ইউরোপের ১০টি রাষ্ট্র এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা মিলে গঠন করে ন্যাটো। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সমন্বিত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। যদিও কাগজে-কলমে উদ্দেশ্য ছিল উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও কল্যাণ নিশ্চিত করে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে স্বাধীনতা, অভিন্ন ঐতিহ্য ও সভ্যতার রক্ষাকবচ হিসাবে কাজ করা। আসলে ন্যাটো একটি যৌথ নিরাপত্তাব্যবস্থা, যার মাধ্যমে এর স্বাধীন সদস্য রাষ্ট্রগুলো কোনো বহিরাগত পক্ষের আক্রমণের জবাবে পারস্পরিক প্রতিরক্ষার জন্য সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থাৎ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী ন্যাটো জোটভুক্ত যে কোনো দেশের ওপর হামলা হলে তা জোটভুক্ত সব দেশের ওপর হামলা বলেই গণ্য করা হবে এবং সব দেশই একে অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। কিন্তু ন্যাটো আর আগের ভূমিকায় নেই। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর ন্যাটো সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দেশগুলোকে নিজের সদস্য হিসাবে গণ্য করতে শুরু করে। এ সময় স্নায়ুযুদ্ধেরও অবসান হয়। তবে মস্কোর প্রতি তাদের সেই বৈরিতার অবসান হয়নি। ফলে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দেশগুলোকে সদস্যপদ দিয়ে ন্যাটো রাশিয়ার দিকে ক্রমেই অগ্রসর হয়েছে। পাশাপাশি ন্যাটো তাদের মূল ভূমিকার পরিবর্তন ঘটিয়ে এখন একটি হস্তক্ষেপকারী জোটে পরিণত হয়েছে। ফলে বসনিয়া ও কসোভোয় সার্বিয়ার বিরুদ্ধে বিমান হামলা, নৌ প্রতিরোধ এবং শান্তিরক্ষা বাহিনীর ভূমিকা পালন করে। এরই ধারাবাহিকতায় নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলার পর ন্যাটোর নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ইউরোপের বাইরে আফগানিস্তানে অভিযান পরিচালিত হয়।

এরদোগান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই কামাল আতাতুর্কের আধুনিক তুরস্কের অনেক মৌলিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২৩ সালে রিপাবলিকান গঠিত হওয়ার পর পশ্চিমাদেরই অনুসরণ করেছে তুরস্ক। এরদোগান ক্ষমতায় আসার পর পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটান। সে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র থেকে শুরু করে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কের আমূল পরিবর্তনেরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তুরস্ক এখন আর পুরোপুরি পশ্চিমা বা ন্যাটোনির্ভর নীতি অনুসরণ করছে না। মার্কিন প্রভাবের বাইরে গিয়ে নিজের অবস্থান সংহত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য হয়েও রাশিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি করছে। ফলে ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তুরস্কের সঙ্গে বাকি সদস্যদের সংঘাত বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো জোটভুক্তির পথে বাধা দেওয়া এবং ন্যাটোর বদলে রাশিয়া থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় করার ঘটনা তাদের সম্পর্কের মধ্যে অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে ন্যাটোর সদস্য করা নিয়েও তুরস্কের সঙ্গে ন্যাটো জোটভুক্ত অন্যান্য সদস্যের মতপার্থক্য দেখা দিয়েছিল। ন্যাটোর সব সদস্য ফিনল্যান্ড ও সুইডেনকে সামরিক জোটে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হলেও তুরস্কের লাগাতার আপত্তির কারণে সব আয়োজনই যেন ব্যর্থ হতে চলেছিল। যদিও পরে এরদোগান সে আপত্তি তুলে নিয়েছেন। এর মধ্যে সুইডেনের ওপর থেকে আপত্তি তুলে নেওয়ার পেছনে দুটি কারণ কাজ করেছে। এর একটি হলো, যুক্তরাষ্ট্র তুরস্কের কাছে নতুন ৪০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করবে, পুরোনো যুদ্ধবিমান সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ সরবরাহ করবে। এছাড়াও ৯০০টি এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৮০০টি বোমা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। অপর কারণটি হলো, কানাডা তুরস্কের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ওপর থেকে আপত্তি তুলে নিলেও এ নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের যে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে তা উল্লেখ না করলেও চলে। ন্যাটোর সম্মিলিত অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে সিরিয়া ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি সদস্য রাষ্ট্রগুলো ভালো চোখে দেখছে না। এক্ষেত্রে এরদোগান নিজ দেশের স্বার্থের কথাই সবচেয়ে আগে বিবেচনা করেছেন।

ন্যাটোর সদস্য হয়েও তুরস্ক রাশিয়ার কাছ থেকে কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে-এটা তুরস্কের ইউরোপীয় মিত্ররা মানতে পারছে না। তুরস্কের পক্ষে অবশ্য এসব অস্ত্র কেনার উলটো যুক্তিও আছে। বেশ আগে থেকেই তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চেষ্টা করে আসছিল। যুক্তরাষ্ট্র বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়েও বেশ কয়েক বছর ঝুলিয়ে রেখে শেষ পর্যন্ত না করে দেয়। কাজেই তুরস্ক বাধ্য হয়ে রাশিয়ার দ্বারস্থ হয়। তারা ২০১৭ সালেই রাশিয়া থেকে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ও বিভিন্ন ধরনের বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের চুক্তি করে। চুক্তির পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর পক্ষ থেকে রুশ অস্ত্র কেনা থেকে তুরস্ককে বিরত রাখার বহু চেষ্টা করা হলেও প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে টলানো যায়নি।

রাশিয়া থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় করায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনায় ইরান তুরস্কের মিত্র। কাজেই অনিবার্যভাবেই তুরস্কের রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকারী হওয়ার বিষয়টি ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন যুদ্ধ পরিকল্পনায় প্রভাব ফেলেছে। প্রশ্ন উঠেছে, তুরস্ক কি যুক্তরাষ্ট্র-ন্যাটো-ইসরাইল সমন্বিত বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে যাবে? এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া আর ন্যাটো থেকে বেরিয়ে যাওয়া একই কথা। তবে এ কথা ঠিক, ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের দীর্ঘকালের মৈত্রী ভাব এখন আর নেই। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র-তুরস্ক-ইসরাইল ত্রিপক্ষীয় মিতালি এখন আর কার্যকর নেই। যুক্তরাষ্ট্র বরং ইরান ও তুরস্ক যাতে সামরিক দিকে আরও উন্নতি ঘটাতে না পারে সেদিকেই খেয়াল রেখেছে বরাবর। যুক্তরাষ্ট্র এ দুটি দেশের সামরিক দিক নিয়ন্ত্রণে রাখার নীতি গ্রহণ করায় ইসরাইল আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। অবরুদ্ধ গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সমূলে উৎপাটনের জন্য ইসরাইল যে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান এর অবসান চান। তিনি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দাবি করে গাজায় দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনার পক্ষে দাঁড়ান। তিনি এ নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করে ইসরাইলকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র আখ্যা দেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের জন্য পৃথক রাষ্ট্র গড়ার দাবিও জানান। তিনি পশ্চিমা রাষ্ট্র, বিশেষ করে ন্যাটো জোটভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর নীরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হন। তারা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি হত্যার নিন্দা না করে বরং সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথা জোর গলায় বলে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের এ ভণ্ডামিপূর্ণ আচরণে ক্ষিপ্ত হয়েই ন্যাটো ত্যাগের কথা ভাবছেন এরদোগান।

ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বরাজনীতিতে যে পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে তা হলো, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক বোঝাপড়া। সঙ্গে যোগ হয়েছে ইরান। সম্প্রতি ইরান-সৌদি আরব সম্পর্কোন্নয়নও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। বিশ্বরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের একচ্ছত্র আধিপত্যও ধীরে ধীরে হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতে তুরস্কও যদি ন্যাটো ত্যাগ করে চীন-রাশিয়া ব্লকে ঝুঁকে পড়ে, তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রশ্ন হচ্ছে, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক যুক্তরাষ্ট্র কি তা চায়? তবে গাজায় ইসরাইলের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ইউরোপ-আমেরিকাব্যাপী সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের যে ঢেউ উঠেছে, তা অগ্রাহ্য করা যায় না। যুক্তরাষ্ট্র যদি এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেয় এবং ইসরাইলের ব্যাপারে এরদোগানের মনোভাবেরও যদি পরিবর্তন না ঘটে, তাহলে বিশ্বরাজনীতিতে যে কোনো পরিবর্তন ঘটতে পারে। তুরস্ক ন্যাটো ত্যাগ করলে ন্যাটোরই ক্ষতি হবে বেশি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের পর ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কেরই সবচেয়ে বড় সামরিক বাহিনী রয়েছে। তুরস্কের এ বিশাল বাহিনী ন্যাটোর সামরিক শক্তির অন্যতম স্তম্ভ। ন্যাটোর জন্য তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তুরস্ক সরে দাঁড়ালে ইউরোপের পূর্ব সীমান্তে ন্যাটোর প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও হুমকির মধ্যে পড়বে। এ বিষয়টিও যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের বিশেষ বিবেচনায় রাখতে হবে। তবে তুরস্ক আদৌ ন্যাটো ত্যাগ করবে কিনা, তা নির্ভর করছে ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মনোভাবের পরিবর্তনের ওপর। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে সে সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না!

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, কলাম লেখক

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম