Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

বাইফোকাল লেন্স

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আরও আত্মসংযমী হতে হবে

Icon

একেএম শামসুদ্দিন

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আরও আত্মসংযমী হতে হবে

এপিএস মামুন, এডিসি সানজিদা ও হারুন। ফাইল ছবি

৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে একটি ব্যক্তিগত ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে গেছে, তা সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং উদ্বেগজনকও বটে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যা নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা যে এতদূর গড়াতে পারে, তা চিন্তাও করা যায় না। যে সমস্যা ব্যক্তিগত পর্যায়ে অথবা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় মিটিয়ে ফেলা যেত, তা না করে জনসম্মুখে যেভাবে উন্মোচন করে দেওয়া হলো, তা ছিল অপ্রত্যাশিত। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রশাসনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তার যে স্বরূপ উন্মোচন হয়েছে, তা সত্যিই লজ্জাজনক। এ নিয়ে চারদিকে এখন যে তোলপাড় শুরু হয়েছে, তা কারোরই কাম্য ছিল না। তবে ঘটনার গভীরে চিন্তা করে একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়েছে, তা হলো, গত ১৪ বছরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে যে স্তরে নামিয়ে আনা হয়েছে, এ ঘটনার মধ্য দিয়ে যেন তারই নগ্ন প্রকাশ ঘটেছে। রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হতে হতে কিছু কিছু পুলিশ সদস্যের আচরণ এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে, যা কেবল পুলিশ সার্ভিসের জন্য বদনামই বয়ে এনেছে। বিসিএস ক্যাডারের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সবাই সরকারি কর্মকর্তা। এছাড়া রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের অত্যন্ত শক্তিধর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগ। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ও পুলিশের দুজন এডিসি। একটু খোলাসা করে যদি বলি, এরা সবাই সরকারি দলের সমর্থক। যদি তাই না হবেন, তাহলে সরকারের এত গুরুত্বপূর্ণ পদ ও পদবি পাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হতো না।

অবাক হয়ে লক্ষ করেছি, যে এডিসি হারুন এতদিন ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগকে পাশে নিয়ে সরকারবিরোধী মতাবলম্বীদের বেধড়ক পিটিয়েছেন, তাদের হাত-পা ভেঙে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন; এ একটি ঘটনায় সেই হারুনই আজ রাজাকার পরিবারের সদস্য (ছাত্রলীগ নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী) হয়ে গেলেন! ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর দাবি, এডিসি হারুনের পিতা-মাতা উভয়ই জামায়াত সমর্থক, নানা মৃত বাবর আলী সানা একজন মুসলিম লীগের নেতা ছিলেন। তাছাড়াও ছাত্রলীগের অন্য অনেকেই এখন বলছেন, হারুনের নানা ছিলেন চিহ্নিত রাজাকার। তাদের ভাষায়, হারুনের ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম ছাড়া তাদের নিকটাত্মীয়দের কেউই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগে হারুন কখনো ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। ছাত্রলীগের নেতারা এমন ভাষায় কথা বলেন যে, মনে হয় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা মানে একটি বিশেষ যোগ্যতা; আওয়ামী লীগের আদর্শের সদস্যরাই কেবল প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ ও পদবি পাওয়ার যোগ্য।

অনেকেই মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে বিরোধীদের কঠোর হস্তে দমন করতে সক্ষম এমন যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তাদেরই ঢাকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার যে কোনো সদস্যকে ঢাকায় বদলি করার আগে সরকারের ন্যূনতম তিনটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা সংস্থা বিভিন্ন স্তরে যথেষ্ট যত্ন সহকারে যাচাই-বাছাই করে থাকে। এ ছাড়া পুলিশের ভেরিফিকেশন তো আছেই। এ সংস্থাগুলোর ছাড়পত্র ছাড়া কোনো অবস্থাতেই একজন কর্মকর্তা ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পদ ও পদবি লাভ করতে পারেন না। এখানে রাজনৈতিক মতাদর্শের বিষয়টিও গুরুত্ব বহন করে। এ ব্যবস্থা শুধু আজকের নয়। যুগ যুগ এ ধারা অনুসরণ করে আসা হচ্ছে। এ কথা স্পষ্ট করেই বলা যায়, এডিসি হারুনও এসব শর্ত পূরণ করেই ঢাকার রমনার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ জোনের এডিসি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন। কাজেই একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতারা এখন যে কথাই বলুন না কেন, তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু তা বলাই বাহুল্য। তাছাড়া এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়, হারুন রমনা জোনের এডিসি হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে তার কর্মতৎপরতা ও কাঙ্ক্ষিত অ্যাকশনের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সন্তুষ্ট করেই এতদিন এ পদে বহাল ছিলেন।

এডিসি হারুন উচ্চ আদালত চত্বরে প্রবেশ করে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিভিন্ন আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারধর করা, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিরোধীদলীয় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে নির্দয়ভাবে লাঠিচার্জ করে, এমনকি প্রকাশ্য দিবালোকে নিজ সার্ভিসের কনস্টেবলকে চপেটাঘাত করার পর চারদিকে এত সমালোচনা হওয়া সত্ত্বেও যখন তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়নি, তার মানে, এটি ধরেই নেওয়া যায়, হারুনের এরূপ আচরণের পরও সরকার এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তার ওপর যথেষ্ট সন্তুষ্ট ছিল। তখন ছাত্রলীগের কোনো নেতাই হারুন ও তার পরিবারের রাজনৈতিক আনুগত্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেননি। এখন ছাত্রলীগের দুজন নেতাকে পেটানোর জন্য কর্তৃপক্ষ তার ওপর বেজায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে অদ্ভুত জবাব দিয়েছেন, তাতে সরকারের অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে। এডিসি হারুন সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, প্রতিবাদকারী, এমনকি সহকর্মীদের গায়ে হাত তুলেছেন। এখন পর্যন্ত তাকে কোনো ধরনের বিচারের সম্মুখীন হতে হয়নি বলে গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এ ঘটনাটি প্রথম ‘উল্লেখযোগ্যভাবে’ এসেছে। আমরা এটা দেখে নিই, অবশ্যই তিনি যতখানি অন্যায় করেছেন, ততখানি শাস্তি পাবেন।’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলে কী বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। তিনি কি কেবল ছাত্রলীগ নেতাদের পেটানোর কথা বুঝিয়েছেন, নাকি হারুন ইতঃপূর্বেও যেসব অন্যায়-আচরণ করেছেন তার কথাও বুঝিয়েছেন। আশ্চর্য লাগে এ কথা ভেবে, ইতঃপূর্বে হারুন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে এত যে সমালোচিত হয়েছেন, সেসব ঘটনা সরকারের কাছে মন্ত্রী মহোদয়ের ভাষায় ‘উল্লেখযোগ্যভাবে’ পৌঁছেনি। কেবল ছাত্রলীগের নেতাদের গায়ে হাত তোলায় তাদের কাছে ‘উল্লেখযোগ্য’ মনে হয়েছে!

অপরদিকে রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক মামুন তার পরিবারের একান্ত গোপনীয় বিষয় এভাবে জনসম্মুখে এনে অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছেন। সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে তিনি কীভাবে পেশিশক্তির ওপর নির্ভর করতে গেলেন, তা অবাক করে বৈকি। আগেই উল্লেখ করেছি, ক্ষমতাসীন দলের আদর্শবাদী ও আশীর্বাদপ্রাপ্তরাই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে পারেন। সেই ধারায় আজিজুল হক মামুন ছাত্রলীগের রাজনীতি করেই বর্তমান পদে আসেন। সরকারের এমন একটি স্পর্শকাতর পদে বসেও তিনি অতীত রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে বরাবরই যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিলেন। ভালো হতো, সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে তিনি যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেই তার এ পারিবারিক সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে নিতেন। কিন্তু তিনি সেই পথে হাঁটেননি।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডিবিপ্রধান ডিআইজি হারুন কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, যা প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ইচ্ছা করলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারতেন অথবা তারও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ছিল তাদের অবহিত করতে পারতেন। কিন্তু উনি তা না করে হাসপাতালের ভেতরে অসুস্থ মানুষের সামনে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ধাওয়া করেন। তার চশমা ভেঙে ফেলেন, তার ওপর আঘাত করেন। এপিএস আজিজই প্রথম হারুনের ওপর হামলা করেন। এটা সঠিক করেছেন কি না তা আমি জানি না, তবে এর তদন্ত হওয়া উচিত।’ এ বিষয়ে আইনে কী আছে? কোনো সরকারি কর্মচারী যদি অন্য কর্মচারীকে আঘাত করেন, তা স্পষ্টই অসদাচরণ। অপরদিকে আজিজুল হকের স্ত্রী এডিসি সানজিদার সঙ্গে এডিসি হারুনের সম্পর্কের যে বিষয় গণমাধ্যমে এসেছে, সে বিষয়টিও অনাকাঙ্ক্ষিত ও স্পর্শকাতর। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো অসদাচরণ তো বটেই, সঙ্গে বাংলাদেশের আইনে ফৌজদারি অপরাধ। সুতরাং, আজিজ ও হারুনের ঘটনা সম্পর্কে গণমাধ্যমে যে সংবাদ আসছে, তাতে অসদাচরণ ও ফৌজদারি অপরাধের উপাদানগুলো দেখা যাচ্ছে। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮তে অসদাচরণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘অসদাচরণ অর্থ অসংগত বা চাকরি শৃঙ্খলার জন্য হানিকর আচরণ, অথবা সরকারি কর্মচারীদের আচরণ-সংক্রান্ত বিদ্যমান বিধিমালার কোনো বিধানের পরিপন্থি কোনো কার্য, অথবা কোনো সরকারি কর্মচারীর পক্ষে শিষ্টাচারবহির্ভূত কোনো আচরণ।’ অপরাধের গুরুত্ব বুঝে লঘুদণ্ড হলে তিরস্কার, বেতন বৃদ্ধি অথবা পদোন্নতি স্থগিত হতে পারে। গুরুদণ্ডে বলা আছে, নিম্নপদ বা বেতনের নিম্ন ধাপে নামিয়ে দেওয়া, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ ও বরখাস্ত করা।

এ ঘটনা নিয়ে সরকারও সম্ভবত বিব্রত। জাতীয় নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি ক্যাডার কর্মকর্তার মধ্যে সংঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের ভেতর কোনো পক্ষই যাতে অসন্তুষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সরকার সতর্ক। যদিও সরকারের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদেই পরীক্ষিত কর্মকর্তারাই আছেন, তারপরও এমন কোনো সুযোগ কাউকেই দেওয়া যাবে না, যা সরকারের বিরুদ্ধে যায়। সরকার বিভিন্ন উপায়ে যেমন: ব্রিফিং, মোটিভেশন, ইনসেন্টিভ দিয়ে, বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে যত চেষ্টাই করছে না কেন, সরকারি কর্মকর্তারা এতই এক্সাইটেড যে, নিজেদের সংযত রাখতে পারছেন না। ফলে নির্বাচন সামনে রেখে সরকার যে পরিকল্পনা করেছে, তা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। কিছু কিছু সরকারি কর্মকর্তার অতি উৎসাহী আচরণ ক্ষমতাসীন দলের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের দলীয় নেতাদের মতো আচরণ এর মধ্যে অন্যতম। কুমিল্লার লাঙ্গলকোট ও জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসির পর, সর্বশেষ জামালপুরের ডিসি মো. ইমরান আহমেদের ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় নির্বাচিত করা আমাদের প্রত্যেকের অঙ্গীকার’ বলে বক্তব্য দেওয়া ইত্যাদি নিয়ে এমনিতেই সরকার বিব্রতকর অবস্থায় আছে। যদিও সরকার এসব বক্তৃতাদাতাদের অন্যত্র বদলি করেছে, তাতে শেষ রক্ষা বুঝি হয় না। দুষ্টু লোকেরা বলেন, এভাবে আর কতজনকে বদলি করা হবে। প্রতিটি জেলা-উপজেলায় সরকার তাদের লোকদেরই বসিয়েছেন। নির্বাচন সামনে রেখে কিছুদিন আগেই সরকার পুলিশ ও প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মকর্তাদের যে ব্যাপক রদবদল ঘটিয়েছে, তাতে এমন দু-একজনকে অন্যত্র বদলি করলেও সরকারের ইমেজের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হবে না।

মূল ঘটনায় ফিরে আসা যাক। এপিএস আজিজ ও এডিসি হারুনের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনা হয়তো এতদূর গড়াত না, যদি ছাত্রলীগের নেতাদের সম্পৃক্ত করা না হতো। এখানে আমার এক লেখক ও গবেষক বন্ধুর একটি উক্তি জুড়ে দিতে চাই। ‘ঘটনাটা কত বড়, কত জটিল, কত শালীন বা অশালীন এসব বিচারে না গিয়ে আমরা যদি এর সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পর্কটা দেখি, তাহলে বোঝা যাবে তারা সরকারি কর্মকর্তাদের চেয়েও কত ক্ষমতা রাখেন। রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক বিসিএস কর্মকর্তা হয়েও একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ধমক দিতে, মারধর করতে অথবা হুমকি দিতে হাসপাতালের মতো জায়গায় নিয়ে গেলেন ছাত্রলীগ নেতাদের!’ একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে আজিজুল হকের এটি করা মোটেও ঠিক হয়নি। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বোঝা উচিত, এমন কোনো আচরণ করা যাবে না, যা তাদের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য বদনাম বয়ে আনে। তাদের ব্যক্তিগত ও কর্মজীবন, উভয় ক্ষেত্রেই আরও বেশি সংযমী হতে হবে।

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম