জাত নিমের পাতা
বিভক্তির কংক্রিটের দেওয়ালটি ভাঙা যাবে কীভাবে?
মাহবুব কামাল
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আমরা যে দেশটায় বসবাস করছি, সেটা ভবিষ্যদ্বাণী-অযোগ্য (unpredictable) এক জনপদ। খামখেয়ালিতে ভরা এ জনপদের ভবিষ্যতের যাত্রাপথটি অতিশয় বঙ্কিম, সরলরেখার পথ চেনে না সে।
একটি দেশের পক্ষে জ্যামিতির সরলরেখায় পথচলা সম্ভব নয় বোঝা গেল; কিন্তু এই পথ এতটা বক্র হয় কী করে? একটা সমাজ এতটা অস্থির, এতটা নাজুক, আবার এত বেপরোয়া হতে পারে-ভাবা যায় না। গোছানো সংসার তছনছ হয়ে যায় এখানে, কখনো আবার গুছিয়ে নেওয়ার সময়টুকুও পাওয়া যায় না।
কী কাণ্ড দেখুন, স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ আমরা পেয়েছিলাম ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি, যেদিন বঙ্গবন্ধু ফিরে এসেছিলেন পাকিস্তানি কারাগার থেকে। সেদিনের সেই পড়ন্ত বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের লাখো মানুষের মধ্যে একজনও কি ভেবেছিলেন বক্তৃতারত নবরাষ্ট্রটির এই স্থপতি, আমাদের প্রাণের মানুষটিকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় করা হবে হত্যা?
উত্তেজিত অবস্থার ভাবনা আর ঠান্ডা মাথার চিন্তায় পার্থক্য অনেক। উত্তেজিত অবস্থায় যে দোষকে মনে হয় থাই পাহাড়ের চেয়ে ভারি, ঠান্ডা মাথার ভাবনায় তা পাখির পালকের চেয়ে হালকা। হত্যাকারীরা ঠান্ডা মাথায় একবারও ভাবেনি কাকে হত্যা করছি, কেন করছি?
একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনসহ আর যেসব অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়, পরবর্তীকালে তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের (দুই সেনাশাসনামলেও কিন্তু বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু ছিল) আমলেও সেসব বা তারও অধিক অন্যায় ঘটতে দেখিনি অথবা দেখছি না কি আমরা? আমরা কথায় কথায় বলি-আফ্রিকার জঙ্গল; অথচ জিম্বাবুয়ের মুগাবের মতো বহুদিনের একনায়ককে হত্যা করা হয়নি; ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে মাত্র এবং তা সসম্মানে, কারণ তিনি দেশটির স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
তবে কি বাংলাদেশ জঙ্গলেরও অধিক কোনো ভূমি? আসলে হত্যা-পরিকল্পনা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু পরিকল্পনাটি যদি হয় মাস্টারপ্ল্যান, তাহলে রেহাই পাওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধু তেমন একটি মাস্টারপ্ল্যানের শিকার হয়েছিলেন।
আবার দেখুন, এই বাংলাদেশে কে আগাম জেনেছিল যে, সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা ক্ষমতা গ্রহণ করে জন্ম দেবে দুটি রাজনৈতিক দল এবং দল দুটি মিলে প্রতিনিধিত্ব করতে থাকবে দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষের? আবার কোন সেই জ্যোতিষী অথবা হস্তরেখাবিদ, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের মধ্য থেকে উল্লেখযোগ্যদের হাতের রেখা দেখে বলে দিয়েছিলেন, স্বাধীনতার মাত্র ১০ বছরের মাথায় তারা একে একে ঢলে পড়বেন অপমৃত্যুর কোলে?
স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী একদিন জেলে যাবেন, সেটাই ভাবেনি কেউ, জেলের অভ্যন্তরে গুলি খেয়ে মরবেন-সে তো অনেক পরের কথা। এই লেখক সেই গণকেরও মুখটা একটু দেখতে চায়, যিনি বলেছিলেন, একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ধ্বংস করতে দলটির জনসভায় শবেবরাতে বাচ্চাদের আতশবাজির মতো মুহুর্মুহু ফাটানো হবে গ্রেনেড।
এটা এক চরম বাস্তবতা যে, দেশটা যেখানে চলে গেছে, সেখানে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে কোনোভাবেই নির্মূল করতে পারবে না। হ্যাঁ, ব্যাপারটা মশক নিধনের মতো নয় যে, কীটনাশক ওষুধ স্প্রে করে দিলাম আর বিরোধী পক্ষের সব মশা মরে গেল। কথার কথা, মশা যদি মরেও যায়, বাংলাদেশ নামের জলাশয়ে অ্যানোফিলিস ও কিউলেক্স উভয় প্রকার মশা জন্মাতে কতক্ষণ?
এদেশে শহিদ মিনার থাকবে যতদিন, টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ থাকবে যতক্ষণ, বঙ্গবন্ধু ডাইনাস্টি থাকবে যতদিন, ‘আওয়ামী মশক’ জন্মাতেই থাকবে। আবার মাদ্রাসা-মসজিদ যেহেতু থাকবে চিরকাল, চন্দ্রিমা উদ্যানের সৌধটিও থাকবে বহুকাল, জিয়া ডাইনাস্টিও সহসা শেষ হওয়ার নয়, তাই ‘বিএনপি-মশার’ প্রজনন ঠেকানো যাবে না। অতঃপর কীটনাশক স্প্রে করার কর্মসূচি বাতিল করাই সমীচীন আওয়ামী ও বিএনপি মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের।
দুই দলের সমর্থকরা মাদকাসক্তির মতো আসক্ত হয়ে আছে নিজ দলের প্রতি। এই আসক্তি এমন যে তা থেকে তাদের মুক্ত করতে চাইলে দেখা দেবে তাদের মধ্যে withdrawal symptom অর্থাৎ প্রত্যাহারজনিত উপসর্গ। তাহলে এখন কী করা? বার্লিন দেওয়ালের মতো উঁচু ও অনতিক্রম্য দেওয়ালটি যেহেতু ভাঙাই যাবে না, সেহেতু বেছে নিতে হবে অন্য পথ। আর সেই উপায়টা হলো রাজনীতির সব পক্ষকেই যোগ করার রাজনীতি গ্রহণ করতে হবে, যেটাকে আমরা বলছি ইনক্লুসিভ রাজনীতি অথবা ইনক্লুসিভ নির্বাচন, মোল্লাতন্ত্রকে বাদ দিয়ে অবশ্য। এবং সেজন্য দুই বড় দলকেই ত্যাগ করতে হবে মোল্লাতন্ত্রের সঙ্গ।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বড় দল দুটি মিলিতভাবে মোল্লাতন্ত্র তথা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রতিহত করতে চাইলে সেই শক্তি কোণঠাসা হতে বাধ্য।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে একবারেই মিল যে নেই, তা নয়। দুই দলই সংসদীয় পদ্ধতির গণতন্ত্রের পক্ষে, দুই দলের অর্থনীতিও বাজার অর্থনীতি (market economy), আওয়ামী লীগ যার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি করছে, সেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন তথা মুক্তিযুদ্ধের প্রধান ব্যক্তি আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অনেক সহযোগীর অন্যতম।
অথচ এখন যা চলছে, তা দল দুটির মধ্যে চরম বৈরিতা, চলছে বিয়োগের রাজনীতি, ভাগ করার রাজনীতি। অথচ আমরা ছোটবেলায় দেখেছি যোগ অঙ্কের ফল মেলানোটাই সবচেয়ে সোজা। এই অঙ্কে বুদ্ধি কম লাগে, থাকে না টেনশনও।
আবারও আফ্রিকা! ম্যান্ডেলা আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে রাজনীতির যোগ অঙ্ক কষতে হয়। সাদায়-কালোয় যোগ। তিনি বুঝিয়েছিলেন স্বার্থপর হতে মানা নেই, তবে পরার্থকে বাদ দিয়ে নয়।
আফ্রিকায় বর্ণবাদের বিলুপ্তি মানে সাদাদের গায়ে ব্রাশ দিয়ে কালো রঙ মাখানো নয়, কিংবা নয় কালোর গায়ে সাদা রঙের ছোপ বসানো। এ হলো নিজের নিজের রঙ ঠিক রেখে বিচিত্র সাজে গোটা মানবজাতিকেই রাঙিয়ে তোলা। আমরাও গড়ে তুলতে পারি বঙ্গবন্ধু ও জিয়াকে তাদের স্ব স্ব স্থানে প্রতিষ্ঠিত রেখে, ডান-বাম মিলিয়ে বিচিত্র রঙের বসবাসযোগ্য এক বাংলাদেশ।
বলা হয়ে থাকে, diversity of opinions is the beauty of democracy. গত ৫২ বছর ধরে প্রতিপক্ষ গ্রাসের যে রাজনীতি চলছে বাংলাদেশে, তার নাম দেওয়া যেতে পারে চরম আধিপত্যবাদ, এক অগ্রজ অবশ্য বলেন রাক্ষুসে গণতন্ত্র। এই আধিপত্যবাদকে চ্যালেঞ্জ করে সাধারণ মানুষ তাদের শ্রমে-ঘামে, মেধায় শত বৈষম্য সত্ত্বেও রচনা করেছে অর্থনীতির অন্যরকম এক ইতিহাস।
ম্যান্ডেলার পাঠশালায় ছাত্র হতে পারলে আমাদের রাজনীতিকদের একেকটি জীবন ধন্যই হয়ে যেত না শুধু, একটা যা-তা বাহারি কাণ্ড ঘটে যেত এই দেশে।
এতক্ষণ যা বললাম, তাতে কি আমাকে খুব আশাবাদী মনে হচ্ছে? অনেকে হয়তো বাংলা বাগধারা ব্যবহার করে বলবেন, এ তো সোনার পাথর বাটি! মানে অলীক বস্তু, যার কোনো বাস্তব রূপ হয় না। সোনা দিয়ে তো আর পাথরের বাটি তৈরি করা যায় না।
এ বাগধারায় রাজনীতিকদের অনেক উঁচুতে তোলা হয়, এটি দ্বারা তাদের তুলনা করা হচ্ছে সোনার সঙ্গে। আমি বাগধারাটি উলটিয়ে বলতে চাই, আমার আশাবাদ হচ্ছে পাথরের সোনার বাটি, অর্থাৎ রাজনীতিকরা পাথরসম, তাদের দিয়ে সোনার বাটি অর্থাৎ সোনার বাংলাদেশ তৈরি সম্ভব নয়।
প্রশ্ন তাই, কেন তবে উপরে যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলাম, সেটাকে কন্ট্রাডিক্ট করছি? কারণ আছে। ইউনিভার্সিটি জীবন শুরু হওয়ার কিছুদিন পর এক ব্যর্থ প্রেমিক আমাকে শিখিয়েছিল, শেখাতেই বা হবে কেন, নিজ জীবন থেকে প্রাপ্ত আমারও অভিজ্ঞতা তেমন যে, once a doubt is always a doubt-একবারের সন্দেহ মানে তা সব সময়ের সন্দেহ। ওই ব্যর্থ প্রেমিক প্রেমের শুরুতেই যা সন্দেহ করেছিল, সেই সন্দেহই চিরসঙ্গী হয়ে থেকেছে তার।
সন্দেহ জিনিসটা আসলে ব্লাড প্রেসার বা ডায়াবেটিসের মতো, একবার ধরা পড়লে যতই ওষুধ বা ইনসুলিন প্রয়োগ করা হোক, কন্ট্রোলে থাকবে হয়তো, নিরাময় হবে না।
আমরা তিন জোটের রূপরেখা দিয়ে ’৯১ সালে যখন নবযাত্রা শুরু করেছিলাম, এর কিছুদিনের মধ্যেই সন্দেহ দেখা দিয়েছিল যে, এদের দিয়ে কিছু হবে না। সেই সন্দেহ আর দূর হলো না, সব সময়ের জন্যই তা সন্দেহই থেকে গেল। আর সেজন্যই তো আশাবাদী হতে চাই যখন, যৌবনের সেই ব্যর্থ প্রেমিক বন্ধুটির কথা মনে পড়ে। আরও মনে পড়ে, এরশাদের ক্ষমতাচ্যুতির পরপরই মিসেস জিয়া তিন জোটের রূপরেখার শর্তভঙ্গ করে এরশাদের কয়েকজন সহযোগীকে নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছিলেন।
নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনের যে রাতে ধুম-ধাড়াক্কা আর হৈ-হুল্লোড় করে দুই দল মিলে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে ফিরে এলো, সে রাতে পাটগ্রামে টেলিভিশনের সামনে বসা এক কলেজ অধ্যাপক খুশিতে আটখানা হলেও আমি ভাবছিলাম তাজউদ্দীন আহমদের সেই বিখ্যাত কথাটি।
দুই জার্মানি একীভূত হওয়ার আগে ’৭৩ সালে পুঁজিবাদী পশ্চিম জার্মানি ও সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্কের বরফ যখন গলছিল, তখন তাজউদ্দীন সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন-grasses perish not only when two elephants fight but also when two elephants mate-দুই হাতি যখন যুদ্ধ করে, তখনই যে কেবল নিচের ঘাস পিষ্ট হয় তা নয়, দুই হাতি যখন রমণ করে, তখনও একই ঘটনা ঘটে।
তাজউদ্দীনের দুই হাতি মানে পশ্চিম জার্মানি ও সোভিয়েত ইউনিয়ন আর নিচের ঘাস মানে তৃতীয় বিশ্বের জনগণ। আর সেই রাতে আমি যা ভাবছিলাম, তাতে দুই হাতি মানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এবং নিচের ঘাস মানে এদেশের সাধারণ মানুষ।
তবে হ্যাঁ, সমাজটাকে যদি জ্ঞানভিত্তিক করে তোলা যেত, তাহলেও হয়তো সেই জ্ঞানই পারত অ্যারো চিহ্ন দেখিয়ে আমাদের বলতে, ওদিকে যাও, ওটাই reconciliation-এর পথ। তা-ও তো হওয়ার নয়। এক-এগারোর ‘ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার’রা (ডিপ্লোমা বললাম এ জন্য যে, বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার হলে তারা হয়তো ভিন্ন আচরণ করতেন) এই রাষ্ট্র নিয়ে এমন ইঞ্জিনিয়ারিং করেছিলেন, যা রাজনৈতিক প্রকৌশল শাস্ত্রের পরিপন্থি।
দুই বছরের শাসনে তারা একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা, জাতীয় পরিচয়পত্র ও একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া আমাদের যা দিয়েছিলেন, তা সুজাতা চক্রবর্তীর সেই বিখ্যাত গানের প্রথম লাইনেই ধরা পড়েছে-ভুল, সবই ভুল।
তো চিফ ইঞ্জিনিয়ার বানানো হয়েছিল যাকে, সেই ফখরুদ্দিন সাহেব জাতির উদ্দেশে দেওয়া তার প্রথম ভাষণে যখন বললেন, তারা একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণ করবেন, আমাদের আনন্দ আর ধরে না, বলেন কী ভদ্রলোক! এ তো বাইবেলের সুবচনের চেয়েও মিষ্টি। পরে দেখা গেল, এই অসাধ্য সাধন করতে চাইছেন তারা রাজনীতি ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। বা রে বা! ফুলেরা ফুটতে চাইবে আর তিনি হাতচাপা দিয়ে প্রস্ফুটন রোধ করে সবাইকে ডেকে বলবেন-দেখুন কতো সুন্দর বাগান!
নাইজেরিয়ায় ‘বোকো হারাম’ নাম দিয়ে ইসলামি চরমপন্থার রাজনীতি চলে আসছে। বোকো হারাম মানে বই পড়া হারাম, অর্থাৎ কুরআন ছাড়া অন্য কোনো বই পড়া চলবে না। ফখরুদ্দিন ও তার সহকারী ইঞ্জিনিয়াররা চাইলেন রাজনীতি ও মিডিয়ার যে ছক তারা এঁকে দেবেন, সেটা ছাড়া অন্য কোনো ছক আঁকা হলে, তা হবে হারাম। এভাবেই তারা গড়তে চেয়েছিলেন একটা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ!
আসলে রাজনীতিটা ঠিক করার কথা বলি অথবা জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার কথা, দুটোই এদেশে বড় কঠিন কাজ। তারপরও কঠিনেরেই ভালোবাসি। যদি কোনোদিন প্রতিদান দেয়!
মাহবুব কামাল : সাংবাদিক