Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

স্বদেশ ভাবনা

আলোচনার মাধ্যমেই মীমাংসা হোক

Icon

আবদুল লতিফ মণ্ডল

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আলোচনার মাধ্যমেই মীমাংসা হোক

আগামী সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির মধ্যকার বিরোধ নিরসনে আলোচনা অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

গত ১ জুন সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকারকেই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে একটা পথ বের করতে হবে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পরদিন সচিবালয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বিএনপি সংলাপে বসতে রাজি থাকলে বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে। এর আগে মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব তখন বলেছিলেন, তার দলও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় না। কারণ, পূর্ব অভিজ্ঞতা বলে, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার যুক্তি থাকতে পারে না। এসব সত্ত্বেও আলোচনার যে ইঙ্গিত প্রতিদ্বন্দ্বী দুই বড় দল থেকে এখন এসেছে, তা বাস্তবায়নের পথ মসৃণ হোক। আলোচনার মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতা হওয়া কেন প্রয়োজন এবং সমঝোতা না হলে পরিণতি কী হতে পারে, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থায় পরিবর্তনের দাবি ওঠে প্রথম ১৯৮৮ সালে যখন এইচএম এরশাদ নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারপদ্ধতি দেশে চালু ছিল এবং ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো। নির্বাচনব্যবস্থায় বড় রকমের অনিয়ম দেখা দিলে ‘স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য’ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দল একযোগে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলনের মুখে ওই সরকার ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করে। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে (১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করে। এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে আন্দোলনে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যে যে সখ্য গড়ে উঠেছিল, জাতীয় পার্টির সরকার পতনের পর তাতে ফাটল ধরে। বিএনপির শাসনামলে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ মাগুরার একটি আসনে উপনির্বাচনে অনিয়ম ও ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। অন্য দুটি দল জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীও একই দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। আওয়ামী লীগ প্রথমে সংসদ বর্জন ও পরে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে। জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী আওয়ামী লীগের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। বিরোধী জোটের দাবি মেটাতে বিএনপি সরকার ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে জয়ী হয়ে ওই বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশের সংবিধান সংশোধন করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করে এবং ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায়।

এ ব্যবস্থার অধীনে ১৯৯৬ সালে (জুন) সপ্তম, ২০০১ সালে (অক্টোবর) অষ্টম এবং ২০০৮ সালে (ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হলেও নবম নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান সংশোধনের (পঞ্চদশ সংশোধন) মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা বাতিল করে। এতে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান প্রতিষ্ঠা পায়। তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা পুনরায় প্রবর্তনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। অর্থাৎ দ্বিতীয়বার দাবি ওঠে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা পরিবর্তনের। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও ৮টি সমমনা দল ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং গুটিকয়েক দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। এ নির্বাচনে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০ আসনের বেশিরভাগ আসনে অর্থাৎ ১৫৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য নির্বাচিত হন। এর ফলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে। দশম সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় এবং এতে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার বিশ্বাসযোগ্য প্রতিফলন না ঘটায় তা দেশে-বিদেশে সমালোচিত হয়।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে অর্থাৎ নভেম্বরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি, গণফোরাম, জাসদের একাংশ এবং নাগরিক ঐক্য নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বৈঠকগুলো সফল হয়নি। একাদশ সংসদ নির্বাচন-পূর্ব অবস্থা সরকারবিরোধীদের অংশগ্রহণের জন্য মোটেই অনুকূল ছিল না। হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়। নির্বাচনি বিধিবিধান প্রতিপালনে পক্ষপাতিত্ব পরিলক্ষিত হয়। এসব সত্ত্বেও নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে-আনুষ্ঠানিক বৈঠকে ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এমন আশ্বাসে বিএনপি ও অন্যসব বিরোধী দল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু এ নির্বাচনে নজিরবিহীন অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর ছিল-নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্ধারিত দিনের আগের রাতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের ব্যালট বাক্সে ভোট প্রদান। এ নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নজিরবিহীন অনিয়ম সংঘটিত হওয়ায় দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোর আশা-আকাঙ্ক্ষার পরিসমাপ্তি ঘটে। এ নির্বাচনে অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে বিএনপি কোনো দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তৃতীয়বার দাবি ওঠে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা পরিবর্তনের। বর্তমানে বিএনপিসহ দুই ডজনের বেশি সরকারবিরোধী দল ও জোট নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আন্দোলন করছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে আজ এমন সংঘাতপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।

এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে অনড় থেকে তাদের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বলয় বাড়াতে সচেষ্ট। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির সমর্থক বা বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনরত দল বা জোটগুলোর মধ্যে ভাঙন সৃষ্টিতে নানা উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। অনেক দলকে চাপের পাশাপাশি নানা সুযোগ-সুবিধার আশ্বাস দিয়ে জোট থেকে বের করে নেওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে। এর কিছু লক্ষণ ইতোমধ্যে দেখা গিয়েছে।

এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে যা ঘটতে পারে তা হলো-এক. দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচন; দুই. ওয়ান-ইলেভেনের পুনরাবৃত্তি। এ দুটির কোনোটিই দেশবাসীর কাম্য নয়।

এই যখন পরিস্থিতি, তখন নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দিক থেকে আলোচনার ইঙ্গিতকে অনেকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, মূলত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণার পর দেশের রাজনীতিতে ভিন্ন এক প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি উভয় দলের জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি একটি চাপ সৃষ্টি করেছে। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো চাপ আরও বাড়াতে পারে, সেটা দুই দলই বিবেচনায় রেখেছে। এখানে উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি উভয় দলই স্বাগত জানিয়েছে। স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও। তাই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির প্রভাব সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নির্ধারণে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে এক টেবিলে আনতে পারলে তা হবে স্বস্তির বিষয়। আর আলোচনার টেবিলে এলে একটি সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে বিশ্বাস।

আলোচনার মাধ্যমে আমাদের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে ব্যর্থতার অনেক নজির থাকলেও সাফল্যের নজির যে একেবারে নেই তা নয়। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় পার্টির সরকারের পতন হলে রাষ্ট্রপতির শূন্য পদে কে বসবেন, আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানই বা কে হবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে প্রথম দিকে কিছুটা সমস্যা হলেও শেষ পর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলনের প্রধান জোটগুলোর মধ্যে সমঝোতা হয়। সুপ্রিমকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসাবে মনোনীত করা হয়। দ্বিতীয় নজির সৃষ্টি হয় ১৯৯১ সালে সংবিধানের মৌলিক চরিত্র পরিবর্তন নিয়ে। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে বহুদলীয় সংসদীয় সরকার পদ্ধতির স্থলে একদলীয় রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা প্রবর্তন করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করলেও রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা থেকেই যায়। রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদও রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা বহাল রাখেন। আন্দোলনের মুখে জাতীয় পার্টির সরকার ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করে। দেশে রাষ্ট্রপতি সরকারব্যবস্থা চালু থাকবে নাকি মূল সংবিধানের সংসদীয় সরকারব্যবস্থা পুনরায় চালু করা হবে, তা একটি ইস্যু হয়ে দেখা দেয়। মূলত ক্ষমতাসীন বিএনপি ও প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সংসদীয় সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে ঐকমত্য হয় এবং ১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বরে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তা কার্যকর করা হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি, জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাইরের মধ্যস্থতা ছাড়াই আলোচনার টেবিলে মিলিত হয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নির্ধারণে সমঝোতায় পৌঁছে এরকম আরেকটি নজির সৃষ্টি করতে কি পারে না?

আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক

latifm43@gmail.com 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম