দ্রুত প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান
এম এ হালিম
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সামাজিক বা রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়ে নিজ দেশ থেকে প্রতিবেশী বা ভিনদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী এবং নিজ দেশে ফেরার ক্ষেত্রে জীবনহানি অথবা নিপীড়নের ভয় বা শঙ্কা আছে এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক আইনে শরণার্থী হিসাবে অভিহিত করা হয়। আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) সংশ্লিষ্ট দেশ বা দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রেখে শরণার্থীদের দেখভাল করে থাকে।
১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদন অনুসারে সারা বিশ্বে বর্তমানে শরণার্থীর সংখ্যা ১১ কোটি, যা ২০২২ সালে ছিল ১০ কোটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, কেবল ২০২২ সালে নতুন করে ১ কোটি ৯০ লাখ শরণার্থী বা উদ্বাস্তু যোগ হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১১ সাল পর্যন্ত দুই দশক বিশ্বব্যাপী শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতর (আইডিপি) সংখ্যা ৪ কোটিতে স্থির থাকলেও ২০১১ সালে সিরিয়া সংকট এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন ঘটনার ফলে এ সংখ্যা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে আবারও তালেবান শাসন, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সবশেষ এ বছর ১৫ এপ্রিল সুদানে গৃহযুদ্ধ শরণার্থী সংকট বাড়িয়ে চলেছে।
যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ইত্যাদির শিকার শরণার্থীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ ও সম্মান জানাতে প্রতি বছরের মতো আজ ২০ জুন পালিত হচ্ছে বিশ্ব শরণার্থী দিবস। দিনটি উপলক্ষ্যে ইউএনএইচসিআর প্রধান (হাইকমিশনার) ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেছেন, বিশ্বজুড়ে শরণার্থী সংখ্যা উদ্বেগজনকহারে বাড়ছে।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মানুষের মধ্যে সহিংসতা বাড়ছে। তিনি আক্ষেপ করেন ‘এমন এক মেরুকরণকৃত বিশ্বে আছি আমরা, যেখানে আন্তর্জাতিক উত্তেজনা যাবতীয় মানবিক ইস্যুকে খারিজ করে দিচ্ছে। ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশনের মূলনীতি অনুসরণের ক্ষেত্রে দেশগুলোর মধ্যে শৈথিল্য বাড়ছে, এমনকি ওই কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী অনেক দেশের মধ্যেও এমনটা দেখা যাচ্ছে।’
বর্তমানে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও নোয়াখারীর ভাসানচরে অবস্থানকারী বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকের (রোহিঙ্গা) সংখ্যা ৯ লাখ বলা হলেও প্রতিবছর নতুন জন্ম নেওয়া ৩০ হাজার যোগ হয়ে ২০২২ সালেই এ সংখ্যা ১২ লাখ ছাড়িয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশ এসব রোহিঙ্গাকে শরণার্থী হিসাবে স্বীকৃতি না দিয়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক (এফডিএমএন) বলে অভিহিত করে। তবে ১৯৯১-৯২ সালে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ২ লাখ ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী হিসাবেই কক্সবাজারের দুটি ক্যাম্পে অবস্থান করছে। সেই সময় (১৯৯২-৯৩) একজন জুনিয়র কর্মকর্তা হিসাবে রোহিঙ্গা শিবিরে কাজ করতে গিয়ে জেনেছি ১৯৭৮ সালেও দুই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা একইভাবে বিতাড়িত হয়ে কক্সবাজারে বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করেছে; যদিও পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে তারা মিয়ানমারে (তৎকালীন বার্মা) প্রত্যাবর্তন করে।
সেই সময়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপকালে জেনেছিলাম মিয়ানমার সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনী (নাসাকা) কর্তৃক তাদের নির্যাতন, স্বাধীন চলাচলে বাধা দেওয়া ও নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত হওয়ার কাহিনি। তাদের অধিকাংশ নিজ দেশে ফিরে গেলেও একই প্রেক্ষাপটে ও একইভাবে ২০১৬-১৭ সালে জীবন বাঁচাতে তাদের আবারও সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করতে হয়। এদিকে ২০১৭ সাল থেকে চলমান এ রোহিঙ্গা সংকট প্রায় ৬ বছর পার হতে চললেও তা সমাধান অর্থাৎ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফরকালে গতানুগতিকভাবে শুধুই আশার বাণীই শুনিয়েছেন।
৩০ মার্চ কক্সবাজার পরিদর্শনকালে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্পর্কিত সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল রুন্ডে উল্লেখ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে। এদিকে মধ্য এপ্রিলে চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কুনমিংয়ে আকস্মিক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
তবে বোঝাই যায়, চীনের এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য যতটা না রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান, তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চীনের ভূ-রাজনৈতিক ইস্যু; কারণ, মিয়ানমারের সঙ্গে বরাবরই চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। উল্লেখ্য, চীনের এ ধরনের উদ্যোগ এটাই প্রথম নয়, এর আগেও দুবার এমন উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটি একরকম থেমে রয়েছে। এবারের ত্রিপক্ষীয় সভা থেকেও কোনো ইতিবাচক ফল এখনো দৃশ্যমান হয়নি।
প্রত্যাবাসন বিষয়ে রোহিঙ্গাদের আস্থা ও আগ্রহ বাড়াতে ৫ মে ২০ রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের টিম মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু সফর করে। তারা মংডু শহরের বিভিন্ন গ্রাম ও ট্রানজিট সেন্টার ঘুরে দেখেন এবং সেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে ফিরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কথাই জানা যায়, যা প্রত্যাবাসনপ্রত্যাশী সবাইকে হতাশ করেছে। এদিকে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একমত হলেও মিয়ানমারের ১৯৮২ সালের জটিল নাগরিকত্ব আইনের কারণে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া এবং
তাদের মুক্ত চলাচল প্রতিবন্ধকতার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কার্যক্রম পরিচালনায় কক্সবাজারে দুবছর দায়িত্ব পালনকালে রোহিঙ্গাদের বলতে শুনতাম ‘আমাদের নাগরিকত্ব না দিলে আমরা মিয়ানমারে ফিরে যাব না।’ তাই মিয়ানমারের নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মুক্ত চলাচল ও নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি প্রতিনিয়ত জোরালো হচ্ছে।
এদিকে যতই সময় যাচ্ছে, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সাহায্য অব্যাহত থাকার বিষয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। রোহিঙ্গাদের অবস্থান প্রলম্বিত হওয়া এবং বিশ্বে নতুন নতুন মানবিক সংকট সৃষ্টি এর কারণ। আফগানিস্তানের মানবিক সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধ, পাকিস্তানের বন্যা, তুরস্কের ভূমিকম্প, সুদানের গৃহযুদ্ধ, আফ্রিকার খাদ্যাভাব ইত্যাদির কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলার তহবিলের জোগান দিতে গিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সেবা একই মাত্রায় অব্যাহত থাকা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ৪ এপ্রিল প্রকাশিত ঢাকাস্থ জাতিসংঘ কার্যালয়ের ২০২২ সালের প্রতিবেদনে ২০২৩ সালে রোহিঙ্গা সহায়তায় আর্থিক সংকটের আশঙ্কা করা হয়েছে। ১ জুন জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ এক বছরে দ্বিতীয় দফা কমিয়ে ৮ ডলার করেছে, যা এ বছরের শুরুতে ছিল ১২ ডলার। জাতিসংঘ জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিলের উৎস ক্রমাগত কমতে থাকায় তাদের এ পদক্ষেপ নিতে হলো। জানা যায়, ২০২৩ সালের জন্য জাতিসংঘের ৮৭৬ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য আবেদনের বিপরীতে ১ জুন পর্যন্ত মাত্র ২৪ শতাংশ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষেও ১২ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার চাপ অনির্দিষ্টকাল বহন করা সম্ভব নয়।
সরকার মানবিক কারণে এসব রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিলেও তাদের প্রত্যাবাসনে এখন কার্যত আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিকভাবে কোনোই উদ্যোগ স্পষ্ট হচ্ছে না। সরকার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সোচ্চার হলেও সমস্যাটির সমাধানে দৃশ্যমান অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে না, বরং এখনো আশ্বাসের মধ্যেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ রয়েছে। গত সপ্তাহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জেনেভা সফরকালে ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান।
প্রত্যাবাসন বিষয়ে গ্রান্ডি বাংলাদেশকে ইউএনএইচসিআরের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলেও তাদের সীমাবদ্ধতার কথাও স্বীকার করেন। এদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সচিব পর্যায়ের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) সভাও হচ্ছে না নিয়মিত। তিন বছর পর সর্বশেষ ২০২২ সালের জুনে জেডব্লিউজির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্বের অধিকাংশ শরণার্থী শিবিরই শরণার্থীদের জন্য এক প্রলম্বিত ঠিকানা, যেখানে থাকা মানুষ এক অনিশ্চিত পথের পথিক। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া (রোহিঙ্গা) জনগোষ্ঠী সর্বনিু ৬ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩০ বছর ধরে সীমিত স্থানে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। সিরীয় শরণার্থীরা তুরস্ক ও অন্যান্য দেশে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আছে। পাকিস্তান ও ইরানে অবস্থানকারী আফগান শরণার্থী সংকট নব্বইয়ের দশক থেকে চলমান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে নয়-এগারোর (২০০১) হামলার পর শুরু হওয়া আফগান যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে (২০০১-২০০২) পাকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের জন্য রেড ক্রসের হয়ে কাজ করার সময় জানতে পারি এসব শরণার্থী ছাড়াও নব্বইয়ের দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত আগ্রাসনের সময় থেকে ৩৬ লক্ষাধিক শরণার্থী প্রতিবেশী পাকিস্তান, ইরান ও অন্যান্য দেশে অবস্থান করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা এসব শরণার্থীর অর্ধেকই শিশু (১৮ বছরের নিচে), যারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাবঞ্চিত এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
এ বছর বিশ্ব শরণার্থী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘Hope away from home’-‘ঘর থেকে দূরে, তবুও আশা’। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে কোনো শরণার্থীকে নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য জোর বা বল প্রয়োগ করা যাবে না, যেখানে তাদের আবারও নিপীড়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যতক্ষণ তারা অন্য দেশে আশ্রিত থাকবে, তাদের দেখভাল করার দায়িত্ব সেই দেশের। সম্ভব হলে তাদের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং একই সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এভাবে তাদের সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এমন অনুভূতি জাগানো যেন ‘তারা ভিন দেশে থেকেও নিজ দেশে নিজ বাড়িতেই আছে’। ঠিক যেমনটি দেখা যায় ইউক্রেন থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয়গ্রহণকারী উদ্বাস্তুদের বেলায়।
এসব শরণার্থী প্রচলিত অর্থে কোনো শরণার্থীশিবিরে অবস্থান করছে না, বরং তারা প্রতিবেশী দেশে স্বস্তিতেই দিনাতিপাত করছে, এমনকি তাদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ করছে সেসব দেশ। আর নিজ দেশে যখন অনুকূল পরিবেশ হবে, তখনই তারা প্রত্যাবাসিত হবে, যা হতে হবে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে।
একটি জনবহুল দেশ হিসাবে বাংলাদেশের পক্ষে এ দেশে অবস্থানকারী শরণার্থী বা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া তাদের প্রত্যাবাসন প্রলম্বিত হওয়ায় নানা সামাজিক বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটছে অহরহ। ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ও বাইরে প্রায়ই সহিংসতা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটছে, যা উদ্বেগজনক।
উপরন্তু প্রায়ই রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে, এমনকি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা-পরিপন্থি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে যত দ্রুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্ভব হবে, ততই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক। দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাবাসনই এ সংকটের একমাত্র সমাধান।
এম এ হালিম : বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালক, ডিজাস্টার অ্যান্ড ক্লাইমেট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগ
halim_64@hotmail.com