Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

মূল্যবোধ সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু শিক্ষক

Icon

মো. মাহমুদুল হাছান

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মূল্যবোধ সৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দু শিক্ষক

শিক্ষার প্রতিটি স্তরে মূল্যবোধের উজ্জীবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা প্রথম শিক্ষার্থী হয়ে বেড়ে ওঠে তাদের পরিবার নামক শিক্ষাঙ্গনে।

বাবা-মা হন সে শিক্ষাঙ্গনের প্রথম শিক্ষক-শিক্ষিকা। এরপর যখন তাদের শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষাধারা শুরু হয়, তখন তাদের ভর্তি হতে হয় পার্শ্ববর্তী কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে; সেটি হতে পারে স্কুল বা মাদ্রাসা, তারপর কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়।

সুতরাং শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ তিনটির সঙ্গে রয়েছে মূল্যবোধ শেখার নিবিড় সম্পর্ক। শিক্ষক মূল্যবোধ বিনির্মাণের আদর্শ কারিগর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মূল্যবোধ চর্চার অনন্য কারখানা আর শিক্ষার্থীরা হলো সেই কারিগর ও কারখানার উৎপাদিত পণ্য।

মূল্যবোধ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে Value, এটি গঠিত হয়েছে তিনটি ল্যাটিন শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থের ভিত্তিতে। শব্দগুলো হচ্ছে-vale অর্থাৎ strength বা শক্তি, val অর্থাৎ worth বা মূল্য এবং valu অর্থাৎ valor বা সাহস, পরাক্রম, বিক্রম, শৌর্য। সামষ্টিকভাবে এ শব্দগুলোর অর্থ হচ্ছে ‘সব উত্তম জিনিস’। এককথায়, মূল্যবোধ কথার অর্থ মূল্যবান, মর্যাদাবান বা শক্তিশালী হওয়া।

ব্যাপক অর্থে ব্যক্তির জানা, পরিচিত বা নিজের আয়ত্তে যা কিছু আছে, তার চেয়েও অধিকতর মূল্যবান যা কিছু সঞ্চয় করে রাখার মতো, তা-ই হলো মূল্যবোধ। সমাজবিজ্ঞানী ডেভিড পোপেনো বলেছেন, ‘ভালো-মন্দ, ঠিক-বেঠিক, কাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষিত সম্পর্কে সমাজের সদস্যদের যে ধারণা, তা-ই মূল্যবোধ।’ সমাজবিজ্ঞানী এফ ই স্পেন্সার বলেছেন, ‘মূল্যবোধ হলো একটি মানদণ্ড, যা আচরণের ভালো-মন্দ বিচারের এবং সম্ভাব্য বিভিন্ন লক্ষ্য থেকে কোনো একটি পছন্দ করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।’

জন্ম থেকেই শিশু মূল্যবোধ নিয়ে আসে না। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক বিকাশের মতো মূল্যবোধেরও বিকাশ ঘটে। পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রে বিকাশের মতো সুচিন্তিত উপায়ে, বস্তুত বিভিন্ন পাঠ্যক্রমিক ও সহপাঠ্যক্রমিক কার‌্যাবলির মাধ্যমে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষণ-শিখন প্রক্রিয়া এবং স্বতঃস্ফূর্ত শৃঙ্খলার সাহায্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যুগোপযোগী মূল্যবোধগুলো বিকাশে শিক্ষকের বিশেষ ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীকে মূল্যবোধে উজ্জীবিত করে সমাজকে করতে পারেন আলোকিত ও উদ্ভাসিত। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীকে মূল্যবোধের পরীক্ষা দিতে হয়।

শিক্ষক হলেন মূল্যবোধ সৃষ্টির প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। তাকে কেন্দ্র করেই পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে। শিক্ষার্থীর মধ্যে মূল্যবোধের প্রসার তাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়। শিক্ষককে বাদ দিয়ে সমাজে মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। তাকে বাদ দিয়ে কোনো নৈতিক শিক্ষাও পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে না। তিনিই মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষা দেন।

শিক্ষার্থীদের জীবনমানের বিকশিত ধারা প্রতিফলিত হয় তাদের মৌলিক কয়েকটি মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে, যার মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিক ও শারীরিক মূল্যবোধ, সামাজিক মূল্যবোধ, মানসিক ও বৌদ্ধিক মূল্যবোধ, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ। মানুষ হিসাবে প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে এসব মূল্যবোধ জাগ্রত না হলে তাদের মানবসমাজের জন্য উপযুক্ত প্রাণী হিসাবে গণ্য করা যায় না। এ বিষয়গুলো পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত না হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষকরা সহপাঠ্যক্রমিক বিষয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে প্রাসঙ্গিকভাবে শিক্ষার্থীদের শেখাবেন।

শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিক ও শারীরিক মূল্যবোধ শেখাতে শিক্ষক যা করতে পারেন তা হলো-ক. দেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গঠন ও কার‌্যাবলি সম্পর্কে তিনি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের জ্ঞান পরিবেশন করবেন; খ. শিক্ষার্থীদের আগের জ্ঞানের তাৎপর্য বুঝে তাদের ব্যক্তিগত অনুভূতির দ্বারা সম্পৃক্ত করে মূল্যবোধ জাগ্রত করবেন; গ. যেহেতু ব্যক্তিক ও শারীরিক মূল্যবোধ শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন আচরণের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংযুক্ত, সেহেতু শিক্ষক এগুলো অনুশীলনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অভ্যাসে পরিণত করবেন এবং ঘ. কর্মশিক্ষা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শ্রেণিকক্ষে ও স্কুল আঙিনায় শিক্ষক তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অনুশীলন করাবেন।

জন্মের পর পরিবারের সদস্যরাই শিশুর মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার দায়িত্ব গ্রহণ করে। পরিবারের বয়স্করা কতগুলো স্থায়ী মূল্যমানের ভিত্তিতে শিশুর আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে সচেষ্ট হয়। এ প্রক্রিয়ায় শিশুর মধ্যে কতগুলো সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। আধুনিক চিন্তাবিদরা নির্দিষ্ট সর্বজনীন কতগুলো সামাজিক মূল্যবোধের কথা উল্লেখ করেছেন। এ ধরনের সর্বজনীন মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য পরিকল্পিত শিক্ষার প্রয়োজন। শিক্ষকরা বিভিন্ন পাঠ্যক্রম ও সহপাঠ্যক্রম সূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবেন। যেমন-সহপাঠীদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ, জুনিয়রদের প্রতি ভালোবাসা ও সিনিয়রদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সামাজিক মূল্যবোধ শেখাতে পারেন।

মানসিক ও বৌদ্ধিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পরিপাটি জীবনযাপন, সৌন্দর্যবোধ, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির শিক্ষা দেবেন। বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত সাহিত্য, গণিত, সংগীত, নৃত্য, অঙ্কন ইত্যাদি বিষয়ের মধ্য দিয়ে শিশুদের সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট করা যায়। একইসঙ্গে শিক্ষক বিষয়বস্তু উপস্থাপনে তার মধ্যে নিহিত সৌন্দর্যবোধকে ভাষা, শব্দক্ষেপণ, গতি ও অঙ্গভঙ্গি দ্বারা মনোরম পরিবেশ গড়ে তুলবেন। এর ফলে শিক্ষার্থীরাও তাদের চিন্তাভাবনায় সুন্দরের সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে।

এছাড়া শিক্ষকরা যেভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৌদ্ধিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে পারেন তা হলো-ক. উপযুক্ত পাঠ্যক্রম প্রস্তুত, শিক্ষার্থীদের মধ্যে চিন্তন প্রক্রিয়ার উন্নয়ন ঘটানো; খ. শিক্ষণের সময় তথ্য মুখস্থ করার পরিবর্তে ধারণা গঠনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া; গ. বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও ধারণার মধ্যে শিক্ষার্থীরা যাতে সমন্বয় ঘটাতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখা; ঘ. পাঠ্যবই পড়ার পাশাপাশি অন্যান্য বই অধ্যয়ন করে জ্ঞানার্জনের স্পৃহা বৃদ্ধি করা।

সাধারণভাবে যে মূল্যবোধ আমাদের নৈতিক আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা ব্যক্তি ও সামাজিক মানদণ্ড দ্বারা স্থিরীকৃত তাকে নৈতিক মূল্যবোধ বলে। ক. শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত ইতিহাস, ভূগোল, শিল্পকলা ইত্যাদি বিষয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধ বিকাশে সচেষ্ট হবেন; খ. বিভিন্ন শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষা কমিশন নৈতিক শিক্ষাদানের জন্য কর্মসূচির কথা উল্লেখ করছেন। শিক্ষকরা সেগুলো যথাযথভাবে পালন করবেন; গ. নৈতিক মূল্যবোধ গঠনে কেবল নৈতিকতা সম্পর্কীয় জ্ঞান অর্জন যথেষ্ট নয়, ওই জ্ঞান যাতে শিক্ষার্থীদের আচরণ নিয়ন্ত্রণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে সেদিকে লক্ষ রাখবেন এবং ঘ. শিক্ষার্থীদের আচরণের মধ্যে সামঞ্জস্য আনার চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা প্রদানের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে পারেন। এক্ষেত্রে তিনি যা করতে পারেন তা হলো-সহপাঠীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা, দরিদ্রদের সাহায্য করা, নিজের কাজ নিজে করা, বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা, প্রতিবেশীর প্রতি ভালো আচরণ করা, শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, অসহায় ও পীড়িতদের প্রতি যত্ন নেওয়া ইত্যাদি মানবিক মূল্যবোধগুলো শিক্ষার্থীদের শেখাবেন। শিক্ষার্থীদের জীবনযাপন প্রণালিতে শিক্ষক যে মূল্যবোধ উজ্জীবিত করেন, তা যদি তারা তাদের প্রাত্যহিক জীবনে চর্চা করে, তাহলে তারাই হয়ে উঠবে জাতির প্রতিষ্ঠিত মূল্যবান সম্পদ।

ধরুন, একজন শিক্ষক তার শ্রেণিকক্ষে ছাত্রছাত্রীদের পড়াচ্ছেন, হঠাৎ তিনি দেখলেন কেউ কেউ কাগজের টুকরা ফেলে আবর্জনা তৈরি করে ফেলেছে। তিনি যদি তখন তাদের প্রেষণা দিয়ে ফ্লোরটিকে পরিষ্কার করিয়ে নেন, তাহলে শিক্ষার্থীরা আগামীতে এমন চর্চাই করবে এবং স্কুল আঙ্গিনা আর নোংরা করবে না। তেমনিভাবে সব শিক্ষক যদি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাদের শিক্ষার্থীদের শিষ্টাচারিতা, বিনয়, ভদ্রতা, সদালাপচারিতা, মানবিকতার চর্চা ও সমবেদনাবোধের শিক্ষা দেন, তাহলে তারা মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধে জাগ্রত হতে পারবে।

আমাদের আগামীর প্রজন্ম যাতে সুনাগরিক হিসাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সক্ষম হয়, তার জন্যও তাদের মধ্যে মূল্যবোধ শিক্ষার প্রসার ঘটানো অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। আর মূল্যবোধ লালন ও বিকাশের জন্য প্রয়োজন আদর্শের পতাকাবাহী মূল্যবোধের মূর্ত প্রতীক শিক্ষক ও শিক্ষকসমাজ। শিক্ষক তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে মূল্যবোধে সৃষ্টি করে প্রকারান্তরে সমাজ ও দেশকে মূল্যবোধে উজ্জীবিত করতে পারে।

তবে ব্যক্তিক, সামাজিক, মানসিক, বৌদ্ধিক ও মানবিক-যে ধরনের মূল্যবোধের কথাই বলি না কেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাব্যবস্থাপনা ও শিক্ষকদের সেই মনমানসিকতা হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। বিশেষ করে যেসব শিক্ষক শিক্ষার্থীর মূল্যবোধ বিকাশে ভূমিকা রাখবেন, তাদেরও সেই মানের হতে হবে। কারণ, আদর্শ শিক্ষকই পারেন সুশিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে সমাজে নৈতিকতার বিকাশ ঘটাতে এবং মানবিক মূল্যবোধ উজ্জীবিত করতে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক দুঃখ, ব্যথা, প্রয়োজন ও অসহায় অবস্থার কথা আন্তরিকভাবে উপলব্ধি করবেন এবং এগুলোর উৎকর্ষ সাধনে ব্রত হবেন, এটাই স্বাভাবিক।

অনেকে শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের দোহাই দিয়ে মূল্যবোধের শিক্ষাকে এড়িয়ে যেতে চান। এটি ঠিক নয়। কারণ, পাঠ্যপুস্তকের কনটেন্ট কোনো কোনো ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করলেও শিক্ষকের হাতে থাকে বড় একটি হাতিয়ার, সেটি হলো শিক্ষণ কৌশল। শিক্ষক তার পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুকে বাস্তব জীবনের প্রায়োগিক ক্ষেত্রগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত করে শিক্ষার্থীদের অনায়াসে সামাজিক, নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ শেখাতে পারেন। শিক্ষার্থীরা সবসময় তাদের সেরা শিক্ষকদের অনুসরণ করে থাকে। তাদের যা শেখানো যায়, তারা তা-ই শেখে। সুতরাং, শিক্ষকরাই পারেন শিক্ষার্থীদের জীবনের প্রয়োজনে সব মূল্যবোধ শেখাতে। তাই আসুন আমরা শিক্ষকদের মূল্যমান বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের সন্তানদের ব্যক্তিক, সামাজিক, মানসিক ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করি এবং আগামী প্রজন্মকে সুন্দর ও সুশীল নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলি।

ড. মো. মাহমুদুল হাছান : প্রিন্সিপাল, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকা; প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ স্মার্ট এডুকেশন নেটওয়ার্ক

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম