Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

অঙ্গদান একটি মানবিক শুভ সূচনা

Icon

বিপ্লব শাহনেওয়াজ

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অঙ্গদান একটি মানবিক শুভ সূচনা

প্রায় চার-পাঁচ বছর আগে ব্রেনডেথ মানুষের অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে লিখতে চেয়েছিলাম। দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততায় তা হয়ে ওঠেনি। উপসলা ইউনিভার্সিটি হসপিটালের সেন্ট্রাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ছয় মাসের প্লেসমেন্ট ছিল তখন। মাঝে নিউরো ইনটেনসিভ।

সেখানে দেখেছি-কীভাবে স্নায়বিক পরীক্ষার মাধ্যমে ব্রেনডেথ রোগীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের কাউন্সেলিং করার শৈল্পিক পেশাদারিত্বের উদ্দেশ্য একটাই-মেডিকেল ইথিকসের মধ্যে থেকে একজন মৃত মানুষের অঙ্গ নিয়ে অন্য একটি জীবন বাঁচানোর জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচেষ্টা। দেখেছি-একটি অঙ্গের জন্য জাতীয়ভাবে ওয়েটিং লিস্ট এবং সেই অঙ্গ অপেক্ষমাণ যোগ্য রোগীর কাছে যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়ার সমন্বয় প্রক্রিয়া। অনেক সময় সেই অঙ্গ স্বল্প সময়ের মধ্যে একপ্রান্ত থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার দূরের আরেক প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া হয়-আর একইসঙ্গে দুইপ্রান্তে অঙ্গ সংগ্রহ ও প্রতিস্থাপনের ভিন্ন রকম দুই অপারেশন চালিয়ে যাওয়া হয় সমন্বয়ের মাধ্যমে।

ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে প্লেসমেন্টের শেষের অংশটা ছিল অরগ্যান ডোনেশন এবং প্রতিস্থাপন বিভাগে অনেকটা ঘুরে ঘুরে দেখা ও শেখা। দুজন অভিজ্ঞ নার্স আমাকে প্রতিটি জিনিস বুঝিয়ে দিচ্ছেন-যাতে জরুরি বিভাগে অঙ্গদান যোগ্য কোনো রোগীকে চিহ্নিত করতে ভুল না করি। সময়মতো সংশ্লিষ্ট বিভাগকে যেন জানাতে বিলম্ব না করি। এ কাজটি ঠিকভাবে করতে না পারা মানে হলো-একজন রোগী, যে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য অপেক্ষা করছে, তার অধিকার খর্ব করা; তার জীবনকে একটি সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা। সব শেষে আমাকে একটি মগ দেওয়া হয় স্যুভেনির হিসাবে। মাঝেমধ্যে সকালের কফিতে চুমুক দিয়ে মৃত্যুকালের অনুভূতি দিয়েই দিনের শুরু করি।

কর্নিয়া ডোনেশনের এবং রক্তদানের কথা সম্ভবত মেডিকেল ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সন্ধানী’ প্রায় আশির দশক থেকেই বলে এসেছে। অনেকে মৃত্যুর পরে চিকিৎসা শিক্ষার জন্য তার দেহকে দান করে জীবিত অবস্থায়। জীবিত মানুষের কাছ থেকে অঙ্গ নিয়ে (দুটো কিডনির একটি) বেঁচে থাকা এবং অঙ্গদানের ব্যাপারটা আমরা জানি। কিন্তু ব্রেনডেথ রোগীর কাছ থেকে অঙ্গ নেওয়ার ব্যাপার অনেক নতুন; আমাদের দেশে তো অবশ্যই। সুইডেনে আশির দশকের শেষদিকে আইনের মাধ্যমে ব্রেনডেথ কনসেপ্টের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হিসাবে সবরকম রোগ কিংবা দুর্ঘটনাজনিত কারণে সংকটাপন্ন রোগী নিত্যদিনের ঘটনা। হাসি-কান্না-বিয়োগের কেন্দ্র জরুরি বিভাগ। জীবন-মৃত্যু এখানে হাতে হাত ধরে একসঙ্গেই চলে। মৃত্যু এখানে নিত্যদিনের ঘটনা। শোকে কাতর স্বজনদের দেখভাল করা এবং তাদের কাউন্সেলিংও এক ধরনের চিকিৎসার অংশ। সদ্য মৃত রোগীটি নয়-এরা শোকে কাতর ট্রমাটাইজড ভিন্ন ভিন্ন রোগী; মৃতের স্বজন।

সবাই মৃত্যুর আগে তার দেহের অঙ্গদান করে যেতে পারে না বা যায় না। আকস্মিক মৃত্যু কিংবা মৃতপ্রায় সংকটাপন্ন রোগী অঙ্গদানের সেই সুযোগ সৃষ্টি করে। আকস্মিক সেই মৃত্যু আকস্মিকভাবে আর একটি মৃতপ্রায় জীবনে আশার আলো দেখায়। শোকে কাতর স্বজনদের কাছ থেকে মৃতপ্রায় দেহের অঙ্গদানের জন্য প্রশ্ন করা অনেক কঠিন একটি ব্যাপার। প্রচণ্ড পেশাদারিত্ব ও সামাজিক সচেতনতাই পারে সেই অসাধ্যকে বাস্তব করতে।

মানুষ জৈবিক জীব। তার জীবনকে একটি উন্নত জৈবিক প্রেক্ষাপটে বোঝা দরকার। কয়েক বিলিয়ন বছর আগে কোষ হিসাবে জীবন শুরু হয়েছিল এককোষী জীবের। অনেক পরে স্নায়ু এবং অবশেষে একটি ক্রমবর্ধমান জটিল স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ ঘটে। মানুষের মধ্যে প্রায় দশ বিলিয়ন নিউরনসহ একটি মস্তিষ্ক রয়েছে। এটি শ্বাস ও রক্ত সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে; হরমোন, আবেগ, অনুভূতি, চিন্তাভাবনা এবং স্মৃতি নিয়ন্ত্রণ করে। দেহের সব প্রক্রিয়া সেই মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখার জন্য কাজ করে। আমরা খাই। আমরা শ্বাস নেই। হৃৎপিণ্ড রক্ত সঞ্চালন করে। চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখে। মস্তিষ্ক শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে, আবার মস্তিষ্ক অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হয় শারীরিক কর্মকাণ্ড দ্বারা। জীবন প্রক্রিয়ার জন্য শরীরের প্রয়োজনীয়তা দ্বারা।

ষাটের দশক থেকে ভেন্টিলেটর এবং উন্নত ইনটেনসিভ কেয়ারের জন্য মস্তিষ্ক-মৃত ব্যক্তিদের বাঁচিয়ে রাখতে পারার কারণে অঙ্গদানের সম্ভাবনা দেখা দেয়। কোমা ডেপাসে বা irreversible coma; ভেন্টিলেটর-রোগীর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা অপরিবর্তনীয় ক্ষতিসহ একটি অবস্থা ১৯৫৯ সালে ফরাসি স্নায়ু চিকিৎসক মোলারেট এবং গৌলন দ্বারা বর্ণিত হয়েছিল। এরপর irreversible coma নির্ণয় করা রোগীকে মৃত বলে গণ্য করা হয় পর্যায়ক্রমে এবং এভাবে অঙ্গদান করার সুযোগ তৈরি হয় ধীরে ধীরে।

মাথায় আঘাতের ফলে রক্তক্ষরণজনিত কারণে একজন মধ্যবয়সি মহিলার মস্তিষ্কের মৃত্যু হয় বেশ কয়েক বছর আগে। অঙ্গদানের জন্য ভেন্টিলেটর বন্ধ করার আগে তার চার সন্তান, বোন ও ভগ্নিপতি, ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব এবং মহিলার স্বামী তাকে অনেক ঘণ্টার জন্য বিদায় জানাতে পেরেছিল কাছে থেকে। তারা মহিলার জীবন্ত জৈবিক শরীর অনুভব করেছে এবং তাকে আলিঙ্গন করেছে। তার হৃদস্পন্দন শুনতে পেরেছে একরকম। চরম বিচ্ছেদের পূর্বে এ ধরনের ঘনিষ্ঠতা এবং অনুভূতিগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যতক্ষণ না স্বজনরা মহিলার জীবন্ত রূপকে আলিঙ্গন করতে পারছে, অনুভব করতে পারছে, ততক্ষণ তাকে মৃত হিসাবে দেখা আবেগগতভাবে অসম্ভব সবার কাছেই। কিন্তু স্বজনদের কাছে ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছিল, আইনগতভাবে তারা যে হৃদস্পন্দন হওয়া গরম দেহটি ধরে রেখেছেন তা মৃত।

অন্য রোগীদের নতুন জীবন দেওয়ার জন্য মহিলার কিছু অঙ্গদান করার পরে তাকে আবারও নিবিড় পরিচর্যায় তার কক্ষে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। শ্বাসযন্ত্র বন্ধ ছিল, হৃৎপিণ্ড স্থির ছিল, তবে শরীর তখনো উষ্ণ ছিল এবং স্বজনরা তাকে বিদায় জানাতে পেরেছে-যার কাছ থেকে জীবন এই মাত্র পালিয়েছে। মধ্যরাতের কিছু আগে তার মৃত্যু ঘটেছিল, যখন ভেন্টিলেটর বন্ধ করা হয়েছিল এবং হার্ট যখন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, স্বজনরা তখন সম্মত হয়েছিল। স্বজনরা তার মস্তিষ্কের মৃত্যুকে মেনে নিয়েছিল এবং অঙ্গদানে সহযোগিতা করেছিল।

একজন ব্যক্তি শরীর এবং মস্তিষ্ক উভয়েরই সমন্বয়ে। কয়েক দশক আগে মৃত্যুর এ নতুন ধারণার বিরুদ্ধে সমালোচনা ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। একটি মস্তিষ্ক সম্পর্কিত মৃত্যুধারণা এবং তার সঙ্গে সঙ্গে অঙ্গদানের ধারণা কার্যকর হতে লাগল। মৃত্যুও জীবন দিতে পারে-তা মানুষের কল্পনা জগতের বাইরেই ছিল। দেশে প্রথমবারের মতো ২০ বছরের একজন নারীর মরণোত্তর দান করা কিডনির সফল প্রতিস্থাপন করা হলো। গত বুধবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সার্জনরা ব্রেনডেথ এক রোগীর দুটি কিডনি দুজন পৃথক কিডনি রোগীর শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেছেন।

এটি অত্যন্ত আশাজাগানিয়া একটি খবর। আজকের এ হতাশার যুগে মানবিক মূল্যবোধ যখন তলানিতে এসে পড়েছে, ঠিক তখন এমন একটি মানবিক ঘটনা জাতীয় মনস্তত্ত্বকে নিঃসন্দেহে নতুন মাত্রা দেবে। সেইসঙ্গে ‘কসাই’ নাম পাওয়া সেইসব চিকিৎসক-যারা ছাত্রজীবনে ‘সন্ধানী’র মাধ্যমে নিজ শরীরের রক্ত দিয়ে রোগীর জীবন বাঁচিয়েছিল-তাদের জন্য তথা বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় চিহ্নিত হলো একটি যুগান্তকারী মাইলফলক। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার গুণগত পরিবর্তন আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশের জন্যই প্রয়োজন।

প্রতিস্থাপনের জন্য অঙ্গগুলো সাধারণত জীবিত জেনেটিক আত্মীয় (পারিবারিক আত্মীয় নয়); হৃদস্পন্দনকারী মৃতদেহের কাছ থেকে পাওয়া যায়। হৃদস্পন্দনকারী মৃৃতদেহ কথাটার মধ্যে অনেক গভীর এক অনুভূতি, সম্মান, নৈতিকতা, নীতি, মানবিকতা এবং মনুষ্যত্বের এক জৈবিক মূল্যবোধ রয়েছে। জেনেটিক আত্মীয়; একজন মানুষের একটি অঙ্গ নিঃস্বার্থভাবে দান এবং অন্য দেহের সেই অঙ্গ নিজ দেহে গ্রহণ করে বেঁচে থাকার মধ্যকার কাজটি এত সহজ নয়-একটি মানবিক উত্তরণ রয়েছে এখানে। এক অনন্য মানবিক বন্ধন তৈরি হয় দুটি মানুষের মধ্যে-একজন মৃত আর একজন বিকল অঙ্গের কারণে মৃতপ্রায় দুটি মানুষের জৈবিক বন্ধন। মৃত একজন মানুষের অঙ্গটি নিয়ে আর একজন মৃত প্রায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা। বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিই বটে। আমার মৃত্যুর পরে আমার হৃৎপিণ্ড স্পন্দিত হচ্ছে আর একজন মানুষের দেহে। সেই ব্যক্তিটিকে আমি চিনি না, জানি না; কিন্তু তিনি আমার জেনেটিক আত্মীয়। বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতির ওপর ভর করে আমরা জীবনকে, দেহকে পুনর্জীবন দিতে পারছি।

একটি ব্রেনডেথ মৃতদেহ থেকে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে অনেক জীবন সুস্থ করে তোলা যায়-কার্যত জীবন দেওয়া যায়। শুধু কর্নিয়া নয়; হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনি, যকৃৎ, অগ্ন্যাশয়, ত্বকসহ অনেক অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। এজন্য দরকার একটি সমন্বিত ব্যবস্থা। জাতীয় নীতিমালা। আইন সংস্কার। সর্বোপরি জনগণকে সচেতন করা।

সময়মতো অঙ্গ সংগ্রহ করে অন্য দেহে প্রতিস্থাপন করা গেলে অনেক রোগী দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ব্যয় থেকে নিস্তার পাবেন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। এ প্রক্রিয়া অবশ্যই সচেতনতা এবং স্বেচ্ছার ভিত্তিতে হতে হবে এবং অবশ্যই আর্থিক লেনদেন ছাড়া হতে হবে। এ প্রক্রিয়ার মূলধন মানবিকতা। মূলভিত্তি মনুষ্যত্ব। মূল নায়ক মানুষ। এখানে অর্থের মূল্যায়ন এবং চর্চা মূল কনসেপ্টটাকেই নষ্ট করে দেবে নিঃসন্দেহে। আইনের সঠিক ভিত্তিতে এবং যথাযথ সমন্বয় এবং অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের অঙ্গ সংগ্রহ এবং প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া কালোবাজারে অঙ্গ বেচাকেনা বন্ধ করতে অবশ্যই সাহায্য করবে।

ট্রাফিক অ্যাক্সিডেন্টে গুরুতর আহত রোগী, কার্ডিয়াক এরেস্টের রোগী, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত গুরুতর রোগী-যাদের বাঁচিয়ে রাখা অসম্ভব বা যাদের মৃত্যু অনেকটা নিশ্চিত, তাদেরও এ প্রক্রিয়ায় আনা যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে নিকটাত্মীয়রা সিদ্ধান্ত দেবেন সচেতনতা ও মানবিক কারণে-আর্থিকভাবে লাভবানের আশায় নয়।

এভাবে মৃত্যুর পরে অঙ্গদানে সচেতনতা সৃষ্টি করে এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে চিকিৎসা বিজ্ঞান আমাদের দেশে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করতে পারে। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বপ্রথম অঙ্গ প্রতিস্থাপন (ব্রেনডেথ দেহ থেকে) অবশ্যই আমাদের দেশের চিকিৎসা ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে, যা আমি আগেই বলেছি। সাধুবাদ জানাই অঙ্গদানকারী সেই মহান তরুণী ও তার মাকে। তাদের এ যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত একটি মানবিক সমাজ এবং রাষ্ট্র গড়ার পথে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরেই দেহের কোষের পচন ঘটে। কিন্তু আপনার একটি সিদ্ধান্তে আপনার মৃত্যুর পরও আপনার দানকৃত অঙ্গে অনেক জীবন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে।

বিপ্লব শাহনেওয়াজ : বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, জরুরি বিভাগ, উপসলা ইউনিভার্সিটি হসপিটাল, সুইডেন

biplob.abu.shanewas@akademiska.se

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম