
প্রিন্ট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১১ এএম

মির্জা মাহমুদা, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), নওয়াব হাবিবুল্লাহ্ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা।
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
প্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা, আমার শুভেচ্ছা নিও। তোমাদের পরীক্ষার আর বেশিদিন বাকি নেই। পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেকেরই মনে অনেক ভয় বা আতঙ্ক থাকে। অভিভাবকদের মধ্যেও থাকে বিশেষ উৎকণ্ঠা। এ আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা কাটানোর জন্যই আমার এ লেখা। তোমাদের রিভিশন এখন নিশ্চয়ই শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ সময় শুধু পৃষ্ঠা উলটিয়ে পড়াগুলো রিভিশন দেবে। যাতে কী কী পড়েছ সেগুলো মস্তিষ্ককে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষার আগের রাতে ও পরীক্ষা চলাকালীন দিনগুলোতে খাবার-দাবারের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। পরীক্ষার আগের রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার পরামর্শ দিব। যাতে শান্ত মনে পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে পার, ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দিতে পার। অভিভাবকরা লক্ষ রাখবেন, পরীক্ষার্থী যেন সুস্থভাবে পরীক্ষার হলে যেতে পারে।
প্রবেশপত্র, রেজিস্ট্রেশনপত্র, প্রয়োজনীয় কলম-পেনসিল, রাবার, এ ছাড়া আনুষঙ্গিক যে বিষয়গুলো আছে-সেগুলো আগের রাতে ঠিকঠাক করে রাখবে। যাতে পরীক্ষার দিন সকালবেলা কোনো ধরনের তাড়াহুড়া করা না লাগে। ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যামের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হতে হবে, যেন পরীক্ষার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পার। পরীক্ষার প্রথমদিন অবশ্যই একটু আগে যাবে, সিট কোন কক্ষে পড়েছে তা খুঁজতে বেগ পেতে না হয়।
‘আমি পারব’, এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যদি কেউ পরীক্ষাকক্ষে ঢোকে- তাহলে যে প্রশ্নই আসুক না কেন, যেভাবেই প্রশ্ন আসুক, সে উত্তর দিতে পারবে। শিক্ষার্থীরা যদি পরীক্ষাভীতি না রেখে পরীক্ষার হলে বসতে পারে, তাহলে আমার মনে হয় তারা ভালো নম্বর পেতে পারে।
পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়ার পর কতগুলো প্রশ্ন আছে আর কতগুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে-সে হিসাবে সময় বণ্টন করে লিখতে হবে। একটা প্রশ্ন খুব ভালোভাবে লিখলাম, আর লিখে বেশি সময় নিয়ে ফেললাম। আর বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর ভালোভাবে দিতে না পারার চেয়ে সব প্রশ্ন সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে লিখলে বেশি নম্বর পাওয়া যাবে। প্রশ্নের চাহিদা অনুযায়ী সব প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে লিখে আসতে হবে। পরীক্ষার হলে সময় ব্যবস্থাপনা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।
প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে লিখতে পারলে পরীক্ষক মূল্যায়ন করবে-পরীক্ষার্থী প্রশ্নটি বুঝেছে কিনা। আরেকটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ-তা হলো হাতের লেখা সুন্দর ও বানান সঠিক হওয়া। পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখা যদি স্পষ্ট বোঝা যায় তাহলে যিনি পরীক্ষক তার জন্য খাতার লেখা বুঝতে সুবিধা হবে। বানান যদি সঠিক না থাকে, পরীক্ষকের কাছে বিষয়টা বিব্রতকর মনে হয়, স্বভাবতই নম্বর কমে যায়। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, খাতা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা।
আশা করি ওপরের বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা যদি মেনে চলে এবং অভিভাবকরা যদি তাদের বোঝাতে সক্ষম হন, আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে।