
প্রিন্ট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৩ এএম

মাজেদা বেগম, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত), ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
২০২৫ সালের মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের জানাই আন্তরিক দোয়া ও শুভেচ্ছা। স্কুল জীবনের প্রায় ১০টি বছর পার করে জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছ। পরীক্ষা শব্দটি ছাত্রজীবনের একটি অতি পরিচিত শব্দ। যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর অর্জিত জ্ঞান যাচাই করা হয়।
পরীক্ষা শব্দটি আমাদের ভীতির সঞ্চার করলেও আমি জানি পরীক্ষার মাধ্যমে তোমরা নিজেদের অর্জিত জ্ঞানকে যাচাই করতে প্রস্তুত। এখন রিভিশন চলছে। নিশ্চয় রুটিন পেয়েছ। রুটিন সংগ্রহে রাখতে হবে। বিভাগ অনুযায়ী বিষয়গুলো তারিখ ও সময় চিহ্নিত করে রাখবে।
আর মাত্র কয়েকদিন পর ২০২৫ সালের মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা। পরীক্ষার রুটিন পরীক্ষাপ্রস্তুতি ও পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়ক। যেহেত পরীক্ষার অল্প কয়েক দিন মাত্র বাকি তাই প্রস্তুতি এবং রিভিশনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখবে প্রস্তুতি এবং রিভিশন- এ দুটি বিষয় ভালো ফল অর্জনের পূর্বশর্ত। তাই এ দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দিলে এ পরীক্ষায় অবশ্যই তোমরা সাফল্য অর্জন করবে। এজন্য আমি তোমাদের পরীক্ষাপ্রস্তুতির সহায়ক হিসাবে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করছি।
শারীরিক : ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল।’ পরীক্ষা ভালো করার জন্য তোমাদেরকে অবশ্যই স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। এসময় শরীর ভালো রাখতে ব্যর্থ হলে জীবনে বড় বিপর্যয় আসতে পারে। এজন্য বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত যেমন : ফলমূল, দুধ, ডিম, বাদাম এবং প্রচুর পানি পান করবে। এগুলো তোমার শক্তি ও মনোবল বাড়াবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সতর্ক থাকবে কারণ দেশময় করোনা ভাইরাস ও মশার উপদ্রব বেড়েই চলছে। তাছাড়া স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা থাকলে পরীক্ষার আগেই ডাক্তারের পরামর্শ নিবে। স্বাস্থ্যের ব্যাপারে তোমরা সবসময় সতর্ক থাকবে।
মানসিক : পরীক্ষা ভালো করার জন্য দ্বিতীয় যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে তা মানসিকভাবে শক্তিশালী অর্থাৎ আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। তুমি যা যা পড়েছ তা সঠিকভাবে খাতায় উপস্থাপন করে আসবে এটাই তোমার কাজ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, হতাশা বোধ করবে না, কিছু পারি না; কিছু পারি না এমনটি ভাবা যাবে না। তোমাকে দৃঢ় মনোবল রেখে আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে। পরীক্ষাহলে প্রশ্ন পাওয়ার পর যে প্রশ্ন ভালো পার তা দিয়েই লেখা শুরু করবে। পড়াশোনা ও পরীক্ষা একই সুতোয় গাঁথা।
একাডেমিক : প্রিয় শিক্ষার্থী, পরীক্ষার প্রস্তুতির শুরুতে দরকার একটি পরিকল্পনা। সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তার যথার্থ বাস্তবায়ন ভালো ফলাফলের জন্য আবশ্যকীয় বিষয়। পূর্বে অপচয়কৃত সময়ের কথা ভুলে যাও সামনে যে সময়টুকু আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহারের চেষ্টা করবে। পরীক্ষায় তিন ঘণ্টার সর্বোত্তম ব্যবহার করতে হবে। এজন্য আগে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। তোমাদের মনে রাখতে হবে তিন ঘণ্টার সর্বোত্তম ব্যবহারই ভালো ফলাফল। কোনো সময় নষ্ট করা যাবে না। উদাহরণস্বরূপ আমি বাংলা প্রথমপত্রের একটি পরিকল্পনা তুলে ধরলাম। তোমাদের বাংলা প্রথমপত্রের সময় ৩ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৮০ মিনিট। এমসিকিউর জন্য ৩০ মিনিট বাদ দিয়ে বাকি ১৫০ মিনিট সিকিউর জন্য। তোমাকে ১১টি প্রশ্ন থেকে ৭টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। প্রত্যেকটি প্রশ্নোত্তরের জন্য ২০ মিনিটের বেশি পাবে না। অবশিষ্ট ১০ মিনিট খাতা রিভিশনের জন্য রাখতে হবে। এভাবে প্রত্যেকটি বিষয়ের সময় বণ্টন করে নেবে।