মানব মস্তিষ্কে ১০০ বিলিয়নের মতো নিউরন বা স্নায়ুকোষ রয়েছে। তা যদি এখন থেকে গুনতে শুরু করি- ৩ হাজার বছরের বেশি সময় লেগে যাবে। আমাদের হাসি, কান্না, স্বপ্ন দেখা, চিন্তাভাবনা, নড়াচড়া সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে এ নিউরন কোষগুলোর মধ্যে রাসায়নিক ও বৈদ্যুতিক সংকেতের আদানপ্রদানের ফলে। মস্তিষ্কের এ কাজগুলো বিরামহীনভাবে চলতে থাকে। একটি কম্পিউটার গ্রাহকের সঙ্গে যে পরিমাণ বার্তা আদানপ্রদান করে, মস্তিষ্কের নিউরনগুলো তার চেয়ে অনেক বেশি তথ্য আদানপ্রদান করে থাকে। যেমন ধরা যাক, কারও পায়ে কোনো মশা বসেছে- এর স্পর্শানুভূতি সৃষ্টিকারী নিউরন প্রথমে সুষুম্না কাণ্ডে সংকেত পৌঁছে দেয়, সেখান থেকে মস্তিষ্কে ঘণ্টায় ২৪১ কিলোমিটার বেগে সংকেত পৌঁছে যায়। এরপর মস্তিষ্ক মোটর নিউরনের মাধ্যমে ঘণ্টায় ৩২২ কিলোমিটার বেগে পায়ের পাতা নাড়ানোর জন্য সংকেত পাঠায়। এসব নিউরনের বৈদ্যুতিক সংকেতগুলো একত্র করা সম্ভব হলে তা দিয়ে একটি বাতি জ্বালানো সম্ভব।