Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি

বাংলা প্রথমপত্র * বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

বাংলা প্রথমপত্র

Icon

ড. সনজিত পাল

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিনিয়র শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা

সাহিত্যের রূপ ও রীতি

-হায়াৎ মামুদ

হায়াৎ মামুদ (১৯৩৯) বাংলা সাহিত্যে একজন গবেষক ও প্রাবন্ধিক হিসাবে খ্যাত। ব্যক্তিজীবনে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক ছিলেন। কবিতা ও গল্প লেখা দিয়ে তার সাহিত্য জীবন শুরু হলেও পরবর্তী সময়ে গবেষণা ও প্রবন্ধ সাহিত্যে তিনি খ্যাতি অর্জন করেন। ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে তিনি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার পরিচয়, গঠনরীতি, বৈশিষ্ট্য ও তার প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছেন। কবিতা, নাটক, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি নিয়ে সাহিত্যের জগৎ। বিশ্বসাহিত্যে এসব সাহিত্যের সৃষ্টি ও বাংলা সাহিত্যে তার বিস্তার ও বিবর্তন নিয়ে এ প্রবন্ধ রচিত হয়েছে। লেখক সাহিত্যের প্রতিটি শাখা-উপশাখার স্বরূপ চারিত্র্য তুলে ধরেছেন।

‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের যে দিকগুলো ভালো করে পড়তে হবে :

‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার উদ্ভব, ক্রমবিকাশ ও বাংলা সাহিত্যের তার বিস্তার নিয়ে প্রাবন্ধিক আলোকপাত করেছেন। কবিতা, নাটক, গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ- এসব সাহিত্য শাখার মধ্যে কোনোটিই বাংলা সাহিত্যের মৌলিক সৃষ্টি নয়। বিশ্বসাহিত্যের অংশ হিসাবে এসব সাহিত্যধারা বাংলা সাহিত্যে এসেছে। কবিতা, নাটক, গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধের সংজ্ঞা-বৈশিষ্ট্য, গঠনরীতি, শ্রেণিকরণ, বাংলা সাহিত্যে এর সার্থক সৃষ্টি নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা করা হয়েছে এ প্রবন্ধে। এ প্রবন্ধের যে দিকগুলো ভালোকরে পড়তে হবে তা তুলে ধরা হলো। কবিতার সংজ্ঞা, শ্রেণিকরণ, গীতিকবিতা, মহাকাব্য ও কাব্যের গঠনরীতি, বিষয়-বিন্যাস ও বিষয়-বিস্তার সম্পর্কে জানতে হবে। নাটকের সংজ্ঞা, প্রাচীন ইতিহাস, শ্রেণিকরণ, ট্র্যাজেডি, কমেডি ও প্রহসন নাটকের গঠনরীতি, বিষয়বস্তু ও বৈশিষ্ট্য, নাটকের অঙ্ক বিভাজন ও তাদের স্বরূপ সম্পর্কে জানতে হবে। গল্প ও ছোটগল্পের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, গঠনরীতি, বিষয়বস্তু ও বিস্তার সম্পর্কে জানতে হবে। উপন্যাসের সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, শ্রেণিকরণ, গঠনরীতি, বিষয়বস্তু ও বিস্তার সম্পর্কে জানতে হবে। প্রবন্ধের সংজ্ঞা, শ্রেণিকরণ, গঠনরীতি, বৈশিষ্ট্য, বিষয়বস্তু ও বিস্তার, তন্ময় ও মন্ময় প্রবন্ধের স্বরূপ, রম্যরচনা সম্পর্কে জানতে হবে।

(নাটক দৃশ্য ও শ্রব্য কাব্যের সমন্বয়ে চলমান মানব জীবনের প্রতিচ্ছবি। যে সাহিত্যে সুখ-দুঃখময় লোক জীবনের ঘটনা দৃশ্য রীতিতে অভিনয়ের মাধ্যমে উপস্থাপিত হয় তাই নাটক। শ্রীশচন্দ্র দাসের ভাষায়- ‘নাটক প্রধানত, দৃশ্য ও শ্রব্য কাব্যের সমন্বয়ে রঙ্গমঞ্চের সাহায্যে গতিমান মানব জীবনের প্রতিচ্ছনি।’ Drama is the creation and representation of life in the trems of theatre (Elizabeth Drew)। সংস্কৃতে নাটককে বলা হয়েছে দৃশ্যকাব্য।

ট্র্যাজেডি : নাটকে উপযুক্ত কাহিনি, চরিত্র, সংলাপ প্রভৃতির মাধ্যমে মানব জীবন যখন অন্তর্দ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ভয়ানক ও করুণ রসের ভিতর দিয়ে পরিসমাপ্তি লাভ করে তখন তাকে ট্র্যাজেডি নাটক বলা হয়। কোন এক বিরাট নায়ক বা চরিত্রের শোচনীয় পরাজয়ের কাহিনিই ট্র্যাজেডির উপজীব্য।

কমেডি : কমেডি বিশুদ্ধ হর্ষ-পরিণাম নাটক। জীবনের লঘু দিকটি নিয়ে কমেডির সৃষ্টি। জীবনের কোনো গভীর সমস্যা কমেডিতে রূপায়িত হয় না। কমেডি এমন এক শ্রেণির নাটক যেখানে সাধারণ ব্যক্তি চরিত্রের রূপায়ন হয়, হাস্যোদ্দীপক ঘটনা উপস্থাপনের মাধ্যমে।

ট্র্যাজি-কমেডি : যে নাটকে ট্র্যাজেডির বেদনা ও কমেডির আনন্দ ওতপ্রোতভাবে অনুভব করা যায় তাকে বলা হয় ট্র্যাজি-কমেডি নাটক।

প্রহসন : প্রহসন হাস্যরসময় জীবনালেখ্য। পরিস্থিতি সর্বস্ব কমেডিই প্রহসন। সমাজের দুর্নীতি, কুকর্ম প্রভৃতি সংশোধনের জন্য হাস্যরসের সমন্বয়ে যে একাঙ্কিকা নাটক রচিত হয় তাকেই সংস্কৃত আলংকারিকগণ প্রহসন বলে অভিহিত করেছেন।

বুদ্ধিবৃত্তি ও কল্পনাকে অবলম্বন করে কোনো বিষয় নিয়ে লেখক যে সাহিত্য সৃষ্টি করেন তাকে বলা হয় প্রবন্ধ। প্রবন্ধ শব্দটির বুৎপত্তিগত অর্থ হলো- ‘প্রকৃষ্ট রূপে বন্ধন’। লেখক যখন তার বক্তব্যটিকে যুক্তিতর্কের সাহায্যে ও ধারাবাহিক ভাবে ‘বন্ধনযুক্ত’ করতে সমর্থ হন তখন তা হয় প্রবন্ধ। অর্থাৎ ভাষার সঙ্গে বিষয়ের, বিষয়ের সঙ্গে প্রকাশ ভঙ্গির এবং রূপের সঙ্গে ভাবের প্রকৃষ্ট বন্ধন হলো প্রবন্ধ।

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

সাধন সরকার

শিক্ষক, লৌহজং বালিকা পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মুন্সীগঞ্জ

বাংলাদেশের নদ-নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ

বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর

১. কোন নদীর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশে?

ক. হরিণটানা খ. সাঙ্গু গ. নাফ ঘ. মেঘনা

২. কোনটি নবায়নযোগ্য শক্তি সম্পদ?

ক. তেল খ. কয়লা গ. গ্যাস ঘ. জলবিদ্যুৎ

৩. স্রোতজ বনভূমির আয়তন কত?

ক. ৫,১৯২ বর্গ কি.মি. খ. ৪,১৯২ বর্গ কি.মি.

গ. ৬,১৯২ বর্গ কি.মি. ঘ. ৭,১৯২ বর্গ কি.মি.

৪. বাংলাদেশের মোট আয়তনের কতভাগ বনভূমি আছে?

ক. ১৫% খ. ২০% গ. ১২% ঘ. ১৩%

৫. নিচের কোনটি সুন্দরবনের বৃক্ষ নয়?

ক. গেওয়া খ. গরান গ. সুন্দরী ঘ. চাপালিশ

৬. পদ্মা নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়?

ক. মানস সরোবর খ. লুসাই পাহাড়

গ. গাঙ্গোত্রী হিমবাহ ঘ. মিয়ানমার পাহাড়

৭. বাংলাদেশে নদ-নদী হারিয়ে যাওয়ার কারণ কী?

ক. পলি জমা খ. বাঁধ

গ. পাহাড় ধস ঘ. ভূমিকম্প

৮. পশুর বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের নদী?

ক. উত্তরাঞ্চল খ. পূর্বাঞ্চল

গ. পশ্চিমাঞ্চল ঘ. দক্ষিণাঞ্চল

৯. বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে কোন নদী অবস্থিত?

ক. ফেনী খ. পশুর গ. তিস্তা ঘ. নাফ

১০. নাফ নদীর দৈর্ঘ্য কত?

ক. ১২০ কি.মি. খ. ১৫৬ কি.মি.

গ. ৫৬ কি.মি. ঘ. ২৫৬ কি.মি.

১১. কোন নদীর দুটি নাম আছে?

ক. মেঘনা খ. কর্ণফুলী গ. যমুনা ঘ. পদ্মা

১২. কর্ণফুলী নদীর দৈর্ঘ্য কত?

ক. ২৩০ কি.মি খ. ৩৩০ কি.মি

গ. ১২০ কি.মি. ঘ. ৩২০ কি.মি.

১৩. ঢাকা শহর কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

ক. পদ্মা খ. শীতলক্ষ্যা গ. কর্ণফুলী ঘ. বুড়িগঙ্গা

১৪. কর্ণফুলী নদীর উপনদী কোনটি?

ক. হালদা খ. সাঙ্গু গ. কালালং ঘ. কাপ্তাই

১৫. কোন নদী সৃষ্টির কারণ ভূমিকম্প?

ক. পদ্মা খ. মেঘনা গ. যমুনা ঘ. কর্ণফুলী

১৬. বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। নদী বেশি প্রয়োজন-

i. যোগাযোগ ii. পর্যটন iii. জীবিকার্জনে

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও iii খ. ii ও iii গ. i ও ii ঘ. i, ii ও iii

১৭. নদীর প্রবাহ দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণ-

i. পলি জমা ii. বাঁধ নির্মাণ iii. শিল্প বর্জ্য

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও iii খ. ii ও iii গ. i ও ii ঘ. i, ii ও iii

১৮. সিলেটের পাহাড়ে প্রচুর কী দেখা যায়?

ক. গরান খ. মেহগনি গ. শিরীষ ঘ. বাঁশ

১৯. জলবিদ্যুৎ কোন ধরনের শক্তি?

ক. আণবিক খ. রাসায়নিক

গ. পারমাণবিক ঘ. নবায়নযোগ্য

২০. সুরমা ও কুশিয়ারার মিলিত প্রবাহের নাম কী?

ক. কালনী খ. বরাক গ. তিতাস ঘ. গোমতী

২১. বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ হলো-

i. চীনামাটি ii. কয়লা iii. সোনা

নিচের কোনটি সঠিক?

ক. i ও iii খ. ii ও iii গ. i ও ii ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপক পড়ে ২২ নং প্রশ্নের উত্তর দাও

দুই বন্ধু জামাল ও কামাল প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে আলোচনা করছিল। কামাল এমন একটি সম্পদ নিয়ে কথা বলছিল যার সঙ্গে ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ুর সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে এবং বঙ্গোপসাগরে এর বিপুল ভান্ডার রয়েছে।

২২. কামাল কোন সম্পদ সম্পর্কে বলছিল?

ক. খনিজ খ. কৃষিজ

গ. বনজ ঘ. মৎস্য

২৩. বাংলাদেশের বেশিরভাগ নদীর উৎস কোন দেশে?

ক. নেপাল খ. ভুটান

গ. চীন ঘ. ভারত

২৪. উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য অনুসারে বনাঞ্চলকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?

ক. ২ খ. ৩ গ. ৪ ঘ. ৫

নিচের উদ্দীপক পড়ে ২৫ ও ২৬ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:

সেতু তার মায়ের সঙ্গে একটি বনভূমিতে বেড়াতে গিয়ে দেখল, সেখানকার গাছগুলো বেশ উঁচু ও ঘন। তার মা তাকে বলল যে, বাংলাদেশের একটি বনাঞ্চলে এরূপ বৃক্ষ প্রচুর পরিমাণে জন্মায়।

২৫. সেতুর দেখা বনভূমিতে কোন বৃক্ষ জন্মায়?

ক. সেগুন খ. গরান

গ. শিরিষ ঘ. বহেড়া

উত্তর: ১.ক ২.ঘ ৩.খ ৪.ঘ ৫.ঘ ৬.গ ৭.ক ৮.ঘ ৯.ঘ ১০.গ ১১.ঘ ১২.গ ১৩.ঘ ১৪.ঘ ১৫.গ ১৬.ঘ ১৭.ঘ ১৮.ঘ ১৯.ঘ ২০.ক ২১.গ ২২.ঘ ২৩.ঘ ২৪.খ ২৫.ক।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম