Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

পাকিস্তানের খরা-বন্যা এবার ভারতের হাতে

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

যুদ্ধ ও কূটনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও টিকে ছিল ভারত-পাকিস্তান পানিবণ্টন চুক্তি। দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও পানিই ছিল একমাত্র নিশ্চিত বিষয়। তবে সেই নিশ্চয়তায়ও এবার পড়ল অনিশ্চয়তার ছাপ। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বন্দুক হামলাকে কেন্দ্র করে কয়েক দশক ধরে চলমান এই সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। যার জেরে ভয়াবহ পানি সংকটে পড়তে পারে পাকিস্তান। দেশটির কৃষিজমিতে যে পানি সরবরাহ করা হয় তার প্রায় ৯০ শতাংশই সিন্ধুর। ফলে চুক্তি স্থগিত হলে সর্বনাশা খরার কবলে পড়বে পাকিস্তান। শুধু খরাই নয়, বন্ধ করা পানি হঠাৎ করে ছেড়ে দিলেও আরেক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে দেশটি। ভয়ংকর বন্যার গ্রাসে ডুবে যেতে পারে মাঠঘাট, ফসলি জমি। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের খরা-বন্যা এবার ভারতের হাতেই। রয়টার্স।

বুধবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস দমন না করা পর্যন্ত পানি চুক্তিটি কার্যকর থাকবে না। একই সঙ্গে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে ভারত। পানিচুক্তি স্থগিত করলে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে সেচ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কৃষিতে। ফলে অর্থনৈতিকভাবে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানো বেশ কঠিন হতে পারে। কৃষি থেকেই দেশটির মোট আয়ের ২৩ শতাংশ আসে। গ্রামের ৬৮ শতাংশ মানুষ এর ওপরেই নির্ভরশীল। ভারত পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিলে চাষবাস ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে দেখা দিতে পারে চরম খাদ্য সংকট। বেড়ে যেতে পারে অর্থনৈতিক অস্থিরতা। এই চুক্তিটি সিন্ধু অববাহিকার ছয়টি নদীকে দুটি দেশের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছে। ভারত পূর্ব দিকের তিনটি নদী রবি, বিয়াস ও শতদ্রু পেয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান পেয়েছে পশ্চিমের তিনটি নদী সিন্ধু, ঝিলম ও চেনাব। যা অববাহিকার মোট পানির ৮০-৯০ শতাংশের জোগান দেয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম