ধেয়ে আসছে গ্রহাণু
পৃথিবী রক্ষায় নাসার পরিকল্পনা

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু ২০২৪ ওয়াইআর-৪। ২০৩২ সালে এটি আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। যার জেরে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। তবে এবার ভয়ের অবসান ঘটিয়ে কিছুটা স্বস্তির খবর দিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সাম্প্রতিক ঝুঁকি মূল্যায়নে গ্রহাণুটির সম্ভাব্য আঘাতের হার ৩ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ করেছে বলেই জানিয়েছে সংস্থাটি। এনডিটিভি।
‘সিটি-কিলার’ নামেও পরিচিত এই গ্রহটি প্রায় ১৩০ থেকে ৩০০ ফুট প্রশস্ত। এটি যদি কোনো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানে তবে তা মারাত্মক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাতে পারে। প্ল্যানেটারি সোসাইটির প্রধান বিজ্ঞানী ব্রুস বেটস সতর্ক করে বলেছেন, এটি যদি প্যারিস, লন্ডন বা নিউইয়র্কের ওপর আঘাত হানে তাহলে পুরো শহর এবং আশপাশের এলাকাগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে নাসা সাম্প্রতিক ঝুঁকি মূল্যায়নে গ্রহাণুটির সম্ভাব্য আঘাতের হার ৩ দশমিক ১ শতাংশ (১/৩২) থেকে কমিয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ (১/৬৭) করেছে। যদিও এটি কিছুটা স্বস্তির খবর। তবে এখনো যথেষ্ট হুমকি হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। এ কারণেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ সংস্থাগুলো সম্ভাব্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে। কেনেডি স্পেস সেন্টারের এক প্রকল্প ব্যবস্থাপক বলেছেন, আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে কিন্তু পরিকল্পনা শুরু করার সময় এখনই। নাসা ইতোমধ্যে চীনের সিএনএসএ, রাশিয়ার রসকসমস এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করছে। যদি পরবর্তী বিশ্লেষণে নিশ্চিত হয় যে, ওয়াইআর-৪-এর আঘাতের সম্ভাবনা বেশি তবে বিশেষজ্ঞরা ‘বিস্ফোরকযুক্ত রকেট পাঠিয়ে গ্রহাণুটির গতিপথ পরিবর্তন বা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করার পরিকল্পনা করছেন। নাসার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ধ্বংস করা সহজ, কিন্তু সমস্যা হলো সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় বিস্ফোরক পৌঁছে দেওয়া। সেটাই সবচেয়ে কঠিন কাজ।
গ্রহাণুটি কী দিয়ে তৈরি তা এখনো নিশ্চিত নয়। যদি এটি ২০১৩ সালে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্কে বিস্ফোরিত গ্রহাণুর মতো ঝুঁকিপূর্ণ উপাদানে গঠিত হয় তবে তা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময়ই ভেঙে পড়তে পারে। তবে এটি যদি ধাতব বা কঠিন শিলা দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। তবে তা ধ্বংস বা গতিপথ পরিবর্তন করতে আরও শক্তিশালী বিস্ফোরণের প্রয়োজন হবে।