ফেডারেল অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত আটকে দিলেন বিচারক
ট্রাম্পের আদেশে আইনি বাধা
আট মাসের বেতন দিয়ে ২০ লাখ কর্মীকে চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল অনুদান এবং ঋণ বন্ধের পরিকল্পনা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন বিচারক লরেন আলি খান। মঙ্গলবার থেকে ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার কিছুক্ষণ আগেই এটি আটকে করেন বিচারক। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারক লরেন আলি খান আগামী সোমবার বিকাল (স্থানীয় সময়) পাঁচটা পর্যন্ত পরিকল্পনা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ওইদিন আদালত এই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবেন বলে জানানো হয়েছে। অনুদান প্রাপকদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংস্থার দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদেশটি স্থগিত করা হয়। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ ননপ্রফিটসের প্রেসিডেন্ট ডিয়ানে ইয়েনটেল সামাজিক মাধ্যম এক্সে আদালতের আদেশে উল্লাস প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, আমাদের মামলা সফল হয়েছে, আদালত ফেডারেল অর্থায়ন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত আটকে দিয়েছে। এর আগে হোয়াইট হাউস বাজেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সংস্থাগুলোকে সব ফেডারেল আর্থিক সহায়তার বাধ্যবাধকতা বা বিতরণ সম্পর্কিত সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দেন। এতে বলা হয়েছে, নতুন প্রশাসনকে তাদের এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অনুদান এবং ঋণ মূল্যায়ন করার জন্য সময় দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত সোমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সব ধরনের ফেডারেল সহায়তা ও ঋণ স্থগিতের নির্দেশ দেন। এরপর সাধারণ জনগণ ও বিরোধীদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সবার আশঙ্কা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ফলে সেবা প্রদানকারী কর্মসূচিগুলো ব্যাহত হবে এবং দেশটির লাখ লাখ নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হোয়াইট হাউজের এই আদেশ দুর্যোগ ত্রাণ থেকে শুরু করে ক্যানসার গবেষণা পর্যন্ত ফেডারেল কর্মসূচির জন্য বরাদ্দকৃত কোটি কোটি ডলারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা সবার।
এদিকে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে ২০ লাখ পূর্ণকালীন বেসামরিক ফেডারেল কর্মীকে চাকরি ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। প্রশাসনের আকার ছোট করে আনার যে পরিকল্পনা তার অংশ হিসাবে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেই জানানো হয়েছে। এই ‘বিলম্বিত ইস্তফা কর্মসূচির’ আওতায় কর্মীরা চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন ঠিকই পাবেন, তবে তাদেরকে কর্মস্থলে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে না। এই সময়ের মধ্যে তাদের কাজও কমিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে কিংবা একেবারে কোনো কাজ করা লাগবে না তাও হতে পারে। ফেডারেল কর্মীদের কাছে পাঠানো এক ইমেইলে এমনটাই বলা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ওই ইমেইলটি দেখেছে। এতে ফেডারেল কর্মীদেরকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাদেরকে জানতে হবে তারা চাকরি ছাড়তে রাজি কি না।