জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় রাজি নন পুতিন
‘পশ্চিমারা হাত গুটিয়ে নিলে ইউক্রেনের অস্তিত্ব থাকবে না’
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় মোটেও আগ্রহী নন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার রুশ সাংবাদিক পাভেল জারুবিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। পুতিন বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা সম্ভব কিন্তু তার প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে নয়। সে সময় জেলেনস্কিকে ‘অবৈধ’ হিসাবেও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি জেলেনস্কির প্রেসিডেন্ট মেয়াদ শেষ হয়েছে বলেও জানান। বুধবার এএফপির প্রতিবেদনে উঠে আসে এই তথ্য।
ক্ষমতায় আসার পরই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চাপ দিয়ে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি এ বিষয়ে পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায়ও বসতে রাজি তিনি। এছাড়াও যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন বলে জানিয়েছেন সদ্যনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপরই কিছুটা নড়েচড়ে বসছেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘যদি সমঝোতা করার ইচ্ছা থাকে এবং একটি সমঝোতা খুঁজে পায়, তবে সেখানে যে কেউ আলোচনার নেতৃত্ব দিন। স্বাভাবিকভাবেই, যা আমাদের জন্য উপযুক্ত এবং আমাদের স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ তার জন্য চেষ্টা করব’। এরপর তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াশিংটন যদি কিয়েভকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা প্রদান বন্ধ করে, সেক্ষেত্রে দুই মাসের মধ্যেই ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে। পশ্চিমাদের অর্থ ও গোলাবারুদ ফুরিয়ে গেলে তারা এক মাসও টিকতে পারবে না। আমি মনে করি, সবকিছু শেষ হতে পারে আগামী দেড় থেকে দু’মাসের মধ্যেই। এদিক থেকে বিবেচনা করলে, সত্যিকার অর্থে এ মুহূর্তে ইউক্রেনের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।’ ইউক্রেনকে সাহায্যকারী দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করে পুতিন আরও বলেন, ‘আরেকটি কথা আমি বলব কিয়েভের পশ্চিমা পৃষ্ঠপোষকরা যদি সত্যিই শান্তি চায়, তাহলে এখনই আদর্শ সময়। আমরা ইতোমধ্যে এ ইস্যুতে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি।’ উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী, যা এখনও চলছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
প্রায় তিন বছরের যুদ্ধে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া এবং খেরসন এই চার প্রদেশের দখল করেছে রাশিয়া। মস্কোর প্রস্তাব কিয়েভ যদি ক্রিমিয়াসহ এই চার প্রদেশকে রুশ ভূখণ্ড হিসাবে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে। তবে গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থ সহায়তা প্রদান স্থগিত রাখা সংক্রান্ত একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন।