Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

‘বন্ধু দেশ’ ভারতকেও শুল্কের হুমকি

যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে এক চুলও ছাড় দেবেন না ট্রাম্প

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সময় যত গড়াচ্ছে দীর্ঘ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিধি-নিষেধের তালিকা। শুধু নিজ দেশেই নয়, বহির্বিশ্বেও ব্যাপক পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেই তালিকায় উঠে আসছে ‘বন্ধুদেশ’ ভারতেরও নাম। সোমবারও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনালাপের পর ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে এই বার্তা দেওয়ার পরপরই আবার ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও শুল্ক আরোপের কড়া হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এনডিটিভি, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সোমবার ফ্লোরিডায় হাউজ রিপাবলিকানদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাস্প। সেখানেই শুল্ক আরোপের বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, ভারত-চীনের মতো দেশগুলো বিপুল পরিমাণে আমদানি শুল্ক (মার্কিন পণ্যে) চাপায়। এবার সেই পথে হাঁটবে যুক্তরাষ্ট্রও। কারণ দেশের স্বার্থকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেবে তার প্রশাসন। সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প। এরপর মঙ্গলবার দলীয় এক অনুষ্ঠানে শুল্ক ইস্যুতে এসব কথা শোনা যায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখে। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার মূল লক্ষ্য, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’। অর্থাৎ দেশের স্বার্থই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, যেসব দেশ বা সংস্থা আমাদের ক্ষতি করে তাদের ওপর বড় শুল্ক চাপিয়ে দেব। আসলে ওরা আমাদের শুল্ক দিয়ে নিজেদের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে। কিন্তু সেটা আর হতে দেব না। উদাহরণ হিসেবে ভারত, চীন এবং ব্রাজিলের নাম উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার কথায়, চীন প্রচুর আমদানি শুল্ক চাপায়। একই কাজ করে ভারত ও ব্রাজিলের মতো আরও অনেক দেশ। কিন্তু সেটা আর হবে না, কারণ আমরা আমেরিকা ফার্স্ট নীতি নিয়ে চলব। আমদানি শুল্ক এড়াতে বিদেশি কোম্পানিগুলোর কাছে ট্রাম্পের বার্তা, তারা যেন মার্কিন মুলুকেই কারখানা নির্মাণ করে। আগামী কিছুদিনে খুব কম সময়ের মধ্যে আমেরিকায় প্রচুর কারখানা হবে বলেও জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প আরও বলেন, আমদানি শুল্ক বাড়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মী এবং ব্যবসায়ীদের ওপর করের বোঝা কমবে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়া আইনজীবীদের বরখাস্ত : যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের এক ডজন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বহিষ্কৃত কর্মকর্তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তে জড়িত ছিলেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএইড) কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকেও ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তারা প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ অমান্য করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

জ্যাক স্মিথের দলের কাদের ট্রাম্প বরখাস্ত করলেন, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে তাদের পূর্ণ বেতন ও অন্যান্য সুবিধা চলমান থাকবে বলে জানা গেছে। বিবিসি। বিচার বিভাগের একজন কর্মকর্তা না প্রকাশ না বলেন, ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস ম্যাকহেনরি সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে ‘প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) বিচারপ্রক্রিয়ায় তাদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা থাকার কারণে তার এজেন্ডা বিশ্বস্তভাবে বাস্তবায়নে এসব ব্যক্তিকে আর বিশ্বাস করা যায় না। এর পরপরই আইনজীবীদের বরখাস্ত করা হয়।’ বরখাস্ত হওয়া আইনজীবীরা সাবেক বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথের নেতৃত্বাধীন তদন্ত দলে যুক্ত ছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম