যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় বহু মার্কিনির জন্য বড় ধাক্কা। এমনকি আমেরিকার ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কিত অনেকে। এরই মধ্যে বহু নাগরিক দেশ ছাড়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অন্য কোনো দেশে ঠাঁই পেতে মরিয়া কেউ কেউ। সেসব হতাশাগ্রস্ত নাগরিকদের জন্য নামমাত্র মূল্যে বাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছে ইতালি। দেশটির সার্ডিনিয়ার দ্বীপে একটি গ্রামে মাত্র ১ ডলারে বাড়ি ক্রয়ের সুযোগ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি এ বিষয়ে একটি ইন্টারনেটে খোলা হয়েছে ওয়েবসাইটও। বুধবার সিএনএনের প্রতিবেদনে উঠে আসে এই তথ্য।

মূলত সার্ডিনিয়ার দ্বীপের ওলোলাই গ্রামের কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বাইরের বাসিন্দাদের মাধ্যমে বসতি গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। কেননা বেশ কয়েক দশক ধরেই গ্রামটিতে লোকজনের বসতি কমছে। লোকজন না থাকায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে অনেক বাড়ি। এ অবস্থায় আকর্ষণীয় ওই উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর একটি ওয়েবসাইট খুলেছে। আর সেখানেই এ নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জেতায় হতাশ মার্কিনদের জন্য শুধু এক ডলারে বাড়ি কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে ভালো সাড়া পাবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘বৈশ্বিক রাজনীতিতে আপনি কি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে আরও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন বেছে নিতে চাইছেন।’ এতে আরও বলা হয়, ‘অত্যাশ্চর্য স্বর্গ সার্ডিনিয়ায় আসার মধ্য দিয়ে আপনার ইউরোপে পালানোর সময় এসেছে।’ মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে ইতালির ওই গ্রামের মেয়র ফ্রান্সিসকো কলাম্বু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনের পর, বিশেষ করে (হতাশ) মার্কিনদের এখানে বসতি গড়ায় আকৃষ্ট করতে ওয়েবসাইটটি খোলা হয়েছে। কলাম্বু আরও বলেন, তিনি মার্কিনদের ভালোবাসেন এবং মনে করেন, তার এ কমিউনিটিতে প্রাণ ফেরাতে তারাই হবেন সেরা মানুষ। মেয়র ফ্রান্সিসকো অবশ্য অন্য দেশের নাগরিকদের জন্য তার গ্রামে বসতি গড়ার সুযোগ একেবারে বন্ধ করে দেননি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রকৃতই চাইব এবং এ বিষয়ে মনোযোগ দেব যে মার্কিনরা যেন সবার ওপর সুযোগ পান। তবে আমরা অন্য দেশের নাগরিকদের এখানে বসবাসের জন্য আবেদন করার সুযোগ বাতিল করছি না।’ উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে কানাডা, ইতালি, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার দেশগুলোতে পাড়ি দেওয়ার বিষয়ে গুগল সার্চে লোকজনের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার তালিকায় সবার আগে আছে হলিউড অভিনেত্রী শ্যারন স্টোনের নাম। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে ইতালি চলে যেতে চাইছেন।