Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

নাসরুল্লাহর উত্তরসূরিকেও হত্যা

ইসরাইলের দাবি

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ইসরাইলি হামলায় নিহত হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেম সাফিউদ্দিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইসরাইলের হামলার পর থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কি নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরিকেও হত্যা করল ইসরাইল? এই প্রশ্নই এখন ওঠে এসেছে বিশেষজ্ঞ মহলে। হিজবুল্লাহ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও হামলায় হাশেম নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরাইলি বাহিনী। শনিবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে স্কাই নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি হিজবুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইসরাইল বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে একটি বড় হামলা চালায়। সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস তিনজন ইসরাইলি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, হামলাটি একটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি হাশেমকে লক্ষ্য করে চালানো হয়। তবে সেখানে কারা উপস্থিত ছিলেন তা জানায়নি আইডিএফ। এর আগে লেবাননের নিরাপত্তা সূত্রগুলো রয়টার্সকে জানিয়েছে, বৈরুতের ওই বাঙ্কারে বিমান হামলার পর থেকে হাশেম সাফিউদ্দিনের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বর্তমানে তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। হামলার পর থেকে হিজবুল্লাহ এখন পর্যন্ত হাশেম সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি। এদিকে শুক্রবার ইসরাইলের লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি বলেছেন, সেনাবাহিনী এখনও বৃহস্পতিবার রাতের বিমান হামলার মূল্যায়ন করছে। যেটি হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দফতর লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি সাফিউদ্দিন যদি সত্যি নিহত হয়ে থাকেন তবে তা হিজবুল্লাহ এবং এর পৃষ্ঠপোষক ইরানের জন্য আরও একটি বড় আঘাত হবে। গত বছর থেকে এই অঞ্চলজুড়ে ইসরাইলি হামলা (যা কয়েক সপ্তাহে তীব্র হয়েছে) হিজবুল্লাহর নেতৃত্বকে অনেকটাই ধ্বংস করেছে। ইসরাইল শনিবার উত্তরের শহর ত্রিপোলিতে প্রথম হামলার মাধ্যমে লেবাননে তার হামলা আরও জোরদার করেছে। লেবাননের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলছেন, বৈরুতের শহরতলিতে বোমা হামলার পর ইসরাইলি সেনারা দক্ষিণে অভিযান শুরু করেছে। হাশেম সাফিউদ্দিন নির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান হিসাবে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক বিষয়গুলো তত্ত্বাবধান করেন। তিনি জিহাদ কাউন্সিলের সদস্য। যা প্রতিরোধ যোদ্ধাদলটির সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। হাশেম সাফিউদ্দিন হাসান নাসরুল্লাহর মামাতো ভাই এবং তার মতোই একজন ধর্মীয় নেতা। তাকে নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হিসাবে দেখা হচ্ছিল।

লেবাননের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত সপ্তাহে নাসরুল্লাহকে মারতে যে হামলা ইসরাইল করেছে তার চেয়ে এবারের হামলা অনেক ভয়াবহ ছিল। তবে হতাহতের সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। লেবাননে চলমান ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

এদিকে ইসরাইলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে ইরানও। এরই মধ্যে ইসরাইলকে আবারও হুমকি দিয়েছে তেহরান। ইরানে নতুন করে যে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করলে দখলদার ইসরাইলের সব জ্বালানি স্থাপনা একসঙ্গে ধ্বংস করে ফেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। আইআরজিসির ডেপুটি কমান্ডার মেজর জেনারেল আলী ফাদাভি শুক্রবার লেবাননের আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরানে হামলা চালালে নিজের অস্তিত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে ইসরাইল। তিনি আরও বলেছেন, দখলদার সরকার যদি কোনো ভুল করে তাহলে আমরা এটির জ্বালানির সব উৎস, সবগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সব তেল শোধনাগার ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে একযোগে হামলা চালাব। লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। এর জবাবে মঙ্গলবার রাতে ইরান ইসরাইলের সামরিক স্থাপনাগুলোতে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পরে তেল আবিব ইরানের তেল ক্ষেত্রগুলোতে হামলা চালানোর হুমকি দেয়। ওই হুমকির প্রেক্ষাপটে জেনারেল ফাদাভি পালটা এ হুঁশিয়ারি দেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম