Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

অসন্তোষ মোদির মন্ত্রিসভায়

কে পেলেন কোন মন্ত্রণালয়

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অসন্তোষ মোদির মন্ত্রিসভায়

টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রোববার শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন মোদির সঙ্গে শপথ নিয়েছেন তার মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। তবে কে কোন মন্ত্রণালয় পেলেন তা ওইদিন জানানো হয়নি। অবশেষে সোমবার প্রথম নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর মন্ত্রীদের জন্য চূড়ান্ত করা হয় মোদির মন্ত্রিসভা। বিশেষভাবে দায়িত্ব বণ্টন করা হয়।

মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, প্রধান চার মন্ত্রণালয়ে গতবারের চারজনকেই রাখা হয়েছে। তবে এ বণ্টন নিয়েই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মী, জনঅভিযোগ ও পেনশন মন্ত্রণালয়, পারমাণবিক শক্তি বিভাগ, মহাকাশ বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা নির্ধারণ বিভাগসহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় কাউকে দেওয়া হয়নি। আবার বেশ কয়েকটি পদে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। এবারও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অমিত শাহর দায়িত্বেই আছে। তার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আছেন নিত্যানন্দ রাই ও বান্দি সঞ্জয় কুমার। সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও গেছে অমিত শাহর দখলে। এখানে তার প্রতিমন্ত্রী কৃষ্ণ পাল ও মুরলিধর মহল।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী যথাক্রমে রাজনাথ সিং ও সঞ্জয় শেঠ। মোদির এবারের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো পরিবর্তন আসেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও। এবারও ভারতের গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন সুব্রহ্মণম জয়শংকর। অবশ্য তার সহযোগী হিসাবে আছেন কীর্তি বর্ধন সিং ও পবিত্র মার্গেরিটা। পরিবর্তন আসেনি অর্থ মন্ত্রণালয়েও। এবারের মন্ত্রিসভায় নির্মলা সীতারমণই অর্থমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। এই মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন পঙ্কজ চৌধুরী। এ ছাড়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছেন নির্মলা সীতারমণ। তার প্রতিমন্ত্রী হর্ষ মালহোত্রা। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গেছে নিতিন গাদকারির কাছে। এখানে তার প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন অজয় তামতা ও হর্ষ মালহোত্রা।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন জেপি নাড্ডা এবং তার মন্ত্রণালয়ের দুই প্রতিমন্ত্রী হলেন অনুপ্রিয়া প্যাটেল ও গণপতরাও যাদব। জেপি নাড্ডা ভারতের রাসায়নিক ও সার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও পেয়েছেন। এখানেও তার প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল। নতুন মন্ত্রিসভায় দেশটির বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন মনোহর লাল খাট্টার। তার প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন শ্রীপদ নায়েক। দেশটির তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। তার প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান। অশ্বিনী বৈষ্ণব ভারতের রেল মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পেয়েছেন। সেখানে তার প্রতিমন্ত্রী হিসাবে থাকবেন রবনীত সিং ও ভি সোমান্না। অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও একটি ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন।

এদিকে মন্ত্রিসভার এ বণ্টন নিয়ে বৈষম্যের অভিযোগও উঠেছে। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে সাত দফায় ভোট গ্রহণের পর গত ৪ জুন ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় শরিকদের হাত ধরে এবার জোট সরকার গঠন করতে হয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। জোটের শরীকদের ১১টি মন্ত্রণালয় দিয়েছেন মোদি। তবে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো নিজের কাছেই রেখেছেন তিনি। এ বণ্টন নিয়েই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে। ক্ষমতা ভাগাভাগির ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে বিজেপির দীর্ঘদিনের মিত্র শিবসেনা। মন্ত্রিসভায় কোনো পদ না পেয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শিবসেনা। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোদির মন্ত্রিসভায় কোনো মন্ত্রীর পর পায়নি শিবসেনা।

শুধু একটি প্রতিমন্ত্রী পদ পেয়েছে মহারাষ্ট্রের দলটি। এ বিষয়ে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বাধীন দলের শীর্ষ নেতা শ্রীরঙ্গ বার্নে বলেছেন, নতুন মন্ত্রিপরিষদে অন্যান্য এনডিএ মিত্রদের শতাংশের ভিত্তিতে আমরা একটি মন্ত্রিসভা আশা করেছিলাম। মন্ত্রিত্ব বণ্টনে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমরা বিজেপির তৃতীয় বৃহত্তম মিত্র। অনেক কম আসন পাওয়া অন্য মিত্ররাও মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, আমাদের প্রতি বৈষম্য হয়েছে। যদিও দলটির আরেক নেতা শ্রীকান্ত শিন্ডে স্পষ্ট করেছেন, তারা নিঃশর্তভাবেই মোদি সরকারকে সমর্থন করছেন এবং এর সঙ্গে ক্ষমতার জন্য দরকষাকষি বা আলোচনা জড়িত নয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম