Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

মস্কোর ছাদে ছাদে প্রতিরক্ষা ঢাল

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মস্কোর ছাদে ছাদে প্রতিরক্ষা ঢাল

বহুতল ভবনগুলোর ছাদে ছাদে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করেছে রাশিয়া। শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে উঁচু দালানে পান্তসির-এস১ অ্যান্টি এয়ারক্রাফট সিস্টেম ব্যবহার করতে দেখা যায়।

মস্কো কি তবে সম্ভাব্য আক্রমণের শঙ্কায় নিয়েছেন কঠোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা? এ প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যায় ক্রেমলিন। তবে একদিন পর শনিবার মুখ খুলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বলেছে-মস্কোতে বিমান হামলা প্রতিহত করার জন্য একটি প্রশিক্ষণ মহড়া পরিচালনা করছে ক্রেমলিন। খবর আলজাজিরা, এএফপির।

পান্তসির-এস১ এক ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা মূলত যুদ্ধবিমান, ব্যালেস্টিক, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা ধরনের অস্ত্র থেকে আকাশকে রক্ষা করতে সক্ষম।

মস্কোর কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলোতে বসানো হয়েছে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এলাকাটি ক্রেমলিন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বেসামরিক ভবনের পাশাপাশি অনেক সরকারি ভবনের ছাদেও মোতায়েন করা হয়েছে।

মস্কোভা নদীর তীরবর্তী গোর্কি পার্কে অবস্থিত দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনেও তা দেখা যায়। রুশ ভাষায় পরিচালিত মিডিয়া ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ জানায়, পুতিনের বাসভবন থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মস্কোর বাইরে নভো-ওগারিওভোতে আরেকটি পান্তসির সিস্টেম দেখা গেছে।

শনিবার এক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘মস্কো অঞ্চলে, গুরুত্বপূর্ণ সামরিক শিল্প ও প্রশাসনিক স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা প্রতিহত করার বিষয়ে ওয়েস্টার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট মিসাইল ব্রিগেডের কর্মীদের সাথে একটি প্রশিক্ষণ অধিবেশন করেছে।’

এত আয়োজনের পরেও ঝেড়ে কাশেনি ক্রেমলিন। রাশিয়া আক্রমণের আশঙ্কা করছে কিনা এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির পূর্বে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘রাজধানীসহ সমগ্র দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারাই এর জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। তাদেরই প্রশ্ন করলে হয়তো উত্তর পাওয়া যেতে পারে।’

যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকায় ‘ওয়াগনার’ : ইউক্রেনজুড়ে নৃশংসতা ও মানবাধিকার লংঘনের দায়ে রাশিয়ার ‘ভাড়াটে সেনা’ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপকে এবার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত করল যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, সংগঠনটিকে উত্তর কোরিয়া অস্ত্র সরবরাহ করছে বলেও অভিযোগ তুলেছে হোয়াইট হাউজ। সংগঠনটিকে ‘ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন’ বা সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আলজাজিরা।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি শনিবার এক বিবৃতিতে জানান, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মালিকানাধীন সংগঠন ওয়াগনার থেকে অন্তত ৫০ হাজার সেনাকে ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৮০ শতাংশই রাশিয়ার কারাগারগুলো থেকে নেওয়া হয়েছে। ভাড়াটে এসব সেনাই ইউক্রেনজুড়ে নৃশংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ওয়াগনারকে যারা সহায়তা করছে তাদের চিহ্নিত করে প্রকাশ্যে আনতে এবং বিচারের মুখোমুখি করতে বাইডেন প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’ হোয়াইট হাউজের দাবি, ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য ওয়াগনারকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে উত্তর কোরিয়া। এ বিষয়ক বেশ কিছু ছবিও সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ করেন জন কিরবি।

অপেক্ষা করুন, এখনই হামলা নয় -ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র : ইউক্রেনকে এখনই বড় ধরনের হামলা না করার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, মার্কিন অস্ত্রের সর্বশেষ সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণ না দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বাইডেন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

স্থানীয় সময় শুক্রবার ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ট্যাংক নিয়ে জার্মানির সঙ্গে বিতর্ক চলছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ইউক্রেনে আব্রামস ট্যাংক না পাঠানোর সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘ইউক্রেন এখনই রুশ বাহিনীর ওপর পালটা আক্রমণ করবে কিনা, সে ব্যাপারে জেলেনস্কি সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অত্যাধুনিক অস্ত্রের প্রশিক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সময় দরকার। এ সময় পর্যন্ত বড় ধরনের আক্রমণে না যাওয়াই ভালো। মার্কিন কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, ইউক্রেনের সৈন্যরা নতুন অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পেলে আক্রমণটি আরও সফল হবে।’ ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দল কিয়েভে গিয়েছিল।

এ বছরও শেষ হচ্ছে না ইউক্রেন যুদ্ধ -জেনারেল মার্ক মিলি : এ বছরও শেষ হচ্ছে না ইউক্রেন যুদ্ধ। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি। তিনি বলেছেন, সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে, এ বছরও ইউক্রেন থেকে রুশ আক্রমণকারীদের তাড়িয়ে দেওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার। শুক্রবার জার্মানির মার্কিন বিমানঘাঁটি র‌্যামস্টেইনে ন্যাটো জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি। জেনারেল মার্ক মিলি বলেছেন, ‘সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমি এখনও মনে করি যে, এ বছরও রুশ অধিকৃত ইউক্রেনের প্রতিটি ইঞ্চি থেকে রাশিয়ার সেনাদের যুদ্ধের মাধ্যমে বের করে দেওয়া খুব, খুব কঠিন হবে।’ ফলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, এ বছরও যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম