সামারা ওয়েভিং
যেতে হবে বহুদূর
সেলিম কামাল
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী সুপার মডেল সামারা ওয়েভিং-এর পর্দায় অভিষেক হয়েছিল শর্টফিল্মের মাধ্যমে, ২০০৯ সালে। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। এখন ৩২। পরবর্তী ১৫ বছরে হলিউডে ক্যারিয়ার সাজাতে করে গেছেন অক্লান্ত পরিশ্রম। সাফল্যের প্রথম দেখা পেয়েছিলেন ২০১৬ সালে ফিন এডকুইস্ট পরিচালিত অস্ট্রেলীয় সিনেমা ‘ব্যাড গার্ল’র মাধ্যমে। ওই সিনেমায় তার অভিনীত ক্লোয়ে বুচানন চরিত্রটি তাকে দিয়েছিল তারকা হওয়ার সম্ভাব্য ইঙ্গিত। আর হলিউডে তার প্রথম সাফল্য আসে পরের বছরই- জোসেফ ম্যাকজি পরিচালিত ‘দ্য বেবিসিটার’ সিনেমা দিয়ে। এ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি হলিউড থেকে খালি হাতে ফিরে যাওয়ার জন্য আসেননি। সে ধারাবাহিকতায় আগামীকাল বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত অ্যাকশন হরর সিনেমা ‘আজরাইল’। ইভান লুইজ কাট্জ পরিচালিত এ সিনেমার নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন সামারা ওয়েভিং। হলিউড চলচ্চিত্র সমালোচকরা বলছেন, এ সিনেমার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে তারকা হিসাবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন এ অভিনেত্রী। ‘আজরাইল’ সিনেমায় সামারার সঙ্গে অভিনয়ে আরও রয়েছেন-ভিক্টোরিয়া কারমেন সোনি, নাথান স্টুয়ার্ট জেরেট, ক্যাটারিনা আন্ট প্রমুখ।
যুক্তরাষ্ট্র্রের টেক্সাসে ৯ মার্চ যখন সাউথ বাই সাউথওয়েস্ট উৎসবে এ সিনেমার প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়, তখন থেকেই প্রচার হতে থাকে ‘আজরাইল’ সিনেমার গল্প। মূলত সাইমন ব্যারেটের লেখা এ সিনেমায় আজরাইল একটি কাল্পনিক চরিত্র। নারীশাসিত একটি রাজ্য-যেখানে ক্ষমতাসীন নারীদের বিরুদ্ধে কেউ কোনো কথা বলতে পারে না। এখানে এক নারীকে হন্যে হয়ে খুঁজছে একদল নারী। কারণ আজরাইল নামের ওই নারী জেল থেকে পালিয়েছে। বহু ধরনের মিশন শেষে সে ধরাও পড়েছে। সিদ্ধান্ত হয়, মরুভূমিতে নিয়ে তাকে বিখ্যাত প্রাচীন শয়তানের কাছে বলি দেওয়া হবে। যে কথা সেই কাজ। কিন্তু এখানে শয়তানের সঙ্গে আজরাইলের ব্যাপক যুদ্ধ হয়। আজরাইল নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে সংগ্রাম করতে থাকে। সিনেমায় সামারার এ সংগ্রামী ভূমিকাই তাকে দক্ষ অভিনেত্রীর স্বীকৃতি দেবে বলে মনে করছেন সমালোচকরা। কেউ বলছেন, কোনো কোনো পুরস্কার হাতছানি দিয়ে ডাকছে সামারাকে।
বড় কোনো আসর থেকে না হলেও, পুরস্কারের ঝুলি খুব একটা ছোট নয় সামারার। ২০১৭ সালে থ্রি বিলবোর্ডস আউটসাইড এবিং সিনেমার জন্য সেরা কাস্ট হিসাবে পেয়েছেন ফ্লোরিডা ফিল্ম ক্রিটিক সার্কেল অ্যাওয়ার্ড। পরের বছরই সেরা অভিনয়ের সমাহার ক্যাটাগরিতে একই সিনেমার জন্য পেয়েছেন ক্রিটিক্স চয়েস অ্যাওয়ার্ড। এ সিনেমার জন্য পেয়েছেন আরও চার প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি। কিন্তু সামারার টার্গেট আরও অনেক বড়। তিনি বলেন, ‘আমি গত কয়েক বছরে অনেক পরিশ্রম করেছি। তার ফসল এখনো ঘরে তুলতে পারিনি। জানি না কবে তুলব আকাঙ্ক্ষিত সে ফসল। তবে এটা জানি, আমাকে যেতে হবে আরও বহুদূর।’