Logo
Logo
×

সুরঞ্জনা

তরুণ উদ্যোক্তা

মোমোয় ভাগ্য গড়লেন রাজশাহীর ঐশী

Icon

সৈয়দা ফারিভা আখতার

প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উদ্যোক্তা মানে শুধু ব্যবসা নয়, এটি দৃষ্টিভঙ্গিও। যেখানে নতুন কিছু গড়ে তোলার স্বপ্ন থাকে। রাজশাহী কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ঐশী সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। রাজশাহীর মুক্তমঞ্চে ‘কবির’স মোমো নামে একটি ফুড স্টল চালু করে তিনি নিজের ক্যারিয়ারের নতুন দার খুলেছেন।

নওগাঁর মেয়ে ঐশী বর্তমানে রাজশাহীর একটা মেসে থাকেন। রাজশাহী কলেজের সমাজকর্ম বিভাগ থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে দিয়েছেন খাবারের দোকান। আর সেখান থেকেই বদলাতে শুরু করেছে তার ভাগ্য।

ঐশী বলেন, ‘আমার উদ্যোক্তা হওয়ার পরিকল্পনা মাথায় এলো যখন অনার্স কমপ্লিট করি। অনার্সের পর বাসা থেকে টাকা নিতে খারাপ লাগছিল। আর সব থেকে বড় কথা আমার বাবা ২০২১ সালে মারা যাওয়ার পর আমাদের পরিবারের সম্পূর্ণ খরচটাই আমার মা বহন করেন। আমি চিন্তা করছিলাম, যদি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারি এ ক্ষেত্রে হয়তো বা মায়ের কষ্টটা একটু কম হবে। আমার মা একজন প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। আমার একটা ছোট ভাই আছে। সবকিছু মিলে নিজের পায়ে দাঁড়ানো এবং নিজের খরচটা নিজে চালানোর উৎসাহ থেকেই আমার এলো এইখানে বসা আর এ ব্যবসাটা শুরু করা। এ ব্যবসা আমার কাছে ভালোই লাগছে। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চার করতে পারছি। এ অল্প কদিনেই আমি অনেক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। যদি কখনো কোনো কারণে দোকানটা খুলতে না পারি অনেকে আমাকে নক দিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, দোকানটা খুলছি না কেন। এটা আমার খুব ভালো লাগে যে মানুষ আমাকে খুঁজছে, আমার খাবারটাকে পছন্দ করছে। আমার খাবারটার জন্য তারা আগ্রহ প্রকাশ করছে।’

ঐশী আরও বলেন, ‘আমি বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ স্টলে বসি। এরই মধ্যে যা সেল করা হয় তাতেই আমি খুশি। প্রতিদিন ১০০-১৫০ পিস মোমো বিক্রি হয়। আর এখন আমি নতুন নতুন আইটেম বাড়াচ্ছি, কারণ সামনে গরমকাল চলে আসছে। হয়তো মোমোর সেল কিছুটা কমে যাবে। আমি চাই এখানে বসে রিজনেবল প্রাইজে পকেট ফ্রেন্ডলি বাজেটে যেন সবাইকে খাওয়াতে পারি।’

এ ব্যবসায় আসার পর কোনো ধরনের বাধা পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে ঐশী বলেন, ‘আমি বাধা পেয়েছি প্রথম প্রথম। আগে এ জায়গায় ব্যবসা করতে গেলে আমাদের চাঁদা দিতে হতো। এখন সেটা আর দিতে হয় না। এরপরও কিছু বাধা পেয়েছি। তবে আমার সব থেকে বড় পরিচয় আমি একজন স্টুডেন্ট। তাই এ স্টুডেন্টদের জায়গা থেকে অনেক ছাড় পাই।’

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঐশী বলেন, ‘আমার একজন আইনজীবী হওয়ার ইচ্ছা আছে। পাশাপাশি আমি আমার এ দোকানটাকে অনেক বড় করতে চাই। স্বপ্ন দেখি আমার এ ছোট্ট খাবারের দোকান একদিন বড় রেস্টুরেন্টে পরিণত হবে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম