Logo
Logo
×

সুরঞ্জনা

প্যারিস অলিম্পিক মাতানো নারী ক্রীড়াবিদরা

Icon

ওমর ফারুক রুবেল

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিশ্ব ক্রীড়ার যত রূপ-রং সবই থাকে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থখ্যাত অলিম্পিক গেমসে। এ গ্রহের সেরা এ প্রতিযোগিতায় নিজেকে উজাড় করে দেশের জন্য পদক ও সম্মান বয়ে আনতে চান সব ক্রীড়াবিদই। যেখানে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদদের থাকে ভালো করার লক্ষ্য, সেখানে অন্য দেশের ক্রীড়াবিদরা পদক ছিনিয়ে নিতেই আসেন অলিম্পিকে। এই প্রথমবার প্যারিস অলিম্পিকেই অংশ নিয়েছেন সমান পুরুষ ও নারী ক্রীড়াবিদরা। লিঙ্গ সমতা অর্জন করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। আগের তিন আসরের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়াবিদদের মধ্যে পুরুষদের (২৭৮) চেয়ে নারীদের (৩১৪) সংখ্যা ছিল বেশি। পুরুষ ক্রীড়াবিদদের মতো বৈশ্বিক সেরা অলিম্পিক গেমসের আসর মাতিয়েছেন নারীরাও। লিখেছেন-ওমর ফারুক রুবেল

দক্ষিণ কোরিয়ান লিম সিহ ইয়নের বিশ্বরেকর্ড

প্যারিস অলিম্পিকের খেলা শুরু হয় ২৬ জুলাই। তবে তার আগেই শুরু হয় ফুটবলসহ কিছু খেলা। উদ্বোধনের আগেই বিশ্বরেকর্ড গড়েন দক্ষিণ কোরিয়ান নারী আরচার লিম সিহ ইয়ন। র‌্যাংকিং রাউন্ডে দুই স্বদেশির রেকর্ড একসঙ্গে ভেঙে দেন তিনি। গড়েন একদিনেই রিকার্ভ এককে ৬৯৪ পয়েন্ট পাওয়ার রেকর্ড।

স্বর্ণ জিতে জবাব দিলেন আলজেরিয়ার খেলিফ

টেস্টোস্টেরন হরমোন লেভেল এবং ডিএনএ টেস্টে ব্যর্থতার কারণে গত বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে বহিষ্কার হয়েছিলেন ইমানে খেলিফ। আলজেরিয়ার বিতর্কিত এ তারকাই এবারের অলিম্পিকে নারী বক্সিংয়ে স্বর্ণ জিতে নেন। ফাইনালে চীনের ইয়াং লিওকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকের স্বর্ণ জিতে ক্রীড়াজগতে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। এর আগে ১ আগস্ট বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। আলজেরিয়ার এ বক্সারের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে মাত্র ৪৬ সেকেন্ডেই কাঁদতে কাঁদতে ম্যাচ ছেড়েছেন ইতালির অ্যাঞ্জেলা কারিনি। প্যারিস অলিম্পিকের এ ম্যাচ ঘিরে শুরু হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, খেলিফ আসলেই নারী কিনা। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খেলিফের জেন্ডার নিয়ে নানা মন্তব্য করেন। অবশেষে স্বর্ণপদক জিতে সব সমালোচনার জবাব দেন আলজেরিয়ান এ নারী বক্সার। তার কথা, ‘আমি নারীদের মতোই একজন নারী। আমি একজন নারী হিসাবে জন্মগ্রহণ করেছি এবং আমি একজন নারী হিসাবে বেঁচে আছি। কিন্তু আমার সাফল্যের পেছনে শত্রু আছে। তারা আমার সাফল্য হজম করতে পারে না।’ তিনি যোগ করেন, ‘এটি আমার স্বপ্ন। আমি খুব খুশি। এটি দুর্দান্ত, চমৎকার। ১০ বছর কাজের কারণে আমি ঘুমাতে পারিনি। আমি আলজেরিয়ার সব মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। পারফরম্যান্স নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আমি একজন শক্তিশালী নারী।’

ইতিহাস গড়ে দ্রুততম মানবী সেন্ট লুসিয়ার আলফ্রেড

অলিম্পিক গেমসে এর আগে কখনোই পদক জেতেনি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশ সেন্ট লুসিয়া। প্যারিস অলিম্পিকে অবশেষে তাদের সে অপেক্ষা ঘুচালেন জুলিয়ান আলফ্রেড। অ্যাথলেটিক্সের আকর্ষণীয় ইভেন্ট নারীদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জিতে এ ইতিহাস গড়েন আলফ্রেড। এবারের অলিম্পিকে নারীদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ফেবারিট ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শাক্যারি রিচার্ডসন। তাকে হারিয়েই ইতিহাসের ছোঁয়া পেলেন আলফ্রেড। ১০.৭২ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন এ স্বর্ণকন্যা। রৌপ্য পদক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ১০.৮৭ সেকেন্ডে ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করা যুক্তরাষ্ট্রের রিচার্ডসনকে। ব্রোঞ্জও জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেট। ১০.৯২ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন মেলিসা জেফেরসন। অলিম্পিকের মঞ্চে ঐতিহাসিক এ স্বর্ণ জয় প্রয়াত বাবাকে উৎসর্গ করেন আলফ্রেড, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-ঈশ্বর, আমার প্রশিক্ষক এবং সবশেষে আমার বাবা। আমার বাবার বিশ্বাস ছিল, আমি এমন কিছু করতে পারব। তিনি ২০১৩ সালে মারা গেছেন। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মঞ্চে তিনি আমাকে দেখতে পাননি। কিন্তু তিনি সব সময়ই তার মেয়ের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য অহংকার করবেন।’

অলিম্পিকে ৯ স্বর্ণ জেতার রেকর্ড সাঁতারু লেডেকির

টানা চার অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতে বিস্ময় তৈরি করেছেন কেটি লেডেকি। টানা নয়টি স্বর্ণ জিতেছেন তিনি। অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রথম নারী খেলোয়াড় হিসাবে অলিম্পিকে নয়টি স্বর্ণ জয়ের নজির গড়েন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের এ সাঁতারু প্যারিস অলিম্পিকে নারীদের ৮০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে স্বর্ণ জিতে নতুন নজির গড়েছেন। বিশ্বের দ্বিতীয় সাঁতারু হিসাবে টানা চারটি অলিম্পিকে এ ইভেন্টে স্বর্ণ জিতলেন লেডেকি। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণ জিতেছিলেন লেডেকি। সেই সাফল্যের একযুগ পরও স্বর্ণ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন তিনি। এবার প্যারিস অলিম্পিকে নতুন কীর্তি গড়ার পর উচ্ছ্বসিত ২৭ বছরের লেডেকি বলেন, ‘প্রতি অলিম্পিকে আমি স্বর্ণপদক জিতেছি। এবারও স্বর্ণ জিতলাম। মনে হলো, যাক নিজের কাজটা ঠিকমতো করতে পেরেছি।’ শুধু অলিম্পিকে নয়, সাঁতারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপেও ২১টি স্বর্ণপদক জিতেছেন লেডেকি।

স্বর্ণ জয়ের হ্যাটট্রিক বাইলসের

প্যারিস অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জেতার হ্যাটট্রিক করেন সিমোন বাইলস। দলগত বিভাগ ও অলরাউন্ড ফাইনালের পর ব্যক্তিগত ভল্ট ফাইনালেও স্বর্ণ জিতেন এ মার্কিন মহাতারকা জিমন্যাস্ট। অলিম্পিকে সব মিলিয়ে সাতটি স্বর্ণপদক জিতলেন ২৭ বছর বয়সি কৃষ্ণকলি এ জিমন্যাস্ট। সবাইকে পেছনে ফেলে সর্বকালের সেরা জিমন্যাস্ট হওয়ার পথে এখন তিনি। ভল্টের ফাইনালে চার নম্বর প্রতিযোগী ছিলেন বাইলস। তার আগে যে তিনজন ছিলেন তারা সে রকম ভালো করতে পারেননি।

ষষ্ঠ বিশ্বরেকর্ড ম্যাকলাফলিন-লেভরোনের

যেখানে আর কোনো নারী অ্যাথলেটই ৫২ ও ৫১ সেকেন্ডের নিচে ৪০০ মিটার হার্ডলস শেষ করতে পারেননি, সেখানে সিডনি ম্যাকলাফলিন-লেভরোন একাই সেই রেকর্ড গড়েছেন ৬ বার। নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে গড়েছেন বিশ্বরেকর্ড। যুক্তরাষ্ট্রের এ গতিতারকা প্যারিস অলিম্পিকে রেকর্ড গড়ার দিনে ৪০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণ জিতেন। সময় নেন মাত্র ৫০.৩৭ সেকেন্ড। যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ বছর বয়সি গতিতারকা কেবল এবারই যে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন তা নয়। ৫২ ও ৫১ সেকেন্ডের নিচে ৪০০ মিটার হার্ডলস শেষ করেছেন ছয় বার। তিনি আগের কীর্তিটি গড়েন গত জুনে। যুক্তরাষ্ট্র দলের ট্রায়ালে ৫০.৬৫ সেকেন্ড টাইমিং ছিল তার। অথচ হার্ডলসের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত আর কোনো নারী অ্যাথলেট ৫২ সেকেন্ডের কম সময়ে ৪০০ মিটার পেরোতে পারেননি।

জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত ২০২১ অলিম্পিকেও বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন ম্যাকলাফলিন-লেভরোন। যুক্তরাষ্ট্র দলের ট্রায়ালে ৫২ সেকেন্ডের কম টাইমিং করে আলোড়ন তোলার পর অলিম্পিকের ফাইনালেও তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। ৫১.৪৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে জেতেন স্বর্ণের পদক। প্যারিসের আসর দিয়ে এ ইভেন্টে টানা দ্বিতীয় স্বর্ণ জিতলেন ম্যাকলাফলিন-লেভরোন। আর সব মিলিয়ে টানা চতুর্থ অলিম্পিকে নারীদের ৪০০ মিটার হার্ডলসে স্বর্ণ জিতল যুক্তরাষ্ট্র।

টেনিস এককে স্বর্ণ চীনের ঝ্যাং কিনওয়েনের

অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রথম চাইনিজ টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে নারীদের এককে স্বর্ণ জিতলেন ঝ্যাং কিনওয়েন। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার ডোনা ভেকিচকে ৬-২, ৬-৩ গেমের সরাসরি সেটে পরাজিত করে ২১ বছর বয়সি ঝ্যাং প্রথম স্থান অর্জন করেন। ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকের নারী ডাবলসে লি টিং ও সুন টিয়ানটিয়ানসের পর প্রথম কোনো চাইনিজ হিসাবে টেনিস ইভেন্টে স্বর্ণ জয় করলেন ঝ্যাং। ২০০৮ সালে লি ঘরের মাঠের অলিম্পিকে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন। অলিম্পিকে এখনো পর্যন্ত চীনের সবচেয়ে বড় অর্জন শেষে ঝ্যাং বলছেন, ‘আমি আবেগ ধরে রাখতে পারছি না। প্রতিটি রাউন্ড এখানে অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু দেশের হয়ে পদক জয়ের জন্য আমি সম্ভাব্য সব কিছুই করার চেষ্টা করেছি। আমি দেশকে গর্বিত করতে চেয়েছি। নিজের জন্য আমি সত্যিই গর্বিত। আমি নিশ্চিত দেশে আমার পরিবার টিভিতে এ কৃতিত্ব উপভোগ করেছে। আমি শুধু প্রতি ম্যাচে লড়াই করতে চেয়েছি। দেশের হয়ে খেলার সময় বিশেষ কিছু শক্তি আমি খুঁজে পাই। কখনোই হাল ছেড়ে দিই না।’

জন্মসূত্রে চীনের, অলিম্পিকে খেলার স্বপ্নপূরণ চিলির হয়ে

৫৮ বছর বয়সে অলিম্পিক গেমসে খেলার স্বপ্নপূরণ হয়েছে টেবিল টেনিস খেলোয়াড় জেং জিইংয়ের। জন্মসূত্রে চীনের নাগরিক হলেও পরে চিলিতে গিয়ে স্থায়ী হন তিনি। এবারের প্যারিস অলিম্পিকে তিনি চিলিকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে চীনের হয়ে অবসরের ঘোষণা দেন জেং। এরপর চিলিতে গিয়ে গত ৩৫ বছর ধরে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি টেবিল টেনিস ব্যাট হাতে নেননি। করোনা মহামারির সময় নতুন করে টেবিল টেনিসে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখেন ও অনুশীলন শুরু করেন জেং। দ্রুতই নিজের র‌্যাঙ্কিংয়ের উন্নতি করে দক্ষিণ আমেরিকার সেরা নারী খেলোয়াড় হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ইনডোর ভর্তি দর্শকদের সামনে খেলতে নেমে জেং কিছুটা আবেগী হয়ে পড়েছিলেন। তার ওপর চিলির সমর্থকরা তাকে পুরো ম্যাচেই দারুণ সমর্থন জুগিয়েছে। ম্যাচ শেষে জেং বলেছেন, ‘৩০ বছর পর আমি আবারও টেবিল টেনিসে ফিরেছি। এ বয়সে অলিম্পিকে খেলার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় আমি নিজের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।’ চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংজুতে জন্ম নেওয়া জেং মাত্র ১৬ বছর বয়সে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৮৮ সালে অলিম্পিকে যখন টেবিল টেনিস প্রথম শুরু হয় তখন তিনি খেলা ছেড়ে দিয়েছিলেন। চিলিতে এসে স্কুলের বাচ্চাদের কোচিং করিয়েছেন।

ভারতের প্রথম পদক মানু বাকেরের হাত ধরে

প্রায় প্রতি অলিম্পিকেই পদকের দেখা পায় ভারত। এবারের প্যারিস অলিম্পিকে ভারতকে প্রথম পদকের মুখ দেখান শ্যুটার মানু বাকের। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ব্রোঞ্জ পান মনু ভাকের। প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে ভারতকে প্রথম পদক দেন তিনি। মাত্র ০.১ পয়েন্টের জন্য রৌপ্য পদক হাতছাড়া হয় তার। এ ইভেন্টে অবশ্য রেকর্ডও হয়। অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে স্বর্ণ জেতেন দক্ষিণ কোরিয়ার ও ইয়ে জিন। ওহ ইয়ে জিনের স্কোর ২৪৩.২, যেটি অলিম্পিক রেকর্ড। আগের রেকর্ড ছিল রাশিয়ার বাতসারাশকিনা ভিতালিনার।

করেছিলেন ২৪০.৩।

ইনজুরি নিয়েই ৬৪ বছর পর ব্রিটেনকে পদক এনে দিলেন মিউ জেনসেন

এক মাস আগেও অনিশ্চিত ছিলেন অলিম্পিকের জন্য। রানআপে সমস্যা হচ্ছিল। সিনক্রোনাইজাইড ডাইভে সঙ্গীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেটা করতে পারবেন কিনা তা নিয়েই ছিল শঙ্কা। সঙ্গী ইয়াসমিন হারপারের সঙ্গে শুরুর দিকে বেশ ভুগেছেন। পিছিয়ে পড়ছিলেন ক্রমাগত। কিন্তু শেষ ডাইভে নাটকীয়ভাবে জয় করেছেন ব্রোঞ্জ পদক। অস্ট্রেলিয়ার দুই ডাইভার ম্যাডিসন কেনি এবং অ্যানাবেল স্মিথ শেষ ডাইভের আগ পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু একেবারে শেষে দেশকে এনে দেন ব্রোঞ্জ পদক। ইয়াসমিন এবং স্কারলেটের এ পদকের মাহাত্ম্যও অনেক। এ দুজনের কল্যাণেই ডাইভিংয়ের কোনো ইভেন্টে দীর্ঘ ৬৪ বছর পর পদক পেয়েছে ব্রিটেন।

গর্ভে ৭ মাসের সন্তান নিয়ে অলিম্পিকে নাদা হাফেজ

গর্ভে সাত মাসের সন্তান নিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে ফেন্সিং ইভেন্টে লড়েন মিশরের অ্যাথলেট নাদা হাফেজ। বিষয়টি নিজেই জানান র‌্যাংকিংয়ে ৪১ নম্বরে থাকা নাদা। অলিম্পিকে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে জিতলেও অবশ্য শেষ ষোলোতে হেরে গেছেন তিনি। এরপরই এক বার্তায় নিজের সন্তানসম্ভবা থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন পেশায় মিশরের এ প্যাথলজিস্ট (রোগ নির্ণয়বিদ) চিকিৎসক। এর আগে ২০১৬ ও ২০২০ অলিম্পিকেও অংশ নিয়েছিলেন নাদা। গর্ভে সাত মাসের সন্তান নিয়ে এবার প্যারিস অলিম্পিকে খেলতে নেমে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। ম্যাচ শেষ হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে আবেগী বার্তা দেন নাদা। তিনি লিখেন, ‘পোডিয়ামে আপনারা দুজন খেলোয়াড়কে দেখেছেন, আসলে আমরা তিনজন ছিলাম। আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আমার ছোট্ট সন্তান। যে এখনো পৃথিবীতে আসেনি।’

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম