Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

মানবশরীরে জিংক কেন প্রয়োজন

Icon

আখতারুন নাহার আলো

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মানবশরীরে জিংক কেন প্রয়োজন

মানবশরীরে জিংক কেন প্রয়োজন

খনিজ লবণগুলোর মধ্যে জিংক অন্যতম। এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দেহের ত্বক, চুল, নখ, চোখ, প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের জন্য জিংক প্রয়োজন। শিশুর বর্ধন ও ক্ষুধা বাড়ানোর জন্যও জিংক প্রয়োজন। যারা প্রোটিন কম খায় এবং যারা নিরামিষ ভোজী তাদের দেহে জিংকের অভাব হয়। জিংক আবার বেশি বেশি খেলে পেটের সমস্যা, রক্তস্বল্পতা ও কপারের অভাব হতে পারে। ডায়ারিয়া প্রতিরোধে জিংক প্রয়োজন।

* জিংকের কাজ

এনজাইমের কার্যকারিতা ও কোষের রক্ষণাবেক্ষণ করে শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম বজায় রাখতে জিংক সাহায্য করে। ভিটামিন ‘ই’কে সঠিকভাবে চালনা করে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতার উন্নতি ঘটায় এবং সিজোফ্রেনিয়া চিকিৎসায় কাজে লাগে। এটা ডিএনএ সংশ্লেষণে প্রয়োজন হয়। নিউক্লিয়িক এসিড ও প্রোটিন বিপাক সংশ্লেষণে সাহায্য করে। কপার, লৌহ এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ ব্যবহারেও জিংক প্রয়োজন। এটি প্রজননতন্ত্র উন্নত ও কার্যকরী করে। ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় ও পোড়া ক্ষত সারায়। প্রোস্টেট সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। শরীরের বর্ধন ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ঠান্ডা উপশম করে ও খাবারে রুচি বাড়ায়।

* উৎস

সব রকমের ডাল, দুধ, গমের ভুসি, গরুর মাংস, কলিজা, সমুদ্রের মাছ, বাদাম, শাল দুধ, বাদামের মাখন, পপকর্ণ, পোলট্রি, বিনস, ডিম, মাছ, সস, শালগম পাতা, ওটস, বার্লি, রাই, কুমড়ার বিচি, সরিষা, ঝিনুক। বিকল্প উৎস হল জিংক কার্বনেট।

* জিংকের অভাব হলে

শিশুদের বর্ধন ব্যাহত হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা হ্রাস পায় ও ত্বকে ফুসকুড়ি ওঠে। চুলের রঙ ধূসর হয় ও নখে সাদা দাগ দেখা যায়। খাবারে অরুচি দেখা দেয়, ফলে ক্ষুধা কমে যায়। যে কোনো ক্ষত সহজে ভালো হয় না। নারী ও পুরুষের ডিম্বাশয় ও শুক্রাশয়ের কার্যকারিত ব্যহত হওয়া, হাড়ের সংযোগস্থলে রক্তপাত হতে পারে এবং ডায়ারিয়া হলে এবং বেশি আঁশযুক্ত খাবার খেলে জিংকের ঘটতি দেখা যায়।

* পরামর্শ

যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং যারা নিয়মিত অ্যালকোহল পান করেন, তাদের জিংক বেশি দরকার। প্রোস্টেটের সমস্যা থাকলে দৈনিক ১২-১৫ মিলিগ্রাম জিংক গ্রহণ করা উচিত। যদি অনিয়মিত মাসিক হয়, তাহলে জিংক সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন। বয়স্ক লোকদের জিংক ও ম্যাঙ্গানিজ সাপ্লিমেন্ট দিলে ভালো হয়। খেলোয়াড়দের খাবারে অবশ্যই জিংক থাকা উচিত।

* সতর্কতা

টিনজাত খাবার সংরক্ষণের জন্য গ্যালভানাইজ দিয়ে কৌটা মুখ আটকানো হয়। এতে সেই খাবারে জিংক বিষ তৈরি হয়। এজন্য টিনজাত খাবার খেতে বেশ সতর্কতা জরুরি।

লেখক : চিফ নিউট্রিশন অফিসার ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান, বারডেম, ঢাকা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম