
প্রিন্ট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৪ এএম

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
বরফ গলার আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। মঙ্গলবার মান-অভিমান, দুঃখ-ক্ষোভ ভুলে কোচ পিটার বাটলারের পাঠশালায় (অনুশীলনে) ফিরেছেন ‘বিদ্রোহী’ নারী ফুটবলাররা। গত বছরের অক্টোবরে নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর থেকে মাঠের বাইরে ছিলেন তারা। ৬৮ দিন পর ধানমন্ডির মাঠে অনুশীলনে নামেন সানজিদা-কৃষ্ণারা। সকাল ৬টায় ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করে জাতীয় নারী ফুটবল দল। কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ১৮ খেলোয়াড়ের মধ্যে ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মাতসুশিমা সুমাইয়া ও সাবিনা খাতুন ভুটানে থাকায় অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন না। ভুটানের ক্লাব পারো এফসির হয়ে লিগে খেলার জন্য গেছেন তারা। এর বাইরে থাকা ১৪ জনের মধ্যে তহুরা খাতুনের কাল ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। বাকি ১৩ জন শিউলি আজিম, মোসাম্মাৎ সাগরিকা, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সানজিদা আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন, মাসুরা পারভীন, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, কৃষ্ণা রানী, স্বর্ণা রানী মণ্ডল, সাথী বিশ্বাস ও নাসরিন আক্তার অনুশীলনে ফিরেছেন। সব মিলিয়ে এদিন অনুশীলন করেছেন ৪৪ জন নারী ফুটবলার।
এশিয়ান কাপ বাছাই সামনে রেখে শুরু হয়েছে অনুশীলন। মিয়ানমারে হবে টুর্নামেন্টের বাছাই পর্ব। এর আগে বিদ্রোহ করায় ১৮ ফুটবলার ছাড়াই কোচ বাটলার তরুণ দল নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যান। সেখানে দুই ম্যাচই বাংলাদেশ হেরে যায়। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্তারা দুই পক্ষকে আপসরফায় আসতে উদ্বুদ্ধ করেন। সেই প্রেক্ষিতে দুই মাস পর সোমবার আবার ক্যাম্প শুরু হলে বিদ্রোহী খেলোয়াড় ও কোচ-দুই পক্ষ প্রথমবার আলোচনার টেবিলে বসে। এতে কোচ আগের সব ঘটনা ভুলে যাওয়ার অনুরোধ জানান। খেলোয়াড়রাও খানিকটা নমনীয় হন। যার ফলে অনুশীলনে যোগ দেন বিদ্রোহী ফুটবলাররা।