তামিম ইকবালকে এক সিনিয়র সাংবাদিকের প্রশ্ন, জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন। বিপিএলের দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা আছে কি? তামিমের উত্তর, বিসিবির বিশাল কর্মকাণ্ডে বিপিএল ছোট একটা বিষয় মাত্র। কী ইঙ্গিত মেলে খান সাহেবের কথায়। তবে কি তামিম বড় দায়িত্ব নেওয়ার অভিলাষী? মানে, বিসিবির সভাপতি হতে আগ্রহী? এদিকে বিপিএলে তামিমের দল ফরচুন বরিশালে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এ নিয়ে কানাঘুষা ক্রিকেটপাড়ায়।

বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে যুগান্তরের প্রশ্ন ছিল, জাতীয় দলের অধিনায়ককে কেন খেলাচ্ছেন না? তামিম বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমাকে স্বীকার করতেই হবে, শান্তকে যতটা খেলানো উচিত ছিল বা সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল, আমরা তা দিতে পারছি না। আমাদের কম্বিনেশন ঠিক করা কঠিন হচ্ছে। প্রথম তিন-চার ম্যাচে কম্বিনেশন মেলাতেই পারিনি ঠিকমতো। তার পরও তাকে প্রথম দিকে খেলানোর চেষ্টা করেছি। এটা নিশ্চিত, পারফরম্যান্সের কারণে সে বাইরে বসে নেই।’

কার সঙ্গে নাজমুলকে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে? তামিম বলেন, ‘ডান-হাতি, বাঁ-হাতি ব্যাপারটিও একটি ইস্যু। চাই না টানা তিনজন বাঁ-হাতি একের পর এক আসুক। অনেক কারণ আছে, সব কিছুর উত্তর দেওয়া জরুরি নয় এখানে।’ পরের প্রশ্নে প্রায় উত্তর না দিয়ে সংবাদ সম্মেলন ত্যাগ করেন তামিম।

জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ মনে করেন, এভাবে না খেললে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া স্বাভাবিক। তিনি বলেন, “দলের প্রতি শান্তর ‘অ্যাটিটিউড’ দারুণ। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, দেশের সেরা ব্যাটারদের একজন, কিন্তু ঘরোয়া টুর্নামেন্টে, ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না। দলের সিনিয়র-জুনিয়রদের প্রতি তার মানসিকতা দুর্দান্ত। এটার প্রশংসা করি আমি। সে খেলছে না। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে শান্ত।” বিপিএলে না খেলেও কিভাবে নিজেকে ধরে রাখতে হবে সেই সিদ্ধান্ত শান্তকেই নিতে বললেন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘সে কিভাবে এরসঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে, কিভাবে তৈরি হচ্ছে এবং এখান থেকে কিভাবে উন্নতি করবে সেই সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।’