অধিকাংশেরই এক পা নেই। ক্র্যাচে ভর করে এক পায়ে ফুটবল খেলেন। কারও এক হাত নেই। এক হাত নিয়েই গোলকিপার। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ফুটবল খেলা নিয়ে রয়েছে বিশ্ব অ্যাম্পুটি ফুটবল ফেডারেশন। বিশ্বকাপ, এশিয়ান কাপের মতো আসরও বসে তাদের। প্রচার না থাকায় পাদপ্রদীপের আলোয় আসে না অ্যাম্পুটি ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বের ৭৫টি দেশে রয়েছে অ্যাম্পুটি ফুটবল। বাংলাদেশে ছেলেদের অ্যাম্পুটি ফুটবলের যাত্রা শুরু ২০২০ সালে। এবার মেয়েদের পালা। শনিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ অ্যাম্পুটি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সহসভাপতি বদিউজ্জামান আলামিন। তার কথায়, ‘ছেলেদের নিয়ে আগে খেলা শুরু করেছি আমরা। এবার করলাম মেয়েদের। এশিয়ায় আমরাই প্রথম মেয়েদের অ্যাম্পুটি ফুটবল শুরু করেছি।’ এ সময় রেড ক্রসের কর্মকর্তা অস্কার ফিলিপ, বিশ্ব অ্যাম্পুটি ফুটবল ফেডারেশনের (ডব্লুএএফএফ) কোচ হ্যারি স্মিথ, বাফার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন ফারহানা ও বাফুফের সদস্য মহিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ এবং নানা দুর্ঘটনায় পা হারানো ছেলে ও মেয়েদের ফুটবল খেলায় উৎসাহিত করে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস। চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় অ্যাম্পুটি ফুটবল বিশ্বকাপ। সবশেষ ২০২২ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ১৭তম আসর বসেছিল। বদিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা বেশ কজন মেয়েকে পেয়েছি, যাদের একটি পা নেই। ক্র্যাচে ভর দিয়ে তারা ফুটবল খেলে। এই মেয়েদের নিয়ে আমরা পাঁচদিনের একটি কোর্স শুরু করেছি। বাফুফের কৃত্রিম মাঠে এই প্রোগ্রাম হবে। ১০ অক্টোবর শেষদিনে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলা হবে।’ ডব্লুএএফএফের কোচ হ্যারি স্মিথ বলেন, ‘প্রতিভা থাকলে বিকাশ ঘটবেই। বাংলাদেশে শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের নিয়ে ফুটবল শুরু হলো। একদিন তারা বিশ্বকাপে খেলবে।’