বাফুফের রহস্যময় আচরণ পিছিয়েছে পৃষ্ঠপোষকরা!
বাফুফের কর্তাদের হতাশাজনক আচরণে ধীরে ধীরে পিছিয়ে গেছে অনেক পৃষ্ঠপোষক
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
‘বিশ্বাসভঙ্গ ও রহস্যময় আচরণে এখন পৃষ্ঠপোষকদের কাছে বিরাগভাজনে পরিণত হয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তারা। তাই বাফুফে এবং এর কর্মকর্তাদের এখন আর কেউ বিশ্বাস করতে চায় না’, এমন কথাই জানালেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার আবদুল গাফফার। বৃহস্পতিবার সাফজয়ী মেয়েদের প্রতিশ্রুত ৫১ লাখ টাকার চেক দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সাবিনাদেরকে বিসিবির চেক দেওয়া নিয়ে গাফফার বলেন, ‘অনেকেই বাফুফের নামে চেক দিয়েছে। কিন্তু বিসিবি প্রত্যেক খেলোয়াড়ের নাম ধরে ধরে চেক তৈরি করে দিয়েছে। আবার তাদের (বিসিবি) সৌন্দর্যের আরেক মেলবন্ধন ছিল সাফে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ফুটবলারদের অর্থপুরস্কার দেওয়া, যা সবাইকে মুগ্ধ করেছে।’ সাবেক এই তারকা ফুটবলার যোগ করেন, ‘অবাক হলেও সত্যি যে, এই অর্থ নিতে সাবিনাদের সঙ্গে যাননি বাফুফের কোনো কর্মকর্তা। এ নিয়ে বাফুফের কর্তাদের ধিক্কার জানিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীরা। বিশেষ করে বেশি সমালোচনার মুখে পড়েছেন মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরন। অন্তত সাবিনাদের সঙ্গে তার যাওয়া উচিত ছিল। অথচ প্রধানমন্ত্রী ডাক দিলে সবাইকে নিয়ে হাজির হন বাফুফের কর্তারা।’
বাফুফের এহেন আর্থিক দৈন্যদশা একদিনে তৈরি হয়নি বলেও মনে করেন আবদুল গাফফার, ‘বাফুফের কর্তাদের হতাশাজনক আচরণে ধীরে ধীরে পিছিয়ে গেছে অনেক পৃষ্ঠপোষক। তাদের রহস্যজনক আচরণেই ডুবছে দেশের ফুটবল। তাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফাতে হচ্ছে তদন্ত। দুদকে জমা পড়েছে ফাইল।’
সাবিনাদের মিয়ানমার সফর বাতিল নিয়ে গাফফারের কথা, ‘অর্থের জন্য সাবিনাদের মিয়ানমার সফর বাতিল হয়েছে, আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ও মহিলা ফুটবল দলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবুর বাসায় গেলেই তো সেই অর্থ মিলে যেত। তাহলে কেন সাবিনাদের অলিম্পিক গেমস বাছাইয়ে মিয়ানমার সফর বাতিল হলো? আসলে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে মনে হয়।’