অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ‘কিচেন কেবিনেট’ (সরকারের খুব ঘনিষ্ঠ) আছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘তারা সরকারপ্রধানের কানভারী করেন এবং উন্নয়নমূলক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দেন না। আমরা শুনতে পাচ্ছি, তাদের কারণে ড. ইউনূস একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তিনি তো প্রধান উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রী সমমর্যাদার। উন্নয়নে কিছু সিদ্ধান্ত একাই নিতে পারেন, কিছু উপদেষ্টা সেটি হতে দিচ্ছে না।’ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, নিশ্চয়ই কিছু গণবিরোধী উপদেষ্টা রয়েছেন, যারা জনগণের সবচেয়ে আলোকিত অংশ শিক্ষকদের অনাহারে রেখেছেন। এদের সন্তানদের মৃত্যুর সঙ্গে লড়িয়ে আপনারা (উপদেষ্টা) কী আনন্দ পাবেন, আমি জানি না। কিছু উপদেষ্টা এই কাজগুলো করছেন। তাদের (শিক্ষক) দিকে কোনো দৃষ্টি দেওয়াতে দিচ্ছেন না প্রধান উপদেষ্টাকে।

তিনি বলেন, ‘এই নন-এমপিও শিক্ষকরা পেটের ক্ষুধা নিবৃত্তের জন্য যে দাবি তুলেছেন, এই দাবির প্রতি ন্যূনতম কোনো কর্ণপাত করেননি সরকারের পক্ষ থেকে। এটা তো আবু সাঈদের রক্ত ঝরা সরকার, মুগ্ধ, আহনাফের রক্ত ঝরা সরকার। তো সেই সরকার, আজকে যারা সমাজের মেরুদণ্ড, সমাজকে যারা নির্মাণ করবেন, ছাত্রদের যারা গড়ে তুলবেন, তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে তাদের আহারের জন্য, খাদ্যের জন্য, কোনোরকমে মানুষ হিসাবে বেঁচে থাকার জন্য আজকে দাবি করছেন। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের নজর নেই।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা যারা গত ২০ বছর, ২৫ বছর, ৩০ বছর ধরে একটি টাকাও পাননি। এরা বাংলাদেশের লোক নন? এরা তো টাকা না নিয়েই অনেক ছাত্র তৈরি করেছেন, যারা সমাজের বিভিন্ন জায়গায় আছেন। বিভিন্ন সরকারি দায়িত্বও হয়তো পালন করছেন। তো এদের (শিক্ষক) দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছেন কেন?

রিজভী আরও বলেন, যারা কিছু কাজ করতে চায়, যারা ভালো কিছু করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধেই লোক লেগে যায়। ড. এম আমিনুল ইসলাম একজন মেধাবী শিক্ষক, একজন বড় অ্যাকাডেমিশিয়ান। আমরা অনেকেই তাকে চিনি। আমরা তাকে চিনি বলেই কি তাকে অপমানিত করা হচ্ছে? কতিপয় উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টার কানভারী করে, নাম ঘোষণা করার পরও আমিনুল ইসলামকে শিক্ষা উপদেষ্টার মতো জায়গায় না দিয়ে চক্রান্ত করা হয়েছে।