পতাকা উত্তোলন দিবসের অনুষ্ঠানে ঢাবি উপাচার্য
যারা ইতিহাস নির্মাণ করে তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোববার ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উদযাপন করেছে। এ উপলক্ষ্যে ঐতিহাসিক বটতলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ইতিহাস যারা নির্মাণ করে, তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। আমরা আ স ম আবদুর রবকে ব্যক্তিগত পরিচয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। শারীরিক দুর্বলতার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে ঐতিহাসিক এ দিবস উদযাপনে আমন্ত্রিত হয়ে তিনি আনন্দ প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিয়াজ আহমদ খান। তিনি ১৯৭১ সালের ২ মার্চ আ স ম আবদুর রবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীন সংগ্রামে তার অবদান এবং পরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার ভূমিকা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। স্বাগত বক্তৃতা করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ।
উপাচার্য আরও বলেন, দেশ নানামুখী প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঐক্য ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি। আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত উত্তরাধিকার বহন করছি, যা আমাদের সাহস দেয়। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুরো জাতিকেও সাহস দেয়। ঐক্য ধরে রাখতে এই উদ্যোগগুলো আরও আন্তরিকতার সঙ্গে আয়োজন করা জরুরি।
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি : পরে বেলা আড়াইটায় একই স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তারা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এ সময় কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘১৯৭১ সালের ২ মার্চ তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। জাতীয় জীবনে দিনটির তাৎপর্য ধরে রাখতে আমরা এ কর্মসূচি পালন করছি।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘পাকিস্তানি শাসকেরা নির্বাচনের পরও ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে টালবাহানা করছিল, সেই সংকটকালে তৎকালীন ডাকসুর নেতারা দেশের হাল ধরেছিলেন। দেশের মানুষের দ্বিধাদ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে ডাকসুর ভিপি স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখনো নানা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আবার ডাকসুর নেতারা হাল ধরবে বলে বিশ্বাস করি। সেজন্য ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। তাদের চাওয়াপাওয়া নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই পূরণ করবে।’